অভিনন্দন আর আদরে সে ডুবে যাচ্ছে। – এখানে কার কথা বলা হয়েছে? অভিনন্দন আর আদরের কারণ বিশ্লেষণ করো।

“অভিনন্দন আর আদরে সে ডুবে যাচ্ছে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “অভিনন্দন আর আদরে সে ডুবে যাচ্ছে।” – এখানে কার কথা বলা হয়েছে? অভিনন্দন আর আদরের কারণ বিশ্লেষণ করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় বাংলা দলের হয়ে কোনি অংশগ্রহণ করে। কিন্তু সেখানেও সে চক্রান্তের শিকার হয় এবং কোন প্রতিযোগিতাতেই তাকে অংশ নিতে দেওয়া হয় না। শেষ পর্যন্ত, বাধ্য হয়েই তাকে ৪×১০০ মিটার রিলেতে নামানো হয়। এই প্রতিযোগিতায় জিততে না পারলে বাংলা দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না।

আড়ষ্টতা নিয়েও কোনি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তারপর শুরু হয় প্রবল উত্তেজনাপূর্ণ সাঁতার। শেষে সকলকে অবাক করে দিয়ে কোনি চ্যাম্পিয়ন হয়। সে হারিয়ে দেয় প্রখ্যাত সাঁতারু রমা যোশিকে।

কোনির এই সাফল্যে উত্তেজনায় ফেটে পড়ে উপস্থিত দর্শকরা। সবাই এসে বাহবা দিতে থাকে কোনিকে। রমা যোশিও তার পিঠ চাপড়ে দিয়ে যায়।

কোনিকে ঘিরে একটা ভিড়ের বৃত্ত রচিত হয়। বাংলার মেয়েরাও তাকে অভিনন্দন জানাতে আসে। জুপিটারের ধীরেন ঘোষ পর্যন্ত আবেগে কোনিকে জড়িয়ে ধরেন। এভাবেই অভিনন্দন আর আদরে কোনি ডুবে যেতে থাকে।

কোনির এই জয় শুধু তার ব্যক্তিগত জয় নয়, এটি বাংলার সকলের জয়। কোনির এই সাফল্য বাংলার সাঁতার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করে।

মাধ্যমিক বাংলা কোনি (সহায়ক পাঠ)

“অভিনন্দন আর আদরে সে ডুবে যাচ্ছে।” – এখানে কার কথা বলা হয়েছে? অভিনন্দন আর আদরের কারণ বিশ্লেষণ করো।

উদ্দিষ্টের পরিচয় – উদ্ধৃত অংশটি মতি নন্দীর কোনি উপন্যাস থেকে গৃহীত। আলোচ্য অংশে কোনির কথাই বলা হয়েছে।

অভিনন্দন আর আদরের কারণ –

  • চক্রান্তের শিকার – মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনি বাংলা দলে সুযোগ পেয়েছিল। সেইমতো বাংলার অন্য সাঁতারুদের সঙ্গে কোনিও যায় মাদ্রাজে। কিন্তু সেখানেও আগের মতোই সে চক্রান্তের শিকার হয়। কোনো প্রতিযোগিতাতেই তাকে নামানো হয় না।
  • ৪×১০০ মিটার রিলেতে সুযোগ – শেষপর্যন্ত দায়ে পড়ে, প্রায় বাধ্য হয়েই তাকে ৪×১০০ মিটার রিলেতে নামানো হয়। এই প্রতিযোগিতায় জিততে না পারলে বাংলা চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না।
  • চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু – আড়ষ্টতা নিয়েও কোনি শেষপর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় নামে। তারপর শুরু হয় প্রবল উত্তেজনাপূর্ণ সাঁতার। শেষে সকলকে অবাক করে দিয়ে কোনি চ্যাম্পিয়ন হয়। সে হারিয়ে দেয় প্রখ্যাত সাঁতারু রমা যোশিকে।
  • দর্শকদের উত্তেজনা – কোনির এই সাফল্যে উত্তেজনায় ফেটে পড়ে উপস্থিত দর্শকরা। সবাই এসে বাহবা দিতে থাকে কোনিকে। রমা যোশিও তার পিঠ চাপড়ে দিয়ে যায়।
  • অভিনন্দন জ্ঞাপন – কোনিকে ঘিরে একটা ভিড়ের বৃত্ত রচিত হয়। বাংলার মেয়েরাও তাকে অভিনন্দন জানাতে আসে। জুপিটারের ধীরেন ঘোষ পর্যন্ত আবেগে কোনিকে জড়িয়ে ধরেন। এভাবেই অভিনন্দন আর আদরে কোনি ডুবে যেতে থাকে।

আরও পড়ুন, আমার ভবিষ্যৎ – কাকে নিয়ে বক্তার এরূপ মন্তব্য? এই উক্তিতে বক্তার কী রূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে?

কোনির এই জয় শুধু তার ব্যক্তিগত জয় নয়, এটি বাংলার সকলের জয়। কোনির এই সাফল্য বাংলার সাঁতার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করে। কোনি তার অদম্য সাহস, পরিশ্রম ও মনোবলের মাধ্যমে প্রমাণ করে যে, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও যদি কেউ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকে তবে সে অবশ্যই সাফল্য অর্জন করতে পারে। কোনি বাংলার মেয়েদের কাছে এক আদর্শ হয়ে ওঠে এবং তাদের অনুপ্রাণিত করে নিজেদের স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়াই করতে।

কোনির এই জয় বাংলার সাঁতার ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি বাংলার সাঁতারুদের মনে নতুন আশা ও উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। কোনির সাফল্যের পর বাংলার সাঁতার ক্ষেত্রে এক নতুন জোয়ার আসে এবং বাংলার সাঁতারুরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও খ্যাতি অর্জন করতে শুরু করে।

কোনির জয় বাংলার গৌরব বৃদ্ধি করে এবং বাংলার মানুষের মনে গর্ব ও আনন্দের সঞ্চার করে। কোনি বাংলার মানুষের কাছে একজন বীরাঙ্গনা হয়ে ওঠে এবং তার জয় বাংলার ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে থাকে।

Share via:

মন্তব্য করুন