আমার ভবিষ্যৎ – কাকে নিয়ে বক্তার এরূপ মন্তব্য? এই উক্তিতে বক্তার কী রূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে?

Rahul

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “আমার ভবিষ্যৎ” – কাকে নিয়ে বক্তার এরূপ মন্তব্য? এই উক্তিতে বক্তার কী রূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমার ভবিষ্যৎ - কাকে নিয়ে বক্তার এরূপ মন্তব্য? এই উক্তিতে বক্তার কী রূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে?

“আমার ভবিষ্যৎ” – কাকে নিয়ে বক্তার এরূপ মন্তব্য? এই উক্তিতে বক্তার কী রূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে?

উদ্দিষ্ট ব্যক্তি – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের সপ্তম পরিচ্ছেদে ক্ষিতীশ সিংহ কোনিকে নিয়ে বিষ্টুচরণ ধরের কাছে এরুপ মন্তব্য করেছেন।

বক্তার মনোভাব –

  • প্রকৃত লক্ষ্য – দীর্ঘদিন ক্ষিতীশ সিংহ ছিলেন জুপিটার ক্লাবের সাঁতারের প্রশিক্ষক। পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে সাঁতারু তৈরি করাই ছিল তাঁর জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য। এই কাজে কঠোর ও নিয়মনিষ্ঠ ছিলেন। এর জন্য ব্যক্তিগত জীবনে ক্ষতিস্বীকারও করেছিলেন। কিন্তু ক্লাবের কিছু স্বার্থপর, সুবিধাবাদী মানুষের চক্রান্তে তিনি জুপিটার ক্লাবের সাঁতার প্রশিক্ষকের পদ ছাড়তে বাধ্য হন।
  • স্বপ্নপূরণ – কোনির মধ্যে ক্ষিতীশ ভবিষ্যতে বড়ো সাঁতারু হওয়ার সম্ভাবনা লক্ষ করে তাকে কেন্দ্র করেই ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। লড়াই করে বাঁচা এবং সংগ্রাম ও যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে স্বপ্ন পূরণ করার প্রবল বাসনা তাঁর কথায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
  • বিরোধিতার জবাব – ক্লাবের যেসমস্ত মানুষ তাঁকে অপমান করেছেন, যাদের ষড়যন্ত্রে তাঁর স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে বসেছিল, তাদের সমস্ত ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, অপমান এবং চক্রান্তের জবাব ফিরিয়ে দেওয়ার একমাত্র হাতিয়ার ছিল কোনি। সাঁতারই যার কাছে সর্বস্ব, সেই ক্ষিতীশ হেরে না গিয়ে কোনির মাধ্যমে নিজের জীবনের আশা পূরণ করতে চেয়েছেন, তাই বিষ্টু ধরকে উদ্দেশ্য করে তিনি উল্লিখিত মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুন, ভালোবাসলে সবকিছু করিয়ে নেওয়া যায়, মানুষকে দিয়েও। – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “আমার ভবিষ্যৎ” – কাকে নিয়ে বক্তার এরূপ মন্তব্য? এই উক্তিতে বক্তার কী রূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও-মাধ্যমিক ভূগোল

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য লেখো

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব উল্লেখ করো।

বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য

বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব

মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা ও বঙ্গোপসাগরীয় শাখা কী? মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা ও বঙ্গোপসাগরীয় শাখার মধ্যে পার্থক্য

মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান – পরিবেশের জন্য ভাবনা – স্থিতিশীল উন্নয়নে শক্তি উৎসের ব্যবহার