এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

বিষ্টু ধরের উত্তেজিত মুখ দেখে ক্ষিতীশ চটপট মতলব ভেঁজে নিয়ে বলল – মাঝে মাঝে যাই বুদ্ধি পরামর্শ দিতে – প্রেসিডেন্ট পেয়েছি কত টাকা ডোনেশন চাও নকুলদা? – এই তিনটি উক্তির আলোকে ক্ষিতীশ সিংহ সম্পর্কে তোমার কী মনে হয়েছে লেখো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “বিষ্টু ধরের উত্তেজিত মুখ দেখে ক্ষিতীশ চটপট মতলব ভেঁজে নিয়ে বলল,” “মাঝে মাঝে যাই বুদ্ধি পরামর্শ দিতে,” “প্রেসিডেন্ট পেয়েছি-কত টাকা ডোনেশন চাও নকুলদা?” – এই তিনটি উক্তির আলোকে ক্ষিতীশ সিংহ সম্পর্কে তোমার কী মনে হয়েছে লেখো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিষ্টু ধরের উত্তেজিত মুখ দেখে ক্ষিতীশ চটপট মতলব ভেজে নিয়ে বলল - মাঝে মাঝে যাই বুদ্ধি পরামর্শ দিতে - প্রেসিডেন্ট পেয়েছি-কত টাকা ডোনেশন চাও নকুলদা? - এই তিনটি উক্তির আলোকে ক্ষিতীশ সিংহ সম্পর্কে তোমার কী মনে হয়েছে লেখো।

“বিষ্টু ধরের উত্তেজিত মুখ দেখে ক্ষিতীশ চটপট মতলব ভেঁজে নিয়ে বলল”
“মাঝে মাঝে যাই বুদ্ধি পরামর্শ দিতে”
“প্রেসিডেন্ট পেয়েছি-কত টাকা ডোনেশন চাও নকুলদা?”
– এই তিনটি উক্তির আলোকে ক্ষিতীশ সিংহ সম্পর্কে তোমার কী মনে হয়েছে লেখো।

  • কথামুখ – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের অষ্টম পরিচ্ছেদে আমরা ক্ষিতীশের বলা এই তিনটি উক্তি পেয়েছি।
  • সুযোগ সন্ধানী – বিষ্টুচরণ দর্জিপাড়া বয়েজ লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেওয়ার জন্য ক্ষিতীশ সিংহকে বক্তৃতা লিখে দিতে বলেন। তিনি জানান যে, ওই অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিনোদ ভড়। এসময় সুযোগ বুঝে তাকে অ্যাপোলো ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দেন ক্ষিতীশ। কোনো একটি সভার বক্তৃতায় বিনোদ ভড়কে না হারিয়ে প্রতিদিন তাকে হারানোর পরামর্শ দেন ক্ষিতীশ। তিনি বুঝিয়ে দেন, জুপিটারের প্রেসিডেন্ট যেহেতু বিনোদ ভড় তাই তার বিপক্ষ ক্লাবে বিষ্টু ধরের প্রেসিডেন্ট হওয়া আবশ্যক। এইভাবেই সমস্ত ক্ষেত্রে বিনোদ ভড়ের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে বলেন বিষ্টুবাবুকে।
  • বুদ্ধিমান – দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ক্ষিতীশ তাঁর স্ত্রী লীলাবতীর বিষ্টুচরণকে দেওয়া সেলামির টাকাটা ফিরিয়ে নেন। বুদ্ধিমান ক্ষিতীশ সহজেই বুঝে গেছিলেন যে, বিষ্টুচরণ ধর শুধু বক্তৃতার জন্যই তাঁর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েননি, তিনি এখন ক্ষিতীশের বুদ্ধি-পরামর্শ অনুযায়ী চলছেনও। তাই বাড়িতে স্ত্রী লীলাবতীকে বেশ গর্বের সঙ্গেই ক্ষিতীশ বলেছেন, “মাঝে মাঝে যাই বুদ্ধি পরামর্শ দিতে।”
  • উপস্থিত বুদ্ধির প্রয়োগ – এরপরের প্রস্তাবটা ক্ষিতীশ দিয়েছেন অ্যাপোলো ক্লাবের কর্মকর্তা নকুল মুখুজ্জেকে। পাঁচশো টাকা ডোনেশন দেওয়া বটুবাবুর পরিবর্তে তিনি দু-হাজার টাকা দেরেন এমন প্রেসিডেন্ট ঠিক করে নকুল মুখুজ্জেকে প্রসন্ন করেছেন। ক্ষিতীশের মূল লক্ষ্য ছিল কোনির উপকার এবং তার অনুশীলন ও সাফল্যের সুযোগ তৈরি। এর জন্য ক্ষিতীশ যে উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।

আরও পড়ুন, গাছে অনেক দূর উঠে গেছি। মই কেড়ে নিলে নামতে পারব না। – এই উক্তিটি কার? তার এরূপ বলার কারণ কী? উপন্যাসে তার পারিবারিক ও শারীরিক কীরূপ বর্ণনা তুমি পেয়েছ?

এই নিবন্ধে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “বিষ্টু ধরের উত্তেজিত মুখ দেখে ক্ষিতীশ চটপট মতলব ভেঁজে নিয়ে বলল,” “মাঝে মাঝে যাই বুদ্ধি পরামর্শ দিতে,” “প্রেসিডেন্ট পেয়েছি-কত টাকা ডোনেশন চাও নকুলদা?” – এই তিনটি উক্তির আলোকে ক্ষিতীশ সিংহ সম্পর্কে তোমার কী মনে হয়েছে লেখো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনাকে সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Share via:

মন্তব্য করুন