আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো পূর্ব ভারতের উচ্চভূমি সম্পর্কে। এই উচ্চভূমির ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলিও আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো।
দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের ভূপ্রকৃতি” বিভাগের অন্তর্গত।
আসুন, পূর্ব ভারতের উচ্চভূমি কী এবং এর ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী, তা জেনে নেওয়া যাক। পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির সময় এই বিষয়গুলি মনে রাখা আপনার জন্য সহায়ক হবে।
পূর্ব ভারতের উচ্চভূমি বলতে কী বোঝ? এই উচ্চভূমির ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
পূর্ব ভারতের উচ্চভূমি –
ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ছোটোনাগপুর মালভূমি, ছত্তিশগড় রাজ্যের বাঘেলখণ্ড মালভূমি ও সমতলক্ষেত্র-সহ মহানদী অববাহিকা এবং ওডিশার দণ্ডকারণ্য অঞ্চলকে একসঙ্গে বলা হয় পূর্ব ভারতের উচ্চভূমি।
ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য –
- বহু যুগ ধরে ক্ষয় হওয়ার ফলে এখানকার উচ্চতা বেশ কমে গেছে (গড়ে 700 মি উঁচু)। এই অংশে অনেক সমপ্রায়ভূমি (peneplain) দেখা যায়।
- ছোটোনাগপুর মালভূমির সর্বাপেক্ষা উঁচু অংশ পশ্চিমের পাট অঞ্চল (গড় উচ্চতা 1000 মিটারের বেশি)। রাঁচি মালভূমি পাট অঞ্চলের পূর্বদিকে অবস্থিত। রাঁচি মালভূমির উত্তরদিক দিয়ে দামোদর নদ প্রবাহিত হয়েছে। এই নদের উত্তরে আছে হাজারিবাগ মালভূমি। ছোটোনাগপুর মালভূমির উত্তর-পূর্ব কোণে রাজমহল পাহাড় অবস্থিত। ছোটোনাগপুরের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল পরেশনাথ (1366 মি)।
- বাঘেলখণ্ড মালভূমির দক্ষিণে মহানদী অববাহিকার মধ্যভাগের নাম ছত্তিশগড় সমতলক্ষেত্র।
- এই সমতলক্ষেত্রের দক্ষিণে বন্ধুর ও ব্যবচ্ছিন্ন দণ্ডকারণ্য পাহাড়িয়া অঞ্চল অবস্থিত। এই মালভূমির সর্বোচ্চ অংশ হল কোরাপুট।
- রাঁচি মালভূমির দক্ষিণে ওডিশার গড়জাত অঞ্চল অবস্থিত, এখানে কতকগুলি পাহাড় আছে, যেমন — বোনাই, কেওনঝড়, সিমলিপাল প্রভৃতি।
আরও পড়ুন – ভারতীয় জনজীবনে উত্তর ভারতের সমভূমির প্রভাব আলোচনা করো
পূর্ব ভারতের উচ্চভূমি ভারতের প্রাকৃতিক দৃশ্যের এক মূল্যবান সম্পদ। এর বিচিত্র মালভূমি, নদী, খনিজ, জলপ্রপাত এবং জীববৈচিত্র্য এই অঞ্চলকে দেশের অন্য অংশ থেকে আলাদা করে দেয়। পরীক্ষার জন্য পড়াশুনা করার সময় এই বৈশিষ্ট্যগুলো মনে রাখুন এবং আপনি পরীক্ষায় উত্তর দিয়ে আস্তে পারবেন।