সিফ বালিয়াড়ির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে সিফ বালিয়াড়ির বৈশিষ্ট্য এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সিফ বালিয়াড়ির বৈশিষ্ট্য আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

সিফ বালিয়াড়ি (Seif Dunes) হলো এক ধরণের বালিয়াড়ি যা তীব্র ঘূর্ণিবায়ুর আঘাতে পরপর অনেকগুলি বালিয়াড়ি ভেঙে গেলে তৈরি হয়। এই বালিয়াড়িগুলো বায়ুপ্রবাহের পথে বেশ সংকীর্ণ কিন্তু খুব লম্বা হয়।

সিফ শব্দটি আরবী ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ “সোজা তরবারি”। ভূমিরূপ বিজ্ঞানী বার্গনল্ড এই বালিয়াড়িগুলোর নামকরণ করেন।

বার্গনল্ড এর মতে, সিফ বালিয়াড়ি তখনই তৈরি হয় যখন বার্খান (বৃদ্ধিশীল অর্ধচন্দ্রাকৃতি বালিয়াড়ি) গঠনের মত একদিক থেকে বায়ু প্রবাহিত না হয়ে বিভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত হয়। বায়ু যখন বালিয়াড়ির সমান্তরালে প্রবাহিত হয় তখন সিফ বালিয়াড়ি দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়। বার্গনল্ড আরও মনে করেন, বার্খান বা তীর্যক বালিয়াড়ির রূপান্তরেই সিফ বালিয়াড়ি তৈরি হয়।

সিফ বালিয়াড়ির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো

প্রবহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা খুব দীর্ঘ কিন্তু সংকীর্ণ বালিয়াড়িকে বলা হয় সিফ। এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল —

  • সিফ বালিয়াড়ি কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ এবং এর উচ্চতা কয়েকশো মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
  • অনেকসময় পরস্পর সমান্তরালভাবে অনেকগুলি সিফ বালিয়াড়ি গড়ে উঠতে দেখা যায়।
  • কখনও কখনও প্রবল বায়ুপ্রবাহে অর্ধচন্দ্রাকৃতি বালিয়াড়ি বা বারখানের মাঝের অংশ ক্ষয় হয়ে যায় এবং দুই পাশে শিং-এর মতো শিরা দুটি ক্রমশ বড়ো হয়ে অনুদৈর্ঘ্য বা সিফ বালিয়াড়িরূপে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠে।
  • দুটি সিফ বালিয়াড়ির মধ্যবর্তী অংশকে করিডোর বলে। এর মধ্য দিয়ে বায়ু প্রবল বেগে সোজাসুজি প্রবাহিত হয়।
  • বালিয়াড়ির শীর্ষদেশ তীক্ষ্ণ করাত আকৃতির হয়।

আরও পড়ুন – বারখান বালিয়াড়ির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

এই আর্টিকেলে আমরা সিফ বালিয়াড়ির বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করেছি, যা দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকলে, পরীক্ষার্থীরা সহজেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। এই বিষয়গুলি ভালভাবে শেখা আপনাকে পরীক্ষায় ভালো করতে সাহায্য করবে।

Share via:

মন্তব্য করুন