শরীরের নাম মহাশয় যা সহাবে তাই সয়। — ক্ষিতীশ সিংহের এই উক্তিতে তার কীরূপ মানসিকতা ফুটে উঠেছে?

Rahul



এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “শরীরের নাম মহাশয়, যা সহাবে তাই সয়।” — ক্ষিতীশ সিংহের এই উক্তিতে তার কীরূপ মানসিকতা ফুটে উঠেছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি চরিত্র বিশ্লেষণ এবং প্রেক্ষাপটের গভীরতা বুঝতে সহায়তা করে।

শরীরের নাম মহাশয় যা সহাবে তাই সয়। — ক্ষিতীশ সিংহের এই উক্তিতে তার কীরূপ মানসিকতা ফুটে উঠেছে?

“শরীরের নাম মহাশয় যা সহাবে তাই সয়।” — ক্ষিতীশ সিংহের এই উক্তিতে তার কীরূপ মানসিকতা ফুটে উঠেছে?

  • কথামুখ – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে ক্ষিতীশ সিংহ এই প্রবাদবাক্যটি উল্লেখ করেছেন।
  • সংযমী ও নিয়ন্ত্রক – এই বাক্যের মাধ্যমে মধ্যবয়সি মানুষটির শরীর ও মন সম্পর্কে অপূর্ব সংযম ও নিয়ন্ত্রণের ছবি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মানুষটি প্রতিদিন শরীরচর্চা করতেন। নিজেই স্পষ্ট বলেছেন “খিদের মুখে যা পাই তাই অমৃতের মতো লাগে।” শরীর সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন মানুষটি বাড়িতেও তাঁর এই আদর্শ মেনে চলতেন। তাঁর সংসারে খাওয়ার আয়োজন ছিল সামান্যই।
  • সিদ্ধ খাবারে আগ্রহী – ক্ষিতীশ মনে করতেন বাঙালিয়ানা রান্নায় স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না, তাই প্রায় সব কিছু কুকারে সিদ্ধ করেই তিনি খেতেন। তাঁর মতে খাদ্যপ্রাণ যথাসম্ভব অটুট থাকে সিদ্ধ খাবার খেলে। ক্ষিতীশ সিংহের স্ত্রী প্রথমদিকে এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন এবং রান্নায় মশলা ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গোঁয়ার ক্ষিতীশের তেজের কাছে তাঁকে হার মানতে হয়। শরীরচর্চা ও সংযম পালনই মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে বলে ক্ষিতীশ মনে করতেন।
  • বিশেষ গুণের প্রতি পক্ষপাতিত্ব – এককথায় ক্ষিতীশ সিংহের সাঁতার ও সাঁতারুদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধ এবং কঠোর পরিশ্রম ও কৃচ্ছ্রসাধনে প্রতি তাঁর পক্ষপাত আলোচ্য উক্তিতে ফুটে উঠেছে।

আরও পড়ুন, সোনার মেডেল-ফেডেল কিছু নয় রে, ওগুলো এক একটি চাকতি মাত্র। – কে, কাকে এ কথা বলেছেন? এই উক্তির মধ্য দিয়ে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন?

এই নিবন্ধে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে “শরীরের নাম মহাশয় যা সহাবে তাই সয়” — ক্ষিতীশ সিংহের এই উক্তিতে তার মানসিকতা কীরূপ ফুটে উঠেছে তা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই আলোচনা আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, আপনি নির্দ্বিধায় টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও এই মূল্যবান তথ্য থেকে উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

ওহমের সূত্রটিকে লেখচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করো।

ওহমের সূত্রটিকে লেখচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করো।

বৈদ্যুতিক তার হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠতর ও কেন?

বৈদ্যুতিক তার হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠতর ও কেন?

ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও। অ-ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো?

ওহমীয় পরিবাহী ও অ-ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ওহমের সূত্রটিকে লেখচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করো।

বৈদ্যুতিক তার হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠতর ও কেন?

ওহমীয় পরিবাহী ও অ-ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।

মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান – চলতড়িৎ – রোধ

শ্রেণি ও সমান্তরাল সমবায়ে তুল্য রোধের তুলনামূলক বিশ্লেষণ