তাহলে একটু গুছিয়ে লিখে দিন – কে, কাকে বলেছিলেন? লেখার মূল বক্তব্য কী ছিল?

Rahul

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের সহায়ক পাঠকোনি‘ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “তাহলে একটু গুছিয়ে লিখে দিন” – কে, কাকে বলেছিলেন? লেখার মূল বক্তব্য কী ছিল? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

তাহলে একটু গুছিয়ে লিখে দিন - কে, কাকে বলেছিলেন? লেখার মূল বক্তব্য কী ছিল?

“তাহলে একটু গুছিয়ে লিখে দিন” – কে, কাকে বলেছিলেন? লেখার মূল বক্তব্য কী ছিল?

বক্তা এবং উদ্দিষ্ট ব্যক্তি – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের সপ্তম পরিচ্ছেদে বিষ্টুচরণ ধর ক্ষিতীশ সিংহকে এই কথাটি বলেছেন।

লেখার মূল বক্তব্য –

  • প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ – বিষ্টুচরণ ধরের বক্তৃতাগুলি গুছিয়ে লিখে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ক্ষিতীশ সিংহের ওপর। এইরকম একটা বক্তৃতায় তিনি লেখেন, ট্যালেন্ট ঈশ্বরের দান। ট্যালেন্ট থাকা সত্ত্বেও কেউ তা প্রকাশ না করলে সে অপরাধী। আমাদের দেশে এইরকম বহু প্রতিভাসম্পন্ন মানুষ আছেন যারা শুধু নিজেদের খাওয়া-পরার প্রয়োজন মেটাতেই ব্যস্ত।
  • গৌরবোজ্জ্বল খেলোয়াড় – খেলোয়াড়দের গৌরবের আলোয় গোটা দেশ আলোকিত হয়। অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া প্রভৃতি দেশের কথা উচ্চারণ করলে সর্বপ্রথম মাথায় আসে ডন ব্র্যাডম্যান, পেলে বা বিকিলার মতো মানুষদের কথা যাঁরা খেলার মাধ্যমে তাঁদের দেশকে সারা বিশ্বের দরবারে বিখ্যাত করেছেন।
  • সেনাপতির সঙ্গে খেলোয়াড়ের তুলনা – ক্ষিতীশ সিংহের মতে, দেশের একজন সেনাপতির তুলনায় একজন খেলোয়াড় বড়ো এবং প্রকৃত বীর। কারণ একজন খেলোয়াড় বা সাঁতারু জীবনের ও প্রাণের প্রতীক। তাঁরা পৃথিবীর মানুষকে মৃত্যু বা ধ্বংস নয়, বাঁচার এবং সংগ্রামের প্রেরণা জোগায়। এটা শুধু সাঁতারু নয় সমস্ত খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য।
  • অবহেলিত খেলোয়াড়দের জন্য সুব্যবস্থা – আমাদের দেশে খেলোয়াড়রা বঞ্চিত এবং অবহেলিত হয়ে থাকে। তাই সরকার থেকেই তাঁদের জন্য উপযুক্ত খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের বন্দোবস্ত করা প্রয়োজন। বিষ্টুচরণের বক্তৃতার মূল বক্তব্য হবে এটাই। এতদূর বলে ক্ষিতীশ দম নেওয়ার জন্য থামতেই বিষ্টু ধর বলেন, এত ভারী ভারী কথায় তাঁর গোলমাল হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি ক্ষিতীশকেই এইসব কথা গুছিয়ে লিখে দিতে বলেন।

আরও পড়ুন, হঠাৎ কোনির দুচোখ জলে ভরে এল। – কোনির দু-চোখ জলে ভরে এল কেন? এরপর কী হয়েছিল?

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “তাহলে একটু গুছিয়ে লিখে দিন” – কে, কাকে বলেছিলেন? লেখার মূল বক্তব্য কী ছিল? তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, নিবন্ধটি আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও এর সুবিধা পেতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

উত্তর ভারতের নদনদীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তর ভারতের নদনদীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

দেশীয় রাজ্য বলতে কী বোঝো? দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে ভারত সরকার কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল?

দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে ভারত সরকার কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল?

ভারত-বিভাজনের অনিবার্যতার কারণ বিশ্লেষণ করো।

ভারত বিভাজনের অনিবার্যতার কারণ বিশ্লেষণ করো।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

উত্তর ভারতের নদনদীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে ভারত সরকার কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল?

ভারত বিভাজনের অনিবার্যতার কারণ বিশ্লেষণ করো।

ভাঙ্গর ও খাদার বলতে কি বোঝো? ভাঙ্গর ও খাদারের মধ্যে পার্থক্য

দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব আলোচনা করো।