এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের সহায়ক পাঠ “কোনি” থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “তখন মুহূর্তে বুঝে যায়, আর কথা বাড়ালে তাকেই গোল্লায় যেতে হবে।” — কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য মন্তব্যটি করা হয়েছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
“তখন মুহূর্তে বুঝে যায় আর কথা বাড়ালে তাকেই গোল্লায় যেতে হবে।” – কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য মন্তব্যটি করা হয়েছে?
মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসে সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের এই উপলব্ধি হয়েছিল। ক্ষিতীশের খাওয়াদাওয়া নিয়ে যথেষ্ট বাতিক ছিল কিংবা বলা যেতে পারে, এ বিষয়ে তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতেন। ক্ষিতীশের বাড়িতে রোজই কুকারে প্রায় সিদ্ধ রান্না হত, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন মশলাদার খাবারে স্বাস্থ্য বজায় থাকে না। এতে পেটের সমস্যা হয়। সে কারণে বাঙালিরা শরীরে শক্তি পায় না, আর কোনো খেলাতেই সর্বোচ্চ সাফল্য পায় না। অন্য দিকে সিদ্ধ রান্নায় প্রোটিন ভিটামিন বজায় থাকে। তাই শরীরও সুস্থ থাকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেন বলেই, ক্ষিতীশের খাওয়া থালায় স্ত্রী লীলাবতী খেতে গেলে তিনি বিষয়টি অস্বাস্থ্যকর এবং কুসংস্কারের প্রকাশ বলে মনে করতেন। স্ত্রী লীলাবতীকে ক্ষিতীশ যথেষ্ট মান্য করে চলতেন। সেজন্য লীলাবতী যে মুহূর্তে অত্যন্ত ঠান্ডা গলায় বিষয়টিকে তাঁর নিজস্ব ব্যাপার বলে জানাতেন, তখনই ক্ষিতীশ আর এ বিষয়ে কোনো কথা বলতেন না। কারণ তিনি জানতেন যে তাহলে পরবর্তী ঘটনাক্রম তাঁর বিরুদ্ধে চলে যাবে। তাই তিনি আর কথা না বাড়িয়ে চুপ করে থাকাই ঠিক বলে মনে করতেন।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “তখন মুহূর্তে বুঝে যায় আর কথা বাড়ালে তাকেই গোল্লায় যেতে হবে।” – কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য মন্তব্যটি করা হয়েছে? তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!