আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে তেজ বা ভরা কোটাল কাকে বলে? ভরা কোটালকে কেন সর্বোচ্চ জোয়ার বলা হয়? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় বারিমণ্ডলের প্রশ্ন। তেজ বা ভরা কোটাল কাকে বলে? ভরা কোটালকে কেন সর্বোচ্চ জোয়ার বলা হয়? – আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।
তেজ বা ভরা কোটাল কাকে বলে?
পূর্ণিমার তিথিতে সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী যখন একই সরলরেখায় থাকে। চন্দ্র ও সূর্যের মাঝে অবস্থান করে পৃথিবী। এই অবস্থায় পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের নিকটে থাকে, সেখানে মুখ্য জোয়ার দেখা যায়। এই সময় জল অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যার ফলে একে “ভরা কোটাল” বা “তেজ কোটাল” বলা হয়।
ভরা কোটালকে কেন সর্বোচ্চ জোয়ার বলা হয়?
অমাবস্যা ও পূর্ণিমার দিনে তেজ বা ভরা কোটাল হয়। অমাবস্যার দিনে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চাঁদ থাকে। পূর্ণিমার দিনে চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে পৃথিবী থাকে। এর ফলে, অন্য যে-কোনো দিনের তুলনায় ওই দুদিন চাঁদ ও সূর্যের সম্মিলিত আকর্ষণে জোয়ারের জল অনেক বেশি ফুলে ওঠে অর্থাৎ ওই দু-দিন জলস্ফীতি সর্বাধিক হয়। তাই তেজ বা ভরা কোটালকে সর্বোচ্চ জোয়ার বলা হয়।
এই আর্টিকেলে, আমরা আলোচনা করেছি যে তেজ বা ভরা কোটাল কী এবং কেন এটিকে সর্বোচ্চ জোয়ার বলা হয়। আমরা দেখেছি যে পূর্ণিমা তিথিতে, যখন সূর্য, চন্দ্র এবং পৃথিবী একই সরলরেখায় থাকে, তখন পৃথিবীর দিকে চাঁদের আকর্ষণ সর্বোচ্চ হয়। এই বর্ধিত আকর্ষণ পৃথিবীর মহাসাগরের জলকে টেনে নিয়ে আসে, যার ফলে ভরা কোটাল ঘটে।
ভরা কোটাল দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই আর্টিকেলে আলোচিত ধারণাগুলি বুঝতে পারার মাধ্যমে, আপনি এই বিষয়ে পরীক্ষার জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন।
এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে বলে আশা করি। আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় আমাদের জিজ্ঞাসা করুন।