এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “তোমার এই গঙ্গা থেকে কুড়োনো মেয়েটা কেমন টাইম করছে?” – বক্তা কে? সে কীসের টাইম জানতে চেয়েছে? এ কথা বলার কারণ কী? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“তোমার এই গঙ্গা থেকে কুড়োনো মেয়েটা কেমন টাইম করছে?” – বক্তা কে? সে কীসের টাইম জানতে চেয়েছে? এ কথা বলার কারণ কী?
বক্তা – কোনি উপন্যাসে উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা ‘জুপিটার সুইমিং ক্লাব’-এর সদস্য ধীরেন ঘোষ।
জ্ঞাতব্য বিষয় – ধীরেন ঘোষ কোনির সাঁতারের টাইম, অর্থাৎ নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছোতে তার কত সময় লাগছে তা ক্ষিতীশের কাছে জানতে চেয়েছে।
এ কথা বলার কারণ – ধীরেন ঘোষের এই কথার মধ্যে একরকম বিদ্রুপের ছোঁয়া আছে। ক্ষিতীশ সিংহকে তারা ইচ্ছা করে ক্লাব থেকে তাড়িয়েছে। সাঁতার-অন্তপ্রাণ ক্ষিতীশের হাত থেকে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব কেড়ে নিতে পেরে তারা আনন্দিতও হয়েছে। অপরপক্ষে কোনি বস্তির ঘর থেকে উঠে আসা একটা মেয়ে, যার সমাজে কোনো সম্মানজনক অবস্থান নেই। তাদের ক্লাবে যারা সাঁতার শিখতে আসে তাদের সকলেরই মোটামুটি একটা সামাজিক পরিচিতি আছে। কোনিকে প্রতিযোগিতা করতে হলে এদের সঙ্গেই করতে হবে। তাই ধীরেন ঘোষ নিজের চোখে দেখতে এসেছিল কোনি কতটা তৈরি হয়েছে অথবা আদৌ তৈরি হয়েছে কি না। কোনির আড়ালে আসলে ক্ষিতীশ সিংহের সঙ্গে তাদের প্রতিযোগিতা। কোনিকে ব্যঙ্গ করার মধ্য দিয়ে তারা ক্ষিতীশকেই অপমান করতে চায়। ‘গঙ্গা থেকে কুড়োনো মেয়েটা’ বলার মধ্য দিয়ে কোনির ‘নভিস’ অবস্থা ও পারিবারিক পরিস্থিতির প্রতিই বিদ্রুপ করা হয়েছে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “তোমার এই গঙ্গা থেকে কুড়োনো মেয়েটা কেমন টাইম করছে?” – বক্তা কে? সে কীসের টাইম জানতে চেয়েছে? এ কথা বলার কারণ কী? তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!