এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

মেসোস্ফিয়ারে উল্কাখণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারণ কী? মেসোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্য লেখো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “মেসোস্ফিয়ারে উল্কাখণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারণ কী? মেসোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্য লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “মেসোস্ফিয়ারে উল্কাখণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারণ কী? মেসোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায় “বায়ুমণ্ডল – উপাদান ও উষ্ণতার ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

উল্কাখণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারণ
উল্কাখণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারণ

মেসোস্ফিয়ারে উল্কাখণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারণ কী?

মেসোস্ফিয়ারে উল্কাখণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারণ –

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বের বায়ুস্তরকে মেসোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরের ঊর্ধ্বসীমায় বায়ুর তাপমাত্রা কম হয়ে প্রায় −93°C তে পৌঁছোয়। এর নিম্নসীমায় উত্তাপ 0°C হয়। মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা প্রজ্জ্বলিত উল্কাখণ্ডগুলি মেসোস্ফিয়ারে প্রবেশ করলে উত্তাপের হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে না পেরে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ও ভস্ম হিসেবে পৃথিবীতে নেমে আসে। তবে কখনো কখনো খুব বৃহদায়তন উল্কাখণ্ড সম্পূর্ণ ভস্মীভূত না হয়েই পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে।

মেসোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্য লেখো।

স্ট্রাটোস্ফিয়ারের উপরে অবস্থিত বায়ুমণ্ডলের স্তরটি মেসোস্ফিয়ার নামে পরিচিত।

বিস্তৃতি – 50-80 কিমি।

গঠন – এই স্তরে সামান্য পরিমাণে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, অথবা তড়িতাহিত অণু থাকে।

বৈশিষ্ট্য –

  • এটি বায়ুমণ্ডলের শীতলতম অঞ্চল।
  • উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে এই স্তরে উষ্ণতা ও চাপ দুই-ই কমে।
  • মেসোস্ফিয়ারের উপরে যে অংশে উষ্ণতার মান প্রায় স্থির হয়, সেই অঞ্চলকে মেসোপজ বলে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

মেসোস্ফিয়ার কী?

মেসোস্ফিয়ার হল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর, যা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের উপরে এবং থার্মোস্ফিয়ারের নীচে অবস্থিত। এর বিস্তার ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 50-80 কিলোমিটার পর্যন্ত।

উল্কাখণ্ড মেসোস্ফিয়ারে পুড়ে যায় কেন?

1. মেসোস্ফিয়ারে প্রবেশ করার সময় উল্কাখণ্ডগুলি অত্যন্ত উচ্চবেগে (প্রতি সেকেন্ডে কয়েক কিলোমিটার) বায়ুমণ্ডলের সাথে ঘর্ষণের সৃষ্টি করে।
2. এই ঘর্ষণের ফলে উল্কাখণ্ডের চারপাশের বায়ু তীব্র উত্তপ্ত হয়ে ওঠে (প্রায় 1650°C পর্যন্ত)।
3. মেসোস্ফিয়ারে বায়ুর ঘনত্ব যথেষ্ট থাকায় এই উত্তাপে উল্কাখণ্ড পুড়ে ছাই (ভস্ম) হয়ে যায়।

মেসোস্ফিয়ার এত ঠান্ডা হলে উল্কাপিণ্ড পোড়ে কীভাবে?

1. মেসোস্ফিয়ারের সাধারণ তাপমাত্রা −93°C পর্যন্ত হতে পারে, কিন্তু উল্কাখণ্ডের পোড়ার কারণ ঘর্ষণজনিত তাপ, বায়ুমণ্ডলের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নয়।
2. ঘর্ষণের ফলে উৎপন্ন তাপই উল্কাকে জ্বালিয়ে দেয়, পরিবেশের তাপমাত্রা নয়।

সব উল্কাপিণ্ড কি মেসোস্ফিয়ারে পুড়ে শেষ হয়?

1. ছোট উল্কাপিণ্ড (ধূলিকণা বা পাথরের টুকরো) সাধারণত সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
2. বড় উল্কাপিণ্ড (কয়েক মিটার বা তার বেশি) সম্পূর্ণ পুড়ে যেতে পারে না এবং পৃথিবীতে আঘাত করে (যেমন – 2013 সালের রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্ক উল্কা)।

মেসোস্ফিয়ারের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?

1. বিস্তার – 50-80 কিমি পর্যন্ত।
2. তাপমাত্রা – উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে তাপমাত্রা কমে (প্রায় −93°C পর্যন্ত)।
3. চাপ – অত্যন্ত কম (স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের চেয়েও কম)।
4. রাসায়নিক গঠন – অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তড়িৎ-আধানযুক্ত অণু (আয়ন) থাকে।
5. মেসোপজ – মেসোস্ফিয়ারের সর্বোচ্চ সীমা যেখানে তাপমাত্রা স্থির থাকে।

উল্কাপিণ্ড পুড়ে গেলে আমরা কী দেখি?

পুড়ে যাওয়া উল্কাপিণ্ড “অগ্নিউল্কা” (শুটিং স্টার) হিসেবে দেখা যায়, যা রাতের আকাশে দ্রুত আলোর রেখা তৈরি করে।

মেসোস্ফিয়ার গবেষণা করা কঠিন কেন?

1. উচ্চতা বেশি হওয়ায় সাধারণ বিমান বা বেলুন পৌঁছাতে পারে না।
2. উপগ্রহগুলিও সাধারণত এর চেয়ে উপরে (থার্মোস্ফিয়ারে) থাকে।
3. তাই রকেট বা বিশেষ যান (যেমন – সাউন্ডিং রকেট) দিয়ে গবেষণা করা হয়।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “মেসোস্ফিয়ারে উল্কাখণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারণ কী? মেসোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্য লেখো।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “মেসোস্ফিয়ারে উল্কাখণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারণ কী? মেসোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায় “বায়ুমণ্ডল – উপাদান ও উষ্ণতার ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন