দশম শ্রেণি – বাংলা – প্রলয়োল্লাস – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

Gopi

আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার পঞ্চম পাঠের তৃতীয় অংশ, ‘প্রলয়োল্লাস’ নিয়ে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো পরীক্ষায় প্রায়শই দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

দশম শ্রেণি – বাংলা – প্রলয়োল্লাস – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
Contents Show

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন ও উত্তর

ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।

নজরুল রচিত প্রথম কবিতার নাম –

  1. লিচু চোর
  2. মুক্তি
  3. ঝিঙে ফুল
  4. প্রভাত

উত্তর – 2. মুক্তি

নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রকাশিত হয় –

  1. 1919 খ্রিস্টাব্দে
  2. 1920 খ্রিস্টাব্দে
  3. 1911 খ্রিস্টাব্দে
  4. 1922 খ্রিস্টাব্দে

উত্তর – 3. 1911 খ্রিস্টাব্দে

নীচের কোনটি নজরুলের লেখা কাব্যগ্রন্থ নয়? –

  1. চক্রবাক
  2. ফণীমনসা
  3. বিষের বাঁশি
  4. মানসী

উত্তর – 4. মানসী

কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকার নাম –

  1. ধূমকেতু
  2. বিজলি
  3. ভারতী
  4. মোসলেম ভারত

উত্তর – 1. ধূমকেতু

“তোরা সব জয়ধ্বনি কর!” – কবি কার জয়ধ্বনি করতে বলেছেন? –

  1. প্রকৃতির
  2. মানুষের
  3. ধ্বংস ও সৃষ্টির দেবতা শিবের
  4. দেশমাতার

উত্তর – 3. ধ্বংস ও সৃষ্টির দেবতা শিবের

“ওই নূতনের কেতন ওড়ে …” – কেমনভাবে কেতন ওড়ে? –

  1. কালবৈশাখীর ঝড়ের মতো
  2. হঠাৎ ধূমকেতুর দেখা দেওয়ার মতো
  3. লেলিহান শিখার মতো
  4. বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে

উত্তর – 1. কালবৈশাখীর ঝড়ের মতো

“আসছে এবার …” – কে আসছে? –

  1. জাঠ-কালাপাহাড়
  2. অত্যাচারী শাসক ইংরেজ
  3. প্রলয়ংকর শিব
  4. নতুন পতাকা

উত্তর – 3. প্রলয়ংকর শিব

“সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল” – কে আগল ভাঙে? –

  1. প্রলয়-নেশার নৃত্য-পাগল শিব
  2. জাতীয়তাবাদী বিপ্লবী
  3. দেশের সাধারণ মানুষ
  4. বিশ্বমাতা

উত্তর – 1. প্রলয়-নেশার নৃত্য-পাগল শিব

‘মৃত্যু-গহন অন্ধকূপে’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন –

  1. ভীতিজনক স্থান
  2. রাত্রির অন্ধকার
  3. কুসংস্কারগ্রস্ত সমাজ
  4. পরাধীন ভারত

উত্তর – 3. কুসংস্কারগ্রস্ত সমাজ

‘মহাকালের চণ্ড-রূপে’ আসছেন –

  1. সৃষ্টির দেবতা
  2. কালবৈশাখীর ঝড়
  3. মহাকালী
  4. মহানিশা

উত্তর – 1. সৃষ্টির দেবতা

“বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর।” – ভয়ংকরের রূপটি কার? –

  1. দুর্গার
  2. মহাকালের চণ্ডরূপের
  3. ধূমকেতুর
  4. দিগম্বরের

উত্তর – 2. মহাকালের চণ্ডরূপের

“ওরে ওই হাসছে ভয়ংকর।” – ভয়ংকরের হাসির কারণ –

  1. মৃত্যুজয়ের আনন্দ
  2. কালবৈশাখী ঝড় আসার আনন্দ
  3. দীর্ঘকালের আগল ভাঙার আনন্দ
  4. চারিদিক স্তব্ধ হয়ে থাকার আনন্দ

উত্তর – 3. দীর্ঘকালের আগল ভাঙার আনন্দ

“তোরা সব জয়ধ্বনি কর!” – যাঁর জয়ধ্বনি করতে হবে, তিনি হলেন –

  1. ধ্বংসের দেবতা
  2. মহাকাল
  3. দেশমাতা
  4. দেশনেতা

উত্তর – 1. ধ্বংসের দেবতা

“কেশের দোলায় ঝাপটা মেরে গগন দুলায়।” – কে? –

  1. বাতাস
  2. চামব
  3. সাগর
  4. ঝামর

উত্তর – 4. ঝামর

“সর্বনাশী জ্বালামুখী তার ___ চামর ঢুলায়!” –

  1. চরাচর
  2. বন্ধ কূপ
  3. দিগন্তরে
  4. ধূমকেতু

উত্তর – 4. ধূমকেতু

“বিশ্বপাতার বক্ষ কোলে” – যা ঝোলে –

  1. ফুল
  2. ফল
  3. মুণ্ডু
  4. কৃপাণ

উত্তর – 4. কৃপাণ

অট্টরোলের হট্টগোলে –

  1. বিশ্বমায়ের আসন দুলে উঠেছে
  2. চরাচর স্তব্ধ হয়ে গেছে
  3. জগৎজুড়ে প্রলয় ঘনিয়ে এসেছে
  4. ঝড়-তুফান এসেছে

উত্তর – 2. চরাচর স্তব্ধ হয়ে গেছে

“___ রবির বহ্নিজ্বালা ভয়াল তাহার নয়নকটায়,” –

  1. সপ্ত
  2. দ্বাদশ
  3. উষা
  4. খর

উত্তর – 2. দ্বাদশ

‘ত্রস্ত জটা’ যে বর্ণ –

  1. লাল
  2. নীলাভ
  3. পিঙ্গল
  4. হরিদ্রা

উত্তর – 3. পিঙ্গল

“দিগন্তরের কাঁদন লুটায় পিঙ্গল তার ত্রস্ত জটায়!” – ‘পিঙ্গল’ শব্দের অর্থ –

  1. পীত (হলুদ) রঙের আভাযুক্ত
  2. গাঢ় নীল
  3. সাদা রক্তবর্ণ
  4. নীল

উত্তর – 1. পীত (হলুদ) রঙের আভাযুক্ত

“সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে/কপোলতলে!” – ‘কপোল’ শব্দের অর্থ –

  1. চিবুক
  2. কপাল
  3. গণ্ডদেশ বা গাল
  4. গলা

উত্তর – 3. গণ্ডদেশ বা গাল

“বিশ্বমায়ের আসন” – 

  1. দুলে উঠেছে
  2. পাতা হয়েছেন
  3. ছিন্ন হয়েছে
  4. মহাকাল ধারণ করে রেখেছেন

উত্তর – 4. মহাকাল ধারণ করে রেখেছেন

“হাঁকে ওই-” – যিনি হাঁকছেন, তিনি –

  1. ঝড়ের দেবতা
  2. ধ্বংস ও সৃষ্টির দেবতা
  3. অগ্নির দেবতা
  4. জলের দেবতা

উত্তর – 2. ধ্বংস ও সৃষ্টির দেবতা

“মাভৈঃ মাভৈঃ।” – মাভৈঃ’ শব্দের অর্থ –

  1. ভয় কোরো না
  2. ভয়ংকর
  3. সাবধান
  4. ভয় দূর হয়ে গেছে

উত্তর – 1. ভয় কোরো না

“জগৎ জুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে” – জগৎজুড়ে প্রলয় ঘনিয়ে এলে –

  1. ঝড়-বৃষ্টি আসে
  2. মুমূর্ষুদের প্রাণনাশ ঘটে
  3. সকালে নতুন সূর্যের আলোয় চারিদিক উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে
  4. উল্কাবৃষ্টি হয়

উত্তর – 2. মুমূর্ষুদের প্রাণনাশ ঘটে

“এবার মহানিশার শেষে” –

  1. প্রলয় আসবে
  2. মহাকাল চণ্ডরূপে আবির্ভূত হবেন
  3. নতুন সূর্য সমাজকে নতুনভাবে আলোকিত করে তুলবে
  4. একটি নতুন রথ আকাশে দেখা দেবে

উত্তর – 3. নতুন সূর্য সমাজকে নতুনভাবে আলোকিত করে তুলবে

‘করুণ বেশে’ আসবে –

  1. সত্য
  2. সুন্দর
  3. সূর্য
  4. চাঁদ

উত্তর – 3. সূর্য

“আলো তার ভরবে এবার ঘর।” – ঘর যার আলোয় ভরে উঠবে –

  1. সূর্য
  2. চন্দ্র
  3. উল্কা
  4. ধূমকেতু

উত্তর – 2. চন্দ্র

জরায় মরা মুমূর্ষুদের প্রাণ লুকানো রয়েছে –

  1. প্রলয়ের মধ্যে
  2. ধ্বংসের মধ্যে
  3. সৃষ্টির মধ্যে
  4. বিনাশের মধ্যে

উত্তর – 4. বিনাশের মধ্যে

“ওই সে মহাকাল-সারথি-” – “মহাকাল-সারথি’ কী করছেন? –

  1. অশ্রুমোচন করছেন
  2. রক্ত-তড়িৎ চাবুক হানছেন
  3. তার কেশের দোলায় ঝাপটা মেরে গগন দুলিয়ে দিয়েছেন
  4. পাষাণস্তূপ ধ্বংস করছেন

উত্তর – 2. রক্ত-তড়িৎ চাবুক হানছেন

‘বজ্রগানে ঝড়-তুফানে’ – যেন –

  1. কার জয়ধ্বনি শোনা যাচ্ছে
  2. ঘোড়ার চিৎকার ভেসে আসছে
  3. ধ্বংসের আসন্নতা বোঝা যাচ্ছে
  4. উল্কার পতন ত্বরান্বিত হচ্ছে

উত্তর – 2. ঘোড়ার চিৎকার ভেসে আসছে

“দেবতা বাঁধা যজ্ঞ-যূপে ___। –

  1. পাষাণ-স্তূপে
  2. পাষাণ-তলে
  3. পাষাণ-চূড়ায়
  4. পাষাণ-বেদিতে

উত্তর – 1. পাষাণ-স্তূপে

“এই তো রে তার আসার সময়” – তার আসার সময়টি বোঝা যাচ্ছে –

  1. উল্কার পতনে
  2. কালবৈশাখী ঝড়ে
  3. ঝড়বৃষ্টিতে
  4. রথের ঘর্ঘর শব্দে

উত্তর – 4. রথের ঘর্ঘর শব্দে

“শোনা যায় ওই ___।” –

  1. পদধ্বনি
  2. বজ্রনিনাদ
  3. রথঘর্ঘর
  4. প্রলয়নাচন

উত্তর – 3. রথঘর্ঘর

“ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর?” – ধ্বংস দেখে ভয় পাওয়া উচিত নয়, কেন-না –

  1. ধ্বংসের মধ্যেই নতুন সৃষ্টির সম্ভাবনা নিহিত থাকে
  2. সৃষ্টি হলে তা ধ্বংস হওয়া স্বাভাবিক
  3. প্রকৃতির ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ নেই
  4. ধ্বংস হলে সভ্যতা আবার নতুন করে গড়ে তোলা যায়

উত্তর – 1. ধ্বংসের মধ্যেই নতুন সৃষ্টির সম্ভাবনা নিহিত থাকে

“আসছে নবীন” – নবীন আসছে –

  1. ধ্বংস হয়ে যাওয়া সভ্যতার রূপটি দেখতে
  2. প্রাণহীন অসুন্দরকে নাশ করতে ও নতুন সভ্যতা গড়ে তুলতে
  3. সভ্যতাকে বিনাশ করতে
  4. সকলের আরাধ্য হিসেবে পূজা গ্রহণ করতে

উত্তর – 2. প্রাণহীন অসুন্দরকে নাশ করতে ও নতুন সভ্যতা গড়ে তুলতে

“প্রলয় বয়েও আসছে হেসে-/মধুর হেসে।” – প্রলয় বয়ে আনলেও তাঁর মুখে হাসি, কারণ –

  1. তিনি যেমন ধ্বংস করেন, তেমন তিনিই আবার গড়েন
  2. মানুষের প্রার্থনা তিনি পূরণ করতে পেরেছেন
  3. সকলে তাঁর জয়ধ্বনি করেছে
  4. তিনি প্রলয়ের অর্থ সম্পর্কে অবহিত নন

উত্তর – 1. তিনি যেমন ধ্বংস করেন, তেমন তিনিই আবার গড়েন

“ভেঙে আবার গড়তে জানে সে চিরসুন্দর।” – ‘চিরসুন্দর’ হল –

  1. শিব
  2. শক্তি
  3. কালবৈশাখী
  4. বিশ্বমাতা

উত্তর – 1. শিব

“… কিসের তবে ডর?” – ডর নেই, কারণ –

  1. ঝড় একসময় থেমে যাবে
  2. যিনি ধ্বংস করছেন, তিনিই আবার সৃষ্টি করবেন
  3. জীর্ণ পুরাতনের ধ্বংসই কাম্য
  4. যাঁরা জয়ধ্বনি করেন, তাঁদের ভয় করার কোনো কারণ নেই

উত্তর – 2. যিনি ধ্বংস করছেন, তিনিই আবার সৃষ্টি করবেন

“আসছে হেসে।” – কেমন হাসি? –

  1. মধুর
  2. অট্টহাসি
  3. বিকট
  4. উদ্দাম

উত্তর – 1. মধুর

“বধূরা প্রদীপ তুলে ধর।” – প্রদীপ তুলে ধরে বধূরা –

  1. ধ্বংস ও সৃষ্টির দেবতাকে বরণ করে নেবেন
  2. অন্ধকার ঘরকে আলোকিত করবেন
  3. পথ হাঁটবেন
  4. সুন্দরের জয়ধ্বনি করবেন

উত্তর – 1. ধ্বংস ও সৃষ্টির দেবতাকে বরণ করে নেবেন

“ওই আসে সুন্দর!” – সুন্দরআসছেন –

  1. ধূমকেতুর বেশে
  2. সূর্যের বেশে
  3. উল্কার বেশে
  4. কাল-ভয়ংকরের বেশে

উত্তর – 4. কাল-ভয়ংকরের বেশে

কাল-ভয়ংকরের বেশে কে আসে? –

  1. অসুন্দর
  2. সুন্দর
  3. মধুর
  4. বীভৎস

উত্তর – 2. সুন্দর

“তোরা সব জয়ধ্বনি কর!” – পঙ্ক্তিটি ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কতবার আছে? –

  1. আঠারো
  2. উনিশ
  3. কুড়ি
  4. একুশ

উত্তর – 2. উনিশ

‘জীবনহারা অ-সুন্দর’ কে ছেদন করতে আসছে? –

  1. নবীন
  2. চিরসুন্দর
  3. মহাকাল সারথি
  4. প্রলয়

উত্তর – 1. নবীন

দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও।

‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়?

অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি 1922 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর (কার্তিক 1329 বঙ্গাব্দ) মাসে প্রকাশিত হয়।

কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?

কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম অগ্নিবীণা, যা 1922 সালের অক্টোবরে প্রকাশিত হয়।

কাজী নজরুল ইসলাম অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি কাকে উৎসর্গ করেন?

কাজী নজরুল ইসলাম অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি শ্রীবারীন্দ্রকুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেন।

অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদপটের পরিকল্পনা কে করেন?

অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদপটের পরিকল্পনা করেন ‘চিত্রকর-সম্রাট’ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রচ্ছদটি আঁকেন চিত্রশিল্পী শ্রীবীরেশ্বর সেন।

অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের উৎসর্গ কবিতাটি গ্রন্থে সংযুক্ত হওয়ার আগে কোথায় প্রকাশিত হয়েছিল?

অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের উৎসর্গ কবিতাটি গ্রন্থে সংযুক্ত হওয়ার আগে মাসিক উপাসনা পত্রিকায় 1328 বঙ্গাব্দের শ্রাবণ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।

‘প্রলয়োল্লাস’ অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের কত সংখ্যক কবিতা?

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা।

অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থে মোট কতটি কবিতা রয়েছে?

অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থে মোট বারোটি কবিতা রয়েছে — ‘প্রলয়োল্লাস’, ‘বিদ্রোহী’, ‘রক্তাম্বরধারিণী মা’, ‘আগমনী’, ‘ধূমকেতু’, ‘কামালপাসা’, ‘আনোয়ার’, ‘রণভেরী’, ‘শাত্-ইল-আরব’, ‘খেয়াপারের তরণী’, ‘কোরবাণী’, ‘মোহররম’।

“তোরা সব জয়ধ্বনি কর!” – পঙক্তিটিতে কাদের জয়ধ্বনি করতে বলা হয়েছে?
অথবা, “তোরা সব জয়ধ্বনি কর!” – কবি কাদের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন?

কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কবি দেশের স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ তরুণ বিপ্লবীদের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।

“তোরা সব জয়ধ্বনি কর।” — কার জয়ধ্বনি করার কথা বলা হয়েছে?

কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা ‘প্রলয়োল্লাস’-এ ধ্বংস ও সৃষ্টির দেবতার জয়ধ্বনি করার কথা বলা হয়েছে।

“ওই নূতনের কেতন ওড়ে …” – নূতনের কেতন ওড়ার সংবাদ কে বহন করে এনেছে?

কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘নূতনের কেতন’ ওড়ার সংবাদ কালবৈশাখীর ঝড় বহন করে এনেছে।

‘নূতনের কেতন ওড়া’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

কাজী নজরুল ইসলাম ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘নূতনের কেতন’ ওড়া বলতে বোঝাতে চেয়েছেন যে, পরাধীনতার বন্ধন থেকে, ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্তির দিন আসন্ন।

“আসছে এবার …” – কে, কীভাবে আসছেন?

কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় প্রলয়ের নেশায় নৃত্যপাগল শিব সিন্ধুপারে সিংহ-দরজায় আঘাত করে আসছেন।

“সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল” – সিন্ধুপারের ‘সিংহদ্বার’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতার আলোচ্য অংশে ‘সিন্ধুপারের সিংহদ্বার’ বলতে সমুদ্রপারের আন্দামানের সেলুলার জেলের প্রবেশপথকে বোঝানো হয়েছে।

“মহাকালের চণ্ড-রুপে” – ‘চণ্ড-রূপ’ বলতে কী বোঝ?

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতার আলোচ্য অংশে ‘চণ্ড-রূপ’ বলতে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ, ভীষণ, ভয়ানক, ভয়ংকর, উদ্ধত রূপকে বোঝায়।

“… আসছে ভয়ংকর।” – ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ভয়ংকরের রূপটি কেমন?

কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ভয়ংকরের রূপটি অত্যন্ত ভীষণ ও উদ্ধত। তিনি বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে অবতীর্ণ হন।

“… গগন দুলায়” – গগন কীভাবে দুলে ওঠে?

কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ধ্বংসের দেবতা শিবের কেশরাশির ঝাপটায় গগন অর্থাৎ সারা আকাশ দুলে ওঠে বলে কবি কল্পনা করেছেন।

“… ধূমকেতু তার চামর ঢুলায়!” – ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘ধূমকেতু’-র কী কী বিশেষণ প্রযুক্ত হয়েছে?

কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ধূমকেতুর ক্ষেত্রে ‘সর্বনাশী’ ও ‘জ্বালামুখী’ বিশেষণ দুটি প্রযুক্ত হয়েছে।

“বিশ্বপাতার বক্ষ-কোলে/রক্ত তাহার কৃপাণ ঝোলে/ দোদুল দোলে!” – পঙক্তিগুলোর অর্থ বুঝিয়ে লেখো।

আলোচ্য পঙ্ক্তিগুলোর অর্থ হল-সর্বনাশী রূপ ধরে যে ধ্বংসের দেবতার আগমন ঘটে, তা বিশ্বপিতার বক্ষকে রক্তাক্ত করে পৃথিবীকে আন্দোলিত করে তোলে।

“ওরে ওই স্তব্ধ চরাচর!” – ‘চরাচর’ স্তব্ধ কেন?

‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ধ্বংসের দেবতা প্রলয়ংকর শিবের অট্টহাসির প্রচণ্ড শব্দে চরাচর অর্থাৎ গোটা পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে পড়েছে বলে কল্পনা করেছেন।

“দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা ভয়াল তাহার নয়নকটায়” – ‘দ্বাদশ রবি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

‘দ্বাদশ রবি’ বলতে সূর্যের বারোটি রূপ বা মূর্তির কথা বলা হয়েছে। হরিবংশ মতে, এই মূর্তিগুলি হল-সবিতা, আদিত্য, বিবস্বান, অর্যমা, পুষা, ত্বষ্টা, ভগ, ধাতা, বরুণ, মিত্র, পর্জন্য এবং বিষ্ণু।

“দিগন্তরের কাঁদন লুটায় …” – কোথায় দিগন্তরের কাঁদন লুটিয়ে পড়ে?

কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় যে রুদ্রদেবের কল্পনা করেছেন, তাঁর ভয়াল আগুনরাঙা জটাজালে দিগন্তরের কাঁদন লুটিয়ে পড়ে।

“সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে/কপোলতলে!” – কার কপোলতলে সপ্ত মহাসিন্ধু দুলে ওঠে?

উদ্ধৃতাংশে ভাঙনের দেবতা শিবের একফোঁটা চোখের জলে তাঁরই গালে ‘সপ্ত মহাসিন্ধু’ দুলে ওঠার কথা বলা হয়েছে।

বিশ্বমায়ের আসন তারই বিপুল বাহুর পর – উদ্ধৃতাংশের অর্থ পরিস্ফুট করো।

প্রলয়ংকর শিব সৃষ্টি ও রক্ষার কর্তা। বিশ্বমায়ের অস্তিত্বকে তিনি তাঁর বিপুল বাহুর সাহায্যে রক্ষা ও লালনপালন করে থাকেন।

“হাঁকে ওই …” – কার হাঁক শোনা যাচ্ছে?

কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতার আলোচ্য অংশে ধ্বংসের দেবতা প্রলয়ংকর শিবের হাঁক শোনা যাচ্ছে।

“জরায়-মরা মুমূর্ষুদের প্রাণ-লুকানো ওই বিনাশে” – পঙক্তিটির অর্থ পরিস্ফুট করো।

‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় জগৎজুড়ে যে প্রলয় ঘনিয়ে আসছে, তার ধ্বংসলীলার শেষে জরা ও জীর্ণতার অবসান ঘটিয়ে নতুন প্রাণ জেগে উঠবে।

“এবার মহানিশার শেষে …” – কোন্ দৃশ্য দেখা যাবে?

‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কবি আশা করেছেন যে ধ্বংসের কালরাত্রির শেষে নতুন ভোরের সূর্য বিপুল সম্ভাবনা জাগিয়ে হেসে উঠবে।

“দিগম্বরের জটায় হাসে শিশু-চাঁদের কর” – পঙক্তিটির অর্থ বুঝিয়ে লেখো।

‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় মহাদেবের জটায় ধৃত শিশু-চাঁদের নরম স্নিগ্ধ আলোয় সকলের ঘর ভরে উঠবে বলে কবি আশা প্রকাশ করেছেন।

“বজ্রগানে ঝড়-তুফানে …” — কীসের শব্দ নিনাদিত হয়?

কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতায় ঝড়-তুফানের সাথে বজ্রপাতে মহাকালের রথের ঘোড়ার হ্রেষাধ্বনি নিনাদিত হয়। এটি মহাপ্রলয়ের সঙ্কেত হিসেবে ধ্বনিত হচ্ছে।

“উল্কা ছুটায় নীল খিলানে!” – উল্কা কোথায় কীভাবে এসে পড়ে?

মহাকালের রথের ঘোড়ার খুরের দাপটে আকাশ থেকে জ্বলন্ত পাথর বা উল্কা এসে পড়েছে অন্ধ কারাগারের বন্ধ ঘরগুলিতে, দেবতার উদ্দেশে নিবেদিত যজ্ঞের হাড়িকাঠে এবং পাথরের স্তূপে।

“এই তো রে তার আসার সময়” – কীভাবে তা বোঝা যাচ্ছে?

প্রলয়ংকর মেঘের ঘর্ঘর শব্দে কবির মনে হয়েছে যেন মহাকালের রথের শব্দ তাঁর কানে আসছে। ধ্বংসের দেবতার আসার সম্ভাবনা এভাবেই কবিতায় সূচিত হয়েছে।

“ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর?” – ধ্বংস দেখে কেন ভয় করা উচিত নয় বলে কবি মনে করেন?

ধ্বংসের মধ্যেই নিহিত থাকে নতুন সৃষ্টির সম্ভাবনা। তাই প্রলয় বা ধ্বংসকে কবি ‘সৃজন-বেদন’ বা নতুন সৃষ্টির যন্ত্রণারূপে দেখেছেন।

“প্রলয় নূতন সৃজন-বেদন” – কথাটির অর্থ কী?

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় আলোচ্য অংশটির অর্থ ধ্বংসের মধ্য দিয়ে যে নবীনের আগমন ঘটে তা আসলে নতুন সৃষ্টির জন্য যন্ত্রণা।

“প্রলয় বয়েও আসছে হেসে” – ‘প্রলয়’ বহন করেও হাসির কারণ কী?

‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় প্রলয় অর্থাৎ ধ্বংসের বার্তা নিয়ে মহাকাল এসেছেন হাসিমুখে, কারণ তিনি যেমন ধ্বংস করবেন, তেমনই নতুন সৃষ্টিও করবেন।

“আসছে নবীন।” – নবীনের আসার উদ্দেশ্য কী?

কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় জীবনহারা, প্রাণহীন, জড়, অসুন্দরকে ধ্বংস করতেই যে নবীনের শুভাগমন, তা ব্যক্ত করেছেন।

“ওই ভাঙা-গড়া খেলা যে তার কিসের তবে ডর?” – ‘ভাঙা-গড়া খেলা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

‘ভাঙা-গড়া খেলা’ বলতে মহাকালের রুদ্ররূপে জীর্ণ পুরাতন সৃষ্টিকে ধ্বংস করা ও শুভংকররূপে নতুন জগৎ সৃষ্টি করাকে বোঝানো হয়েছে।

“ভেঙে আবার গড়তে জানে সে চিরসুন্দর।” — কী ভেঙে আবার নতুন করে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে?

কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় জীর্ণ, পুরাতন ও গতানুগতিকতাকে ভেঙে, যাবতীয় প্রাণহীনতা ও নিশ্চলতা দূর করে নতুন সম্ভাবনাময় জীবন গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।

“বধূরা প্রদীপ তুলে ধর” – বধূরা কার উদ্দেশে প্রদীপ তুলে ধরবে কেন?

কাজী নজরুল ইসলাম ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় বধূদের প্রদীপ তুলে ধরার আহ্বান করেছেন, যাতে তারা প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ দিয়ে কাল-ভয়ংকরের রূপে আসা সুন্দরকে বরণ করে নিতে পারে।

“ওই আসে সুন্দর।” – সুন্দর কীভাবে আসে?

কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় সুন্দর আসে কাল-ভয়ংকরের বেশ ধারণ করে।


আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার পঞ্চম পাঠের তৃতীয় অংশ, “প্রলয়োল্লাস” থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়শই দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাজে লেগেছে। যদি কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকে, তাহলে টেলিগ্রামে আমাকে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি সাহায্য করার চেষ্টা করবো। এছাড়া, পোস্টটি আপনার প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ!

Categories -
Please Share This Article

Related Posts

বায়ুচাপ কক্ষ ও বায়ুরচাপ ঢাল বলতে কী বোঝো -

বায়ুচাপ কক্ষ ও বায়ুরচাপ ঢাল বলতে কী বোঝো?

মুন্ডা বিদ্রোহ সর্ম্পকে আলোচনা করো। মুন্ডা বিদ্রোহকে 'মুন্ডা বিপ্লব' বললে কেন ভুল বলা হবে?

মুন্ডা বিদ্রোহ সর্ম্পকে আলোচনা করো। মুন্ডা বিদ্রোহকে ‘মুন্ডা বিপ্লব’ বললে কেন ভুল বলা হবে?

মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান-পদার্থের ভৌত রাসায়নিক ধর্মসমূহ-আয়নীয় ও সমযোজী বন্ধন-দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর

মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান – পদার্থের ভৌত রাসায়নিক ধর্মসমূহ – আয়নীয় ও সমযোজী বন্ধন – দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর

About The Author

Gopi

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা কী? মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা কেন শুরু হয়?

ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি সম্পর্কে আলোচনা করো।

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘূর্ণবাতের বৈশিষ্ট্য – ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘূর্ণবাত এর মধ্যে পার্থক্য

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর