এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “মেঘাচ্ছন্নতা বলতে কী বোঝো? মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয়?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “মেঘাচ্ছন্নতা বলতে কী বোঝো? মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয়?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায় “বায়ুমণ্ডল – আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

মেঘাচ্ছন্নতা বলতে কী বোঝো?
মেঘাচ্ছন্নতা –
আকাশের মেঘে ঢাকা অবস্থাকে মেঘাচ্ছন্নতা বলা হয়। বাতাসে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতি, ঘনীভবনের মাত্রা প্রভৃতির ওপর মেঘাচ্ছন্নতা নির্ভরশীল। আবহাওয়া মানচিত্রে মেঘাচ্ছন্নতার প্রতীক চিহ্নের ব্যবহারের মাধ্যমে আকাশে মেঘের অবস্থানের পরিমাণকে অক্টাস (oktas) -এ প্রকাশ করা হয়। পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে একটি ছোটো বৃত্তের মাধ্যমে মেঘাচ্ছন্নতা বোঝানো হয়।

মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয়?
মেঘের সৃষ্টি –
ভূপৃষ্ঠ থেকে যথেষ্ট ওপরে অবস্থিত বায়ুমণ্ডলের মধ্যে ভাসমান এবং দৃশ্যমান অতিসূক্ষ্ম জলকণা ও তুষারকণার সমষ্টিকে মেঘ বলে। এই মেঘ সৃষ্টির পদ্ধতি হল –
- দিনেরবেলা সূর্যতাপে গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বারিমণ্ডল এবং শীতপ্রধান দেশে তুষারস্তূপ থেকে জলীয়বাষ্প সৃষ্টি হয়।
- জলীয়বাষ্প হালকা হওয়ায় বাতাসের সঙ্গে মিশে ঊর্ধ্বগামী আর্দ্র বায়ু ক্রমশ শীতল হতে থাকে এবং ওপরের ঠান্ডা বায়ুর সংস্পর্শে এসে শিশিরাঙ্কে পৌঁছোয় ও সম্পৃক্ত হয়।
- সম্পৃক্ত বায়ু আরও শীতল হলে, বায়ু সমস্ত জলীয়বাষ্প ধারণ করে রাখতে পারে না।
- কিছু পরিমাণ জলীয়বাষ্প উদ্বৃত্ত বা অতিরিক্ত হয়ে পড়ে। ওই অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প বায়ুমণ্ডলে ভাসমান কঠিন কণিকাসমূহকে আশ্রয় করে ঘনীভূত হয় এবং অতি সূক্ষ্ম জলকণার সৃষ্টি করে।
- বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উচ্চতায় ভাসমান এই অতি ক্ষুদ্র জলকণার সমষ্টিই হল মেঘ।
- মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ওই ভাসমান মেঘ বৃষ্টিরূপে ঝরে পড়ে।
- বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ারেই মেঘের সৃষ্টি হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
মেঘাচ্ছন্নতা বলতে কী বোঝায়?
আকাশ যখন মেঘে ঢাকা থাকে, তাকে মেঘাচ্ছন্নতা বলে। এটি বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ, ঘনীভবন এবং আবহাওয়ার অবস্থার উপর নির্ভর করে।
আবহাওয়া মানচিত্রে মেঘাচ্ছন্নতা কীভাবে দেখানো হয়?
আবহাওয়া মানচিত্রে মেঘাচ্ছন্নতা অক্টাস (oktas) এককে প্রকাশ করা হয় এবং একটি ছোট বৃত্তের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে দেখানো হয়।
মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয়?
মেঘ সৃষ্টির প্রক্রিয়া নিম্নরূপ –
1. সূর্যের তাপে জলীয়বাষ্প তৈরি হয়।
2. ঊর্ধ্বগামী আর্দ্র বায়ু শীতল হয়ে শিশিরাঙ্কে পৌঁছালে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়।
3. অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয়।
4. এই জলকণাগুলোই মেঘ গঠন করে।
মেঘ সাধারণত কোন বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে সৃষ্টি হয়?
মেঘ প্রধানত ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে সৃষ্টি হয়।
মেঘ থেকে বৃষ্টি কীভাবে হয়?
মেঘের জলকণাগুলো একত্রিত হয়ে বড় ফোঁটায় পরিণত হলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে বৃষ্টি হিসেবে নিচে পড়ে।
মেঘের উপাদান কী?
মেঘ মূলত অতিসূক্ষ্ম জলকণা ও তুষারকণার সমষ্টি।
মেঘাচ্ছন্নতা পরিমাপের একক কী?
মেঘাচ্ছন্নতা পরিমাপের একক হলো অক্টাস (oktas)।
শিশিরাঙ্ক কী?
যে তাপমাত্রায় বায়ু সম্পৃক্ত হয়ে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়, তাকে শিশিরাঙ্ক বলে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “মেঘাচ্ছন্নতা বলতে কী বোঝো? মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয়?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “মেঘাচ্ছন্নতা বলতে কী বোঝো? মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয়?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায় “বায়ুমণ্ডল – আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন