মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবহমানতা – জনন – বিষয়সংক্ষেপ

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের দ্বিতীয় অধ্যায় “জীবনের প্রবহমানতা” অধ্যায়ের ‘জনন‘ বিভাগের বিষয়সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবহমানতা – জনন – বিষয়সংক্ষেপ
জনন – বিষয়সংক্ষেপ

বিষয়সংক্ষেপ

  • জীব প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য জনন গুরুত্বপূর্ণ।
  • জনন প্রধানত দুইপ্রকার – অযৌন জনন এবং যৌন জনন। এ ছাড়া এক বিশেষ প্রকার অযৌন জনন পদ্ধতি হল অঙ্গজ জনন। গ্যামেট তৈরি ছাড়াই একটি জীবের দেহকোশ বা রেণু দ্বারা অপত্য সৃষ্টিকে বলে অযৌন জনন। দুটি ভিন্ন জীবের ভিন্নধর্মী গ্যামেট বা জননকোশ নিষেক দ্বারা মিলিত হয়ে নতুন অপত্য সৃষ্টিকে বলে যৌন জনন। যেমন – মানুষ বা সপুষ্পক উদ্ভিদের জনন। আবার উদ্ভিদদেহের কোনো অংশ থেকে নতুন অপত্য সৃষ্টির সহজ-সরল পদ্ধতিকে বলে অঙ্গজ জনন।
  • অযৌন জননে একটি জীব লাগে। যৌন জনন দুটি বিপরীত লিঙ্গের জীবের মধ্যে ঘটে। যৌন জনন অপেক্ষাকৃত উন্নত ও এর ফলে জীবে প্রকরণ তৈরি হয় (মিয়োসিস দ্বারা)।
  • অযৌন জনন নানা প্রকার হয়। যেমন – বিভাজন [Amoeba (অ্যামিবা) ও Plasmodium (প্লাসমোডিয়াম)], কোরকোম [Hydra (হাইড্রা) ও ঈস্ট], খণ্ডীভবন [Spirogyra (স্পাইরোগাইরা)], পুনরুৎপাদন [Planaria (প্ল্যানেরিয়া)] এবং রেণু উৎপাদন (মস, ফার্ন ও ছত্রাক)।
  • অঙ্গজ বংশবিস্তারে উদ্ভিদের কোনো দেহাংশ থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। এটি প্রাকৃতিক (যেমন – মূল, কাণ্ড বা পাতা থেকে) অথবা কৃত্রিম প্রকৃতির (যেমন – কাটিং, গ্রাফটিং বা মাইক্রোপ্রোপাগেশন দ্বারা) হতে পারে।
  • জীবের জীবনে হ্যাপ্লয়েড (n) এবং ডিপ্লয়েড (2n) জনুর চক্রাকার আবর্তনকে জনুক্রম বলে। ফার্নে স্পষ্ট জনুক্রম দেখা যায়। ফার্নে ডিপ্লয়েড রেণুধর জনু (2n) এবং হ্যাপ্লয়েড লিঙ্গধর জনু (n) চক্রাকারে আবর্তিত হয়।

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের দ্বিতীয় অধ্যায় “জীবনের প্রবহমানতা” অধ্যায়ের ‘জনন‘ বিভাগের বিষয়সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জন যার এটি প্রয়োজন হবে তার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসকে শনাক্ত করবে কীভাবে?

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসকে শনাক্ত করবে কীভাবে?

দেখাও যে H₂S গ্যাস অম্লধর্মী। অথবা, দেখাও যে H₂S দ্বি ক্ষারীয় অ্যাসিড?

দেখাও যে H₂S গ্যাস অম্লধর্মী। অথবা, দেখাও যে H₂S দ্বি ক্ষারীয় অ্যাসিড?

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসকে শুষ্ক করতে গাঢ় H₂SO₄ বা অনার্দ্র ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ব্যবহার করা হয় না কেন?

হাইড্রোজেন সালফাইড শুষ্ক করতে কেন গাঢ় H₂SO₄ বা অনার্দ্র CaCl₂ ব্যবহার করা হয় না?

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসকে শনাক্ত করবে কীভাবে?

দেখাও যে H₂S গ্যাস অম্লধর্মী। অথবা, দেখাও যে H₂S দ্বি ক্ষারীয় অ্যাসিড?

হাইড্রোজেন সালফাইড শুষ্ক করতে কেন গাঢ় H₂SO₄ বা অনার্দ্র CaCl₂ ব্যবহার করা হয় না?

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস প্রস্তুতিতে গাঢ় HNO₃ ব্যবহার করা হয় না কেন?

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস প্রস্তুতিতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয় না কেন?