আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের চতুর্থ পাঠের প্রথম অধ্যায়, ‘খেয়া’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো
‘খেয়া’ কবিতাটি কার রচনা?
- সুকুমার রায়
- দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- সুকান্ত ভট্টাচার্য
উত্তর – 3. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
‘খেয়া’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত? –
- কড়ি ও কোমল
- পুনশ্চ
- চৈতালি
- নবজাতক
উত্তর – 3. চৈতালি
‘খেয়া’ কবিতাটি কবি কবে রচনা করেছিলেন?
- 18 চৈত্র, 1302 বঙ্গাব্দ
- 18 ভাদ্র, 1302 বঙ্গাব্দ
- 19 জ্যৈষ্ঠ, 1302 বঙ্গাব্দ
- 22 শ্রাবণ, 1341 বঙ্গাব্দ
উত্তর – 1. 18 চৈত্র, 1302 বঙ্গাব্দ
‘খেয়া নৌকা পারাপার করে নদীস্রোতে’ – ‘খেয়া’ শব্দটির অর্থ হল –
- নৌকা
- নৌকার মাঝি
- নদী
- বড়ো জলাশয়
উত্তর – 1. নৌকা
খেয়া নৌকার কাজ হল –
- যাত্রীদের বিদেশে পাঠানো
- হাটে পাঠানো
- পারাপার করা
- আনন্দ দেওয়া
উত্তর – 3. পারাপার করা
‘পারাপার’ শব্দের অর্থ –
- নৌকা পার হওয়ার জন্য প্রদেয় বিশেষ মূল্য
- উভয় তীর আছে যার
- নদীর তীরের ছোটো নৌকা
- একপার থেকে অন্য পারে যাওয়া
উত্তর – 4. একপার থেকে অন্য পারে যাওয়া
খেয়া নৌকা কোথায় পারাপার করে? –
- গঙ্গা নদীতে
- নদীস্রোতে
- যমুনাতে
- সাগরে
উত্তর – 2. নদীস্রোতে
খেয়াতে কারা যাওয়া-আসা করে? –
- নদী তীরবর্তী দুই গ্রামের মানুষজন
- শহরের লোকজন
- পণ্যসামগ্রীসহ
- গ্রাম ও শহরের মানুষ
উত্তর – 1. নদী তীরবর্তী দুই গ্রামের মানুষজন
খেয়া নৌকার যাত্রীরা কোথায় যায়? –
- কেউ ঘরে কেউ বাইরে
- কর্মস্থলে
- ভ্রমণে
- শিকারে
উত্তর – 1. কেউ ঘরে কেউ বাইরে
খেয়া নৌকার যাত্রীরা কোথা থেকে আসে? –
- ঘর
- বাহির
- বিদেশ
- স্বর্গলোক
উত্তর – 1. ঘর
নদীর দুই তীরে আছে –
- একটি গ্রাম
- দুটি গ্রাম
- তিনটি গ্রাম
- মাঠ
উত্তর – 2. দুটি গ্রাম
‘দুই তীরে দুই গ্রাম আছে’ ___। –
- অজানা
- জানাশোনা
- পরিচিত
- ভ্রান্ত
উত্তর – 2. জানাশোনা
নদীর দুই তীরে কাদের মধ্যে জানাশোনা আছে?’ –
- দুই ভাইয়ের মধ্যে
- দুটি গ্রামের মধ্যে
- ব্যবসায়ীদের মধ্যে
- বন্ধুবান্ধবের মধ্যে
উত্তর – 2. দুটি গ্রামের মধ্যে
খেয়া নৌকা কতক্ষণ নদী পারাপার করে? –
- শুধুমাত্র সকালবেলায়
- শুধুমাত্র সন্ধ্যাবেলায়
- সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত
- সকাল থেকে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত
উত্তর – 3. সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত
কবিতায় যে বিশেষ সময়ের উল্লেখ আছে সেটি হল –
- ঊষা
- বিকাল
- সকাল থেকে সন্ধ্যা/সারাদিন
- গোধূলি
উত্তর – 3. সকাল থেকে সন্ধ্যা/সারাদিন
‘আনাগোনা’ শব্দের অর্থ –
- আসা-যাওয়া
- আসা
- যাওয়া
- পূর্বোক্ত কোনোটিই নয়
উত্তর – 1. আসা-যাওয়া
‘পৃথিবীতে কত দ্বন্দ্ব, কত সর্বনাশ’ – ‘দ্বন্দ্ব’ শব্দের অর্থ –
- কলহ
- ক্ষতি
- পূর্ণও
- শূন্য
উত্তর – 1. কলহ
পৃথিবীতে দ্বন্দ্ব আর সর্বনাশের ফলে গড়ে ওঠে –
- নতুন নতুন সভ্যতা
- নতুন নতুন ইতিহাস
- নতুন নতুন মানবজীবন
- নতুন নতুন প্রাণ
উত্তর – 2. নতুন নতুন ইতিহাস
নতুন নতুন ইতিহাস গড়ে উঠেছে –
- গ্রামে
- শহরে
- পৃথিবীতে
- মানবসমাজে
উত্তর – 3. পৃথিবীতে
কোন্ বিষয়ের জন্য পৃথিবীতে নতুন ইতিহাস গড়ে? –
- দুঃখ-আনন্দ
- চাওয়া-পাওয়া
- দ্বন্দ্ব-সর্বনাশ
- আলো-অন্ধকার
উত্তর – 3. দ্বন্দ্ব-সর্বনাশ
‘___ কত ফুটে আর টুটে’ – শূন্যস্থানে যেটি বসবে সেটি হল –
- নদীস্রোতটি
- সোনার মুকুট
- লোহার শিকল
- সভ্যতার আলো
উত্তর – 2. সোনার মুকুট
‘সোনার মুকুট কত ফুটে আর টুটে!’ – টুটে’ শব্দের অর্থ হল –
- খসে পড়ে
- যুক্ত হওয়া
- বাঁধন
- বেঁধে রাখা
উত্তর – 1. খসে পড়ে
নব নব সভ্যতার উন্মেষে কী কী তৈরি হওয়ার কথা কবি বলেছেন? –
- অর্থ, সম্পদ
- হলহল, সুধা
- হিংসা, দ্বেষ
- প্রশান্তি
উত্তর – 2. হলহল, সুধা
‘হলাহল’ শব্দটির অর্থ কী? –
- অমৃত
- সরবত
- লাঙল
- বিষ
উত্তর – 4. বিষ
‘সুধা’ শব্দের অর্থ কী? –
- পৃথিবী
- সুন্দর
- অমৃত
- আকাশ
উত্তর – 3. অমৃত
‘কেবা জানে নাম’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? –
- কেউ জানে
- তুমি জানো
- রাজা জানে
- কেউ জানে না
উত্তর – 4. কেউ জানে না
‘দোঁহা-পানে চেয়ে আছে দুইখানি গ্রাম।’ – ‘দোঁহা’ শব্দের অর্থ হল –
- এক
- দুই
- দ্বাদশ
- দশ
উত্তর – 2. দুই
‘দোঁহা-পানে’ কারা চেয়ে আছে? –
- দুজন বন্ধু
- দুটি পাখি
- দুটি গ্রাম
- দুটি ছাগলছানা
উত্তর – 3. দুটি গ্রাম
‘খেয়া’ কবিতায় বর্ণিত গ্রাম দুখানি কাদের দিকে চেয়ে আছে? –
- পরস্পরের দিকে
- শহরের দিকে
- আকাশের দিকে
- খেয়া নৌকাটির দিকে
উত্তর – 1. পরস্পরের দিকে
নদীস্রোতে চিরদিন বয়ে চলে –
- খেয়া
- পারাপার
- শ্যাওলা
- নৌকারোহী
উত্তর – 1. খেয়া
কবিতায় উল্লিখিত ‘খেয়া’ কতদিন ধরে নদী পারাপার করছে? –
- কয়েকদিন ধরে
- কয়েক বছর ধরে
- চিরদিন ধরে
- সম্ভবত এক যুগ ধরে
উত্তর – 3. চিরদিন ধরে
কবিতায় ‘নদী’ কীসের প্রতীক? –
- মৃত্যুর
- আনন্দের
- বন্ধুত্বের
- জীবনের
উত্তর – 4. জীবনের
উল্লিখিত কবিতায় বারবার যে-কটি গ্রামের প্রসঙ্গ এসেছে তা হল –
- দশটি
- তিনটি
- দুটি
- চারটি
উত্তর – 3. দুটি
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে ‘খেয়া কবিতাটি গৃহীত?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বিতীয় পর্বের কাব্য ‘চৈতালি’ থেকে পাঠ্য ‘খেয়া’ কবিতাটি নেওয়া হয়েছে। এটির প্রকাশকাল 1896 খ্রিস্টাব্দ।
‘খেয়া’ শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?
‘খেয়া’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল ‘নদী পারাপারের নৌকা’ অথবা ‘নৌকা বা অন্য জলযানের দ্বারা নদী বা খাল পারাপার।’
‘খেয়া’ কোন্ জাতীয় শব্দ?
‘খেয়া’ একটি বিশেষ্যপদ; শব্দভাণ্ডারে দেশি শব্দের অন্তর্ভুক্ত এটি।
‘খেয়া’ কবিতায় কটি পঙক্তি আছে?
চতুর্দশ পঙক্তির সমন্বয়ে নির্মিত ‘খেয়া’ কবিতায় দুটি স্পষ্টভাগ আছে। প্রথমটি আট পঙক্তির, দ্বিতীয়টি ছয় পঙক্তির।
খেয়ায় করে যাত্রীরা কোথায় যায়?
‘খেয়া’ কবিতার যাত্রীরা খেয়া করে নদী পারাপার করে। তারা কেউ নিজেদের ঘর থেকে নৌকায় আসে, আবার কেউ আপন ঘরে ফিরে যায়।
‘জানাশোনা’ শব্দের মাধ্যমে কী বলা হয়েছে?
নদীর দুই তীরে অবস্থিত গ্রাম দুটি যে গভীর সম্বন্ধের বন্ধনে বাঁধা, সে সম্পর্ক বহুকালের। তা বোঝাতে কবি ‘জানাশোনা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
কবিতায় বর্ণিত নদীতটে কী আছে?
কবিতায় বর্ণিত নদীর দুই তীরে বহুকালের চেনাজানা দুটি গ্রাম বিরাজ করছে।
দুই গ্রামে কারা আনাগোনা করে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘খেয়া’ কবিতায় বর্ণিত নদী তীরবর্তী নাম না জানা দুটি গ্রামের মধ্যবর্তী নদীতে ‘খেয়া’ সকাল থেকে সন্ধে নিরন্তর আনাগোনা করে দুই পারের মানুষদের নিয়ে।
গ্রাম দুটির সম্পর্ক কীরূপ?
গভীর পরিচয়ের বন্ধনে বাঁধা গ্রাম দুটি একই সূত্রে গাঁথা, সেখানে সকাল-সন্ধ্যা একই সময়ে ‘আনাগোনা’ করে।
পৃথিবীতে কখন সর্বনাশ নেমে আসে?
হিংসায় উন্মত্ত হয়ে, ক্রোধে অন্ধ হয়ে, প্রলোভনে মত্ত হয়ে দিগবিদিক শূন্য মানুষ একে অপরের রক্তপাতে ভয়ংকর সর্বনাশ ডেকে আনে।
পৃথিবীতে কবি কী ঘটতে দেখেছেন?
দৃষ্টি সুদূরে প্রসারিত করে মনশ্চক্ষে কবি পৃথিবীতে ঘটতে দেখেছেন যুগে যুগে কালে কালে বহু দ্বন্দ্ব-সংঘাত, সর্বনাশের ঘটনাধারা।
কোন্ ইতিহাসের কথা কবি কবিতায় বলতে চেয়েছেন?
হিংসা-দ্বন্দ্ব-রাগ-রক্তে ভেজা ইতিহাসকে ‘খেয়া’ কবিতায় কবি মানবতার পরিপন্থী বলে বিবেচনা করেছেন।
কী নিয়ে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন ইতিহাস?
দেশে দেশে দ্বন্দ্ব, সোনার মুকুটের লড়াই, বহু মানুষের সর্বনাশের বিনিময়ে রক্তাক্ত ইতিহাসের নতুন নতুন অধ্যায় গড়ে উঠেছে।
রক্তপ্রবাহে কবি কী দেখেছেন?
ফেনিয়ে ওঠা রক্তপ্রবাহে কবি হিংসায় উন্মত্ত রাজশক্তির রক্তচক্ষুকে খুঁজে পেয়েছেন।
‘সোনার মুকুট’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
বহু রক্ত-বেদনা আর মূল্যবান জীবনের বিনিময়ে রাজশক্তির সাফল্যকে কবি ‘সোনার মুকুট’ বলে বুঝিয়েছেন।
‘ফুটে আর টুটে’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
সুদূর অতীতে দৃষ্টি প্রসারিত করে কবি দেখেছেন রাষ্ট্রনায়কেরা কখনও বিজয়ী হয়েছে, আবার তার অহংকার কিছুকাল পরেই চূর্ণ হয়ে গেছে – জয়পরাজয়ের এই ক্ষণস্থায়িত্বকে বোঝাতে কবি ‘ফুটে আর টুটে’ শব্দ দুটি প্রয়োগ করলেন।
সভ্যতার ‘তৃষ্ণা ক্ষুধা’ কী?
সভ্যতার ‘তৃষ্ণা ক্ষুধা’ বলতে কবি তথাকথিত বিত্তশালী মানুষের লোভ, ভোগ, বস্তুগত সম্পদের প্রাণহীন সংগ্রহকে বুঝিয়েছেন।
কবি ‘ক্ষুধা’ কথাটি কেন ব্যবহার করেছেন?
কবি সভ্যতার বিত্তশালী মানুষের অপরিমেয় লোভের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তাদের ‘লোভ’কে ক্ষুধার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
‘হলাহল’ শব্দের অর্থ কী?
‘হলাহল’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল দেবাসুর কর্তৃক সমুদ্র মন্থনে উত্থিত তীব্র বিষ, কালকূট।
হলাহল কোথা থেকে ওঠে?
দেবাসুর কর্তৃক সমুদ্রমন্থনে উত্থিত বিষ হল হলাহল, কবি কবিতায় ‘হলাহল’ বলতে মানুষের হিংসা-দ্বেষকে বুঝিয়েছেন। ‘হলাহল’ হল এ সভ্যতার এক নেতিবাচক দান।
সুধা কী?
পৌরাণিক অনুষঙ্গে প্রাপ্ত ‘সুধা’ শব্দের অর্থ হল অমৃত, যা পান করে দেবকুল অমরত্ব লাভ করেছিল।
সুধা আসে কোথা থেকে?
অমৃতলোক থেকে আসে সুধা, যা পান করে দেবতারা অমরত্ব লাভ করেছেন। শত বাধার মধ্যেও মানুষ যে প্রেরণায় বেঁচে আছে তা সুধাসম, তা সভ্যতারই দান।
হলাহল, সুধার উল্লেখ কবি কেন করলেন?
মানবসভ্যতার ধ্বংস আর সৃষ্টিকে, পতন আর উত্থানকে বোঝাতে কবি প্রশ্নোক্ত শব্দ দুটি ব্যবহার করেছেন। কবি যেমন মানবতার স্খলন দেখেছেন, তেমনই তার বিজয়ী হয়ে ওঠার প্রেরণায় আপ্লুতও হয়েছেন বারবার।
‘কেবা জানে নাম’ – কাদের নামের কথা বলা হয়েছে?
নদীর দুইতটে বহুকালের চেনাজানা মুখোমুখি অবস্থিত দুটি গ্রামের কথা ‘খেয়া’ কবিতায় বলা হয়েছে।
কাদের নাম অজানা থেকে যায়?
সভ্যতার স্বাভাবিক গতি নিয়ে এগিয়ে চলা গ্রাম দুটি বহির্জগতের কাছে অজানা থেকে যায়। গ্রাম দুখানি বিরাজ করে শান্ত নদীর দুই তীরে। এখানে উন্মাদনার ঢেউ আসে না।
‘দোঁহা-পানে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
নদীতীরের গ্রাম দুখানি যুগযুগান্তর ধরে পরস্পরের দিকে মমতাময়ী দৃষ্টিপাতে চেয়ে আছে। এখানে ‘দোঁহা-পানে’ বলতে তাই বোঝানো হয়েছে।
গ্রাম দুটি কীভাবে অবস্থান করছে?
বহুযুগের সাক্ষী হয়ে গ্রাম দুটি নদীর দুই বিপরীত তীরে বিরাজ করছে। সমৃদ্ধ জনপদের অস্তিত্বকে মানবসভ্যতা গর্বের সঙ্গে বহন করে চলেছে।
দুটি গ্রাম কেন চেয়ে আছে?
গভীর সম্পর্কের বন্ধনে বাঁধা বলে গ্রাম দুটি অপলক দৃষ্টিতে একে অপরের দিকে চেয়ে আছে। যেমন জীবন চেয়ে থাকে মরণের দিকে কিংবা মরণ জীবনের দিকে।
গ্রাম দুটির পরস্পরের দিকে চেয়ে থাকার অর্থ কী?
মানবতার প্রকৃত ধারক তথা আধার গ্রাম দুটি যেন উন্মত্ত সভ্যতা থেকে বহু দূরে নীরবে বিরাজ করছে, মানবসভ্যতার মূল সুরটিকে তারা বহন করে চলেছে।
‘খেয়া’ কবিতায় উল্লিখিত খেয়া কতদিন চলে?
‘খেয়া’ কবিতায় উল্লিখিত খেয়া নৌকার পারাপার চলে চিরদিন, নদীর এপার থেকে ওপারে সে সেতুবন্ধনের কাজ করে যায় চিরকাল।
খেয়ার চলন কীরূপ?
দুই গ্রাম সংলগ্ন দুই তীরের মাঝে খেয়া পারাপার করে। জীবনমৃত্যুর এপার-ওপারে এভাবেই খেয়া নিয়ে যায় পুরাতনকে, আসে নতুন।
খেয়া নৌকোর কাজ কী?
নদীবক্ষে খেয়াতরি দুই তীরের দুই গ্রাম সংলগ্ন ঘাটের মাঝে নবীন-প্রবীণ যাত্রীদল নিয়ে পারাপারে নিরন্তর রত থাকে।
যাত্রীরা কীসের জন্য খেয়ায় ওঠে?
নদীর দুই তীরে অবস্থিত গ্রাম দুটির মানুষ কেউ ঘরে ফেরে, কেউ বা আপন ঘর থেকে বেরিয়ে অন্যত্র পাড়ি দেয়।
ঘরে কারা ফেরে?
নদীর দুই তীরের গ্রাম দুখানি থেকে যাত্রীরা আসে নদী পারাপারের জন্য। খেয়া নৌকায় তাদের কেউ কেউ আপন ঘরে ফেরে।
খেয়া নৌকার অন্য যাত্রীরা কী করে?
খেয়া নৌকার অন্য যাত্রীরা আপন ঘর থেকে বেরিয়ে অন্যত্র পাড়ি দেয়। তাদের যাত্রা ‘ঘর হতে বাহিরে’, অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে।
‘খেয়া’ কবিতার শেষ পঙক্তিতে কবি কী বলেছেন?
‘খেয়া’ কবিতার শেষ পঙক্তিতে কবি বিষণ্ণ অথচ আশান্বিত। মানবের নিত্যও নিশ্চিত জীবনপ্রবাহ ধারাকে তিনি নদীস্রোতের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের চতুর্থ পাঠের প্রথম অধ্যায়, ‘খেয়া’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন