নবম শ্রেণি বাংলা – আকাশে সাতটি তারা – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

Souvick

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের চতুর্থ পাঠের দ্বিতীয় অধ্যায়, ‘আকাশে সাতটি তারা’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

নবম শ্রেণি - বাংলা - আকাশে সাতটি তারা - অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
Contents Show

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতাটি কোন্ কবির লেখা?

  1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  2. জীবনানন্দ দাশ
  3. কাজী নজরুল ইসলাম
  4. শক্তি চট্টোপাধ্যায়

উত্তর – 2. জীবনানন্দ দাশ

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত? –

  1. বনলতা সেন
  2. রূপসী বাংলা
  3. ধূসর পাণ্ডুলিপি
  4. সাতটি তারার তিমির

উত্তর – 2. রূপসী বাংলা

আকাশে সাতটি তারা ওঠার সময় কবি কোথায় ছিলেন? –

  1. কবি সমুদ্রের তীরে ছিলেন
  2. নদীর তীরে ছিলেন
  3. ঘাসের ওপর বসেছিলেন
  4. অরণ্যপ্রকৃতির মধ্যে

উত্তর – 3. ঘাসের ওপর বসেছিলেন

‘আমি এই ঘাসে/বসে থাকি;’ – কখন কবি এভাবে বসে থাকেন? –

  1. যখন আকাশে সাতটি তারা ফুটে উঠেছে
  2. যখন আকাশে ধ্রুবতারা দেখা যাচ্ছিল
  3. বিকেলের পড়ন্ত রোদে
  4. সন্ধ্যার অন্ধকারে

উত্তর – 1. যখন আকাশে সাতটি তারা ফুটে উঠেছে

‘আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে’ – তখন মেঘের রং কেমন ছিল? –

  1. ডালিম ফুলের মতো লাল
  2. মোরগফুলের মতো লাল
  3. আপেলের মতো লাল
  4. কামরাঙার মতো লাল

উত্তর – 4. কামরাঙার মতো লাল

‘কামরাঙা- লাল মেঘ যেন’ – এই মেঘ কীসের মতো গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে যাচ্ছে? –

  1. মৃত মনিয়ার মতো
  2. দারুচিনি দ্বীপের মতো
  3. মৃত শালিখের মতো
  4. আকাশে তারার মতো

উত্তর – 1. মৃত মনিয়ার মতো

‘কামরাঙা-লাল মেঘ যেন’ – কামরাঙা লাল মেঘ কোথায় ডুবে গেছে? –

  1. বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ে
  2. গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে
  3. গাঙুড়ের ঢেউয়ে
  4. রূপসার ঢেউয়ে

উত্তর – 2. গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে

‘গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে’ – কে ডুবে গেছে? –

  1. গোধূলি মেঘ
  2. কুয়াশা ঢাকা মেঘ
  3. কামরাঙা-লাল মেঘ
  4. সিন্দুর মেঘ

উত্তর – 3. কামরাঙা-লাল মেঘ

‘আসিয়াছে শান্ত অনুগত’ –

  1. গোধূলি
  2. নীল সন্ধ্যা
  3. সোনালি সন্ধ্যা
  4. কালো সন্ধ্যা

উত্তর – 2. নীল সন্ধ্যা

‘বাংলার নীল সন্ধ্যা’ – এই নীল সন্ধ্যাকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

  1. কিশোরীর এলোচুলের সঙ্গে
  2. রূপসীর চুলের বিন্যাসের সঙ্গে
  3. কেশবতী কন্যার সঙ্গে
  4. কুয়াশার প্রান্তরের সঙ্গে

উত্তর – 3. কেশবতী কন্যার সঙ্গে

‘কেশবতী কন্যা যেন এসেছে’ – কোথায় এসেছে? –

  1. রূপসী বাংলায়
  2. পৃথিবীর কোনো এক পথে
  3. আকাশে
  4. গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে

উত্তর – 3. আকাশে

‘কেশবতী কন্যা যেন এসেছে আকাশে;’ – কবির কল্পনায় কেশবতী কন্যা কে? –

  1. কামরাঙা লাল মেঘ
  2. আকাশের সাতটি তারা
  3. রূপসী বাংলা
  4. বাংলার নীল সন্ধ্যা

উত্তর – 4. বাংলার নীল সন্ধ্যা

‘আমার চোখের ‘পরে আমার মুখের ‘পরে’ – ‘আমার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? –

  1. বাংলার নীল সন্ধ্যার
  2. কেশবতী কন্যার কথা
  3. কবির
  4. কিশোরীর কথা

উত্তর – 3. কবির

‘চুল তার ভাসে;’ –

  1. কবির চোখ ও মুখের ওপরে
  2. কবির কল্পনায়
  3. আকাশে
  4. নদীর জলে

উত্তর – 1. কবির চোখ ও মুখের ওপরে

‘চুল তার ভাসে;’ – কার চুলের কথা বলা হয়েছে? –

  1. কেশবতী কন্যার
  2. রূপসীর
  3. কিশোরীর
  4. কিশোরের

উত্তর – 1. কেশবতী কন্যার

‘এ কন্যারে দেখে নি কো’ –

  1. আকাশের সাতটি তারা
  2. কিশোরের পায়ে দলা মুথাঘাস
  3. বাংলার অশ্বত্থ বট
  4. পৃথিবীর কোনো পথ

উত্তর – 4. পৃথিবীর কোনো পথ

‘দেখি নাই অত’ – কে দেখেননি?

  1. কেশবতী কন্যা
  2. কবি জীবনানন্দ দাশ
  3. কিশোরী কন্যা
  4. রূপসী কন্যা

উত্তর – 2. কবি জীবনানন্দ দাশ

‘দেখি নাই অত’ – কবি কী দেখেননি? –

  1. পৃথিবীর কোনো পথ
  2. অজস্র চুলের চুমা
  3. কিশোরের পায়ে দলা মুথাঘাস
  4. লাল লাল বটের ফল

উত্তর – 2. অজস্র চুলের চুমা

‘অজস্র চুলের চুমা’, ঝরে –

  1. আম জাম কাঁঠালে
  2. হিজল বট অশ্বথে
  3. হিজলে আমে জামে
  4. হিজলে কাঁঠালে জামে

উত্তর – 4. হিজলে কাঁঠালে জামে

‘হিজলে কাঁঠালে জামে ঝরে অবিরত,’ – কী অবিরত বারে? –

  1. আকাশের সাতটি তারা
  2. বাংলার নীল সন্ধ্যা
  3. রূপসী চুলের বিন্যাস
  4. অজস্র চুলের চুমা

উত্তর – 4. অজস্র চুলের চুমা

‘জানি নাই এত স্নিগ্ধ গন্ধ ঝরে’ – কোথায় এই গন্থ বারে? –

  1. নরম ধানের ক্ষেতে
  2. কলমির ক্ষেতে
  3. হিজলে কাঁঠালে জামে
  4. রূপসীর চুলের বিন্যাসে

উত্তর – 4. রূপসীর চুলের বিন্যাসে

‘রূপসী চুলের বিন্যাসে’ – কী ঝরে? –

  1. স্নিগ্ধ গন্ধ
  2. ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা
  3. নরম ধানের গন্ধ
  4. বাংলার নদী-মাঠ ভাঁটফুলের গন্ধ

উত্তর – 1. স্নিগ্ধ গন্ধ

পৃথিবীর কোনো পথে কবি কীসের গন্ধ পেয়েছেন? –

  1. গাঙুড়ের ঢেউয়ের গন্ধ
  2. নরম ধানের গন্ধ, কলমির গন্ধ
  3. রূপসীর চুলের স্নিগ্ধ গন্ধ
  4. শস্যের গন্ধ

উত্তর – 2. নরম ধানের গন্ধ, কলমির গন্ধ

‘ধানের গন্ধ’ কেমন? –

  1. স্নিগ্ধ
  2. নরম
  3. উগ্র
  4. গরম

উত্তর – 2. নরম

‘নরম ধানের গন্ধ-কলমীর ঘ্রাণ,’ – কবি কোথায় নিয়েছেন? –

  1. চোখের পরে, মুখের পরে
  2. গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে
  3. পৃথিবীর কোনো পথে
  4. গাঙুড়ের ঢেউয়ে

উত্তর – 3. পৃথিবীর কোনো পথে

‘হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল’ – এসবের মাঝে কী আছে বলে কবি মনে করেন? –

  1. ক্লান্ত নীরবতা
  2. নরম ধানের গন্ধ
  3. বাংলার নীল সন্ধ্যা
  4. বাংলার প্রাণ

উত্তর – 4. বাংলার প্রাণ

‘আকাশে সাতটি তারা’ – কবিতায় কবি কোন্ কোন্ মাছের নাম উল্লেখ করেছেন? –

  1. বোয়াল, ভেটকি
  2. কই, ট্যাংরা
  3. চাঁদা, সরপুঁটি
  4. চিতল, তপসে

উত্তর – 3. চাঁদা, সরপুঁটি

‘চাঁদা-সরপুঁটিদের ঘ্রাণ’ কেমন? –

  1. মৃদু
  2. তীব্র
  3. স্নিগ্ধ
  4. নরম

উত্তর – 1. মৃদু

‘চালধোয়া ভিজে হাত’ – কার এমন হাত? –

  1. গ্রাম্য কুলবধূর
  2. কেশবতী কন্যার
  3. কিশোরীর
  4. রূপসী বাংলার

উত্তর – 3. কিশোরীর

‘কিশোরীর চালধোয়া ভিজে হাত’ – এই হাতকে কবি কী বলেছেন? –

  1. শীত হাতখান
  2. মুথাঘাস
  3. হাঁসের পালক
  4. ক্লান্ত নীরবতা

উত্তর – 1. শীত হাতখান

‘কিশোরের পায়ে-দলা’ – কী? –

  1. লাল লাল বটের ফল
  2. মুথাঘাস
  3. বাংলার প্রাণ
  4. মাঠের নরম ধান

উত্তর – 3. মুথাঘাস

লাল লাল ফলগুলি –

  1. তেলাকুচির
  2. করমচা
  3. বটের
  4. কুলের

উত্তর – 3. বটের

‘বটের ফলের/ব্যথিত গন্ধের’ – বটের ফলের রং কেমন ছিল? –

  1. সবুজ
  2. গোলাপি
  3. লাল লাল
  4. কালো

উত্তর – 3. লাল লাল

‘ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা’ – কোন্ ফলের মধ্যে কবি এরূপ দেখেছেন? –

  1. জামের মধ্যে
  2. লাল লাল বটের ফলের মধ্যে
  3. কাঁঠালের মধ্যে
  4. লাল কামরাঙার মধ্যে

উত্তর – 2. লাল লাল বটের ফলের মধ্যে

‘যখন উঠেছে ফুটে আমি পাই টের।’ – কোথায় কী ফুটে উঠেছে? –

  1. বাগানে ফুল ফুটে উঠেছে
  2. আকাশে চাঁদের আলো ফুটে উঠেছে
  3. কামরাঙা লাল মেঘে যখন সোনালি আলো ফুটে উঠেছে
  4. আকাশে সাতটি তারা ফুটে উঠেছে

উত্তর – 4. আকাশে সাতটি তারা ফুটে উঠেছে

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতাটি কার লেখা কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘রূপসী বাংলা’ (1957 খ্রিস্টাব্দ) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থটির প্রকাশকাল লেখো।

‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর তিন বছর পর। 1954 খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু হয় জীবনানন্দ দাশের এবং কাব্যটি প্রকাশিত হয় 1957 খ্রিস্টাব্দে। তবে এ কাব্যের কবিতাগুলি লেখা হয়েছিল 1934 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ।

‘রূপসী বাংলা’ কাব্যের কবিতাগুলির মূল সুর কী?

‘রূপসী বাংলা’ কাব্যের কবিতাগুলিতে কবি জীবনানন্দ দাশের প্রকৃতিচেতনার পাশাপাশি জন্মভূমি প্রীতি তথা স্বদেশ চেতনার অপরূপ প্রকাশ ঘটেছে। বাংলাদেশের নিসর্গপ্রকৃতির মূল সুর ধরা পড়েছে কবিতাগুলিতে।

আকাশে অগণিত তারা থাকা সত্ত্বেও কবি সাতটি তারা প্রত্যক্ষ করলেন কেন?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ সন্ধ্যার সূচনায় বঙ্গপ্রকৃতির মায়াবী রূপের বর্ণনা করেছেন। রাতের অগণিত তারা তখনও ফোটেনি আকাশে। সন্ধ্যার প্রকৃতি বোঝাতে তাই তিনি সাতটি তারার কথাই বলেছেন।

কবি জীবনানন্দ দাশ কখন ঘাসে বসে থাকেন?

বাংলার নীল সন্ধ্যা যখন শান্ত অনুগতভাবে নেমে আসে প্রকৃতির বুকে, যখন কামরাঙা-লাল মেঘ গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে যায়, যখন সাতটি তারা আকাশে ফুটে ওঠে, তখন কবি ঘাসে বসে থাকেন।

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি মেঘের কেমন বর্ণনা দিয়েছেন?

কবি জীবনানন্দ দাশ ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় যে মেঘের কথা বলেছেন অস্তমিত সূর্যের আলোয় তার বর্ণ কামরাঙা-লাল। সেই মেঘকে কবি তুলনা করেছেন মৃত মনিয়ার সঙ্গে।

‘কামরাঙা-লাল মেঘ’ কার মতো কোথায় ডুবে গেছে?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন কামরাঙা-লাল মেঘ মৃত মনিয়ার মতো ডুবে গেছে গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে।

‘গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে’ – কে ডুবে গেছে?

কামরাঙা-লাল মেঘ যেন মনিয়ার মতো গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে বলে ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ মনে করেছেন।

‘আসিয়াছে শান্ত অনুগত’ – কার কাছে, কে শান্ত অনুগতভাবে এসেছে?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন বাংলার নীল সন্ধ্যা তাঁর কাছে এসেছে শান্ত অনুগতভাবে। অর্থাৎ সমাহিত তার রূপ।

‘বাংলার নীল সন্ধ্যা’ – কেমনভাবে আসে কবির কাছে?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন কেশবতী কন্যার ঘন কালো চুলের মতো নিকষ অন্ধকারে সারা আকাশ ছেয়ে শান্ত অনুগতভাবে বাংলার নীল সন্ধ্যা তাঁর কাছে হাজির হয়েছে।

বাংলার সন্ধ্যাকে জীবনানন্দ দাশ ‘নীল’ বলেছেন কেন?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় বাংলার সন্ধ্যার সঙ্গে মায়াবী পরিবেশের যোগসূত্র খুঁজে পেয়ে কবি জীবনানন্দ দাশ তাকে ‘নীল’ বলেছেন। আসলে বঙ্গপ্রকৃতির মোহময় অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে সন্ধ্যাকে কবির ‘মায়াময়’ বলে মনে হয়েছে।

‘কেশবতী কন্যা যেন এসেছে আকাশে;’ – কেশবতী কন্যা কে?

কবি জীবনানন্দ দাশ ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় শান্ত অনুগত বাংলার নীল সন্ধ্যাকেই কেশবতী কন্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

‘আমার চোখের ‘পরে আমার মুখের ‘পরে চুল তার ভাসে;’ – কার চোখের এবং মুখের উপর কার চুল ভাসে?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের চোখ এবং মুখের উপর বাংলার শান্ত, অনুগত নীল সন্ধ্যার মায়াময় সৌন্দর্য অদ্ভুত আবেশ তৈরি করে; যাকে কবির মনে হয় কেশবতী কন্যার চুলের মোহময় স্পর্শের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

‘পৃথিবীর কোনো পথ এ কন্যারে দেখে নি কো’ – কবিতায় কোন্ কন্যার কথা বলা হয়েছে?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলার নীল সন্ধ্যাকে তুলনা করতে চেয়েছেন কেশবতী কন্যার সঙ্গে। প্রশ্নোদ্ধৃত অংশেও সেই কেশবতী কন্যার কথাই বলা হয়েছে।

‘পৃথিবীর কোনো পথ এ কন্যারে দেখে নি কো’ – কবির এ কথা বলার কারণ কী?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটির মধ্যে দিয়ে বলতে চেয়েছেন যে, কেশবতী কন্যার মতো শান্ত অনুগত বাংলার নীল সন্ধ্যার মায়াময়রূপ বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যাবে না।

কেশবতী কন্যার চুলের স্পর্শ কোথায় কোথায় পড়েছে?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন তাঁর চোখের উপর, মুখের উপর ভাসে কেশবতী কন্যার চুল। তা ছাড়া হিজল, কাঁঠাল, জাম গাছকে অবিরত স্পর্শ করে সে চুল।

‘হিজলে কাঁঠালে জামে ঝরে অবিরত’ – কী ঝরে?

কেশবতী কন্যার চুলের চুমা ঝরে হিজলে, কাঁঠালে, জামে অবিরত। অর্থাৎ রূপসী বাংলার নীল সন্ধ্যার মায়াময় আবেশ বঙ্গপ্রকৃতির সমগ্র সত্তাকে আবিষ্ট করে।

‘রূপসীর চুলের বিন্যাসে’ – কী ঝরে?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ বলেছেন রূপসীর চুলের বিন্যাসে ঝরে ভীষণ স্নিগ্ধ গন্ধ। বঙ্গপ্রকৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গে কবি সে গন্ধ অনুভব করেন।

বঙ্গপ্রকৃতির মৃদু ঘ্রাণ কোথায় অনুভব করেন কবি?

কবি জীবনানন্দ দাশ বঙ্গপ্রকৃতির মৃদু ঘ্রাণ অনুভব করেন নরম ধান, কলমি শাক, হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, চাঁদা-সরপুঁটিদের মধ্যে।

‘শীত হাতখান,’ – কার?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ কিশোরীর চালধোয়া ভিজে হাতকে ‘শীত হাতখান’ বলেছেন।

‘বটের ফল’ ও ‘মুথাঘাস’ – এর যে বর্ণনা কবি দিয়েছেন তা কেমন?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি বলেছেন, মুথাঘাস কিশোরের পায়ে দলিত এবং বটের ফল পাকা লাল লাল।

‘ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা’ কবি কোন্ অনুষঙ্গে উপলব্ধি করেন?

‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি রূপসী বঙ্গপ্রকৃতির সন্ধ্যার সমাহিত রূপের বিষণ্ণতায় ‘ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা’ উপলব্ধি করেছেন। চালধোয়া ভিজে হাত, কিশোরের পায়ে-দলা মুথাঘাস এবং লাল লাল বট ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা উপলব্ধি করেন।

‘এরই মাঝে বাংলার প্রাণ;’ – কার মাঝে বাংলার প্রাণের স্পন্দন অনুভব করেন কবি?

কবি জীবনানন্দ দাশ বঙ্গপ্রকৃতির মায়াময় সন্ধ্যার অপরূপ সৌন্দর্য, বিচিত্র গন্ধ এবং শান্ত রূপের বিষাদগ্রস্ততার মাঝে অনুভব করেন বাংলাদেশের প্রাণের স্পন্দন।

‘আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে আমি পাই টের।’ – কবি কী টের পান?

আকাশে সাতটি তারা যখন ফুটে ওঠে কবি জীবনানন্দ দাশ বঙ্গপ্রকৃতির মায়াময় সন্ধ্যার অপরূপ সৌন্দর্য ও বিচিত্র গন্ধের মাঝে টের পান বাংলাদেশের প্রাণের স্পন্দন।

‘পৃথিবীর কোনো পথে’ কী নেই বলে কবি অনুমান করেছেন?

কবি জীবনানন্দ দাশ মনে করেছেন পৃথিবীর কোনো পথে বাংলাদেশের নিসর্গপ্রকৃতির স্নিগ্ধ গন্ধ নেই।

আকাশে সাতটি তারা ওঠার সময় কবি কোথায় বসে থাকেন?

ঘাসের উপর বসে থাকেন।

কবি বাংলার সন্ধ্যার কী কী বিশেষণ ব্যবহার করেছেন?

শান্ত, অনুগত ও নীল।

বাংলার সন্ধ্যাকে ‘শান্ত অনুগত’ বলা হয়েছে কেন?

প্রকৃতির স্নিগ্ধ বিস্তার এবং নিঃশব্দ আবির্ভাবের জন্য।

বাংলার নীল সন্ধ্যাকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

কেশবতী কন্যার সৌন্দর্যের সঙ্গে।

সন্ধ্যার আকাশে কে এসেছে বলে কবির মনে হয়েছে?

এক রহস্যময়ী কেশবতী কন্যা।

কামরাঙা-লাল মেঘের ডুবে যাওয়াকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

মৃত মনিহার পাখির করুণ মৃত্যুর সঙ্গে।

কাকে মৃত মনিয়ার মতো মনে হয়েছে?

গঙ্গাসাগরে ডুবে যাওয়া লাল মেঘকে।

পৃথিবীর কোনো পথ কাকে দেখেনি বলে কবির মনে হয়?

সন্ধ্যাকাশের কেশবতী কন্যাকে।

কবির চোখের পরে, মুখের পরে কী ভাসে?

কেশবতী কন্যার অজস্র চুলের ছায়া।

‘অজস্র চুলের চুমা’ কবি কী অর্থে ব্যবহার করেছেন?

অন্ধকারের কোমল পরশ বোঝাতে।

কেশবতী কন্যার চুলের চুমা কোথায় ঝরে?

হিজল, কাঁঠাল ও জাম গাছের ডালে।

‘জানি নাই এত স্নিগ্ধ ঝরে’ — কোথায় এই গন্ধ ঝরে?

বাংলার প্রকৃতিতে নেমে আসা সন্ধ্যার অন্ধকারে।

কবি কীসের ঘ্রাণ অনুভব করেন?

নরম ধান, কলমি শাক এবং চাঁদা-সরপুঁটি মাছের গন্ধ।

কিশোরীর চালধোয়া হাত কেমন ছিল?

ভিজে ও ঠান্ডা।

কবিতায় কী রঙের বট ফলের উল্লেখ আছে?

লাল রঙের।

লাল বটের ফলে কী মিশে আছে?

ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা।


আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের চতুর্থ পাঠের দ্বিতীয় অধ্যায়, ‘আকাশে সাতটি তারা’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

নবম শ্রেণি - বাংলা - ভাঙার গান - অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – ভাঙার গান – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণি - বাংলা - ভাঙার গান - বিষয়সংক্ষেপ

নবম শ্রেণি বাংলা – ভাঙার গান – বিষয়সংক্ষেপ

নবম শ্রেণি - বাংলা - আবহমান - রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – আবহমান – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

নবম শ্রেণি বাংলা – ভাঙার গান – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – ভাঙার গান – বিষয়সংক্ষেপ

নবম শ্রেণি বাংলা – আবহমান – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – আবহমান – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – আবহমান – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর