আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের চতুর্থ পাঠের তৃতীয় অধ্যায়, ‘আবহমান’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো
‘আবহমান’ কবিতার কবির নাম –
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- নজরুল ইসলাম
- নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
- সুকান্ত ভট্টাচার্য
উত্তর – 3. নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
‘যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া,’ – কোথায় দাঁড়াবে?
- লাউমাচাটার পাশে
- কুমড়োমাচার পাশে
- পুঁইমাচার পাশে
- ঝিঙেমাচার পাশে
উত্তর – 1. লাউমাচাটার পাশে
‘একটা ফুল দুলছে,’ – কেমন ফুল?
- বড়ো
- মাঝারি
- লম্বা
- ছোট্ট
উত্তর – 4. ছোট্ট
‘ফুল দুলছে,’ – কীসের বাতাসে? –
- সকালের বাতাসে
- বিকালের বাতাসে
- দুপুরের বাতাসে
- সন্ধ্যার বাতাসে
উত্তর – 4. সন্ধ্যার বাতাসে
‘কে এইখানে এসেছিল’ – কবে এসেছিল? –
- অনেক দিন আগে
- অনেক সপ্তাহ আগে
- অনেক মাস আগে
- অনেক বছর আগে
উত্তর – 4. অনেক বছর আগে
‘এইখানে ঘর বেঁধেছে নিবিড় ___’। –
- ক্ষোভে
- বিরাগে
- রাগ
- অনুরাগে
উত্তর – 4. অনুরাগে
‘এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার’ – আবার কী করে? –
- ফিরে আসে
- যাওয়া আসা করে
- ফিরে যায়
- গমন করে
উত্তর – 1. ফিরে আসে
‘কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে,’ – কাকে ভালোবেসে তারা ফিরে আসে?
- মাটিকে
- হাওয়াকে
- পূর্বোক্ত দুটিকেই
- পূর্বোক্ত কোনোটিকেই নয়
উত্তর – 3. পূর্বোক্ত দুটিকেই
কোন্ গাছটি বুড়িয়ে ওঠে? –
- আমগাছ
- জামগাছ
- নটেগাছ
- হিজলগাছ
উত্তর – 3. নটেগাছ
‘নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু’ –
- মরে না
- বুড়য় না
- মুড়য় না
- ফুরয় না
উত্তর – 3. মুড়য় না
‘সন্ধ্যার বাতাসে।’ – সন্ধ্যার বাতাসে কী হয়? –
- ছোট্ট একটা ফুল দোলে
- ছোট্ট একটা ফল দোলে
- ছোট্ট একটা বাতাবি লেবু দোলে
- ছোট্ট একটা কমলা লেবু দোলে
উত্তর – 1. ছোট্ট একটা ফুল দোলে
‘ফুরয় না সেই একগুঁয়েটার’ – একগুঁয়েটার কী ফুরায় না? –
- দুরন্ত জিজ্ঞাসা
- দুরন্ত কৌতূহল
- দুরন্ত পিপাসা
- দুরন্ত প্রত্যাশা
উত্তর – 3. দুরন্ত পিপাসা
‘সারাটা দিন আপন মনে’ আপন মনে কী করে? –
- ঘাসের গন্ধ মাখে
- আতর মাখে
- গোলাপ জল মাখে
- রৌদ্র মাখে
উত্তর – 1. ঘাসের গন্ধ মাখে
‘তারায়-তারায় স্বপ্ন এঁকে রাখে।’ – কখন স্বপ্ন এঁকে রাখে? –
- সারাটা দিন
- সারাটা রাত
- মধ্যদিন
- মধ্যরাত্রি
উত্তর – 2. সারাটা রাত
‘নেভে না তার’ – তার কী নেভে না? –
- বেদনা
- যন্ত্রণা
- আগুন
- দাহ
উত্তর – 2. যন্ত্রণা
‘হয় না বাসি,’ – কী বাসি হয় না? –
- আনন্দ
- দুঃখ
- বেদনা
- সুখ
উত্তর – 2. দুঃখ
‘হারায় না তার বাগান থেকে’ – বাগান থেকে কী হারায় না? –
- গোলাপ ফুলের হাসি
- টগর ফুলের হাসি
- কুন্দফুলের হাসি
- রজনীগন্ধার হাসি
উত্তর – 3. কুন্দফুলের হাসি
‘তেমনি করেই’ – তেমন করে কী হয়? –
- চন্দ্র ওঠে
- রামধনু ওঠে
- সূর্য ওঠে
- সপ্তর্ষিমণ্ডল ওঠে
উত্তর – 3. সূর্য ওঠে
‘নামলে আবার ছুটে আসে’ – কী ছুটে আসে? –
- নদীর হাওয়া
- পুকুরের হাওয়া
- সমুদ্রের হাওয়া
- সান্ধ্য নদীর হাওয়া
উত্তর – 4. সান্ধ্য নদীর হাওয়া
‘আবার ছুটে আসে সান্ধ্য নদীর হাওয়া।’ – কী করলে ছুটে আসে? –
- উঠলে
- বসলে
- ছায়া নামলে
- দাঁড়ালে
উত্তর – 4. ছায়া নামলে
‘লাউমাচাটার পাশে।’ – লাউমাচার পাশে কীসের অনুরোধ করা হয়েছে? –
- বসার
- দাঁড়ানোর
- শোয়ার
- হাঁটার
উত্তর – 2. দাঁড়ানোর
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
‘আবহমান’ কথাটির অর্থ কী?
‘আবহমান’ কথাটির অর্থ হল ক্রমাগত বা চিরপ্রচলিত। প্রাচীন উত্তর কাল থেকে যা চলে আসছে তাই আবহমান।
‘আবহমান’ কবিতাটির উৎস লেখো।
‘আবহমান’ কবিতাটির উৎস হল কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ‘অন্ধকার বারান্দা’ (1961 খ্রিস্টাব্দ)।
‘আবহমান’ কবিতার কবির নাম লেখো। এই কবির অন্য একটি কবিতার নামোল্লেখ করো।
‘আবহমান’ কবিতার কবি হলেন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এই কবির অন্য একটি কবিতা ‘উলঙ্গ রাজা’।
কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর দুটি কাব্যের নাম লেখো।
কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা দুটি কাব্য হল – ‘নীল নির্জন’ (1954 খ্রিস্টাব্দ) ও ‘প্রথম নায়ক’ (1961 খ্রিস্টাব্দ)।
‘যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া,’ – বক্তা কে?
প্রশ্নে প্রদত্ত উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হলেন স্বয়ং কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
‘যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া,’ – ‘তোর’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
প্রশ্নে প্রদত্ত উদ্ধৃত অংশটিতে ‘তোর’ বলতে জন্মভূমি বিচ্যুত প্রবাসী মানুষদের কথা বোঝানো হয়েছে।
উঠানের মধ্যে যে নির্দিষ্ট স্থানটির পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে সেটি উল্লেখ করো।
কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতাটিতে প্রবাসী মানুষকে, ফেলে আসা গ্রামবাংলার উঠোনের লাউমাচাটির পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে।
কবিতায় কত বার ‘লাউমাচা’র কথা উল্লিখিত হয়েছে?
‘আবহমান’ কবিতায় লাউমাচার কথা উল্লিখিত হয়েছে মোট চারবার।
‘লাউমাচাটার পাশে’ – কবিতায় এই চরণটি একাধিকবার ব্যবহারের উদ্দেশ্য লেখো।
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবতীর আবহমান কবিতায় লাউমাচাটি বঙ্গপ্রকৃতির চিরায়ত রূপের প্রকাশ ঘটাতে সাহায্য করেছে। সে কারণেই কবি কবিতায় ‘লাউমাচার পাশে’ চরণটি একাধিকবার ব্যবহার করেছেন।
কোন্ নির্দিষ্ট সময়ে ফুল দোলার কথা বলা হয়েছে?
‘আবহমান’ কবিতায় নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সন্ধ্যার বাতাসে ফুল দোলার কথা বলেছেন।
কীসের সাহায্যে ফুলটি দুলে দুলে উঠছে?
সন্ধ্যাকালীন হাওয়ার সাহায্যে ‘আবহমান’ কবিতায় উল্লিখিত ফুলটি দুলে উঠছে।
‘এইখানে এসেছিল অনেক বছর আগে,’ – ‘এইখানে’ বলতে কোন্ স্থানের কথা বলা হয়েছে?
‘আবহমান’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে ‘এইখানে’ বলতে ফেলে আসা প্রকৃতিলগ্ন জন্মভূমির কথাও বোঝানো হয়েছে।
‘কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে,’ – কার কথা বলা হয়েছে?
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতা থেকে সংকলিত আলোচ্য অংশে জন্মভূমি বাংলা ত্যাগী প্রবাসী, নগরজীবনের যান্ত্রিকতায় ক্লান্ত মানুষের কথা বলা হয়েছে।
‘কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে,’ – ‘আবার’ শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী?
সংবেদনশীল কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জীবন অভিজ্ঞতায় বুঝেছেন জন্মভূমির প্রতি অমোঘ আকর্ষণ মানুষ আজীবন অনুভব করে। তাই ‘আবহমান’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ভূত অংশে ‘আবার’ শব্দটি ব্যবহার করে কবি তাদের পুনরায় ঘরে ফিরে আসার কথা বুঝিয়েছেন।
‘এই মাটিকে এই হাওয়াকে আবার ভালোবাসে।’ – কেন ভালবাসে?
কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ‘আবহমান’ কবিতায় জন্মভূমি বাংলার প্রতি প্রবাসী মানুষের অমোঘ টান ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। জন্মভূমি মায়ের সমতুল্য। তার প্রতি প্রত্যেক মানুষের আকর্ষণ থাকে। তার জল, হাওয়া তথা সমগ্র সৌন্দর্য মানুষের কাছে ভালোবাসার, শ্রদ্ধার। তাই কবি বলেছেন প্রবাসী মানুষ জন্মভূমি ছেড়ে গেলেও তার কাছে ফিরে আসতে চেয়ে তাকে ‘আবার’ ভালোবাসে।
‘ফুরয় না, তার কিছুই ফুরয় না,’ – ‘তার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতার অন্তর্গত। এখানে ‘তার’ বলতে কবি প্রবাসী মানুষের কথা বলেছেন।
‘বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না।’ – এখানে কোন্ গাছের কথা বলা হয়েছে?
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশটিতে নটে গাছের কথা বলা হয়েছে; যে গাছ বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না।
‘নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না!’ – পঙক্তিটির অর্থ লেখো।
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নে প্রদত্ত পঙক্তিটির অর্থ হল নটেগাছটা বুড়ো হয়ে গেলেও মরে যায় না।
‘ফুরয় না তার যাওয়া এবং ফুরয় না তার আসা,’ – এ কথা বলার কারণ কী?
বাংলার নিসর্গসৌন্দর্য উপভোগের বাসনা বাঙালির ফুরিয়ে যায় না বলে এই বাংলায় তার যাওয়া-আসা অব্যাহত থাকে। এ কারণে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ‘আবহমান’ কবিতায় প্রশ্নে প্রদত্ত অংশটি বলেছেন।
‘ফুরয় না সেই একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা।’ – ‘একগুঁয়েটা’ কে?
আলোচ্য কবিতায় ‘একগুঁয়েটা’ বলতে সেইসব প্রবাসীকে বোঝানো হয়েছে, যারা প্রকৃতিলগ্ন জন্মভূমির, গ্রাম জীবনের অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগের নেশায় বারেবারে ফিরে আসে।
‘দুরন্ত পিপাসা’ – ‘দুরন্ত পিপাসা’র অর্থ কী?
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নে প্রদত্ত উদ্ধৃতাংশে উল্লিখিত ‘দুরন্ত পিপাসা’র অর্থ হল দুর্বার পিপাসা, অনন্ত আকাঙ্ক্ষা।
‘ফুরয় না সেই একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা।’ – এখানে পিপাসাকে ‘দুরন্ত’ বলা হয়েছে কেন?
পিপাসার তীব্রতা বোঝাতে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ‘আবহমান’ কবিতায় ‘পিপাসার’ বিশেষণ হিসেবে ‘দুরন্ত’ শব্দটির ব্যবহার করেছেন। আসলে প্রবাসীর জন্মভূমির প্রতি অমোঘ আকর্ষণের অনুভূতিটিই ‘দুরন্ত পিপাসা’ শব্দবন্ধে ধরতে চেয়েছেন কবি।
‘সারাটা দিন আপন মনে ঘাসের গন্ধ মাখে,’ – এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতা থেকে গৃহীত অংশটিতে গ্রামবাংলার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ওঠা শহরবাসী বাঙালির কথা বলা হয়েছে।
‘সারাটা রাত’ – কী করার কথা বলা হয়েছে?
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতা থেকে গৃহীত আলোচ্য অংশে সারা রাত ধরে তারায় তারায় স্বপ্ন আঁকার কথা বলা হয়েছে। সে স্বপ্নে প্রবাসী বাঙালি ফেলে আসা জন্মভূমিকে খুঁজে পায়, আবার সেখানে ফিরে যাওয়ার ভাবনাও এঁকে রাখে।
‘নেভে না তার যন্ত্রণা যে, দুঃখ হয় না বাসি,’ – চরণটি ব্যবহারের কারণ লেখো।
‘আবহমান’ কবিতায় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বাংলাদেশের পল্লিপ্রকৃতির আবহমান সৌন্দর্য এবং মানুষের সঙ্গে তার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক প্রকাশ করতে গিয়ে প্রশ্নোদ্ধৃত চরণটি ব্যবহার করেছেন।
‘আবহমান’ কবিতায় যে ফুলের প্রসঙ্গটি বারবার উল্লিখিত হয়েছে সেটির নাম লেখো।
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতায় লাউমাচার ছোটো লাউফুলের প্রসঙ্গ বারবার উল্লিখিত হয়েছে।
‘হারায় না তার বাগান থেকে কুন্দফুলের হাসি।’ – গদ্যরূপ লেখো।
প্রশ্নে প্রদত্ত উদ্ধৃতাংশটির গদ্যরূপ হল – তার বাগান থেকে কুন্দফুলের হাসি হারিয়ে যায় না।
‘তেমনি করেই সূর্য ওঠে,’ – কবি কী বলতে চেয়েছেন?
কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আলোচ্য অংশে সূর্যের ওঠার মধ্য দিয়ে বহমান সময়কে বোঝাতে চেয়েছেন। প্রকৃতি আদিকাল থেকে এখনও নিজের ছন্দে চলেছে। গ্রামবাংলার এই চিরাচরিত রূপটি প্রবাসী মানুষকে বারবার নিজের কাছে ফিরে আসতে আহ্বান জানায়।
‘তেমনি করেই ছায়া,’ – বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
বঙ্গদেশের প্রতিটি কোণ সূর্যের উদয়ে আলোকিত এবং অস্তে ছায়াচ্ছন্ন হয়। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ‘আবহমান’ কবিতায় জন্মভূমি তথা পল্লিবাংলার নিয়মিত আলো-ছায়ার উপস্থিতি বোঝাতে প্রশ্নোধৃত পঙক্তিটি ব্যবহার করেছেন।
‘তেমনি করেই সূর্য ওঠে, তেমনি করেই ছায়া’ -পরবর্তী চরণটি লেখো।
প্রশ্নে প্রদত্ত উদ্ধৃতাংশটির পরবর্তী চরণটি হল – ‘নামলে আবার ছুটে আসে সান্ধ্য নদীর হাওয়া’।
‘নামলে আবার ছুটে আসে’ – কে কোথায় ছুটে আসে?
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ‘আবহমান’ কবিতায় উল্লেখ করেছেন সান্ধ্য নদীর হাওয়া গ্রামে ছুটে আসে।
‘এখনও সেই ফুল দুলছে,’ – ‘এখনও’ শব্দটি প্রয়োগের কারণ লেখো।
‘এখনও’ বলতে প্রবাহমানতা বোঝানো হয়েছে। অনেকদিন ধরে যে বিষয়টি চলছিল বর্তমানেও তা চলছে এটা বোঝাতে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ‘আবহমান’ কবিতায় ‘এখনও’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের চতুর্থ পাঠের তৃতীয় অধ্যায়, ‘আবহমান’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন