আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের ষষ্ঠ পাঠের দ্বিতীয় অধ্যায়, ‘রাধারাণী’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো
“… নামে এক বালিকা মাহেশে রথ দেখিতে গিয়াছিল।” – বালিকাটি কে? –
- রাধারাণী
- দেবী চৌধুরাণী
- প্রফুল্ল
- ইন্দিরা
উত্তর – 1. রাধারাণী
রাধারাণী নামে এক বালিকা রথ দেখতে গিয়েছিল –
- পুরীতে
- মাহেশে
- গুপ্তিপাড়ায়
- শ্রীরামপুরে
উত্তর – 2. মাহেশে
“রাধারাণী নামে এক বালিকা মাহেশে রথ দেখিতে গিয়াছিল।” – রাধারাণীর বয়স কত? –
- দশ-এগরো বছর
- এগারো-বারো বছর
- বারো-তেরো বছর
- তেরো-চোদ্দো বছর
উত্তর – 1. দশ-এগরো বছর
“রাধারাণী নামে এক বালিকা মাহেশে রথ দেখিতে গিয়াছিল।” মাহেশের রথ কোন্ মাসে হয়? –
- শ্রাবণ মাসে
- আষাঢ় মাসে
- ভাদ্র মাসে
- মাঘ মাসে
উত্তর – 1. শ্রাবণ মাসে
রাধারাণীদের অবস্থা –
- সচ্ছল
- খুবই ভালো
- পূর্বে ভালো ছিল
- পূর্বে ভালো ছিল না
উত্তর – 3. পূর্বে ভালো ছিল
রাধারাণীর পিতা –
- বর্তমান
- বিদেশে থাকে
- ফেরার
- নেই
উত্তর – 4. নেই
রাধারাণীর মাতার সঙ্গে মোকদ্দমা হয় –
- প্রতিবেশীর
- পদ্মলোচনের
- বড়ো ভাইয়ের
- একজন জ্ঞাতির
উত্তর – 4. একজন জ্ঞাতির
মোকদ্দমায় রাধারাণীর মা হাইকোর্টে –
- জিতেছিল
- মিটমাট হয়ে গিয়েছিল
- হেরেছিল
- সব কিছু বাজেয়াপ্ত হয়েছিল
উত্তর – 3. হেরেছিল
রাধারাণীদের ভদ্রাসন থেকে বের করে দিয়েছিল –
- ডিক্রিদার
- প্রশাসন
- রুক্মিণীকুমার
- জ্ঞাতি
উত্তর – 4. জ্ঞাতি
রাধারাণীদের সম্পত্তি ছিল –
- পাঁচ লক্ষ টাকার
- বারো লক্ষ টাকার
- বিশ লক্ষ টাকার
- প্রায় দশ লক্ষ টাকার
উত্তর – 4. প্রায় দশ লক্ষ টাকার
‘মোকদ্দমাটি বিধবা হাইকোর্টে হারিল।’ – কত টাকার সম্পত্তির মোকদ্দমায় বিধবার হার হয়েছিল? –
- প্রায় দশ লক্ষ টাকার
- প্রায় নয় লক্ষ টাকার
- প্রায় আট লক্ষ টাকার
- প্রায় বারো লক্ষ টাকার
উত্তর – 1. প্রায় দশ লক্ষ টাকার
অলংকারাদি বিক্রি করে রাধারাণীর মা আপিল করেছিল –
- হাইকোর্টে
- সুপ্রিম কোর্টে
- নগর দায়রা আদালতে
- প্রিবি কাউন্সিলে
উত্তর – 4. প্রিবি কাউন্সিলে
রথের পূর্বে রাধারাণীর মা –
- বাপের বাড়ি চলে গেল
- আত্মীয়ের বাড়ি গেল
- বেড়াতে গেল
- ঘোরতর পীড়িত হল
উত্তর – 4. ঘোরতর পীড়িত হল
রথের দিন রাধারাণীর মায়ের অবস্থা –
- উন্নত হল
- ভালো হল
- অবনত হল
- একটু বিশেষ হল
উত্তর – 4. একটু বিশেষ হল
রাধারাণী কাঁদতে কাঁদতে মালা গাঁথল –
- জবা ফুলের
- টগর ফুলের
- বনফুলের
- রজনীগন্ধার
উত্তর – 3. বনফুলের
মালা বিক্রি করে রাধারাণী –
- রথ দেখবে
- পাঁপড় ভাজা খাবে
- মা -এর পথ্য কিনবে
- পুতুল কিনবে
উত্তর – 3. মা -এর পথ্য কিনবে
“রথের টান অর্ধেক হইতে না হইতেই” –
- রথের মেলা জমে উঠল
- প্রচুর মানুষের সমাগম হল
- রাত্রি নেমে এল
- বৃষ্টি আরম্ভ হল
উত্তর – 4. বৃষ্টি আরম্ভ হল
“মাতার অন্নাভাব মনে করিয়া” রাধারাণীর –
- মনে কষ্ট হল
- সে চুপি চুপি ঘরে ফিরে এল
- ডাক্তারখানায় গেল আশাক
- চোখ থেকে জল পড়তে থাকল
উত্তর – 4. চোখ থেকে জল পড়তে থাকল
“রাধারাণী কাঁদিতে কাঁদিতে” –
- ছুটছিল
- পথের ধারে গাছ তলায় আশ্রয় নিল
- বারবার মাকে স্মরণ করেছিল
- আছাড় খাচ্ছিল
উত্তর – 4. আছাড় খাচ্ছিল
রাধারাণী কয় পয়সার মালা নিয়ে রথের মেলায় গিয়েছিল? –
- এক পয়সা
- তিন পয়সা
- দু পয়সা
- চার পয়সা
উত্তর – 1. এক পয়সা
রাধারাণী এক পয়সার বনফুলের মালা –
- ফেলে দিয়েছিল
- জগন্নাথদেবের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিয়েছিল
- বুকে করে রেখেছিল
- ছিঁড়ে ফেলেছিল
উত্তর – 3. বুকে করে রেখেছিল
অকস্মাৎ কেউ এসে রাধারাণীর –
- পায়ের উপর পড়ল
- গায়ের উপর পড়ল
- ঘাড়ের উপর পড়ল
- ঠেলে ফেলে দিল
উত্তর – 3. ঘাড়ের উপর পড়ল
রাধারাণীর ঘাড়ের ওপর এসে পড়েছিল –
- মেয়ে মানুষ
- পুরুষ মানুষ
- একটি বলদ
- একটি কুকুর
উত্তর – 2. পুরুষ মানুষ
“রাধারাণীর ক্ষুদ্র বুদ্ধিটুকুতে ইহা বুঝিতে পারিল।” – সে কী বুঝতে পারল? –
- লোকটি ভালো নয়
- লোকটি বড়ো দয়ালু
- লোকটি হিংসুটে
- লোকটি বড়ো কৃপণ
উত্তর – 2. লোকটি বড়ো দয়ালু
“তোমার বাড়ি কোথায়?” – কে এই প্রশ্ন করেছে? –
- রাধারাণী
- বসন্তকুমারী
- রুক্মিণীকুমার
- দেবী চৌধুরাণী
উত্তর – 3. রুক্মিণীকুমার
“তোমার বাড়ি কোথায়?” – উদ্দিষ্ট ব্যক্তির বাড়িটি ছিল –
- শ্রীরামপুরে
- চন্দননগরে
- হালিশহরে
- কোন্নগরে
উত্তর – 1. শ্রীরামপুরে
“আমি তোমাকে বাড়ি রাখিয়া আসিতেছি।” – কে বলেছিল? –
- পদ্মলোচন
- ঠেলাওয়ালা
- দয়ালু ব্যক্তি
- রিকশাওয়ালা
উত্তর – 3. দয়ালু ব্যক্তি
“তোমার বয়স কত?” – কার বয়স জিজ্ঞাসা করা হয়েছে? –
- দেবী চৌধুরাণীর
- রাধারাণীর
- বসন্তকুমারীর
- রুক্মিণীকুমারের
উত্তর – 2. রাধারাণীর
“আমি একছড়া মালা খুঁজেতেছিলাম।” – বক্তা কে? –
- রুক্মিণীকুমার
- পদ্মলোচন সাহা
- রাধারাণী
- যদু সাহা
উত্তর – 1. রুক্মিণীকুমার
“আমি একছড়া মালা খুঁজিতেছিলাম।” কারণ বক্তা –
- বাড়িতে ঠাকুর আছেন, তাঁকে পরাবেন
- ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন
- রাধারাণীকে সাহায্য করবেন
- এমনি এমনি কিনবেন
উত্তর – 1. বাড়িতে ঠাকুর আছেন, তাঁকে পরাবেন
“রাধারাণীর আনন্দ হইল, কিন্তু মনে ভাবিল যে,” –
- দাম নেব কী প্রকারে?
- ভাল হল কিছু পয়সা পাব
- মায়ের পথ্য কিনব কাছে
- মেলায় জিনিস কিনব
উত্তর – 1. দাম নেব কী প্রকারে?
“সমভিব্যাহারী বলিল,” –
- এর দাম তিন পয়সা
- এর দাম চার পয়সা
- এর দাম এক আনা
- এর দাম এক টাকা
উত্তর – 2. এর দাম চার পয়সা
রাধারাণী মালার মূল্য পেয়েছিল –
- চার পয়সা
- দুই পয়সা
- তিন পয়সা
- পাঁচ পয়সা
উত্তর – 1. চার পয়সা
অন্ধকারে পয়সাটি –
- বোঝা যাচ্ছিল না
- ঝকঝক করছিল
- চকচক করছিল
- প্রায় পড়ে যাচ্ছিল
উত্তর – 3. চকচক করছিল
“তুমি দাঁড়াও, আমি আলো জ্বালি।” – এই কথা বলেছিল –
- রুক্মিণীকুমার
- রাধারাণীর মা
- পদ্মলোচন
- স্বয়ং রাধারাণী
উত্তর – 4. স্বয়ং রাধারাণী
“ঘরে তৈল ছিল না,” – কী দিয়ে আগুন জ্বালানো হল? –
- দেশলাই দিয়ে
- লাইটার দিয়ে
- কেরোসিন দিয়ে
- চালের খড় পেড়ে চকমকি ঠুকে
উত্তর – 4. চালের খড় পেড়ে চকমকি ঠুকে
রাধারাণী বাইরে এসে দেখল যে সেই ব্যক্তি –
- বসে আছে
- গল্প করছে
- চলে গিয়েছে
- বিচরণ করছে
উত্তর – 3. চলে গিয়েছে
‘আমরাও ভিখারি হইয়াছি,’ – কথাটি বলেছিল –
- রাধারাণী
- রাধারাণীর মা
- রাধারাণীর বোন
- রাধারাণীর জ্ঞাতিরা
উত্তর – 2. রাধারাণীর মা
রাধারাণী দ্বার খুলে দেখতে পেল –
- জ্ঞাতিকে
- প্রতিবেশীকে
- সেই অজ্ঞাত ব্যক্তিকে
- পোড়ারমুখো কাপুড়ে মিনসেকে
উত্তর – 4. পোড়ারমুখো কাপুড়ে মিনসেকে
পদ্মলোচন সাহা হাতে করে এনেছিল –
- একজোড়া কাপড়
- একজোড়া ছাপা শাড়ি
- একজোড়া গামছা
- একজোড়া নতুন কুঞ্জদার শান্তিপুরে কাপড়
উত্তর – 4. একজোড়া নতুন কুঞ্জদার শান্তিপুরে কাপড়
রাধারাণীকে দেওয়া কাপড় আনা হয়েছিল –
- শান্তিপুর থেকে
- ফুলিয়া থেকে
- ধনেখালি থেকে
- কলকাতা থেকে
উত্তর – 1. শান্তিপুর থেকে
নগদ দাম দিয়ে রাধারাণীকে কাপড় পাঠিয়েছিল –
- খোদ পদ্মলোচন
- কোনো জ্ঞাতি
- অজ্ঞাত পরিচয় সহৃদয় ব্যক্তি
- রাধারাণীর মামা
উত্তর – 3. অজ্ঞাত পরিচয় সহৃদয় ব্যক্তি
পদ্মলোচন রাধারাণীদের কাছে সুপরিচিত –
- পাঁচ বছর আগে থেকে
- দশ বছর আগে থেকে
- রাধারাণীর পিতার সময় থেকে
- রাধারাণীর ঠাকুরদার সময় থেকে
উত্তর – 3. রাধারাণীর পিতার সময় থেকে
পদ্মলোচন ছিল –
- বাবুটি রাধারাণীদের পরিচিত
- বাবুটি রাধারাণীদের কুটুম্ব
- বাবুটি রাধারাণীর মামা
- বাবুটি রাধারাণীর বাবার বন্ধু
উত্তর – 2. বাবুটি রাধারাণীদের কুটুম্ব
পদ্মলোচন চার টাকার কাপড় মুনাফাসহ –
- আট টাকায় বিক্রি করেছিল
- দশ টাকায় বিক্রি করেছিল
- পাঁচ টাকা সাড়ে চোদ্দো আনায় বিক্রি করেছিল
- আট টাকা সাড়ে চোদ্দো আনায় বিক্রি করেছিল
উত্তর – 4. আট টাকা সাড়ে চোদ্দো আনায় বিক্রি করেছিল
প্রসন্নমনে দোকানে ফিরে যায় –
- পদ্মলোচন
- রুক্মিণীকুমার
- রাধারাণী
- রাধারাণীর মা
উত্তর – 1. পদ্মলোচন
মায়ের পথ্যের জন্য বাজারে গেল –
- রুক্মিণীকুমার ও রাধারাণী
- পদ্মলোচন ও রাধারাণী
- মায়ের সঙ্গে রাধারাণী
- স্বয়ং রাধারাণী
উত্তর – 4. স্বয়ং রাধারাণী
ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে রাধারাণী কুড়িয়ে পেল –
- একটা টাকা
- একখানি কাগজ
- কিছু পয়সা
- একখানা নোট
উত্তর – 4. একখানা নোট
“দেখো, তোমার নাম লেখা আছে।” – বক্তা হলেন –
- রাধারাণী
- রাধারাণীর মা
- পদ্মলোচন
- কুটুম্ব
উত্তর – 2. রাধারাণীর মা
রাধারাণীর অক্ষর পরিচয় ছিল –
- সামান্য
- অসামান্য
- একটু
- অক্ষর পরিচয় ছিল না
উত্তর – 3. একটু
“তাঁহার নামও নোটে লেখা আছে।” – নোটে নাম লেখার কারণ কী? –
- যাতে বুঝতে সুবিধা হয়
- যাতে কেউ না নিতে পারে
- যাতে কেউ চোরা নোট বলে
- যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয়
উত্তর – 3. যাতে কেউ চোরা নোট বলে
নোটে যার নাম লেখা আছে তিনি হলেন –
- পদ্মলোচনারী
- ভীষ্মলোচন
- নবকুমার
- রুক্মিণীকুমার রায়
উত্তর – 4. রুক্মিণীকুমার রায়
নোটখানি মা ও মেয়ে –
- খরচ করল
- দান করে দিল
- তুলে রাখল
- জিনিসপত্র কিনল
উত্তর – 3. তুলে রাখল
“কিন্তু লোভী নহে” – কাদের কথা বলা হয়েছে? –
- রুক্মিণীকুমার রায়
- পদ্মলোচন
- রাধারাণী
- রাধারাণী ও তার মা
উত্তর – 4. রাধারাণী ও তার মা
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
রাধারাণী কোথায় রথ দেখতে গিয়েছিল?
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘রাধারাণী’ পাঠ্যাংশে রাধারাণী মাহেশে রথ দেখতে গিয়েছিল।
রাধারাণীর বয়স কত ছিল?
রাধারাণীর বয়স এগারো বছর পূর্ণ হয়নি।
রাধারাণীর বাড়িতে কে কে ছিলেন?
রাধারাণীর বাড়িতে একমাত্র তার বিধবা মা ছিলেন।
কাদের মধ্যে মামলা হয়েছিল?
রাধারাণীর পিতার মৃত্যুর পর তার মা -এর সঙ্গে এক জ্ঞাতির মামলা হয়েছিল।
মামলার ফলাফল কী হয়েছিল?
মামলার ফলাফলে হাইকোর্টে রাধারাণীর মা -এর পরাজয় ঘটেছিল।
রাধারাণীদের কত টাকার সম্পত্তি ছিল?
রাধারাণীদের প্রায় দশ লক্ষ টাকার মতো সম্পত্তি ছিল।
রাধারাণীর মা কখন অসুস্থ হন?
রাধারাণীর মা রথের আগেই খুব অসুস্থ হন।
রথের মেলায় রাধারাণী কী নিয়ে গিয়েছিল?
রথের মেলায় রাধারাণী বনফুলের মালা নিয়ে গিয়েছিল।
কখন বৃষ্টি শুরু হয়েছিল?
রথের টান অর্ধেক হতে না হতেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল।
চলার পথ পিচ্ছিল হয়েছিল কেন?
বৃষ্টির কারণে কাদামাখা চলার পথ পিচ্ছিল হয়েছিল।
রাধারাণী কখন উচ্চৈঃস্বরে কাঁদতে শুরু করেছিল?
অন্ধকার রাতে বৃষ্টির কারণে কাদামাখা পথে হঠাৎ কেউ রাধারাণীর ঘাড়ের উপর পড়লে রাধারাণী উচ্চৈঃস্বরে কাঁদতে শুরু করেছিল।
নিজের পরিচয় জিজ্ঞাসা করাতে রাধারাণী কী বলেছিল?
নিজের পরিচয় জিজ্ঞাসা করাতে রাধারাণী জানিয়েছিল যে, সে দুঃখীলোকের মেয়ে এবং মা ছাড়া তার আর কেউ নেই।
রাধারাণীর বাড়ি কোথায় ছিল?
রাধারাণীর বাড়ি ছিল শ্রীরামপুরে।
“আমি একছড়া মালা খুঁজিতেছিলাম।” – বক্তা কে?
প্রশ্নে প্রদত্ত উদ্ধৃতিটির বক্তা হলেন অচেনা আগন্তুক তথা রুক্মিণীকুমার রায়।
আগন্তুক মালার সন্ধান করছিলেন কেন?
আগন্তুকের বাড়িতে ঠাকুর আছে, তাঁকে পরানোর জন্য আগন্তুক মালার সন্ধান করছিলেন।
রুক্মিণীকুমার মালার কত দাম দিয়েছিল?
রুক্মিণীকুমার মালার দাম চার পয়সা দিয়েছিল।
রাধারাণী ভিজে কাপড়টিই পরেছিল কেন?
রাধারাণীর একটি মাত্রই কাপড় ছিল, আর তা বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিল বলে রাধারাণী ভিজে কাপড়ই পরেছিল।
রাধারাণী কীভাবে ঘরে আগুন জ্বেলেছিল?
চকমকি পাথর ঠুকে রাধারাণী ঘরে আগুন জ্বেলেছিল।
রাধারাণী আলোতে কী দেখেছিল?
রাধারাণী আলোতে দেখেছিল, পয়সা বলে যা তাকে দেওয়া হয়েছিল তা প্রকৃতপক্ষে ছিল টাকা।
ঘরের বাইরে এসে রাধারাণী কী দেখেছিল?
ঘরের বাইরে এসে রাধারাণী দেখেছিল যে, যিনি টাকা দিয়েছিলেন তিনি চলে গেছেন।
“আমরাও ভিখারি হইয়াছি,” – বক্তা কে?
আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন রাধারাণীর মা।
পদ্মলোচন সাহা কে ছিলেন?
পদ্মলোচন সাহা ছিলেন একজন কাপড় বিক্রেতা।
পদ্মলোচন সাহা কী এনেছিল?
পদ্মলোচন সাহা রাধারাণীর জন্য একজোড়া নতুন কুঞ্জদার শান্তিপুরে কাপড় হাতে করে এনেছিল।
পদ্মলোচন সাহা কত দিন ধরে রাধারাণীদের চিনত?
রাধারাণীর পিতা যে সময়ে জীবিত ছিলেন সেই সময় থেকে পদ্মলোচন সাহা তাদের চিনত।
কাকে রাধারাণীদের কুটুম্ব মনে করা হয়েছিল?
রুক্মিণীকুমার রায়কে রাধারাণীদের কুটুম্ব মনে করা হয়েছিল।
রাধারাণী বাজারে গিয়েছিল কেন?
রথের হাটে মালা বিক্রি করার পয়সা দিয়ে অসুস্থ মায়ের পথ্য জোগাড় করার জন্য রাধারাণী বাজারে গিয়েছিল।
ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে রাধারাণী কী পেয়েছিল?
ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে রাধারাণী একখানা কাগজ কুড়িয়ে পেয়েছিল।
“তবে তিনি ফেলিয়া গিয়াছেন।”‘” – কী ফেলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে?
প্রশ্নে প্রদত্ত অংশে একখানি নোট ফেলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নোটে কার কার নাম লেখা ছিল?
নোটে রাধারাণী আর রুক্মিণীকুমার রায়ের নাম লেখা ছিল।
“বিধবা হাইকোর্টে হারিল।” — এখানে কোন্ মামলার কথা বলা হয়েছে?
জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে রাধারাণীর মায়ের যে মামলা হয়েছিল, এখানে সেই মামলার কথাই বলা হয়েছে।
হাইকোর্টে মামলায় হেরে যাওয়ার ফলে রাধারাণীদের কী অবস্থা হয়েছিল?
হাইকোর্টে মামলায় হেরে যাওয়ার ফলে ডিক্রি জারি করে রাধারাণীদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
রাধারাণীদের সম্পত্তির অর্থমূল্য কত ছিল?
রাধারাণীদের সম্পত্তির অর্থমূল্য ছিল প্রায় দশ লক্ষ টাকা।
হাইকোর্টে হেরে যাওয়ার পরে রাধারাণীদের দিন কীভাবে কাটত?
হাইকোর্টে হেরে গিয়ে বাড়ি থেকে উৎখাত হয়ে রাধারাণীর মা কুটিরে থাকেন এবং দৈহিক পরিশ্রমে কোনো রকমে তাদের দিন কাটে।
“সুতরাং আর আহার চলে না।” — এই না চলার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?
রাধারাণীর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে খাবার জোগাড়ের অবস্থা আর থাকে না।
রাধারাণী গল্পে কোন্ মাসের উল্লেখ আছে?
রাধারাণী গল্পে শ্রাবণ মাসের উল্লেখ আছে।
রাধারাণী মায়ের পথ্যের জন্য কী করেছিল?
মায়ের পথ্য সংগ্রহের জন্য রাধারাণী বনফুল তুলে মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল।
রাধারাণী একা রথের মেলায় গিয়েছিল কেন?
রাধারাণী বনফুলের মালা বিক্রি করে মায়ের পথ্য সংগ্রহ করবে বলে মাহেশের রথের মেলায় গিয়েছিল।
“রথের হাট শীঘ্র ভাঙিয়া গেল।” — কেন?
রথের হাট প্রবল বৃষ্টির কারণে শীঘ্রই ভেঙে গিয়েছিল।
“মালা কেহ কিনিল না।” – মালা না কেনার কারণ কী ছিল?
রথের দড়ির টান অর্ধেক হতে না হতেই প্রবল বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে গেলে মালা কেনার লোক থাকে না।
“লোক আর জমিল না।” — কোথায় লোক জমেনি?
রথের মেলায় লোক জমেনি।
“তদপেক্ষাও রাধারাণীর চক্ষু বারিবর্ষণ করিতেছিল।” — কী সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?
শ্রাবণের মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে তুলনা করে রাধারাণীর চোখের জল ঝরার কথা বলা হয়েছে।
“এক্ষণে উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিল।” — কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে?
অন্ধকারে বাড়ি ফেরার সময় কোনো একজন রাধারাণীর ঘাড়ের উপরে পড়ায় রাধারাণী উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠে।
“কিন্তু কণ্ঠস্বর শুনিয়া রাধারাণীর রোদন বন্ধ হইল।” — কেন এমন হয়েছিল?
রাধারাণী সেই অপরিচিত কণ্ঠস্বরের মধ্যে একজন দয়ালু মানুষকে আবিষ্কার করেছিল বলে তার কান্না বন্ধ হয়েছিল।
রাধারাণী রোদন বন্ধ করিয়া বলিল রাধারাণী কী বলেছিল?
রাধারাণী কান্না বন্ধ করে বলেছিল, সে দুঃখী লোকের মেয়ে এবং তার মা ছাড়া কেউই নেই।
“তুমি আমার হাত ধরো” — এ কথা বলার কারণ কী?
বক্তা এ কথা বলেছিলেন কারণ, হাত না ধরলে পিছল পথে রাধারাণীর পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
“রাধারাণী বড়ো বালিকা।” — কীভাবে এই ধারণা হয়েছিল?
পথিক প্রথমে রাধারাণীর গলার আওয়াজে এবং পরে তার হাতের ছোঁয়ায় বুঝতে পারেন রাধারাণী খুবই ছোটো একটি মেয়ে।
রাধারাণীকে বয়স জিজ্ঞাসা করলে সে কত বলেছিল?
রাধারাণী প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিল যে, তার বয়স দশ-এগারো বছর।
“এক্ষণেও বালিকার হৃদয়মধ্যে লুক্কায়িত আছে।” — কী লুক্কায়িত আছে?
যে বনফুলের মালা রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল, তা-ই রাধারাণীর মনের মধ্যে লুকানো ছিল।
“আমি একছড়া মালা খুঁজিতেছিলাম” — পথিক চরিত্রটি মালার সন্ধান করছিল কেন?
পথিক চরিত্রটি তার গৃহদেবতাকে পরানোর জন্য মালার সন্ধান করছিল।
পথিক চরিত্রটি তার মালা কিনতে না পারার পক্ষে কী যুক্তি দিয়েছিল?
পথিক চরিত্রটি বলেছিল যে রথের হাট তাড়াতাড়ি ভেঙে যাওয়ায় সে মালা কিনতে পারেনি।
“রাধারাণীর আনন্দ হইল।” — রাধারাণীর আনন্দের কারণ কী ছিল?
রথের মেলায় পরিচয় হওয়া পথিক যখন রাধারাণীর বনফুলের মালাটি কিনতে চায়, তখনই রাধারাণীর আনন্দ হয়েছিল।
সমভিব্যাহারী মালার দাম কত দিয়েছিলেন?
সমভিব্যাহারী মালার দাম দিয়েছিলেন চার পয়সা। পরে অবশ্য দেখা যায়, সে পয়সার বদলে টাকা দিয়েছিল।
“এ যে বড়ো বড়ো ঠেকচে।” — কীসের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?
রাধারাণীকে মালার দাম হিসেবে পথিক চার পয়সা দিলে তা অন্ধকারে তার কাছে অনেক বড়ো মনে হয়।
“তুমি ভুলে টাকা দাও নাই তো?” — কেন বক্তা এ কথা বলেছে?
মালার দাম হিসেবে দেওয়া পয়সার আকৃতি এবং অন্ধকারেও তার ঔজ্জ্বল্য দেখে বক্তা রাধারাণী প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করে।
“তাই চকচক করচে।” — বক্তা এই চকচক করার কী কারণ বলেছিল?
বক্তা পথিক চরিত্রটি বলেছিল যে নতুন কলের পয়সা হওয়ায় মুদ্রা দুটি চকচক করছে।
“তখন ফিরাইয়া দিব।” — কখন ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?
ঘরের আলোয় ভালোভাবে দেখে পথিকের দেওয়া মুদ্রাটি টাকা হলে তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
“তারপর প্রদীপ জ্বালিয়ো।” — তারপর বলতে বক্তা কীসের পর প্রদীপ জ্বালাতে বলেছেন?
রাধারাণী রচনাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতিটিতে বক্তা “তারপর” বলতে ঘরে গিয়ে রাধারাণীর ভেজা কাপড় ছাড়ার পর বুঝিয়েছেন।
“আমি ভিজা কাপড়ে সর্বদা থাকি।” — কেন বক্তা সর্বদা ভিজে কাপড়ে থাকে?
বক্তা রাধারাণীর মাত্র দুটি কাপড় থাকায় সে সবসময় ভিজে কাপড়ে থাকে।
“আমার ব্যামো হয় না।” — কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে?
মাত্র দুটি কাপড় থাকায় রাধারাণীকে সবসময় ভিজে কাপড়ে থাকতে হয়। এই প্রসঙ্গেই এ কথাটি বলা হয়েছে।
“আগুন জ্বালিতে কাজে কাজেই একটু বিলম্ব হইল।” — এই বিলম্ব হওয়ার কারণ কী?
ঘরে তেল না থাকায় চালের খড় পেড়ে চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালাতে গিয়ে রাধারাণীর বিলম্ব হয়।
“আলো জ্বালিয়া রাধারাণী দেখিল।” — কী দেখল?
আলো জ্বেলে রাধারাণী দেখেছিল, পথিক যা পয়সা বলে দিয়েছিলেন, তা আসলে টাকা।
“তখন রাধারাণী বাহিরে আসিয়া তল্লাশ করিয়া দেখিল যে” – রাধারাণী কী দেখেছিল?
রাধারাণী দেখেছিল যে, তাকে যে ব্যক্তি টাকা দিয়েছিলেন, তিনি আর দরজার বাইরে নেই; চলে গেছেন।
“আমরাও ভিখারি হইয়াছি।” — বক্তা কেন এমন উক্তি করেছেন?
মামলা-মোকদ্দমায় রাধারাণীর মা সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন। এই অবস্থায় পথিকের দ্বারা বুনোফুলের মালার দাম হিসেবে দেওয়া টাকা গ্রহণের যৌক্তিকতা বোঝাতে তিনি মন্তব্যটি করেন।
“বড়ো শোরগোল উপস্থিত করিল।” – এই শোরগোলের কারণ কী?
রাধারাণীদের কুটিরের দরজার ঝাঁপ ঠেলে কাপড়ের ব্যবসায়ী পদ্মলোচনের আসার ফলে এই শোরগোল হয়েছিল।
“তিনিই বুঝি আবার ফিরিয়া আসিয়াছেন।” — কার কথা এখানে বলা হয়েছে?
বনফুলের মালার দাম হিসেবে রাধারাণীকে পয়সার বদলে টাকা দিয়েছিলেন যিনি, সেই পথিকের কথা এখানে বলা হয়েছে।
“পোড়ারমুখো কাপুড়ে মিনসে!” — কাকে বলা হয়েছে?
কাপড়ের ব্যবসায়ী পদ্মলোচন সাহাকে পোড়ারমুখো কাপুড়ে মিনসে বলা হয়েছে।
পদ্মলোচন রাধারাণীকে কী কাপড় এনে দিয়েছিল?
পদ্মলোচন রাধারাণীকে একজোড়া নতুন কুঞ্জদার শান্তিপুরী কাপড় এনে দিয়েছিল।
পদ্মলোচনকে পথিক কী বলেছিল?
পদ্মলোচনকে পথিক দুটি কাপড়ের দাম নগদে মিটিয়ে দিয়ে সেগুলি তিনি রাধারাণীকে পৌঁছে দিতে বলেছিলেন।
রাধারাণীর পরিবারের সঙ্গে পদ্মলোচনের পরিচয় কবে থেকে?
রাধারাণীর পরিবারের সঙ্গে পদ্মলোচনের পরিচয় রাধারাণীর বাবার আমল থেকে।
কাপুড়ে মিনসে রাধারাণীর পিতার সময় কীরূপ মুনাফা নিতেন?
কাপুড়ে মিনসে পদ্মলোচন রাধারাণীর পিতার আমলে চার টাকার কাপড়ের দাম শপথ করে আট টাকা সাড়ে বারো আনা নিয়ে তার সঙ্গে আরও দু-আনা মুনাফা নিতেন।
“প্রসন্ন মনে দোকানে ফিরিয়া গেলেন।” — এই প্রসন্নতার কারণ কী?
পদ্মলোচন রুক্মিণীকুমারের কাছ থেকে চার টাকার কাপড়ের দাম আট টাকা সাড়ে চোদ্দো আনা আদায় করে প্রসন্ন হয়েছিল।
রাধারাণী প্রাপ্ত টাকা ভাঙিয়ে কী করেছিল?
রাধারাণী বাজারে গিয়ে প্রাপ্ত টাকা ভাঙিয়ে মায়ের পথ্য তৈরির জিনিসপত্র ও প্রদীপের তেল কিনেছিল।
রাধারাণী ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে কী খুঁজে পেয়েছিল?
রাধারাণী ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে একটি কাগজ কুড়িয়ে পেয়েছিল, যেটি ছিল আসলে একটি নোট।
রাধারাণীর কুড়িয়ে পাওয়া নোটে কী লেখা ছিল?
রাধারাণীর কুড়িয়ে পাওয়া নোটে রাধারাণীর নাম এবং দাতা রুক্মিণীকুমার রায়ের নাম লেখা ছিল।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের ষষ্ঠ পাঠের দ্বিতীয় অধ্যায়, ‘রাধারাণী’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন