নবম শ্রেণি – বাংলা – চন্দ্রনাথ – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দ্রনাথ গল্পটি একজন মেধাবী কিন্তু অহংকারী যুবকের জীবনের গল্প। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র চন্দ্রনাথ তার মেধা এবং প্রতিভাতে সবার থেকে আলাদা। সে স্কুলের সব পরীক্ষায় প্রথম হয়। কিন্তু তার এই অহংকার তাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।

Table of Contents

নবম শ্রেণি – বাংলা – চন্দ্রনাথ – বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

অন্ধকারের মধ্যে সুস্পষ্ট রূপ পরিগ্রহ করিয়া সম্মুখে দাঁড়াইল কিশোর চন্দ্রনাথ। — চন্দ্রনাথের যে রূপের বর্ণনা কথক দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখো। চন্দ্রনাথের স্বভাবের সঙ্গে এর কী সম্পর্ক?

চন্দ্রনাথের রূপের বর্ণনা – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দ্রনাথ গল্পাংশে স্কুলের পাঠ শেষ করার বহু বছর পরে একদিন স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কথকের স্কুলজীবনের সহপাঠী চন্দ্রনাথের কথা মনে পড়ে। চন্দ্রনাথ ছিল এক দীর্ঘাকৃতি সবল সুস্থদেহের নির্ভীক কিশোর। তার মুখমণ্ডলের মধ্যেও ছিল অসাধারণত্ব। অদ্ভুত মোটা নাক, সামান্য চলতাতেই তার সেই নাকের সামনের দিক ফুলে উঠত। তার বড়ো বড়ো চোখ, চওড়া কপাল আর কপালের মাঝখানে শিরা ফুলে তৈরি হত এক ত্রিশূল চিহ্ন, যা সামান্য উত্তেজনাতেই রক্তের চাপে ফুলে উঠত।

রূপের সঙ্গে চন্দ্রনাথের স্বভাবের সম্পর্ক – চেহারার মতো আচরণেও বিশেষত্ব ছিল চন্দ্রনাথের। প্রতিভা তার মধ্যে যেমন বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছিল তেমনি অহংকারেরও প্রকাশ ঘটিয়েছিল। বিদ্যালয় সম্পাদকের বিশেষ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান কিংবা হেডমাস্টারমহাশয়কে গুরুদক্ষিণার যুগ নেই আর বলার মধ্যে এক ধরনের ঔদ্ধত্য প্রকাশ পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় হীরুর প্রথম হওয়া মানতে পারে না চন্দ্রনাথ। সে হীরুর বাড়িতে আয়োজিত প্রীতিভোজে হাজির হয় না বরং চিঠি লিখে জানিয়ে দেয় যে হীরু স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য উৎসব না করলেই পারত। আসলে শ্রেষ্ঠত্বের যে অহংকার তার মনের মধ্যে ছিল সেখান থেকে সরে আসা চন্দ্রনাথের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

দুর্দান্ত চন্দ্রনাথের আঘাতে সমস্ত স্কুলটা চঞ্চল, বিক্ষুব্ধ হইয়া উঠিয়াছে। — চন্দ্ৰনাথ যে আঘাত করেছিল তার কারণ কী ছিল? এ জন্য তাকে কী ফলভোগ করতে হয়েছিল?

চন্দ্রনাথের আঘাত করার কারণ – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দ্রনাথ গল্পাংশে দ্বিতীয় স্থান লাভের পুরস্কার গ্রহণ না।করার কথা জানিয়ে চন্দ্রনাথ স্কুলকে যে চিঠি দেয়, তাকেই এখানে আঘাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কোনোদিন দ্বিতীয় না হওয়ায় দ্বিতীয় পুরস্কার চন্দ্রনাথের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে চিঠিতে জানিয়েছিল সে। তার মনে হয়েছিল প্রথম স্থানাধিকারী হীরুর সাফল্য সোজাপথে আসেনি। সে স্কুলের সম্পাদকের ভাইপো এবং স্কুলের জনৈক সহ-শিক্ষক তার বাড়িতে গৃহশিক্ষকতা করেন। তিনি হীরুকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখিয়ে দিয়েছেন। উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। এরপরেও অঙ্ক পরীক্ষায় তিনটি অঙ্ক হীরু চন্দ্রনাথের খাতা থেকে টুকেছে। এসবের ফলেই হীরুর প্রথম হওয়া চন্দ্রনাথ মানতে পারেনি। তাই সে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে।

ফলভোগ – এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের চিঠি চন্দ্রনাথের জীবনেও বিড়ম্বনা ডেকে আনে। তার নির্বিরোধী দাদা চন্দ্রনাথকে চিঠি প্রত্যাহার করতে নির্দেশ দিলেও চন্দ্রনাথ তাতে রাজি হয় না। ক্ষমা চেয়ে হেডমাস্টার মহাশয়কে চিঠি লেখার প্রস্তাবও দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে চন্দ্রনাথ। শেষপর্যন্ত নিশানাথ চন্দ্রনাথের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা বলেন। কিন্তু এতেও তার মধ্যে কোনো চাঞ্চল্য দেখা যায় না। সে বলে যে, এই ব্যবস্থা তাকে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করবে।

একে তুমি ডিগনিটি বল? তোমার অক্ষমতার অপরাধ ! — কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা এ কথা বলেছেন? বক্তা এখানে কী বোঝাতে চেয়েছেন?

প্রসঙ্গ – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দ্রনাথ গল্পাংশে চন্দ্রনাথ স্কুলের পরীক্ষায় দ্বিতীয় হলেও তার স্বীকৃতির পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে। হেডমাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে চন্দ্রনাথের দাদা নিশানাথ বিষয়টি জানতে পারেন। চন্দ্রনাথের কাছে এরকম আচরণের কারণ জানতে চাওয়া হলে সে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, সেকেন্ড প্রাইজ নেওয়া আমি বিনিথ মাই ডিগ্‌নিটি বলে মনে করি। কিন্তু সহজ নির্বিরোধী নিশানাথ তার ভাইয়ের এই আচরণ মানতে না পেরে মন্তব্যটি করেন।

বক্তব্য বিষয় – নিশানাথের একটা নিজস্ব জীবনদর্শন ছিল। চন্দ্ৰনাথ যে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছে, তাতে তাঁর মনে হয়েছে এতে প্রত্যক্ষভাবে প্রধানশিক্ষক এবং পরোক্ষভাবে শিক্ষকসমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থাকেই অপমান করা হয়েছে। তাঁর মতে, পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়ে পুরস্কার গ্রহণ না করলে শুধু যে চন্দ্রনাথেরই মর্যাদার হানি করা হবে তা নয়, বরং যে প্ৰথম হয়েছে তার সাফল্যকেও অস্বীকার করা হবে। এই দ্বিতীয় হওয়াটা একান্তভাবেই চন্দ্রনাথের ব্যর্থতা। এই সহজ সত্যকে স্বীকার করতে না পারার জন্যই নিশানাথ চন্দ্রনাথের ওপরে রেগে গিয়ে বলেন যে এটা তার অক্ষমতার অপরাধ।

চন্দ্রনাথের সহিত সংস্রব রাখিব না। মনে মনে সংকল্পটা দৃঢ় করিতেছিলাম। — কোন্ ঘটনার জন্য কথক এই সিদ্ধান্তে চার পৌঁছেছিলেন? শেষপর্যন্ত চন্দ্রনাথ সম্পর্কে তাঁর মনোভাব কী হয়েছিল?

উদ্দিষ্ট ঘটনা – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দ্রনাথ গল্পাংশে স্কুলের পরীক্ষায় প্রথমবারের জন্য দ্বিতীয় হয়ে চন্দ্রনাথ যেসব আচরণ করছিল সেগুলো কথক মেনে নিতে পারেননি। স্কুলকে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে চিঠি লেখা, গল্পের কথককে তৃতীয় বিভাগে পাস করার ভবিষ্যদ্বাণী করা ইত্যাদি কথকের পছন্দ হয়নি। কিন্তু যেভাবে পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের চিঠি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য এবং প্রধানশিক্ষকের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দাদার নির্দেশ চন্দ্রনাথ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে অমান্য করে, তা কথককে বিস্মিত করে। যেভাবে অন্যের আবেগ-অনুভূতিকে মর্যাদা না দিয়ে চন্দ্রনাথ নিজের অহংবোধকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে তা কথকের ভালো লাগেনি বলেই তিনি চন্দ্রনাথের সাথে আর সম্পর্ক না রাখার কথা ভেবেছেন।

চন্দ্রনাথ সম্পর্কে কথকের মনোভাব – চন্দ্রনাথ সম্পর্কে কথকের এই মনোভাব ছিল সাময়িক। চন্দ্রনাথ সম্পর্কে কথকের মনের মধ্যে এক গভীর শ্রদ্ধাবোধ ছিল। কারণ, তার শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কথক নরেশের কোনো সন্দেহ ছিল না। তাই যখন চন্দ্রনাথকে পিছনে ফেলে হীরু স্কলারশিপ পায়, তখন তা কথক মানতে পারেন না। তাঁর মনে হয় যে চন্দ্রনাথ ও হীরুর মধ্যে অনেক প্রভেদ আছে। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে দৃপ্ত ভঙ্গিতে চলা চন্দ্রনাথের সঙ্গে কালপুরুষ নক্ষত্রের তুলনার মধ্যে কথকের তার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রমের মনোভাবই প্রকাশ পায়।

চন্দ্রনাথের অনুমান অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়া গিয়াছে – চন্দ্রনাথের কোন্ অনুমান অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছিল? কোন্ বিষয়ে চন্দ্রনাথের অনুমান মেলেনি? এতে কথকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

চন্দ্রনাথের অনুমান – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দ্রনাথ গল্পে স্কুলের পরীক্ষায় দ্বিতীয় হওয়ার পরে চন্দ্রনাথের অহংকারে আঘাত লাগে। এই সময় নিজের ঘরে বসে চন্দ্রনাথ নিজের মতো করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন পরীক্ষার একটা সম্ভাব্য ফলাফল তৈরি করে। গল্পকথক নরু চন্দ্রনাথের কাছ থেকে সেই কাল্পনিক ফলাফল সম্পর্কে অবহিত হয়। তার মত অনুযায়ী, চন্দ্রনাথ নিজে যদি সাড়ে পাঁচশো বা তার বেশি পায় তাহলে স্কুলে অমিয় আর শ্যামাই শুধু ফেল করবে, বাকি সবাই পাস করবে। আর সে যদি পাঁচশো পঁচিশের কম পায়, তাহলে দশ জন ফেল করবে। আর কথক নরু থার্ড ডিভিশনে পাস করবে।

অনুমানে অমিল – পরীক্ষার ফল বেরোলে দেখা যায় চন্দ্রনাথের সব অনুমানই অক্ষরে অক্ষরে মিলেছে। দশটি ছেলে ফেল করেছে, কথক তৃতীয় বিভাগে কোনোরকমে পাস করেছে, চন্দ্রনাথও পাঁচশো পঁচিশ পায়নি। শুধু একটা অনুমানই মেলেনি — তাহল হীরু চন্দ্রনাথকে পিছনে ফেলে বেশি নম্বর পেয়েছে।
কথকের ফলাফল – হীরুর চিঠিতে পরীক্ষার ফলাফল জেনে এবং হীরুর স্কলারশিপের খবর পেয়ে কথক নরু মনে মনে দুঃখিতই হয়েছিল। কারণ সে মনে করেছিল যে চন্দ্রনাথের সঙ্গে হীরুর মেধাগত অনেক পার্থক্য আছে। চন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে নরুর মনে কখনোই কোনো সন্দেহ ছিল না — সে কথাও সে মুক্তকণ্ঠে জানিয়ে দিয়েছে।

উৎসবের বিপুল সমারোহ সেখানে। — কীসের জন্য উৎসব? উৎসবটির বর্ণনা দাও। এই উৎসব সম্পর্কে চন্দ্রনাথের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

উৎসবের কারণ – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দ্রনাথ গল্পাংশে হীরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রথম হওয়ায় এবং স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনায় তার বাড়িতে প্রীতিভোজের আয়োজন হয়েছিল।
উৎসবের বর্ণনা – উৎসব উপলক্ষ্যে হীরুর বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। অর্থের প্রাচুর্যের সঙ্গে শৌখিনতার মিশেলে উৎসবটি হয়ে উঠেছিল বর্ণময়। চিনা লণ্ঠন এবং রঙিন কাগজের মালায় নিপুণভাবে বাড়ির পাশের আমবাগানটিকে সাজানো হয়েছিল। প্রীতিভোজের এই অনুষ্ঠানে সরকারি উচ্চপদে থাকা ব্যক্তি-সহ গ্রামের কর্তাব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। দুজন ডেপুটি, ডিএসপি, স্থানীয় সাব – রেজিস্ট্রার, থানার দারোগা এবং গ্রামের ব্রাক্ষ্মণ, কায়স্থ অর্থাৎ উচ্চবর্গীয় মানুষেরা সকলেই প্রায় এই উৎসবে উপস্থিত হয়েছিলেন।

উৎসব সম্পর্কে চন্দ্রনাথের প্রতিক্রিয়া – স্কুলের পরীক্ষাতেই হীরুর প্রথম এবং তার নিজের দ্বিতীয় হওয়াকে চন্দ্রনাথ মেনে নিতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় তাকে পিছনে ফেলে হীরুর স্কলারশিপ পাওয়া তাকে আহত করে। প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে হীরুর নিমন্ত্রণে সাড়া না দিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় সে একটা চিঠি হীরুকে দিয়ে যায়। তাতে হীরুর সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেও লেখা ছিল যে স্কলারশিপ এমন কোনো বড়ো সাফল্য নয় যার জন্য উৎসব করতে হয়। এভাবে চন্দ্রনাথ নিজের বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।

চিঠিখানা হীরুকে ফিরাইয়া দিলাম। — কোন্ চিঠির কথা বলা হয়েছে? চিঠিতে কী লেখা ছিল? এই চিঠির বিষয়ে হীরু কী বলেছিল?

উদ্দিষ্ট চিঠি – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দ্রনাথ গল্পাংশে হীরুর বাড়ির প্রীতিভোজে উপস্থিত না থাকতে পারার জন্য চন্দ্রনাথ হীরুকে যে চিঠি লিখে রেখে গিয়েছিল, সেই চিঠির কথাই এখানে বলা হয়েছে।
চিঠির বিষয়; চিঠির শুরুতেই হীরুকে প্রথমে প্রিয়বরেষু সম্বোধন করলেও পরে চন্দ্রনাথ সেটি কেটে প্রীতিভাজনেষু লেখে। চিঠিতে হীরুর সাফল্যে সে আনন্দ প্রকাশ করলেও তার মধ্যে কোনো আন্তরিকতার ছোঁয়া ছিল না। বরং স্কলারশিপ পাওয়াটা এমন বড়ো সাফল্য নয় যে তার জন্য উৎসব করতে হবে বলে সে হীরর সাফল্যকে উপেক্ষা করতে চেয়েছিল। হীরুর বাড়িতে উপস্থিত থাকতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয় চন্দ্রনাথ।

চিঠির বিষয়ে হীরুর বক্তব্য – যদিও পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার বিষয়ে হীরু এবং চন্দ্রনাথের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল এবং চন্দ্রনাথের কাছে নিজের সাফল্যের স্বীকৃতি হীরু কোনোদিনই পায়নি — তা সত্ত্বেও চন্দ্রনাথের জন্যতার মনের মধ্যে একটা শ্রদ্ধার জায়গা ছিলই। সে কারণেই হীরু আন্তরিকভাবে চেয়েছিল চন্দ্রনাথ তার বাড়ির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকুক। কিন্তু তা না হওয়ায় চন্দ্রনাথের লেখা চিঠিটিকেই হীরু এক পরমপ্রাপ্তি বলে মনে করে। চিঠিখানা নিজের কাছে রেখে দিয়ে সে বলে — এইটেই আমার কাছে তার স্মৃতিচিহ্ন।

গল্পটি আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, অহমিকা একটি ক্ষতিকর গুণ। এটি আমাদের জীবনকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে দিতে পারে। আমাদেরকে সবসময় বিনয়ী ও সহনশীল হতে হবে।

Rate this post


Join WhatsApp Channel For Free Study Meterial Join Now
Join Telegram Channel Free Study Meterial Join Now

মন্তব্য করুন