বায়ুমণ্ডলে মিথেনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা

Souvick

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে? এর উদাহরণ ও কাজগুলি উল্লেখ করো। বায়ুমণ্ডলে মিথেনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা উল্লেখ করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে? এর উদাহরণ ও কাজগুলি উল্লেখ করো। বায়ুমণ্ডলে মিথেনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা উল্লেখ করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে? এর উদাহরণ ও কাজগুলি উল্লেখ করো। বায়ুমণ্ডলে মিথেনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা উল্লেখ করো।

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে? এর উদাহরণ ও কাজগুলি উল্লেখ করো।

অথবা, মিথোনোজেনেসিস বলতে কী বোঝায়?

যেসব ব্যাকটেরিয়া বায়ুর অনুপস্থিতিতে বায়োমাসের বিয়োজন ঘটিয়ে প্রকৃতিতে মিথেন গ্যাস মুক্ত করে তাদের মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া বলে এবং এই মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার ঘটনাকে মিথানোজেনেসিস বলে।

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার উদাহরণ – মিথানোকক্কাস, মিথানোব্যাকটেরিয়াম ইত্যাদি।

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার কাজ –

  • মিথেন উৎপাদন (মিথেনোজেনেসিস) – অক্সিজেনবিহীন (অ্যানেরোবিক) পরিবেশে CO2, H2, অ্যাসিটেট ইত্যাদি ব্যবহার করে মিথেন (CH4) তৈরি করে।
  • শক্তি উৎপাদন (ATP সংশ্লেষণ) – মিথেনোজেনেসিসের মাধ্যমে একমাত্র শক্তি উৎপাদনের পথ হিসেবে ATP তৈরি করে।
  • কার্বন চক্রে ভূমিকা – প্রাকৃতিকভাবে জৈব বর্জ্য পচন করে মিথেন নির্গমন করে, যা গ্রিনহাউস গ্যাস হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ।
  • প্রাণীর পরিপাকে সাহায্য – গবাদি পশুর রুমেন ও মানুষের অন্ত্রে খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
  • বর্জ্য শোধন – বর্জ্য জল পরিশোধন (Wastewater Treatment) ও ল্যান্ডফিলে জৈব বস্তু ভাঙ্গতে সাহায্য করে।

বায়ুমণ্ডলে মিথেনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা উল্লেখ করো।

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার মূল কাজই হল মিথেন গ্যাস উৎপন্ন করে বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেওয়া। ধানখেত, জলাভূমি এবং বর্ষা অরণ্যের মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া নানাবিধ জৈব বর্জ্য পদার্থের বিয়োজন ঘটিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে মিথেন গ্যাস মুক্ত করে। গবাদি পশুদের পাকস্থলীর রুমেন প্রকোষ্ঠে ও উইপোকাদের অস্ত্রে এদের উপস্থিতি দেখা যায়, যারা মিথেন গ্যাস উৎপন্ন করে বাতাসে ছেড়ে দেয়। এইভাবে বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধিতে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

মিথানোজেনেসিস কী?

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া কর্তৃক মিথেন গ্যাস উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে মিথানোজেনেসিস বলে। এটি সাধারণত অক্সিজেনমুক্ত পরিবেশে (যেমন জলাভূমি, গবাদি পশুর পাকস্থলী, ল্যান্ডফিল) ঘটে।

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার উদাহরণ দাও।

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার উদাহরণ – মিথানোকক্কাস (Methanococcus), মিথানোব্যাকটেরিয়াম (Methanobacterium), মিথানোসারসিনা (Methanosarcina)।

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া বায়ুমণ্ডলে মিথেন বৃদ্ধিতে কীভাবে ভূমিকা রাখে?

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাস বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে কারণ –
1. ধানখেত, জলাভূমি ও বর্ষারণ্যে জৈব বর্জ্য পচিয়ে মিথেন নির্গত করে।
2. গবাদি পশুর রুমেন ও উইপোকার পাচনতন্ত্রে মিথেন উৎপন্ন করে।
3. ল্যান্ডফিল ও বর্জ্য শোধনাগারে মিথেন নির্গমন ঘটায়।
4. মিথেন একটি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নে অবদান রাখে।

মিথেন গ্যাসের পরিবেশগত প্রভাব কী?

মিথেন গ্যাসের পরিবেশগত প্রভাব গুরুতর কারণ –
1. CO2 -এর চেয়ে 25 গুণ বেশি তাপ ধারণক্ষমতা রয়েছে, যা গ্রিনহাউস প্রভাব বাড়ায়।
2. বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখে।

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার প্রধান কাজগুলি কী কী?

মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার প্রধান কাজগুলি হলো –
1. মিথেন উৎপাদন (মিথানোজেনেসিস) – CO2, H2 বা অ্যাসিটেট ব্যবহার করে CH4 তৈরি করে।
2. শক্তি উৎপাদন – ATP সংশ্লেষণের মাধ্যমে এরা শক্তি পায়।
3. কার্বন চক্রে ভূমিকা – জৈব বর্জ্য পচিয়ে প্রাকৃতিকভাবে মিথেন নির্গমন করে।
4. প্রাণীর পরিপাকে সাহায্য – গবাদি পশুর রুমেন ও মানুষের অন্ত্রে হজমে সহায়তা করে।
5. বর্জ্য শোধন – বর্জ্য জল ও ল্যান্ডফিলের জৈব পদার্থ ভেঙে দেয়।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে? এর উদাহরণ ও কাজগুলি উল্লেখ করো। বায়ুমণ্ডলে মিথেনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা উল্লেখ করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে? এর উদাহরণ ও কাজগুলি উল্লেখ করো। বায়ুমণ্ডলে মিথেনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা উল্লেখ করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

ভিলাই ইস্পাত কেন্দ্র গড়ে ওঠার কারণগুলি ব্যাখ্যা করো

ভিলাই ইস্পাত কেন্দ্র গড়ে ওঠার কারণগুলি ব্যাখ্যা করো।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং কাকে বলে? এর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করো।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং কাকে বলে? গ্লোবাল ওয়ার্মিং -এর প্রভাব

শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলে পরিবেশের ওপর প্রভাবগুলি কী কী?

শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলে পরিবেশের ওপর প্রভাবগুলি কী কী?

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকেন্দ্রের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নতির কারণ

ভারতের মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্পের অবস্থান সংক্ষেপে আলোচনা করো।

বর্তমান ভারতে মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্পের অধিক উন্নতির কারণ

পশ্চিম ভারতে পেট্রোরাসায়নিক শিল্পের অধিক উন্নতির কারণ