আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের, ‘স্বর্ণপণী’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
“আজ আমার জন্মদিন।” – আজ বলতে কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে? আজ কার জন্মদিন?
‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পে প্রফেসর শঙ্কু ‘আজ’ বলতে ’16 জুন’ দিনটির কথা বলেছেন।
উক্ত দিনটিতে শঙ্কুর জন্মদিন।
“ওর বয়স হলো চব্বিশ।” – ‘ওর’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
‘ওর’ বলতে উদ্ধৃতাংশে ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পের লেখক সত্যজিৎ রায় প্রফেসার শঙ্কুর প্রিয়সঙ্গী নিউটন নামের একটি বিড়ালের কথা বলেছেন, যে শঙ্কুর পায়ের পাশে বসে কুণ্ডলী পাকিয়ে ঘুমোচ্ছিল।
“নিউটন যে এতবছর বেঁচে আছে,” – নিউটন কে? সে কত বছর বেঁচে আছে?
নিউটন হল সত্যজিৎ রায়ের লেখা ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পের মূল চরিত্র প্রফেসার শঙ্কুর প্রিয় পোষা বিড়াল।
সে চব্বিশ বছর বেঁচে আছে।
“তার কারণ হল আমার তৈরি ওষুধ মার্জারিন।” – কী কারণে বক্তা এই মার্জারিন প্রস্তুত করেছিলেন?
সত্যজিৎ রায়ের ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রফেসার শঙ্কু উক্তিটির বক্তা। বক্তা তাঁর পোষা বিড়াল নিউটন ছাড়া ভীষণভাবে একা হয়ে পড়বেন ভেবে তাকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখার জন্য মার্জারিন তৈরি করেছিলেন।
“আমার খ্যাতি প্রধানত ইনভেন্টর বা আবিষ্কারক হিসাবে।” – বক্তার প্রথম অবিষ্কারটি উল্লেখ করো।
বক্তা অর্থাৎ প্রফেসার শঙ্কু প্রথম আবিষ্কারটি হল ‘মিরাকিউরল’ বা ‘সর্বরোগনাশক’ বড়ি।
প্রফেসার শঙ্কু লুপ্ত স্মৃতি ফিরিয়ে আনার জন্য কী আবিষ্কার করেছিলেন?
লুপ্ত স্মৃতি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রফেসার শঙ্কু ‘রিমেমব্রেন’ আবিষ্কার করেছিলেন।
প্রফেসার শঙ্কুর বাবার নাম কী? তিনি পেশায় কী ছিলেন?
প্রফেসার শঙ্কুর বাবার নাম ছিল ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হিসেবে তিনি গিরিডিতে সুপ্রসিদ্ধ ছিলেন। লোকে তাঁকে বলত ধন্বন্তরি।
প্রফেসার শঙ্কু কোন্ বয়সে কী কী পাস করেন?
শঙ্কু বারো বছর বয়সে ম্যাট্রিক, চোদ্দয় আইএসসি আর ষোলোয় ফিজিক্স কেমিস্ট্রিতে অনার্স নিয়ে বিএসসি পাস করেন।
“অ্যাদ্দিন তো বিজ্ঞান পড়লি।” – উক্তিটি কার? তিনি লেখককে আর কী পড়ার কথা বলেছিলেন?
উক্তিটি প্রফেসার শঙ্কুর বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুর।
তিনি শঙ্কুকে শিল্প, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন প্রভৃতি বিষয় পড়ার কথা বলেছিলেন।
“বাবা বললেন,” – কার বাবা? তিনি কাকে, কী বলেছিলেন?
সত্যজিৎ রায়ের লেখা ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে প্রফেসার শঙ্কুর বাবার কথা বলা হয়েছে। তিনি শঙ্কুকে বলেছিলেন, “রোজগার যেভাবেই করিস না কেন, যারা দরিদ্র, যারা নিরক্ষর, যারা মাথা উঁচু করে চলতে পারে না, তাদের কথা ভুলিস না।”
“বহুলোক দর্শনের জন্য যায়।” – কার কথা বলা হয়েছে? তিনি কোথায় থাকেন?
প্রফেসার শঙ্কুর বাবা যার কথা বলেছেন, তিনি হলেন টিকড়ীবাবা।
তিনি উশ্রী নদীর ওপারে একটা গ্রামে গাছতলায় বসে ধ্যান করেন। সেখানে বহুলোক তাঁর দর্শন করতে যায়।
“এমন সময় বাবা হঠাৎ বাংলা হিন্দি মিশিয়ে বললেন” – এখানে কোন্ বাবার কথা বলা হয়েছে? তিনি কী বলেছিলেন?
সত্যজিৎ রায়ের ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে টিকড়ীবাবার কথা বলা হয়েছে।
তিনি বাংলা-হিন্দি মিশিয়ে বলেছিলেন – “তুই হামার চিকিৎসা করছিস, লেকিন তোর পীড়ার কী হবে?”
“গাছ নয়, গাছড়া।” – কোনটি গাছ নয়, গাছড়া? এর নাম কোথায় পাওয়া যায়?
‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পে উল্লিখিত গাছড়াটি হল সোনেপত্তী বা ‘স্বর্ণপর্ণী’। এর নাম ‘চরকসংহিতা’য় পাওয়া যায়।
“শুনেছি খুব স্বাস্থ্যকর স্থান।” – কোন্ স্থানের কথা বলা হয়েছে? সেটি কোথায় অবস্থিত?
‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত কসৌলি শহরের কথা বলা হয়েছে।
কালকা থেকে ছেচল্লিশ কিলোমিটার দূরে সাড়ে ছয় হাজার ফুট উঁচুতে কসৌলি শহর অবস্থিত।
“আমার মনটা নেচে উঠল।” – কার মন, কেন নেচে উঠেছিল?
সত্যজিৎ রায়ের লেখা ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পের মূল চরিত্র প্রফেসার শঙ্কুর মন নেচে উঠেছিল।
সাড়ে ছ-হাজার ফুট উঁচুতে পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত কসৌলি শহরের দুর্গম শ্বাপদসংকুল জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণপর্ণীর গাছড়া খুঁজে পেয়েছিলেন প্রফেসার শঙ্কু। তাই তাঁর মন আনন্দে নেচে উঠেছিল।
“সেটা থলি থেকে বার করে কাজে লেগে গেলাম।” – কী থলি থেকে বার করার কথা বলা হয়েছে? কোন্ কাজ করা হয়েছিল সেটি দিয়ে?
কসৌলির বাজার থেকে কেনা একটি কোদাল থলি থেকে বার করার কথা বলা হয়েছে।
সেটি দিয়ে কসৌলির জঙ্গল থেকে স্বর্ণপর্ণী গাছড়াটিকে শিকড়শুদ্ধ তোলার কাজ করা হয়েছিল।
“গাছড়াটাকে শিকড়শুদ্ধ তুলে” – কোন্ গাছড়ার কথা বলা হয়েছে? সেটি কে, কীভাবে তুলেছিল?
আলোচ্য অংশে প্রফেসার শঙ্কু স্বর্ণপর্ণী গাছড়ার কথা বলেছেন।
সেটি শঙ্কুর নির্দেশে কসৌলির জঙ্গল থেকে ঘোড়ার মালিক ছোটেলাল কোদাল দিয়ে শিকড়শুদ্ধ তুলেছিল।
“মালি বলল” – মালির পরিচয় দাও। সে স্বর্ণপর্ণী সম্পর্কে কী বলেছিল?
প্রফেসার শঙ্কু গল্পে ‘স্বর্ণপর্ণী’ যে মালির কথা বলেছেন, সে হল শঙ্কুর বাগানের মালি হরকিষণ।
হরকিষাণ বলেছিল এ গাছের ডালের একটা বিশেষ অংশ ভেঙে নিয়ে টুকরোটা মাটিতে পুঁতে তোয়াজ করলে আর-একটা গাছ গজাবে।
“উৎকণ্ঠায় রাত্রে ভাল ঘুম হলো না।” – কার, কেন ঘুম হয়নি?
আলোচ্য উদ্ধৃতিতে প্রফেসার শঙ্কুর ঘুম না হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
শঙ্কুর বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুর পেশেন্ট গিরিডিবাসী উকিল জয়গোপাল মিত্র উদরি রোগে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। তাঁর নিরাময়ের জন্য শঙ্কু স্বর্ণপর্ণী পাতার গুঁড়ো আধ কাপ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে বলেছিলেন। তাঁর রোগ নিরাময় হল কি না সেই উৎকণ্ঠায় শঙ্কু রাতে ঘুমোতে পারেননি।
“একটা ব্যাপারে আমার একটু খুঁতখুঁতেমি ছিল;” – ব্যাপারটি কী?
স্বর্ণপর্ণীর শুকনো পাতা গুঁড়িয়ে দুধে মিশিয়ে খাওয়ানোর প্রাচীন পন্থা শঙ্কুর ভালো লাগছিল না, এই ব্যাপারে তাঁর খুঁতখুঁতেমি ছিল।
“আমি ঠিক করলাম” – ‘আমি’ কে? তিনি কী ঠিক করেছিলেন?
উদ্ধৃতাংশে ‘আমি’ হলেন প্রফেসার শঙ্কু।
তিনি স্বর্ণপর্ণীর বড়ি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
“এই সময় একটা ঘটনা ঘটল,” – ঘটনাটি কী?
প্রফেসারির কাজ নেওয়ার পরে শঙ্কু ইংরেজি ভাষায় বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকা ‘নেচার’ -এর গ্রাহক হয়েছিলেন। এই পত্রিকায় প্রকাশিত জীবতত্ত্ব সম্বন্ধে একটা চমৎকার প্রবন্ধের লেখক জেরেমি সন্ডার্সকে লন্ডনে চিঠি লেখেন এবং তাঁর সঙ্গে শঙ্কুর গভীর বন্ধুত্ব হয়।
“কিন্তু এ যে নিদারুণ দুঃসংবাদ!” – নিদারুণ দুঃসংবাদটি কী ছিল?
প্রফেসার শঙ্কুর লন্ডনের বিজ্ঞানী বন্ধু সন্ডার্সের স্ত্রী এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন যে, জেরির যকৃতে ক্যানসার ধরা পড়েছে। ডাক্তারের মতে, তাঁর মেয়াদ আর মাত্র দু-মাস। এটাই ছিল নিদারুণ দুঃসংবাদ।
“এটা কি কোনো ভারতীয় ভেলকি?” – কাকে ভারতীয় ভেলকি বলা হয়েছে?
প্রফেসার শঙ্কুর স্বর্ণপর্ণী দিয়ে তৈরি বড়ি সন্ডার্সের ক্যানসার ভালো করে দিয়েছিল। এই ‘মিরাকিউরল’ বড়ির তেজ ও ক্ষমতাকে সন্ডার্স ‘ভারতীয় ভেলকি’ বলেছেন।
“তোমাকে দেশবিদেশের লোকে চিনবে না?” – কে, কাকে এ কথা বলেছেন? যাকে বলা হয়েছে তিনি লোকে চেনার মতো কী কাজ করেছেন?
প্রফেসার শঙ্কুর লন্ডনের বিজ্ঞানী বন্ধু জেরেমি সন্ডার্স প্রফেসার শঙ্কুর উদ্দেশে এই উক্তিটি করেছেন।
শঙ্কু সর্বরোগনাশক বড়ি ‘মিরাকিউরল’ আবিষ্কার করে দেশবিদেশের চিকিৎসক ও বৈজ্ঞানিক মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন।
“তুমি আমার সঙ্গে লন্ডন চলো।” – কে, কাকে এই প্রস্তাবটি করেছেন? লন্ডনে যাওয়ার উদ্দেশ্য কী?
লন্ডনের বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকা ‘নেচার’ -এর লেখক সন্ডার্স ‘মিরাকিউরল’ আবিষ্কারক প্রফেসার শঙ্কুকে উদ্ধৃত প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন।
‘মিরাকিউরল’ ওষুধটির কেমিক্যাল অ্যানালিসিস করার জন্য সন্ডার্স শঙ্কুকে লন্ডনে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।
সন্ডার্সের বাড়ি কোথায়? তাঁর বাবার পেশা কী ছিল?
সন্ডার্সের বাড়ি লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের উইলোবি রোডে। তাঁর বাবা জনাথ্যান সন্ডার্স লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন।
“সন্ডার্সের মা আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন”, – কী বলেছিলেন সন্ডার্সের মা?
সন্ডার্সের মা প্রফেসার শঙ্কুকে দেখে খুব আনন্দিত হয়েছিলেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, “তুমি জেরিকে মৃত্যুর কবল থেকে উদ্ধার করেছ; এ ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারব না।”
“কিন্তু আমার বড়ির অ্যানালিসিসের কী খবর?” – অ্যানালিসিসের রিপোর্টে কী ছিল?
‘মিরাকিউরল’ বড়ির মধ্যে সবরকম ভিটামিনের সঙ্গে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং আয়োডিনও ছিল। সন্ডার্স -এর মতে এতে ‘অ্যালিল সালফাইড’ আছে বলেই এতরকম রোগের জীবাণু এর কাছে পরাস্ত হয়। তবে এমন একটি উপাদান রয়েছে এই বড়িতে, রসায়নে যার কোনো পরিচিতি নেই।
“শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করার জন্য একটি বিদেশি যুবক প্রায় আধ ঘণ্টা হলো বসে আছে।” – এই বিদেশি যুবকটি কে? সে কেন শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল?
বিদেশি যুবকটি হল বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক হাইনরিখ স্টাইনারের পুত্র নরবার্ট স্টাইনার। নরবার্ট শঙ্কুর ‘মিরাকিউরল’ আবিষ্কারের কথা শুনেছিলেন। এই বড়ি যে সর্বরোগনাশক তা শুনে অসুস্থ বাবাকে বাঁচানোর জন্য শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে এবং তাঁকে বার্লিনে নিয়ে যেতে এসেছিল।
“হিটলারের মতে ইহুদিরা মানুষই নয়” – হিটলার কে? হিটলারের মতে আসল মানুষ কে?
হিটলার হলেন জার্মানির নাৎসি পার্টির সংগঠক ও জার্মানির অত্যাচারী শাসক। তাঁকে ‘পাওয়ার ম্যাড’ও বলা যেতে পারে। হিটলারের মতে “আসল মানুষ হচ্ছে সেইসব জার্মান, যাদের শিরায় এক ফোঁটা ইহুদি রক্ত নেই।”
“তোমরা হাইনরিখ স্টাইনারের নাম শুনেছ?” – হাইনরিখ স্টাইনার কী করেছিলেন?
হাইনরিখ স্টাইনার জার্মানির একজন জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি যিনি সংস্কৃতের অধ্যাপনা করেন। তিনি বেদ, উপনিষদ নতুন করে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছেন।
জার্মানিতে যারা হিটলারের আনুগত্য স্বীকার করে তারা কী বলে?
জার্মানিতে যারা হিটলারের আনুগত্য স্বীকার করে, তারা পরস্পরের সঙ্গে দেখা হলে ডান হাত সামনের দিকে উঁচিয়ে ‘হাইল হিটলার’ বলে।
“বাবা বেঁচে থাকলে বলতেন,” – কার বাবা? তিনি বেঁচে থাকলে কী বলতেন?
উদ্ধৃত অংশটিতে প্রফেসার শঙ্কুর বাবা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুকে বোঝানো হয়েছে।
শঙ্কুর মনে হয়েছে তাঁর বাবা বেঁচে থাকলে এই পরিস্থিতিতে বলতেন – “তুই যারে তিলু। একজন মনীষীর ত্রাণকর্তা হতে পারলে তোর জীবন ধন্য হবে।”
“তোমার কী মত শঙ্কু?” – বক্তা কে? শঙ্কুর মত কী ছিল?
উক্তিটির বস্তা শঙ্কুর লন্ডনবাসী বন্ধু সন্ডার্স।
শঙ্কুর মনে হয়েছিল একজন সত্যিকার ভারতপ্রেমিক ছিলেন নরবার্টের পিতা হাইনরিখ স্টাইনার। সুতরাং এত বড়ো একজন ভারততাত্ত্বিককে মৃত্যুর কবল থেকে উদ্ধার করতে পারলে শঙ্কুর পিতার আত্মা শান্তি পাবে। শঙ্কু হাইনরিখ -এর চিকিৎসা করতে রাজি হয়েছিলেন।
“এতে আমি মোটেই বিশ্বাস করি না” – উদ্ধৃত উক্তিটি কার? তিনি কী বিশ্বাস করেন না?
উদ্ধৃত উক্তিটি প্রফেসার শঙ্কুর লন্ডনের বন্ধু সন্ডার্সের।
সন্ডার্স বাইবেলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন যে, “বাইলে যে বলে – এক গালে চড় খেলে অন্য গাল এগিয়ে দাও” – এই কথা সন্ডার্স বিশ্বাস করেন না।
“যে প্লেনে নরবার্টের সঙ্গে বার্লিন যাচ্ছিলাম,” – কে বার্লিন যাচ্ছিলেন? প্লেনে যাওয়ার পথের দৃশ্য কেমন ছিল?
সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট বিখ্যাত চরিত্র প্রফেসার শঙ্কু বার্লিন যাচ্ছিলেন।
বার্লিনগামী প্লেনটি অনেক নীচ দিয়ে ওড়ার ফলে শঙ্কু মাটি পৃথিবীর অনেক মনোরম দৃশ্য দেখতে পাচ্ছিলেন। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, খেতখামার সবই স্পষ্ট দেখছিলেন। কোথাও কোথাও বরফ জমে থাকতে দেখেছিলেন।
“আগে বাবাকে দেখবে তো?” – শঙ্কু নরবার্টের বাবাকে প্রথম কী অবস্থায় দেখেছিলেন?
একটা বইয়ে ঠাসা ঘরের ভিতর শঙ্কু প্রথম নরবার্টের বাবাকে আধবোজা চোখে লেপের তলায় শুয়ে থাকতে দেখেন। প্রৌঢ় ব্যক্তিটির বয়স আন্দাজে পঞ্চান্ন মনে হয়েছিল। তাঁর হাঁ করা মুখ দিয়ে দমকে দমকে নিশ্বাস বেরোচ্ছে। ভদ্রলোকের মাথায় আর ডান কনুইয়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে।
“সেটা একবার দেখে আসা যায় কি?” – কে, কী দেখার কথা বলেছেন?
প্রফেসার শঙ্কু শুনেছিলেন বার্লিনের একটা বিখ্যাত রাস্তার কথা। রাস্তাটির নাম কুরফ্যুরস্টেনডাম। সেই রাস্তা দেখার জন্য তিনি নরবার্টের কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
“উদাত্ত, সুরেলা কণ্ঠ। কিন্তু এ কী!” – সুরেলা কণ্ঠটি কার? সুরেলা কণ্ঠে বক্তা কী শুনে এই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন?
সুরেলা কণ্ঠটি ছিল বার্লিনের সংস্কৃত-অধ্যাপক সদ্য সুস্থ হয়ে ওঠা হাইনরিখ স্টাইনার -এর।
প্রফেসার শঙ্কুর ‘সর্বরোগনাশক’ বড়ি খেয়ে রাতারাতি হাইনরিখ দুরারোগ্য ব্যাধিমুক্ত হন। স্টাইনার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে উপনিষদ আবৃত্তি করছিলেন। মৃত্যুপথযাত্রী স্টাইনারের এই আবৃত্তি শুনে শঙ্কু বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।
“এ যে সংস্কৃত,” – সংস্কৃতে কে, কী উচ্চারণ করছিলেন?
সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পে সংস্কৃতে উপনিষদের কথা আবৃত্তি করছিলেন হাইনরিখ স্টাইনার।
সংস্কৃত কথাগুলি হল – “বেদাহমেতং পুরুষংমহান্তমাদিত্যবর্ণং তমসঃ পরস্তাৎ……” (আমি এই তিমিরাতীত জ্যোতির্ময় মহাপুরুষকে চিনিয়াছি…)।
“আর কথাগুলো আমার চেনা!” – কোন্ কথাগুলো কার চেনা? তিনি এ কথা আগে কোথায় শুনেছেন?
প্রফেসার স্টাইনারের সুরেলা কণ্ঠে আবৃত্তি করা উপনিষদের সংস্কৃত কথাগুলি শঙ্কুর চেনা।
তিনি এর পূর্বে তাঁর পিতা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুর কণ্ঠে এই কথাগুলি শুনেছিলেন।
“রুদ্ধশ্বাসে দরজা দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে দেখি,” – এই রুদ্ধশ্বাসের কারণ কী?
সুদূর বার্লিনে হঠাৎ একদিন ভোরে উপনিষদের সংস্কৃত শ্লোক কাউকে আবৃত্তি করতে শুনেছিলেন প্রফেসার শঙ্কু। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় বিস্ময়ে অভিভূত শঙ্কু রুদ্ধশ্বাসে দরজা দিয়ে ঘুমভাঙা চোখে বেরিয়ে এসেছিলেন।
“মুমূর্ষুর অভিনয় করতে হবে” – কাকে এমন অভিনয় করতে হবে এবং কেন?
সত্যজিৎ রায়ের ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পে হাইনরিখ স্টাইনারকে মুমূর্ষুর অভিনয় করার কথা বলা হয়েছে। হাইনরিখ ইহুদি বলে নাৎসিরা তাঁর উপর নৃশংস অত্যাচার করত। এই অত্যাচারের ভয়ে দরজায় সজোরে ধাক্কার শব্দ শুনে গেস্টাপো এসেছে ভেবে বাবাকে এমন অভিনয় করতে বলেছিল নরবার্ট।
“তখন আমারই বা করতে আপত্তি কী?” – বক্তা কী করেছিলেন?
বক্তা অর্থাৎ প্রফেসার শঙ্কু নাৎসিবাহিনীর আক্রমণে আত্মরক্ষার জন্য ‘হাইল হিটলার’ বলে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল প্রফেসার হাইনরিখ যদি এদের অত্যাচার থেকে নিজেকে বাঁচাতে মুমূর্ষুর অভিনয় করতে পারেন তবে তার এই কথা বলায় কোনো দোষ নেই।
“তোমার কর্তব্য তুমি করে যাও।” – কাকে, কোন্ কর্তব্যের কথা বলা হয়েছে?
উদ্ধৃতিটির বক্তা প্রফেসার শঙ্কু। নরবার্টের বাবাকে হিটলারের নাৎসিবাহিনীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য প্যারিসে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন শঙ্কু। আর এই কাজে জাল, জুয়াচুরি, মিথ্যার আশ্রয় নেওয়াতে যে-কোনো অন্যায় হবে না এটাও শঙ্কু নরবার্টকে স্মরণ করিয়ে দেন।
“আমাদের গন্তব্যস্থল চোখে পড়ল।” – গন্তব্যস্থল কোথায় ছিল? সেখানে শঙ্কুর চোখে কী পড়ল?
হিটলার-বাহিনী শঙ্কুকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল প্রথমে তা বোঝা না গেলেও পরে একটা প্রকাণ্ড ফটকের মধ্য দিয়ে গাড়ি যখন একটা প্রাসাদের সামনে থামল, তখন গন্তব্যস্থল যে এই প্রাসাদই, তা শঙ্কুর বুঝতে অসুবিধা হয়নি।
সেখানে শঙ্কু দেখেছিলেন একটা বিস্তীর্ণ বাগান, তাতে ফুলের কেয়ারি, লিলিপুল, শ্বেতপাথরের মূর্তি ইত্যাদি।
“প্রাসাদের ভিতরে ঢুকলাম।” – কোন্ প্রাসাদে কে ঢুকেছিল?
প্রাসাদটি ছিল জার্মানির সামরিক বাহিনীর প্রধান গোেয়রিং -এর, জার্মানিতে হিটলারের পরেই যার স্থান। কারিনহল প্রাসাদে গোয়রিং শঙ্কুকে এনেছিল এবং শঙ্কু এই প্রাসাদে প্রবেশ করেছিলেন।
“আমি বললাম, ‘কারিনহল’।” – এই ‘কারিনহল’ কী?
‘কারিনহল’ হল গোেয়রিং -এর স্ত্রী কারিনের স্মৃতিসৌধ এবং গোয়রিং -এর কান্ট্রি হাউস। ‘কারিনহল’ আগে ছিল একটা হান্টিং লজ। পরে গোেয়রিং এটা কিনে নিয়ে এটিকে প্রাসাদে পরিণত করেন।
“ইহুদিদের সম্পর্কে পাঁচটা বিশেষণ প্রয়োগ করল।” – কে এরূপ বিশেষণ প্রয়োগ করেছিল? বিশেষণগুলি কী?
হিটলারের সামরিক বাহিনীর অন্যতম নেতা গোেয়রিং এরূপ বিশেষণ প্রয়োগ করেছিল।
গোয়রিং মনে করত ইহুদিরা গ্রাউসাম, নিডের, গাইৎসিগ, লিস্টিগ, বেডেনকেনলস অর্থাৎ অসভ্য, হীন, লোভী, ধূর্ত এবং বিবেকহীন।
“কিন্তু এ কী! সন্ডার্সের ঠোঁটের কোণে হাসি কেন?” – বক্তা এই প্রশ্নের কী উত্তর পেলেন তা সংক্ষেপে লেখো।
সন্ডার্স শঙ্কুর সঙ্গে থাকা ‘মিরাকিউরাল’ -এর বড়ির বদলে ঘুমের ওষুধ ‘সেকোন্যালের’ বড়ি ভরে দিয়েছিলেন। তাই ব্ল্যাকশার্ট গোয়রিং -এর ওপরে এই অব্যর্থ ওষুধের অপব্যবহার করতে হয়নি শঙ্কুকে। শঙ্কুর মহৌষধ বিশ্বের হীনতম প্রাণীর উপকারে আসুক, তা সন্ডার্স চাননি।
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো
প্রোফেসার শঙ্কুর জন্মদিন হল-
- 20 জানুয়ারি
- 3 মে
- 16 জুন
- 25 ডিসেম্বর
উত্তর – 3. 16 জুন
নিউটনের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার কারণ –
- মিরাকিউরল প্রয়োগ
- সমনোলিন প্রয়োগ
- বিশেষ ব্রেন প্রয়োগ
- মার্জারিন প্রয়োগ
উত্তর – 4. মার্জারিন প্রয়োগ
পাঁচটি মহাদেশে টমাস আলভা এডিসনের পরেই আবিষ্কারকের শ্রেষ্ঠ সম্মান পেয়েছেন –
- সত্যজিৎ রায়
- প্রফুল্লচন্দ্র রায়
- ফেলুদা
- প্রফেসার শঙ্কু
উত্তর – 4. প্রফেসার শঙ্কু
প্রফেসার শঙ্কুর প্রথম আবিষ্কার হল –
- অ্যানাইহিলিন
- মিরাকিউরল
- লিঙ্গুয়াগ্রাফ
- লুমিনিম্যাক্স
উত্তর – 2. মিরাকিউরল
মিরাকিউরল -এর বাংলা প্রতিশব্দ হল –
- অ্যানাইহিলিন
- সর্বনাশক বড়ি
- সর্বরোগনাশক বড়ি
- রোগনাশক বটিকা
উত্তর – 3. সর্বরোগনাশক বড়ি
অ্যানাইহিলিন পিস্তল –
- শত্রুকে নিহত করে
- শত্রুকে জখম করে
- শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করে
- শত্রুকে অক্ষম করে
উত্তর – 3. শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করে
এয়ারকন্ডিশনিং পিল খেতে হয় –
- চিবিয়ে
- জলে গুলে
- জিভের তলায় রেখে
- চুষে
উত্তর – 3. জিভের তলায় রেখে
শরীর শীতকালে গরম আর গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা রাখে –
- এয়ারকন্ডিশনিং পিল
- রিমেমব্রেন
- লুমিনিম্যাক্স
- সমনোলিন
উত্তর – 1. এয়ারকন্ডিশনিং পিল
লুপ্ত স্মৃতি ফিরিয়ে আনে –
- মিরাকিউরল
- লুমিনিম্যাক্স
- সমনোলিন
- রিমেমব্রেন
উত্তর – 4. রিমেমব্রেন
সমনোলিন বড়ি অব্যর্থ ওষুধ –
- জাগরণের
- সুগারের
- ঘুমের
- ক্যান্সারের
উত্তর – 3. ঘুমের
লিঙ্গুয়াগ্রাফ ব্যবহার করা হয় অচেনা ভাষাকে –
- ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করতে
- বাংলা ভাষায় অনুবাদ করতে
- হিন্দি ভাষায় অনুবাদ করতে
- উর্দু ভাষায় অনুবাদ করতে
উত্তর – 1. ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করতে
প্রফেসার শঙ্কুর বাবা হলেন –
- ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু
- বটুকেশ্বর শঙ্কু
- ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু
- পান্ডবেশ্বর শঙ্কু
উত্তর – 3. ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু
ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু ছিলেন –
- আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক
- অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক
- কবিরাজি চিকিৎসক
- হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক
উত্তর – 1. আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক
প্রফেসার শঙ্কু অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন –
- হিন্দু কলেজে
- প্রেসিডেন্সি কলেজে
- বঙ্গবাসী কলেজে
- কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজে
উত্তর – 4. কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজে
প্রফেসার শঙ্কুর ডাক নাম ছিল –
- দিলু
- লালু
- নীলু
- তিলু
উত্তর – 4. তিলু
ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু মারা যান –
- 45 বছর বয়সে
- 50 বছর বয়সে
- 55 বছর বয়সে
- 60 বছর বয়সে
উত্তর – 2. 50 বছর বয়সে
স্বর্ণপর্ণীর সন্ধান দিয়েছিলেন যিনি, তিনি হলেন –
- ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু
- টিকড়ীবাবা
- নন্দকিশোর রাওয়াল
- ছোটেলাল
উত্তর – 2. টিকড়ীবাবা
স্বর্ণপর্ণী আসলে –
- আয়ুর্বেদিক ওষুধ
- একটি গাছ
- একটি গাছড়া
- চরকসংহিতার বিধি
উত্তর – 3. একটি গাছড়া
স্বর্ণপর্ণীর নাম পাওয়া গিয়েছি ল-
- চরকসংহিতায়
- সুশ্রুতসংহিতায়
- লীলাবতীতে
- আত্রেয়সংহিতায়
উত্তর – 1. চরকসংহিতায়
স্বর্ণপর্ণী গাছ আছে –
- কৈলাসে
- কসৌলিতে
- কৌশানিতে
- কৈখালিতে
উত্তর – 2. কসৌলিতে
কসৌলি শহর থেকে লেখক চামুণ্ডার মন্দিরে গিয়েছিলেন –
- পায়ে হেঁটে
- ঘোড়ায় চড়ে
- ভুলিতে চেপে
- ট্যাক্সি চেপে
উত্তর – 2. ঘোড়ায় চড়ে
স্বর্ণপণীর রং –
- সবুজ
- হলুদ
- গাঢ় নীল
- লাল
উত্তর – 2. হলুদ
প্রফেসার শঙ্কুর মালির নাম –
- হরকিষণ
- মেরামন
- বুদুরাম
- কিষণলাল
উত্তর – 1. হরকিষণ
প্রফেসার শঙ্কুর চাকরের নাম –
- দুখি
- বুদ্ধি
- সুখি
- লাকি
উত্তর – 1. দুখি
লেখকের বাগানে স্বর্ণপর্ণী গাছ শোভা পাচ্ছিল –
- 9টি
- 10টি
- 11টি
- 12টি
উত্তর – 3. 11টি
লেখক স্বর্ণপর্ণী বড়ি তৈরি করেন যখন তার বয়স –
- 20 বছর
- 22 বছর
- 24 বছর
- 25 বছর
উত্তর – 4. 25 বছর
স্বর্ণপর্ণীজাত ওষুধ শঙ্কু প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন যার ওপর, তিনি হলেন –
- জয়গোপাল মিত্র
- জয়ন্তী মাসিমা
- ফ্রয়লাইন ফিৎস্নার
- হাইনরিখ স্টাইনার
উত্তর – 1. জয়গোপাল মিত্র
লেখক ‘নেচার’ পত্রিকার গ্রাহক হন অধ্যাপক হওয়ার –
- 7 দিনের মধ্যে
- মাস খানেকের মধ্যে
- 1 বছরের মধ্যে
- 2 বছরের মধ্যে
উত্তর – 2. মাস খানেকের মধ্যে
প্রফেসার শঙ্কু ইংল্যান্ড রওনা দেন –
- 1933 খ্রিস্টাব্দের 24 অক্টোবর
- 1937 খ্রিস্টাব্দের 23 অক্টোবর
- 1937 খ্রিস্টাব্দের 25 অক্টোবর
- 1937 খ্রিস্টাব্দের 21 জানুয়ারি
উত্তর – 3. 1937 খ্রিস্টাব্দের 25 অক্টোবর
প্রফেসার শঙ্কু লন্ডনের পোর্টসমাউথ বন্দরে নামেন –
- 23 জানুয়ারি
- 16 নভেম্বর
- 16 ডিসেম্বর
- 16 জানুয়ারি
উত্তর – 2. 16 নভেম্বর
প্রফেসার শঙ্কুর জাহাজে চেপে বোম্বাই থেকে লন্ডনে যেতে সময় লেগেছিল –
- 10 দিন
- 18 দিন
- 12 দিন
- 22 দিন
উত্তর – 4. 22 দিন
লেখক সন্ডার্সের বাড়ি পৌঁছেছিলেন –
- সকাল ছ-টায়
- সকাল দশ-টায়
- সন্ধ্যা ছ-টায়
- রাত্রি দশ-টায়
উত্তর – 3. সন্ধ্যা ছ-টায়
সন্ডার্সরা ডিনার-কে বলে –
- ব্রেকফাস্ট
- মিল
- সাপার
- লাঞ্চ
উত্তর – 3. সাপার
শঙ্কু হ্যাম্পস্টেড হিথে গিয়েছিলেন –
- সন্ডার্সের সঙ্গে
- ডরথির সঙ্গে
- জয়গোপাল মিত্রের সঙ্গে
- মালির সঙ্গে
উত্তর – 2. ডরথির সঙ্গে
হ্যাম্পস্টেড হিথ থেকে কবি কিসের বাড়ি দেখতে যেতে হাঁটা পথে সময় লাগে –
- পাঁচ মিনিট
- দশ মিনিট
- পনেরো মিনিট
- কুড়ি মিনিট
উত্তর – 2. দশ মিনিট
“এটা একটা বিস্তীর্ণ ঘাসে ঢাকা অসমতল ময়দান।” – এই ময়দানটির নাম –
- হ্যাম্পস্টেড হিথ
- মারমেড
- কানিংহ্যাম
- কারিনহল
উত্তর – 1. হ্যাম্পস্টেড হিথ
‘পাওয়ার ম্যাড’ বলে কাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে? –
- গোয়রিং-কে
- গেস্টাপো-কে
- কারিন-কে
- হিটলার-কে
উত্তর – 4. হিটলার-কে
মিরাকিউরল বহুরকম রোগের জীবাণুকে পরাস্ত করে। কারণ এতে রয়েছে –
- রসুনের উপাদান
- আয়রন
- অ্যালিল সালফাইড
- পট্যাশিয়াম-ক্যালশিয়াম
উত্তর – 3. অ্যালিল সালফাইড
বার্নার্ডশ-র যে নাটকখানি মারমেড থিয়েটারে প্রফেসার শঙ্কু দেখেছিলেন, সেটি হল –
- ম্যান অ্যান্ড সুপারম্যান
- সেইন্ট জোয়ান
- হার্ট ব্রেক হাউস
- পিগম্যালিয়ন
উত্তর – 4. পিগম্যালিয়ন
প্রফেসার শঙ্কু বিলেতে বক্তৃতা দিয়েছিলেন –
- ব্রিটিশ মিউজিয়াম হলে সন্ধ্যা সাড়ে ছটায়
- মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়াম হলে বেলা এগারোটায়
- ন্যাশনাল গ্যালারি হলে বেলা এগারোটা তিরিশে
- ক্যাক্সটন হলে সন্ধ্যা সাতটায়
উত্তর – 4. ক্যাক্সটন হলে সন্ধ্যা সাতটায়
বক্তৃতার পর ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ জানাতে হয়েছিল অন্তত –
- 40 জনকে
- 70 জনকে
- 50 জনকে
- 100 জনকে
উত্তর – 3. 50 জনকে
হাইনরিখ স্টাইনার সংস্কৃতের অধ্যাপক ছিলেন –
- বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের
- বন বিশ্ববিদালয়ের
- কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের
- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের
উত্তর – 1. বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের
জার্মানির গুপ্ত পুলিশবাহিনী হল –
- গেস্টাপো
- রিবেনট্রপ
- হিমলার
- ব্ল্যাক্শার্ট
উত্তর – 1. গেস্টাপো
নাৎসি পার্টিতে হিটলারের পরেই স্থান ছিল –
- গোয়বেলস্- এর
- মিলার -এর
- হেরমান গোয়রিং -এর
- রিবেনট্রপ -এর
উত্তর – 3. হেরমান গোয়রিং -এর
গেস্টাপো সৃষ্টি করেন –
- হিটলার
- গোয়েবেলস্
- হিমলার
- হেরমান গোয়রিং
উত্তর – 4. হেরমান গোয়রিং
হাইনরিখ স্টাইনার ভারতে গিয়েছেন –
- 5 বার
- 6 বার
- 7 বার
- 8 বার
উত্তর – 3. 7 বার
ইংল্যান্ডে আসার সময় প্রফেসার শঙ্কু মিরাকিউরল বড়ি সঙ্গে এনেছেন –
- 4টি
- 12টি
- 24টি
- 32টি
উত্তর – 3. 24টি
কোনো রোগীর চিকিৎসার জন্যে বিজ্ঞানী শঙ্কু বড়ি সঙ্গে নিয়ে যান –
- 2টি
- 4টি
- 8টি
- 14টি
উত্তর – 2. 4টি
সংস্কৃত নাটক ‘শকুন্তলা’ জার্মানে অনুবাদ হয়েছে –
- অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ায়
- ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ায়
- বিংশ শতকের শেষার্ধে
- একবিংশ শতকের শেষার্ধে
উত্তর – 2. ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ায়
প্রফেসার শঙ্কুর উচ্চতা –
- 5 ফুট 3 ইঞ্চি
- 5 ফুট 5 ইঞ্চি
- 5 ফুট 6 ইঞ্চি
- 5 ফুট 7 ইঞ্চি
উত্তর – 4. 5 ফুট 7 ইঞ্চি
পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শহর হল –
- লন্ডন
- বার্লিন
- প্যারিস
- কলকাতা
উত্তর – 2. বার্লিন
কুরফ্যুরস্টেনডাম বার্লিনের একটি বিখ্যাত –
- হল
- স্টেডিয়াম
- রাস্তা
- প্রাসাদ
উত্তর – 3. রাস্তা
বিজ্ঞানী শঙ্কু বার্লিনের কুরফ্যুরস্টেনডাম দেখতে গিয়েছিলেন –
- ট্যাক্সি চেপে
- পায়ে হেঁটে
- ঘোড়ার গাড়িতে
- ট্রামে
উত্তর – 2. পায়ে হেঁটে
‘কারিনহল’ প্রাসাদে বিজ্ঞানী শঙ্কু উপস্থিত হন –
- ছ-টায়
- সাত-টায়
- আট-টায়
- নয়-টায়
উত্তর – 3. আট-টায়
‘হাইল হিটলার।’ – এর মানে অধ্যাপক শঙ্কু যা করেছিলেন –
- হিটলার মহান
- হিটলার জিন্দাবাদ
- হিটলার দিগবিজয়ী বীর
- হিটলার মানব শরীরে ঈশ্বর
উত্তর – 2. হিটলার জিন্দাবাদ
কারিন ফন কাটসফ্ মারা যান –
- 1928 খ্রিস্টাব্দে
- 1930 খ্রিস্টাব্দে
- 1931 খ্রিস্টাব্দে
- 1932 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – 3. 1931 খ্রিস্টাব্দে
অতিরিক্ত ঘামের জন্য হের্ গোয়রিং-কে দিনে শার্ট বদল করতে হয় –
- 5 বার
- 7 বার
- 8 বার
- 10 বার
উত্তর – 3. 8 বার
এরিখ -এর এপিলেপসি রোগ দেখা দিয়েছে –
- 1 সপ্তাহ আগে
- 1 মাস আগে
- 3 পক্ষ কাল আগে
- 1 বছর আগে
উত্তর – 2. 1 মাস আগে
ডাইমলার-এ করে সতেরো নম্বর ফ্রিডরিখস্ট্রাসেতে ফিরতে সময় লেগেছিল –
- 10 মিনিটী
- 20 মিনিট
- 25 মিনিট
- আধ ঘণ্টা
উত্তর – 4. আধ ঘণ্টা
‘স্বর্ণপর্ণী’ – গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় –
- আনন্দমেলা, পূজাবার্ষিকী 1397
- সন্দেশ, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর 1986
- আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা, 1995
- শারদীয়া ‘সন্দেশ’, 1990
উত্তর – 1. আনন্দমেলা, পূজাবার্ষিকী 1397
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের, ‘স্বর্ণপণী’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।





মন্তব্য করুন