নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – শব্দগঠন

Souvick

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণের “ব্যাকরণ ও নির্মিতি” থেকে “শব্দগঠন ও বাংলা শব্দভাণ্ডার” -এর উপবিভাগ “শব্দগঠন” নিয়ে আলোচনা করবো। এই অংশ নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

শব্দগঠন ও বাংলা শব্দভাণ্ডার-শব্দগঠন-নবম শ্রেণী
Contents Show

শব্দগঠন

শব্দ কাকে বলে?

একাধিক ধ্বনি মিলিত হয়ে ধ্বনির চেয়ে বৃহত্তর অর্থপূর্ণ একক গড়ে তুললে তাকে শব্দ বলে।

একটি সারণির সাহায্যে শব্দের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।

শব্দের শ্রেণিবিভাগ

মৌলিক শব্দ কাকে বলে?

যে শব্দকে বিশ্লেষণ করা যায় না তাকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন – নাক, কান, চোখ, এক, তিন, হ্যাঁ, না, ইশ্, উফ্, আঃ ইত্যাদি।

সাধিত শব্দ কাকে বলে?

সমাসবদ্ধ বা প্রত্যয়যুক্ত শব্দকে বলে সাধিত শব্দ। সাধিত শব্দকে বিশ্লেষণ করা যায়। যেমন – পিতাপুত্র (পিতা ও পুত্র), আঁখিপাখি (আঁখিরূপ পাখি), চলন্ত (গঠনগতভাবে চল্ + অন্ত), বর্তমান (বৃৎ + শানচ্)।

যৌগিক শব্দ কাকে বলে?

যেসব সাধিত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত ও প্রচলিত বা ব্যবহারিক অর্থের কোনো প্রভেদ নেই তাদের যৌগিক শব্দ বলে। যেমন – স্থলজ (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ-যা স্থলে জন্মায়, প্রচলিত অর্থও তাই), গাইয়ে (গান করায় পটু), তেলেভাজা (তেলের দ্বারা ভাজা) ইত্যাদি।

রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ কাকে বলে?

যেসব সাধিত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও প্রচলিত অর্থ ভিন্ন ভিন্ন হয় তাদের রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ বলে। যেমন – গবাক্ষ (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ – গোরুর চোখ, ব্যবহারিক বা প্রচলিত অর্থ-জানলা), হরিণ-হরণকারী/পশু, অন্ন- খাদ্য/ভাত, ঝি-কন্যা/পরিচারিকা, প্রবীণ-বীণা বাজাতে পটু/বয়স্ক ইত্যাদি।

যোগরূঢ় শব্দ কাকে বলে?

যেসব সাধিত শব্দ একাধিক ব্যুৎপত্তিগত অর্থের যে-কোনো একটিকে বোঝায় তাকে যোগরূঢ় শব্দ বলে। যেমন – পঙ্কজ: ব্যুৎপত্তিগত অর্থ যা পাঁকে জন্মায়। পাঁকে অনেক কিছুই জন্মায় কিন্তু পঙ্কজ শব্দটির ব্যবহারিক অর্থ কেবল পদ্মফুলকেই বোঝায়। ‘তুরঙ্গম’-যা তাড়াতাড়ি যায়/ঘোড়া, বীণাপানি-বীণা ধারণকারী/সরস্বতী ইত্যাদি।

পদ কাকে বলে?

শব্দ বিভক্তিযুক্ত হয়ে বাক্যে ব্যবহারের যোগ্যতা লাভ করলে, তাকে পদ বলে।

পদ কত প্রকার ও কী কী?

পদ দুই প্রকার। যথা –

  1. নামপদ ও
  2. ক্রিয়াপদ।

শব্দ ও পদের পার্থক্য আলোচনা করো।

শব্দ ও পদের পার্থক্য –

  • এক বা একাধিক ধ্বনির সমন্বয়ে গঠিত অর্থবোধক উচ্চারণযোগ্য একককে শব্দ বলে। বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দকে পদ বলে।
  • শব্দ বিভক্তিযুক্ত হয়ে পদ গঠিত হয় অর্থাৎ পদের মূলে আছে শব্দ।
  • শব্দের বাক্যে ব্যবহারযোগ্যতা নেই। পদের বাক্যের বাইরে অস্তিত্ব নেই।
  • শব্দ স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহৃত হয় ও অভিধানে স্থান পায়। বাক্যের বাইরে পদের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নেই।

প্রাতিপদিক কী?

ধাতু ও প্রত্যয় মিলে যা গঠন করে, তাকে বলে প্রাতিপদিক। প্রাতিপদিক বিভক্তিহীন।

উপসর্গ

উপসর্গ কাকে বলে?

যে অব্যয় পদ ধাতু বা শব্দের আদিতে যুক্ত হয়ে অর্থের পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকেই বলে উপসর্গ। যেমন –

  • উপ + √কৃ + ঘঞ = উপকার
  • অপ + √কৃ + ঘঞ = অপকার

এই দুটি উদাহরণে ‘উপ’ এবং ‘অপ’ অব্যয় দুটি কৃ-ধাতুর আগে বসে অর্থের পরিবর্তন ঘটিয়ে দুটি নতুন শব্দ ‘উপকার’ ও ‘অপকার’ তৈরি করেছে। এখানে তাই ‘উপ’ আর ‘অপ’কে উপসর্গ বলা হয়।

রবীন্দ্রনাথ কোন্ গ্রন্থে উপসর্গের সংজ্ঞা দিয়েছেন?

রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘বাংলা ভাষা পরিচয়’ নামক গ্রন্থে উপসর্গের সংজ্ঞা দিয়েছেন।

উপসর্গ শব্দ নয় কেন?

উপসর্গ ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে তাকেই অবলম্বন করে অর্থবৈচিত্র্য আনে। তাই উপসর্গ শব্দ নয়।

উপসর্গ হতে গেলে অব্যয়কে কী করতে হবে?

উপসর্গ হতে গেলে অব্যয়কে ধাতুর পূর্বে যুক্ত হতে হবে।

উপসর্গের কাজ কী?

উপসর্গ শব্দ বা ধাতুর আগে যুক্ত হয়ে নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করে।

“নতুন শব্দ তৈরি করবার বেলায় তাদের নইলে চলে না” – রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য অনুযায়ী ‘তাদের’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?

রবীন্দ্রনাথ ‘তাদের’ বলতে শব্দগঠনের অপরিহার্য উপাদান উপসর্গ ও প্রত্যয়কে বুঝিয়েছেন।

বাংলা ভাষায় উপসর্গ কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন প্রকার। যথা –

  1. সংস্কৃত উপসর্গ,
  2. দেশি বা বাংলা উপসর্গ,
  3. বিদেশি উপসর্গ।

ভাষায় শব্দগঠন ও সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য সংস্কৃত ভাষা থেকে কী কী উপসর্গ ব্যবহৃত হয়?

বাংলা ভাষায় শব্দগঠন ও সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য সংস্কৃত ভাষা থেকে 20টি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়। এগুলি হল – প্র, পরা, অপ, সম্, নি, অব, অনু, নির্, দুর্, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।

পাণিনির গ্রন্থে উল্লিখিত অতিরিক্ত দুটি উপসর্গ কী?

পাণিনির গ্রন্থে উল্লিখিত অতিরিক্ত দুটি উপসর্গ হল – নিস্ ও দুস্।

দুটি সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করে দুটি পৃথক শব্দগঠন করো।

অনা-সৃজ + ক্রিয়া = অনাস্কৃতি।বি-নী + ত (ক্ত) = বিনীত।

কয়েকটি বাংলা উপসর্গের উদাহরণ দাও।

কয়েকটি বাংলা উপসর্গ হল – ‘অ’, ‘আ’, ‘কু’, ‘না’, ‘নির্’, ‘বি’, ‘সু’, ‘হা’ ইত্যাদি।

দুটি বাংলা উপসর্গ ব্যবহার করে দুটি শব্দগঠন করো।

ভরাগাঙ এবং বাঙালি।

কয়েকটি বিদেশি উপসর্গের উদাহরণ দাও।

কয়েকটি বিদেশি উপসর্গ হল – ‘আম’, ‘কার’, ‘খাস’, ‘খোশ’, ‘গর’, ‘দর’, ‘ফি’, ‘ব’, ‘বে’, ‘বদ’ ইত্যাদি।

কয়েকটি ইংরেজি উপসর্গের উদাহরণ দাও।

কয়েকটি ইংরেজি উপসর্গের উদাহরণ হল- ‘হেড’, ‘হাফ’, ‘ফুল’, ‘মিনি’ এবং ‘ডবল’।

দুটি বিদেশি উপসর্গ যোগে শব্দগঠন করো।

ফুলবাবু এবং ফি-সন।

সংস্কৃত উপসর্গের সঙ্গে বাংলা ও বিদেশি উপসর্গের প্রভেদ কী?

সংস্কৃত উপসর্গ সর্বদা ধাতুর আগে যুক্ত হয় এবং বাংলা ও বিদেশি উপসর্গ মৌলিক শব্দের আগে যুক্ত হয়।

সংস্কৃত 20টি উপসর্গের মধ্যে কোন্ দুটি উপসর্গের অব্যয়রূপে স্বাধীনভাবে প্রয়োগ দেখা যায়?

সংস্কৃত 20টি উপসর্গের মধ্যে যে দুটি উপসর্গের অব্যয়রূপে স্বাধীনভাবে প্রয়োগ দেখা যায়, সে দুটি হল – প্রতি, অতি।

উপসর্গ শব্দটির প্রকৃতি প্রত্যয় নির্ণয় করো।

উপ-সৃজ্ + অ।

একইসঙ্গে উপসর্গ ও প্রত্যয়যোগে দুটি নতুন শব্দ গঠন করো।

সম্-বিদ্ + অ = সংবাদ।অনু-গম্+ ত (ক্ত) = অনুগত।

নিন্দনীয় অর্থযুক্ত উপসর্গ কোনগুলি?

নিম্নের উপসর্গগুলি শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দটির এক নিন্দনীয় অর্থ প্রকাশ করে।

  • অপ-অপমান, অপচয়।
  • বে-বে-টাইম।
  • বদ-বদমেজাজ।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

নীচের শব্দগুলির পূর্বে উপসর্গ বসিয়ে নতুন শব্দগঠন করো –
কাল, সন, বন্দোবস্ত, মহাদেশ, জয়, নাম, দর্শন, ত্রাণ, নায়ক, বল।

কাল-আকাল, সন-ফি-সন, বন্দোবস্ত-সুবন্দোবস্ত, মহাদেশ-উপমহাদেশ, জয়-পরাজয়, নাম-বেনাম, দর্শন-সুদর্শন, ত্রাণ-পরিত্রাণ, নায়ক-অধিনায়ক, বল-দুর্বল।

নীচের উপসর্গগুলি যোগে শব্দ তৈরি করো এবং তাদের নিয়ে আলাদা আলাদা বাক্যগঠন করো –
সম্, অতি, অভি, অপ, অব, অধি, বে, উদ্‌, অনা, প্র, সু, পরি, হা, উপ, না, গর, প্রতি, খোশ, কার, বদ্।

  • সম্-সমুচিত – নারীকে অপমান করার সমুচিত শাস্তি পেয়েছে পাড়ার নরেন বাবু।
  • অতি-অত্যাচার – ব্রিটিশরা ভারতবাসীর ওপর দুশো বছর অত্যাচার চালিয়েছে।
  • অভি-অভিশাপ – স্বাধীনতার 67 বছর পরেও ভারতবর্ষ থেকে নিরক্ষরতার অভিশাপ দূর হয়নি।
  • অপ-অপচয় – অর্থের অপচয় করা উচিত নয়।
  • অব-অবরোধ – রাজনৈতিক দলের অবরোধে শহরে নিত্য যানজট হয়।
  • অধি-অধিকার – স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার।
  • বে-বেহাল – বর্ষায় কলকাতা শহরের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে।
  • উদ্‌-উত্থান – উত্থান হলে পতন অবশ্যম্ভাবী।
  • অনা-অনাসৃষ্টি – দেশটা অনাসৃষ্টিতে ভরে গেছে।
  • প্র-প্রচলন – বহু স্থানে এখনও বিবাহে পণপ্রথার প্রচলন আছে।
  • সু-সুলভ – বাজারে এখন পিঁয়াজ সুলভে পাওয়া যায়।
  • পরি-পরিচয় – তোমার সঙ্গে পরিচয় হয়ে আমার খুব ভালো লাগল।
  • হা-হা-হুতাশ – একশো টাকার জন্যে এত হা-হুতাশ করে লাভ নেই।
  • উপ-উপকার – মানুষের বিপদে সবসময় উপকার করা উচিত।
  • না-নাছোড়বান্দা – পরাশরের নাছোড়বান্দা স্বভাবের জন্য কেউ তার সঙ্গে মেশে না।
  • গর-গরমিল – বিকাশের হিসাবে দশ হাজার টাকার গরমিল হয়েছে।
  • প্রতি-প্রতিবেশী – প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত।
  • খোশ-খোশমেজাজ – অফিসের বড়োবাবু আজ খোশমেজাজে রয়েছেন।
  • কার-কারখানা – কারখানার ধোঁয়া শহরকে দূষিত করছে।
  • বদ-বদরাগি – আমাদের স্কুলের বাংলার শিক্ষক খুব বদরাগি।

‘হার’ – এই শব্দটির পূর্বে চারটি উপসর্গ বসিয়ে চারটি নতুন শব্দ তৈরি করো এবং তাদের দিয়ে চারটি আলাদা আলাদা বাক্যগঠন করো।

  • প্র + হার (প্রহার) – শুধুমাত্র প্রহার করে ছাত্রদের কোনো কিছু বোঝানো যায় না।
  • পরি + হার (পরিহার) – খারাপ স্বভাব পরিহার করে জীবনকে সুন্দরভাবে গঠন করা উচিত।
  • সম্ + হার (সংহার) – রাম রাবণকে সংহার করেন।
  • উপ + হার (উপহার) – উপহার পেতে সকল মানুষই পছন্দ করেন।

‘কার’ – এই শব্দটির পূর্বে চারটি উপসর্গ বসিয়ে চারটি নতুন শব্দ তৈরি করো এবং তাদের দিয়ে চারটি আলাদা আলাদা বাক্যগঠন করো।

  • বি + কার (বিকার) – জ্বরের বিকারে ছেলেটি ভুল বকছে।
  • প্রতি + কার (প্রতিকার) – যে-কোনো অন্যায়ের প্রতিকার হওয়া উচিত।
  • অপ + কার (অপকার) – মানুষের উপকার করতে না পারো কিন্তু অপকারী হয়ে ক্ষতিসাধন কোরো না।
  • প্র + কার (প্রকার) – চিড়িয়াখানায় নানা প্রকারের প্রাণী দেখা যায়।

নিম্নলিখিত উপসর্গযুক্ত ও উপসর্গহীন শব্দযুগলের মধ্যে অর্থের পার্থক্য নির্দেশ করো।

উপসর্গহীন শব্দউপসর্গযুক্ত শব্দ
ভাষা – কথা; বচনউপভাষা – ভাষার অন্তর্গত
নত – হেঁটউন্নত – উত্থিত
তুষ্ট – খুশিসন্তুষ্ট – অতিশয় তুষ্ট বা প্রসন্ন
রাজি – সম্মতনিমরাজি – অর্ধসম্মত
গমন – যাওয়াআগমন – আসা
হাজির – উপস্থিতগরহাজির – অনুপস্থিত

নীচের শব্দগুলিতে ব্যবহৃত উপসর্গগুলির পরিচয় দাও।

  • প্রদীপ্ত – ‘প্র’ সংস্কৃত উপসর্গ।
  • বিনত – ‘বি’ সংস্কৃত উপসর্গ।
  • প্রতিবাদ – ‘প্রতি’ সংস্কৃত উপসর্গ।
  • আঘাত – ‘আ’ সংস্কৃত উপসর্গ।

কী কী অর্থে নীচের শব্দগুলিতে উপসর্গগুলি ব্যবহৃত হয়েছে?

  • সুদিন – সু-শুভ অর্থে।
  • অধ্যয়ন – অধি-যত্ন অর্থে।
  • উৎকোচ – উদ্‌-নিন্দার্থে।
  • পরিপন্থী – পরি-বিবাদ অর্থে।
  • উদ্ভিদ – উদ্‌-বাহির অর্থে।
  • প্রবাহ – প্রগতি অর্থে।
  • অপগত – অপ-দূরীভূত অর্থে।
  • সংকলিত – সম্-একত্রীকরণ অর্থে।
  • আভাস – আ-ঈষৎ অর্থে।
  • উপমন্ত্রী – উপ-ক্ষুদ্রার্থে।

নিম্নলিখিত বাক্যগুলি থেকে উপসর্গ খুঁজে বের করো।

  • বিদ্যাসাগর বিধবাবিবাহ প্রবর্তন করেন প্রবর্তন ‘প্র’ উপসর্গ।
  • বাড়ির অনুষ্ঠানে সিরাজের দারুণ উৎসাহ – উৎসাহ – ‘উদ্‌’ উপসর্গ।
  • যতই ছোটো কাজ হোক না কেন অবহেলা করা উচিত নয় – অবহেলা – ‘অব’ উপসর্গ।
  • অতিবৃষ্টিই পশ্চিমবঙ্গের বন্যার মূল কারণ – অতিবৃষ্টি-‘অতি’ উপসর্গ।
  • ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান – প্রতিবেশী – ‘প্রতি’ উপসর্গ।
  • বিপ্লবীদের আমরণ সংগ্রামে ভারত স্বাধীন হয়েছে – আমরণ- ‘আ’ উপসর্গ।
  • ওষুধটা বড়ো নিমতেতো নিমতেতো – ‘নিম’ উপসর্গ।
  • কাউকে কুকথা বলা উচিত নয় – কুকথা- ‘কু’ উপসর্গ।
  • আজ অবেলায় খাওয়া হয়েছে – অবেলা – ‘অ’ উপসর্গ।
  • ফি-বছর পেট্রোলের দাম বাড়ছে – ফি-বছর – ‘ফি’ উপসর্গ।

নীচের শব্দগুলির পূর্বে উপযুক্ত উপসর্গ বসিয়ে বিপরীতার্থক শব্দ তৈরি করো।

গমনআগমন।
জয়পরাজয়।
মানঅপমান।
নতউন্নত।
হাজিরগরহাজির।

উপসর্গ ব্যবহার করে এককথায় প্রকাশ করো –

  • আবক্ষ জলে নেমে স্নান করা – অবগাহন (‘অব’ উপসর্গ)।
  • ভিক্ষার অভাব – দুর্ভিক্ষ (‘দুর্’ উপসর্গ)।
  • বাদের বিপরীত – প্রতিবাদ (‘প্রতি’ উপসর্গ)।
  • ভাতের অভাব – হা-ভাত (‘হা’ উপসর্গ)।
  • বিগত হয়েছে পত্নী যার – বিপত্নীক (‘বি’ উপসর্গ)।
  • অন্যের হয়ে স্বাক্ষর করে যে – বকলম (‘ব’ উপসর্গ)।
  • যা সহজে পাক হয় – সুপাচ্য (‘সু’ উপসর্গ)।
  • যার চক্ষুলজ্জা নেই – নির্লজ্জ (‘নির্’ উপসর্গ)।
  • যার মেজাজ ভালো নয় – বদমেজাজি (‘বদ’ উপসর্গ)।

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো

শব্দ হল ধ্বনির চেয়ে –

  1. ক্ষুদ্রতর একক
  2. বৃহত্তর একক
  3. সুদীর্ঘ বর্ণ
  4. সুক্ষুদ্র বর্ণ

উত্তর – 2. বৃহত্তর একক

আদিম মানুষ শব্দকে ভাবত –

  1. মানুষের নাম
  2. অলৌকিক রহস্যময়
  3. পশুপাখির নাম
  4. দেবতার দান

উত্তর – 2. অলৌকিক রহস্যময়

শব্দের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয় ব্যাকরণের যে অংশে –

  1. শব্দছকে
  2. রূপতত্ত্বে
  3. ধ্বনিতত্ত্বে
  4. বক্তব্য প্রদান

উত্তর – 2. রূপতত্ত্বে

পদ মূলত –

  1. তিন প্রকার
  2. দুই প্রকার
  3. চার প্রকার
  4. পাঁচ প্রকার

উত্তর – 2. দুই প্রকার

প্রাতিপদিক গঠন হয় নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে –

  1. শব্দ + বিভক্তি
  2. ধ্বনি + বর্ণ
  3. ধাতু + প্রত্যয়
  4. ধাতু + বিভক্তি

উত্তর – 3. ধাতু + প্রত্যয়

নতুন শব্দ গঠন করে –

  1. সন্ধি ও সমাস
  2. সন্ধি ও কারক
  3. সমাস ও কারক
  4. কেবল সন্ধি

উত্তর – 1. সন্ধি ও সমাস

‘বাংলা ভাষা পরিচয়’ রচনায় উপসর্গের সংজ্ঞা দিয়েছেন –

  1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  2. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
  3. সুকুমার সেন
  4. মধুসূদন দত্ত

উত্তর – 1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

উপসর্গ নামক পদটি একটি –

  1. বিশেষ্য
  2. বিশেষণ
  3. সর্বনাম
  4. অব্যয়

উত্তর – 4. অব্যয়

উপসর্গ ধাতু বা পদের পূর্বে বসে ধাতু বা পদটির –

  1. অর্থ পরিবর্তন করে
  2. বাক্যগঠন করে
  3. ধ্বনিবিপর্যয় ঘটায়
  4. সন্ধিযুক্ত করে

উত্তর – 1. অর্থ পরিবর্তন করে

সংস্কৃত ভাষার একজন প্রসিদ্ধ ব্যাকরণ রচিয়তা –

  1. বিদ্যাসাগর
  2. কালিদাস
  3. বাল্মীকি
  4. পাণিনি

উত্তর – 4. পাণিনি

যে অব্যয় ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয় তা –

  1. অনুসর্গ
  2. উপসর্গ
  3. প্রত্যয়
  4. সমাস

উত্তর – 2. উপসর্গ

সংস্কৃত উপসর্গ ধাতু ছাড়াও বসে –

  1. বিশেষ্য-বিশেষণের পূর্বে
  2. ক্রিয়ার পূর্বে
  3. বিভক্তির পূর্বে
  4. প্রত্যয়ের পূর্বে

উত্তর – 1. বিশেষ্য-বিশেষণের পূর্বে

বিদেশি উপসর্গের কোন্ জোড়াটি সঠিক? –

  1. আম, খাস, কু
  2. আম, খাস, বে
  3. কু, না, আম
  4. আম, না, ব

উত্তর – 2. আম, খাস, বে

দেশি ও বিদেশি উপসর্গ সবসময় বসে –

  1. ধাতুর আগে
  2. সর্বনামের আগের
  3. ক্রিয়ার আগে ত
  4. বিশেষ্য-বিশেষণের আগে

উত্তর – 4. বিশেষ্য-বিশেষণের আগে

বিদেশি উপসর্গের উদাহরণ –

  1. হেড
  2. ফুল
  3. ডবল
  4. পূর্বোক্ত সবকয়টি

উত্তর – 4. পূর্বোক্ত সবকয়টি

অনুসর্গের অপর নাম –

  1. কর্মবাচ্য
  2. কর্মপ্রবচনীয়
  3. কর্মকারক
  4. কর্মকর্তৃ

উত্তর – 2. কর্মপ্রবচনীয়

অনুসর্গের পূর্ববর্তী সর্বনাম কখনও –

  1. বিভক্তিশূন্য হয় না
  2. প্রত্যয়শূন্য হয় না
  3. সমাসবদ্ধ হয় না
  4. সন্ধিবদ্ধ হয় না

উত্তর – 1. বিভক্তিশূন্য হয় না

বাংলা ভাষায় অনুসর্গের মোট শ্রেণি –

  1. দুটি
  2. তিনটি
  3. চারটি
  4. কোনো শ্রেণি নেই

উত্তর – 1. দুটি

ক্রিয়া অনুসর্গগুলি প্রকৃতপক্ষে –

  1. সকর্মক ক্রিয়া
  2. অকর্মক ক্রিয়া
  3. সমাপিকা ক্রিয়া
  4. অসমাপিকা ক্রিয়া

উত্তর – 4. অসমাপিকা ক্রিয়া

কারকের অর্থপ্রকাশের কাজ করে –

  1. অনুসর্গ ও উপসর্গ
  2. অনুসর্গ ও বিভক্তি
  3. প্রত্যয় ও বিভক্তি
  4. উপসর্গ ও বিভক্তি

উত্তর – 2. অনুসর্গ ও বিভক্তি

অনুসর্গ

অনুসর্গ কাকে বলে?

যে সমস্ত অব্যয় পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে কখনও বিভক্তির কাজ করে, কখনও বিভক্তির সঙ্গে এক হয়ে পূর্বপদের কারকের অর্থ প্রকাশ করে, কখনও তুলনা বা সাদৃশ্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, তাদের অনুসর্গ বা পরসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলে।

অনুসর্গকে অপর কী কী নামে চিহ্নিত করা হয়?

অনুসর্গকে ‘পরসর্গ’ বা ‘কর্মপ্রবচনীয়’ নামেও চিহ্নিত করা হয়।

বাংলা অনুসর্গকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

বাংলা অনুসর্গকে দুইভাগে ভাগ করা যায়- শব্দজাত বা নাম অনুসর্গ ও ক্রিয়াজাত অনুসর্গ।

নাম অনুসর্গ কাকে বলে?

বিশেষ্য, বিশেষণ, অব্যয় পদ সৃষ্ট অনুসর্গকে নাম অনুসর্গ বা শব্দজাত অনুসর্গ বলে। যেমন – দ্বারা, জন্য, বিনা, সহিত, অপেক্ষা, হেতু ইত্যাদি।

নাম অনুসর্গের কটি ভাগ ও কী কী?

নাম অনুসর্গের তিনটি ভাগ। যথা –

  1. তৎসম,
  2. তদ্ভব ও দেশি,
  3. বিদেশি।

নাম অনুসর্গের অন্তর্গত তৎসম অনুসর্গের উদাহরণ দাও।

নিকট, নিমিত্ত ইত্যাদি হল নাম অনুসর্গের অন্তর্গত তৎসম অনুসর্গের উদাহরণ।

তদ্ভব ও দেশি অনুসর্গ কোনগুলি?

মাঝ, ভিতর, বই, ছাড়া, কাছে, তরে, পানে, পাশে, বিনা, সাথে, সামনে ইত্যাদি হল তদ্ভব ও দেশি অনুসর্গ।

বিদেশি অনুসর্গ কোনগুলি?

বিদেশি অনুসর্গ হল- দরুন, বনাম, বাবদ, হুজুর ইত্যাদি।

ক্রিয়াজাত অনুসর্গ কাকে বলে?

যে অসমাপিকা ক্রিয়া বিভিন্ন অর্থে অনুসর্গরূপে ব্যবহৃত হয়, তাদের ক্রিয়া অনুসর্গ বা ক্রিয়াজাত অনুসর্গ বলে। যেমন – দিয়ে, ধরে, করে, হতে, হয়ে, বলে ইত্যাদি।

উপসর্গ ও অনুসর্গের মিল দেখাও।

  1. এরা দুজনেই অব্যয় পদ।
  2. দুজনেই শব্দার্থ পরিবর্তন বা শব্দার্থকে সুনির্দিষ্ট করে।

উপসর্গ ও অনুসর্গের একটি পার্থক্য লেখো।

উপসর্গ পদ বা ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয়। অনুসর্গ পদের পরে যুক্ত হয়।

বিভক্তি ও অনুসর্গের একটি মিল দেখাও।

বিভক্তি ও অনুসর্গ দুটিই কারকের অর্থ প্রকাশের জন্য কাজ করে।

বিভক্তি ও অনুসর্গের অমিল দেখাও।

  • বিভক্তির স্বতন্ত্র প্রয়োগ নেই। অনুসর্গের আছে।
  • বিভক্তি শব্দের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়। অনুসর্গশব্দ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় শব্দের পরে বসে।
  • বিভক্তি একাক্ষর, অনুসর্গ অনেকাক্ষর।
  • সবসময় শব্দের পরেই যুক্ত হয়। অনুসর্গ ক্ষেত্রবিশেষে শব্দের আগেও বসে।

অনুসর্গ ও নির্দেশকের মিল দেখাও।

অনুসর্গ ও নির্দেশক (সংখ্যাবাচক পরিমাণবাচক বিশেষণ যুক্ত হয়ে) মাঝে মাঝে স্বতন্ত্রভাবে শব্দের আগে বসে।

অনুসর্গ ও নির্দেশকের অমিল দেখাও।

অনুসর্গের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে। নির্দেশক বিভক্তির মতোই শব্দের সঙ্গে জুড়ে যায়।
নির্দেশক বিভক্তিযুক্ত হয়, অনুসর্গে বিভক্তির প্রয়োগ বিরল। যেমন – ‘কলমখানির কী অবস্থা করেছ?’ ‘কলমখানি’ (নির্দেশক)-‘র’ (বিভক্তি)।

বিভিন্ন কারকে অনুসর্গের ব্যবহার দেখাও।

  • নিমিত্ত কারক – পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি, এ জীবন মন সকলি দাও।
  • করণ কারক – গুরু কন তুই করেছিস শুরু তলোয়ার দিয়ে দাড়ি চাঁচা।
  • অপাদান কারক – আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি।
  • অধিকরণ কারক – বাঁশি বাজে হৃদয় মাঝে

কোন্ কারকে অনুসর্গের ব্যবহার নেই?

কর্মকারকে অনুসর্গের ব্যবহার নেই।

টি, টা, টো, খানি, খানা – এদের কী বলা হয়?

টি, টা, টো, খানি, খানা – এদের নির্দেশক প্রত্যয় বলা হয়।

ধাতু

ধাতু কাকে বলে?

বাংলা ভাষায় সমাপিকা বা অসমাপিকা ক্রিয়াপদের বিভক্তি বিবর্জিত মূল ও অবিভাজ্য অংশকে ধাতু বলে।

বাংলা ভাষায় ধাতু কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর বাংলা ভাষায় ধাতু চার প্রকার। যথা –

  1. মৌলিক ধাতু,
  2. সাধিত ধাতু,
  3. সংযোগমূলক ধাতু,
  4. যৌগিক ধাতু।

একদল বা মৌলিক ধাতু কাকে বলে?

বাংলায় যেসব ধাতু একটিমাত্র দল বা অক্ষর নিয়ে গঠিত এবং যাদের বিশ্লেষণ করা যায় না, সেই স্বয়ংসিদ্ধ ধাতুকে মৌলিক বা একদল বা সিদ্ধ ধাতু বলে। যেমন – কর্, খা, দেখ, হাস্, পড়ু ইত্যাদি।

ধূ-ধর, হাঁট, কর, খা ইত্যাদি কী ধরনের ধাতুর উদাহরণ?

ধূ-ধর, হাঁট, কর, খা, ইত্যাদি একদল বা মৌলিক ধাতুর উদাহরণ।

বহুদল বা সাধিত ধাতু কাকে বলে?

প্রত্যয়যোগে গঠিত ধাতুকে সাধিত ধাতু বলা হয়। এই ধরনের ধাতুকে বিশ্লেষণ করলে অন্তত একটি মৌলিক ধাতু বা শব্দ ও একটি প্রত্যয় পাওয়া যায়। যেমন – পড়+ আ = পড়া, কর্ + আ = করা।

সাধিত ধাতু কত প্রকারের ও কী কী?

সাধিত ধাতু তিন প্রকারের –

  1. নাম ধাতু,
  2. প্রযোজক ধাতু
  3. এবং কর্মবাচ্যের ধাতু। 

নাম ধাতু কাকে বলে?

বিশেষ্য, বিশেষণ এবং ধ্বন্যাত্মক অব্যয়-এই ধরনের নাম শব্দের পর ‘আ’ প্রত্যয় যোগ করে যে সাধিত ধাতু হয়, তাকে নাম ধাতু বলে। যেমন – রাঙ + আ = √রাঙা (রাঙানো অর্থে)

√ঘাম + আ = ঘামা (ঘামানো অর্থে)

প্রযোজক ধাতু কাকে বলে?

অন্যকে দিয়ে কোনো কিছু করানো বোঝাতে মৌলিক ধাতুর পরে ‘আ’-প্রত্যয়যোগে যে সাধিত ধাতু গঠিত হয়, তাকে প্রযোজক ধাতু বলা হয়।

যেমন – √দেখ্ + আ = √দেখা, √পড়ু + আ = √পড়া

কর্মবাচ্যের ধাতু কাকে বলে?

মূল ধাতুর সঙ্গে ‘আ’ প্রত্যয়যোগে কর্মবাচ্যের ক্রিয়ার মূলাংশ পাওয়া গেলে তাকে কর্মবাচ্যের ধাতু বলে। যেমন – মান্ + আ = মানা; দেখ্ + আ = দেখা, শুন্ + আ = শুনা ইত্যাদি।

ধ্বন্যাত্মক ধাতু কাকে বলে?

যেসব ধ্বন্যাত্মক বা অনুকার শব্দ ধাতুরূপে ব্যবহৃত হয়, তাদের ধ্বন্যাত্মক ধাতু বলা হয়। যেমন – কনকন, টগবগ, ঝলমল ইত্যাদি।

সংযোগমূলক ধাতু কাকে বলে?

বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের সঙ্গে কর্, হ, দি, পা, কাট্, খা ইত্যাদি কয়েকটি মৌলিক ধাতুর সংযোগে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে সংযোগমূলক ধাতু বলে। যেমন – পড়তে বস, চা খা ইত্যাদি।

যৌগিক ধাতু কাকে বলে?

‘-ইয়া’ ও ‘-ইতে’ বিভক্তিযুক্ত অসমাপিকা ক্রিয়া যখন সমাপিকা ক্রিয়ার ঠিক আগে বসে এবং ধাতু গঠন করে, সেই ধাতুকেই বলে যৌগিক ধাতু। সমাপিকা ক্রিয়া হিসেবে পড়, নে, থাক্, ফেল্, দি, লাগ, রাখ, যা ইত্যাদি ধাতুর ব্যবহারই বেশি। যেমন – করতে থাক্, দেখে পড়, বলে নে, খেতে দি ইত্যাদি।

ধাতুবিভক্তি কাকে বলে?

কাল ও পুরুষ ভেদে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি পরে যুক্ত হয়ে ধাতুকে ক্রিয়াপদে পরিণত করে ও বাক্যে ব্যবহারযোগ্য করে সেই বর্ণ বা বর্ণসমষ্টিকে ধাতুবিভক্তি বলে। যেমন – অ, ও, এ, এন, ই, ইল, ইতেছি, ইয়াছেন ইত্যাদি।

ধাত্ববয়ব প্রত্যয় কাকে বলে?

ধাতুর সঙ্গে যে প্রত্যয় যোগ করে নতুন ধাতু তৈরি হয় তাকে ধাত্ববয়ব প্রত্যয় বলে। যেমন – জ্ঞা + সন্ = জিজ্ঞাস (ধাতু) ‘সন্’ ধাত্ববয়ব প্রত্যয়।

ধাত্ববয়ব প্রত্যয় ও ধাতু বিভক্তির পার্থক্য কোথায়?

ধাত্ববয়ব প্রত্যয় ধাতু উৎপন্ন করে কিন্তু ধাতুবিভক্তি ধাতুকে ক্রিয়াপদে পরিণত করে।

‘আ’ কখন ‘ওয়া’ উচ্চরিত হয়?

একদল বা মৌলিক ধাতু স্বরান্ত হলে ‘আ’, ‘ওয়া’ উচ্চারিত হয়।

নিজন্ত ক্রিয়া কী?

‘নিচ্’ প্রত্যয়যোগে সংস্কৃত প্রযোজক ক্রিয়া তৈরি হলে, তাকে নিজন্ত ক্রিয়া বলা হয়।

অসমাপিকা ক্রিয়ার প্রাধান্য কোন্ ক্রিয়ায় আছে?

যৌগিক ক্রিয়ায় অসমাপিকা ক্রিয়ার প্রাধান্য আছে।

পঙ্গুধাতু কাকে বলে?

যেসব ক্রিয়াকে সব কালে ও ভাবে ব্যবহার করা চলে না তাদের বলা হয় পঙ্গুক্রিয়া বা অসম্পূর্ণ ক্রিয়া বা অপূর্ণরূপ ক্রিয়া। যেসব ধাতু থেকে এই ক্রিয়া সৃষ্টি হয় তাদের পঙ্গু ধাতু বা অসম্পূর্ণ ধাতু বলে। ‘বট্’ ধাতুর বর্তমান ছাড়া অন্য কোনো কাল নেই। একা দেখি কুলবধূ কে বট আপনি বা আমি আজ চোর বটে। ‘যা’ ধাতুর অতীতকাল যেমন ‘গম্’ ধাতুর সাহায্যে হয় গেল, গেলাম কিন্তু বর্তমানে হয়, যায়, ভবিষ্যতে যাবে।

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো

বাক্যে স্থান পায় –

  1. শব্দ ও ধাতু
  2. শব্দ ও পদ
  3. ধাতু ও বিভক্তি
  4. শব্দ এবং বিভক্তি

উত্তর – 1. শব্দ ও ধাতু

বাংলা ভাষায় ধাতু –

  1. দু-প্রকার
  2. তিন প্রকার
  3. চার প্রকার
  4. পাঁচ প্রকার

উত্তর – 3. চার প্রকার

ধাতু বিভক্তি ধাতুকে পরিণত করে –

  1. শব্দে
  2. বিশেষণে
  3. বিশেষ্যে
  4. ক্রিয়ায়

উত্তর – 4. ক্রিয়ায়

প্রযোজক ধাতু হল –

  1. সাধিত ধাতুর ভাগ
  2. মৌলিক ধাতুর ভাগ
  3. প্রেরণার্থক ধাতুর ভাগ
  4. ধ্বন্যাত্মক ধাতুর ভাগ

উত্তর – 1. সাধিত ধাতুর ভাগ

যৌগিক ধাতুর উদাহরণ –

  1. করতে থাক্
  2. দেখে পড়ু
  3. খেতে দি
  4. পূর্বোক্ত সবকয়টি

উত্তর – 4. পূর্বোক্ত সবকয়টি

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

উদাহরণ দাও –

  • মৌলিক ধাতু – হাস্, কর্, বল্ ইত্যাদি। শিশুটি চাঁদ দেখে হাসছিল।
  • নাম ধাতু – দগ্ধ + আ = √দগ্ধা, হাত্ + আ = √হাতা, বিষ্ + আ = বিষা। “যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো/তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?”
  • সাধিত ধাতু – √পড়্ + আ = √পড়া, √দেখ্ + আ = দেখা। মা শিশুকে চাঁদ দেখায়।
  • ধ্বন্যাত্মক ধাতু – হনহন + আ = √হনহনা, ঝমঝম + আ = √ঝমঝমা। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে।
  • প্রযোজক ধাতু – √কাঁদ্ + আ = √কাঁদা, √কর্ + আ = √করা। দিদিটি ভাইকে কাঁদাচ্ছে।
  • সংযোগমূলক ধাতু – বসে পড়্, জিজ্ঞাসা কর্। দিদিকে জিজ্ঞাসা কর্ এখন খাবে কি না।
  • অসম্পূর্ণ ধাতু – বট, আছ। কে বট আপনি?
  • যৌগিক ধাতু – কেটে ফেল্, করতে লাগ। অঙ্কটা এখন করতে লাগ্।

প্রয়োগ ও নির্ণয়মূলক প্রশ্নোত্তর

কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি

1. প্রজা ভাবয়ে বিষাদ।

ভাবয়ে = √ভাব + আ = √ভাবা – সাধিত ধাতু।

2. বহে ঘন ঝড়।

বহে = √বহ্ + আ = √বহা – সাধিত ধাতু।

3. না পায় দেখিতে কেহ।

পায় দেখিতে < দেখিতে পায় – দেখতে √পা – যৌগিক ধাতু।

4. পড়য়ে শিল বিদারিয়া চাল।

পড়য়ে-√পড় + আ = √পড়া – যৌগিক ধাতু।

নোঙর

1. বিরামহীন এই দাঁড় টানা

টানা = √টান্ + আ – সাধিত ধাতু।

2. তরী ভরা পণ্য নিয়ে।

ভরা = √ভর্ + আ – সাধিত ধাতু।
নিয়ে = √নে + ওয়া – সাধিত ধাতু।

খেয়া

1. পারাপার করে নদী স্রোতে।

করে = √কর্ + আ – সাধিত ধাতু।

2. উঠে কত সুধা।

উঠে = √ঊঠ + আ-সাধিত ধাতু।

3. চিরদিন চলে নদী স্রোতে।

চলে = √চল্ + আ – সাধিত ধাতু।

আকাশে সাতটি তারা

1. আকাশে সাতটি তারা উঠেছে ফুটে

উঠেছে ফুটে < ফুটে উঠেছে – ফুটে ওঠা < উঠা – যৌগিক ধাতু।

2. গঙ্গা সাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে।

ডুবে গেছে = ডুবে√গে – যৌগিক ধাতু।

3. আমি পাই টের

পাই টের = টের পাই-টের√পা – সংযোগমূলক ধাতু।

আবহমান

1. আবার ফিরে আসে

ফিরে আসে = ফিরে√আস্ – যৌগিক ধাতু।

2. নটে গাছটা বুড়িয়ে ওঠে।

বুড়িয়ে < বুড়ি থেকে√বুড়া ইয়ে – নাম ধাতু। 

3. কিন্তু মুড়য় না।

মুড়য় < মুড়া থেকে√মুড়া + য় – নাম ধাতু।

4. কিছুই ফুরয় না।

ফুরয় < ফুরা থেকে√ফুরা + য় – নাম ধাতু।

ভাঙার গান

1. বাজা তোর প্রলয় বিষাণ।

বাজা = √বাজ + আ-সাধিত ধাতু।

2. দেরে দে প্রলয় দোলা

দোলা = √দোল্ + আ – সাধিত ধাতু।

3. মার হাঁক হৈদরী হাঁক।

হাঁক = √হাঁক্ – যৌগিক ধাতু।

4. আগুন জ্বালা

জ্বালা = √জ্বাল্ + আ – সাধিত ধাতু।

আমরা

1. আমরা বাঙালি বাস করি তীর্থে।

বাস করি = বাস√কর্ – যৌগিক ধাতু।

2. সাগর যাহার বন্দনা রচে

বন্দনা রচে = বন্দনা√রচ্ – সংযোগমূলক ধাতু।

3. আমরা হেলায় নাগেরে খেলাই

খেলাই = √খেল্ + আই – প্রযোজক ধাতু।

4. আমরা দিয়েছি খুলি

দিয়েছি খুলি = < খুলে দিয়েছি খুলে √দা – যৌগিক ধাতু।

5. বাঙালি সাধক জড়ের পেয়েছে সাড়া

পেয়েছে সাড়া < সাড়া পেয়েছে = সাড়া√পা – যৌগিক ধাতু।

6. প্রাণ পাওয়া গেছে

পাওয়া গেছে = পা + ওয়া√গে – যৌগিক ধাতু।

ইলিয়াস

1. সকলের পরে ঘুমোতে যায়।

ঘুম = √ঘুমা – নাম ধাতু।

2. অতিথিরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসে।

দেখ = √দেখা – সাধিত ধাতু।
কর্ =√করা – সাধিত ধাতু।

3. গোরু-ভেড়া চরাত

চর্ = √ চিরা – সাধিত ধাতু।

4. তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হল।

তাড়্ = √তাড়া – সাধিত ধাতু।

5. শরীরের জোরও কমতে লাগল

কম = √কমা – নাম ধাতু।
লাগ = √লাগা – সাধিত ধাতু।

6. কিছু লাগে বলবে, তাও দেব।

বল = √বলা – সাধিত ধাতু।

7. আমার ঘোটকীদের দুধ দোয়

দোহে = √দোয় – মৌলিক ধাতু।

8. একটু কুমিস পান করবে।

পান√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

9. একটা দুশ্চিন্তা পেরোতেই আর একটা এসে মাথা চাড়া দিত।

চাড়া√দে – সংযোগমূলক ধাতু।

10. শুনে অতিথিরা ভাবতে বসল।

শুন্ (দেশি) = √শুনে – সাধিত ধাতু।
ভাবতে√বস্ – যৌগিক ধাতু।

দাম

1. আমাদের অঙ্ক কষাতেন

কষ্ = √কষা – সাধিত ধাতু।

2. তার উপরে খড়ি বুলিয়ে চলেছেন।

বুলিয়ে√চল্ – যৌগিক ধাতু।

3. স্কুলের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেব।

ছুঁড়ে = √ছোঁড়া – সাধিত ধাতু।
ফেলে = √ফেলা – সাধিত ধাতু।

4. আমরা নিরাপদ বোধ করতুম

বোধ√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

5. আমি কলেজে বাংলা পড়াই

পড়্ = √পড়া – সাধিত ধাতু।

6. বিনা পয়সায় বেড়ানো যায়

যায় = √যা – মৌলিক ধাতু।

নিরুদ্দেশ

1. ধোঁয়ার কুণ্ডলী ঊর্ধ্বে উঠিতেছে

উঠ্√ঊঠা – সাধিত ধাতু।

2. চুপ করে থাকেন

করে√থাক্ – যৌগিক ধাতু।

3. বসুন আপনি।

বস্ = √বসা – সাধিত ধাতু।

4. আপনার ছেলে কেঁদে ভাসিয়ে দেবে।

কেঁদে = ক্রন্দ্ + √কাঁদ- মৌলিক ধাতু।

5. আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন

থাক্ = √থাকা – সাধিত ধাতু।

6. বাবা ঘরে ফেরেন

ফের্ = √ফেরা – সাধিত ধাতু।

7. মা ভালো আছেন?

আছ = √আছ্ – মৌলিক ধাতু।

রাধারাণী

1. এক বালিকা মাহেশে রথ দেখিতে গিয়াছিল

দেখিতে√গে – যৌগিক ধাতু।

2. বৃষ্টি দেখিয়া লোকসকল ভাঙ্গিয়া গেল

ভাঙ্গিয়া√গে – যৌগিক ধাতু।

3. শ্রাবণের ধারা বর্ষিতেছিল

বর্ষা = √বর্ষা – নাম ধাতু।

4. নহিলে পড়িয়া যাইবে

পড়িয়া√য়া – যৌগিক ধাতু।

5. মার জন্য যৎকিঞ্চিৎ রন্ধন করিল

রন্ধন√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

6. রুক্মিনী কুমার রায়ের অনেক সন্ধান করিল

সন্ধান√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

চন্দ্রনাথ

1. তবু সে চলিয়াছে

চল্ = √চলা – সাধিত ধাতু।

2. কাগজ খানা আমার সম্মুখে ফেলিয়া দিয়া বলিল, দেখ।

বলিল = √বলা – সাধিত ধাতু।

3. আমার যদি সাড়ে পাঁচশো কী তার বেশি ওঠে

ওঠ – √ওঠা – সাধিত ধাতু।

4. সেকেন্ড প্রাইজ নেওয়া আমি বিনিথ মাই ডিগ্নিটি বলে মনে করি

বল্ = √বলা – সাধিত ধাতু।
কর্ = √করা – সাধিত ধাতু।

5. কণ্ঠস্বর এবার কাঁপিতেছিল

কাঁপ্ = √কাঁপা – সাধিত ধাতু।

6. এত দূর স্বাধীন হয়েছ?

স্বাধীন√হ্ – সংযোগমূলক ধাতু।

7. ধীরে ধীরে চলিয়া আসিলাম

চলিয়া√আস্ – যৌগিক ধাতু।

8. কী বললি তুই?

বল্ = √বলা – সাধিত ধাতু।

9. কালপুরুষ নক্ষত্র সঙ্গে সঙ্গে চলিয়াছে

চল্ = √চলা – সাধিত ধাতু।

নব নব সৃষ্টি

1. আরবি ভাষা পড়ানো হয়েছিলো।

পড়্ = √পড়া – সাধিত ধাতু।

2. শ্রীকৃষ্ণ বাংলায় খাঁটি কানুরূপ ধারণ করেছেন

ধার√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

3. সত্য শিব সুন্দরের সন্ধান পেয়েছে

সন্ধান√পা – সংযোগমূলক ধাতু।

হিমালয় দর্শন

1. শিলিগুড়ি স্টেশনে আসিয়া পহুঁছিলাম

আসিয়া√পঁহুছ্ – যৌগিক ধাতু।

2. প্রাকৃতিক শোভা আরও শতগুণ বৃদ্ধি করিয়াছে

বৃদ্ধি√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

3. অল্প অল্প বাতাস মৃদু গতিতে বহিতেছে

বহিতেছে = বহ = √বহা – সাধিত ধাতু।

4. ঢেঁকির শাকের কথা পাঠ করিয়াছি

পাঠ√কর্ – যৌগিক ধাতু।

5. সমভাবে উপার্জন করে

উপার্জন√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

6. কতকগুলি শব্দ উচ্চারণ করিলে উপাসনা হয় না।

উপাসনা√হ্ – সংযোগমূলক ধাতু।

চিঠি

1. অসংখ্য নরনারীতে পরিবেষ্টিত দেখতে পাবে

দেখতে√পা – যৌগিক ধাতু।

2. তুমি কর্মে প্রবৃত্ত হতে সাহস কর

সাহস√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

3. নিজের পায়ে অবশ্যই দাঁড়াতে হবে

দাঁড়াতে√হ্ – যৌগিক ধাতু।

4. অন্তত ভালবাসা জানবে

জান্ = √জানা – সাধিত ধাতু।

ধীবর-বৃত্তান্ত

1. এই চোরকে নিয়ে অপেক্ষা কর

অপেক্ষা√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

2. আপনি প্রবেশ করুন

প্রবেশ√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

3. সবাই এগিয়ে চল

এগিয়ে√চল্ – যৌগিক ধাতু।

4. তোকে শুকুনি দিয়ে খাওয়ানো হবে।

খাওয়ানো = √খা + ওয়া + নো – প্রযোজক ধাতু।

ব্যোমযাত্রীর ডায়রি

1. পড়ে দেখো। গোল্ড মাইন।

পড়ে√দেখ – যৌগিক ধাতু।

2. সময় হলে আত্মপ্রকাশ করবেন

আত্মপ্রকাশ√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

3. সুন্দরবনের মাথারিয়া অঞ্চলে এসে পড়েছিল

এসে√পড়্ – যৌগিক ধাতু।

4. মাটির ভেতর থেকে উঁকি মারছে দেখে টেনে তুললাম

উঁকি√মার্ – সংযোগমূলক ধাতু।
টেনে√তুল্ > তোলা – যৌগিক ধাতু।

5. নেহাত বড় টানাটানি যাচ্ছে

টানাটানি√যা – সংযোগমূলক ধাতু।

6. খাতাটা পাঁচ ঘণ্টা উনুনের মধ্যে ফেলে রেখে দিলাম।

ফেল = √ফেলা – সাধিত ধাতু।

7. ওজনেও কুলিয়ে যাবে

কুলিয়ে√যা – যৌগিক ধাতু।

8. শরৎকালের মৃদু মৃদু বাতাস উপভোগ করছি

উপভোগ√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

9. একটা প্রকাণ্ড জোনাকির মতো জ্বলতে লাগল

জ্বলতে√লাগ্‌ – যৌগিক ধাতু।

10. বিকল হয়ে হাত-পা মুড়ে পড়ে গেল

পড়ে√গে – যৌগিক ধাতু।

11. ব্যাপার দেখে আমিও থমকে দাঁড়ালাম

থমকে√দাঁড়্ – যৌগিক ধাতু।

12. প্রহ্লাদ ক্রমাগত ইষ্টনাম জপ করছে

জপ√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

কর্ভাস

1. ল্যাবরেটরিতে কাক, চড়ুই, শালিক ঢুকতে আরম্ভ করেছে

আরম্ভ√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

2. আমার জানালার বাইরে জটলা করে

জটলা√কর্ – সংযোগমূলক ধাতু।

3. একটা ব্যাপারে রীতিমতো হকচকিয়ে গেছি

হকচকিয়ে√গে – যৌগিক ধাতু।

4. একটা চিঠি লিখে দিয়েছি

লিখে√দা – যৌগিক ধাতু।

5. গলা দিয়ে শব্দ করে উত্তর দেয়

উত্তর√দা > দে – সংযোগমূলক ধাতু।

6. কর্ভাসকে দিয়ে কথা বলানো চলবে না।

বলানো√চল্ – যৌগিক ধাতু।

7. নিউটন দেখছি কর্ভাসকে দিব্যি মেনে নিয়েছে

দেখ = √দেখা – সাধিত ধাতু।
মেনে√না > নে – যৌগিক ধাতু।

8. তিন দিন আগে মাস, বার, তারিখ শিখিয়ে দিয়েছিলাম

শিখিয়ে√দা > দেয়া – যৌগিক ধাতু।

9. কর্ভাস ঘুমিয়ে পড়েছিল

ঘুমিয়ে√পড়্ – যৌগিক ধাতু।

10. তুমি থাকো। আমি খেয়ে আসছি

খেয়ে√আস্ – যৌগিক ধাতু।

11. কাল রাত্রে ফিসফিসে গলা শুনেছি।

ফিসফিস = √ফিস ফিসা – ধ্বন্যাত্মক ধাতু।

স্বর্ণপর্ণী

1. আমি কত একা হয়ে পড়ব

হয়ে√পড় – যৌগিক ধাতু।

2. বেশ প্রসন্ন বোধ করছি

বোধ√কর – সংযোগমূলক ধাতু।

3. কলকাতায় যাই কলেজে পড়তে।

যাই√যা – মৌলিক ধাতু।

4. বছর চারেক অন্য বিষয় নিয়ে পড়

পড়√পড় – মৌলিক ধাতু।

5. জীবনটা রিসার্চেই কাটিয়ে দিতে চাস

দিতে√চা – যৌগিক ধাতু।

6. পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপকের কাজ পাই

কাজ√পা – সংযোগমূলক ধাতু।

7. শরীরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

√ঢুক্ + আ – সাধিত ধাতু
√দা + ওয়া – সাধিত ধাতু।

8. সোনেপত্তীর নাম শুনেছিস?

√শুন্ + আ – সাধিত ধাতু।

9. তুমি বেঁচে আছ!

√বাঁচ্ – বাংলা মৌলিক ধাতু
অস্ > √আছ্ – মৌলিক ধাতু।

10. সকলের মুখে হাসি ফুটে উঠল

√ফুট্ + আ – ধ্বন্যাত্মক ধাতু।
√ঊঠ + আ – সাধিত ধাতু।

11. কবি কিসের বাড়িটা দেখে এসো

√দেখ্ + আ – সাধিত ধাতু।
√আস্ + আ – সাধিত ধাতু।

12. সেগুলো কোথায় থাকে?

√থাক্ + আ – সাধিত ধাতু।

13. একটু দেখে নাও।

√দেখ্ + আ – সাধিত ধাতু।

14. সেই সঙ্গে রয়েছে নিরুদ্বিগ্ন জনস্রোত, ঝলমলে দোকানপাট।

√ঝলমল + আ – ধ্বন্যাত্মক ধাতু।

15. গাছের পাতা সব ঝরে গেছে।

√ঝর্ + আ – ধ্বন্যাত্মক ধাতু।

প্রত্যয়

ব্যুৎপত্তি কাকে বলে?

শব্দ তৈরি বা উৎপন্ন হবার পদ্ধতিকে বলে ব্যুৎপত্তি।

অভিধানে ‘প্রত্যয়’ শব্দের অর্থ কী?

অভিধানে ‘প্রত্যয়’ শব্দের অর্থ ‘বিশ্বাস’।

প্রকৃতি কী?

ধাতু বা শব্দের যে মূল অংশের সঙ্গে প্রত্যয় যোগ হয়, সেই মূল অংশকে প্রকৃতি বলে। উদাহরণ – রাঁধ্ + উনি = রাঁধুনি। এখানে রাঁধ্ প্রকৃতি।

‘ইৎ’ কাকে বলে?

যখন ধাতু বা শব্দের সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়, তখন প্রত্যয়টির কিছু অংশ ধাতু বা শব্দের সঙ্গে মিশে যায় আর বাকি অংশ লোপ পায়। প্রত্যয়ের এই লোপ পাওয়া অংশকে বলা হয় ইৎ। উদাহরণ – ফল + অন = ফলন (অ-লোপ)।

উপধা কাকে বলে উদাহরণসহ লেখো।

যে-কোনো শব্দের শেষ বর্ণের ঠিক আগের বর্ণকে বলা হয় উপধা। যেমন – ‘চল্’, ধাতুর শেষ বর্ণ ‘ল’ -এর পূর্ব বর্ণ হল ‘অ’ (চ্ + অ = চ)। সুতরাং ‘চল্’ ধাতুর উপধা হল ‘অ’। একইরকমভাবে ‘পশু’ শব্দের উপধা হল ‘শ্’।

প্রত্যয় কাকে বলে?

যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ ধাতু বা শব্দের মূল অংশের সঙ্গে যোগ করে নতুন ধাতু বা শব্দ তৈরি করা হয় এবং নতুন অর্থের প্রতীতি বা ধারণা হয়, তাকে প্রত্যয় বলে।

যেমন –

  • চল্ (ধাতু) + অন (প্রত্যয়) = চলন
  • মনু (নাম প্রকৃতি) + অ (প্রত্যয়) = মানব

উদাহরণগুলিতে দেখা যাচ্ছে প্রতিটি শব্দ গড়ে উঠেছে ধাতু এবং নাম প্রকৃতির পরে অন, অ প্রভৃতি ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ বা প্রত্যয় যোগ করে। এইভাবে ধাতু ও নাম প্রকৃতির পরে অ, আ, ঈ, ই, অন, ইক, তা প্রভৃতি প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠনে সাহায্য করে।

প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী?

প্রত্যয় প্রধানত দু-রকমের –

  1. কৃৎ প্রত্যয় ও
  2. তদ্ধিত প্রত্যয়।

কৃৎ প্রত্যয় কাকে বলে?

ধাতুর শেষে যে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। যেমন – তব্য, নীয়, ন্যৎ, যৎ, শতৃ, শানচ্, ক্রি, অন্ত প্রভৃতি।

কৃদন্ত শব্দ কাকে বলে?

কৃৎ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দকে কৃদন্ত শব্দ বলে। যেমন – ধৃ + তব্য = ধর্তব্য। ‘ধর্তব্য’ এখানে কৃদন্ত শব্দ।

করা উচিত বা করার যোগ্য – এরকম অর্থ বোঝাবার জন্য কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যে কী কী প্রত্যয় ব্যবহার করা হয়? এগুলি কী জাতীয় প্রত্যয়? প্রত্যেকটি যোগে একটি করে শব্দ গঠন করে দেখাও।

করা উচিত বা করার যোগ্য – এরকম অর্থ বোঝাবার জন্য কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যে তব্য, অনীয়, ণ্যৎ, যৎ, ক্যপ্ এই প্রত্যয়গুলি ব্যবহৃত হয়।

এগুলি সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।

শব্দ –

  • কৃ + তব্য = কর্তব্য।
  • শিক্ষ + অনীয় = শিক্ষণীয়।
  • আ + চর্ + ণ্যৎ = আচার্য।
  • পুণ + যৎ = পুণ্য।
  • দৃশ্ + ক্যপ = দৃশ্য।

কয়েকটি বাংলা কৃৎ প্রত্যয়ের উদাহরণ দাও। সেগুলি সহযোগে শব্দ গঠন করে দেখাও।

বাংলা কৃৎ-প্রত্যয় হল অ, আ, আই, আও, ইয়ে, উয়া, উক, ইত্যাদি।

শব্দ-

  • চল্ + অ = চল।
  • দেখ্ + আ = দেখা।
  • বাছ্ + আই = বাছাই।
  • চড়্ + আও = চড়াও।
  • লিথ্ + ইয়ে = লিখিয়ে।
  • উড়্ + উয়া = উড়ুয়া (উড়ুয়া > উড়ো)।
  • নিন্দ + উক = নিন্দুক।

তদ্ধিত প্রত্যয় কাকে বলে?

শব্দ বা নাম প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।

তদ্ধিতান্ত শব্দ কাকে বলে?

তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দকে তদ্ধিতান্ত শব্দ বলে। দশরথ (নাম শব্দ) + ষ্ণি (ই) (তদ্ধিত প্রত্যয়) দাশরথি (তদ্ধিতান্ত শব্দ)।

বাংলায় কত রকম তদ্ধিত প্রত্যয় হয়?

বাংলায় তিন রকম তদ্ধিত প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যথা –

  1. সংস্কৃত
  2. খাঁটি বাংলা
  3. বিদেশি।

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়ের কয়েকটি উদাহরণ দাও। সেগুলি সহযোগে শব্দগঠন করো।

আ, আল, আলো, আলি, আই, ইয়া, ই, ঈ ইত্যাদি হল বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়।

শব্দ –

  • তেল + আ = তেলা।
  • রস + আল = রসাল।
  • ঘটক + আলি = ঘটকালি।
  • চোর + আই = চোরাই।
  • আদর + ইয়া = আদরিয়া > আদুরে।
  • দাম + ই = দামি।
  • আলাপ + ঈ = আলাপী।

কয়েকটি বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়ের নাম লেখো এবং শব্দ গঠন করে দেখাও।

আনা, আনি, খানা, গিরি, গর, খোর, দার, বাজ, নবিশ, সহি (সই), ওয়ান, স্তান ইত্যাদি হল বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়।

শব্দ –

  • বাবু + আনা = বাবুয়ানা।
  • বিবি + আনি = বিবিয়ানি।
  • ছাপা + খানা – ছাপাখানা।
  • গুরু + গিরি = গুরুগিরি।
  • কারি + গর = কারিগর।
  • নেশা + খোর = নেশাখোর।
  • ঠিকা + দার = ঠিকাদার।
  • চাল + বাজ = চালবাজ।
  • নকল + নবিশ = নকলনবিশ।
  • মানান + সই = মানানসই।
  • দার + ওয়ান = দারোয়ান।
  • হিন্দু + স্তান = হিন্দুস্তান।

অপত্যার্থক তদ্ধিত প্রত্যয় কাকে বলে?

ষ্ণ (অ), ষ্ণি (ই), ষ্ণ্য (য), ষ্ণেয় (এয়), ষ্ণায়ন (আয়ন) – এই তদ্ধিত প্রত্যয়গুলি পুত্র, বংশধর, গোত্রজাত কিংবা বিকার, স্বভাব, ভক্ত, উপাসক, ভাব প্রভৃতি অর্থে ব্যবহৃত হয়। এই তদ্ধিত প্রত্যয়গুলির মুখ্য অর্থ অপত্য বলে এইসব প্রত্যয়গুলিকে অপত্যার্থক তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যেমন – যদু + ষ্ণ = যাদব, দশরথ + ষ্ণি = দাশরথি, চণক + ষ্ণ্য = চাণক্য, অতিথি + ষ্ণেয় = আতিথেয়, নর + ষ্ণায়ণ = নারায়ণ। এগুলি মূলত সংস্কৃত প্রত্যয়।

তুলনাবাচক তদ্ধিত প্রত্যয় কোনগুলি? উদাহরণ দাও।

‘তর’, ‘তম’ এই দুটি সংস্কৃত প্রত্যয়কে বলা হয় তুলনাবাচক তদ্ধিত প্রত্যয়। যেমন – বৃহৎ + তর = বৃহত্তর, বৃহৎ + তম = বৃহত্তম।

স্বার্থিক প্রত্যয় কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে-সমস্ত প্রত্যয় যোগে মূল শব্দের অর্থের কোনো পরিবর্তন হয় না, মূল শব্দ এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দের অর্থ একই থাকে তাকে স্বার্থিক প্রত্যয় বলে।

যেমন –

  • দেব + তা (স্বার্থিক প্রত্যয়) = দেবতা
  • বাল + ক (স্বার্থিক প্রত্যয়) = বালক
  • বন্ধু + ষ্ণ্য (স্বার্থিক প্রত্যয়) = বান্ধব
  • ধনু + ক (স্বার্থিক প্রত্যয়) = ধনুক

কোন্ প্রত্যয়যুক্ত শব্দের কর্তৃকারকের প্রথমা বিভক্তির একবচনের রূপগুলি বাংলায় ব্যবহৃত হয়?

‘তৃচ্’ -প্রত্যয়যুক্ত শব্দের কর্তৃকারকের প্রথমা বিভক্তির একবচনের রূপগুলি বাংলায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন – ভ্রাতা, মাতা, পিতা ইত্যাদি।

বৃত্তি অর্থে, আছে অর্থে, নিন্দা ও অবজ্ঞা অর্থে এবং উৎপন্ন, যুক্ত ও আসক্ত অর্থে বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় উয়া/ও -এর ব্যবহার দেখাও।

  • বৃত্তি অর্থে – মাছ + উয়া (মাছুয়া>মেছো)
  • আছে অর্থে – টাক + ও = টেকো,
  • নিন্দা বা অবজ্ঞা অর্থে – যদু + ও = (>উয়া) = যেদো,
  • উৎপন্ন, যুক্ত ও আসক্ত অর্থে – গাছ + ও = গেছো।

‘কল্প’ প্রত্যয় মূলত কোন্ অর্থে যুক্ত হয়? উদাহরণ দাও।

‘কিছু কম’ বা ‘প্রায়’ অর্থে ‘কল্প’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন –

  • পিতৃ + কল্প পিতৃকল্প (প্রায় পিতার মতো),
  • মৃত + কল্প = মৃতকল্প (প্রায়-মৃত)

প্রত্যয় ও বিভক্তির পার্থক্য লেখো।

প্রত্যয় ও বিভক্তির পার্থক্য –

  • ধাতু বা শব্দে প্রথমে প্রত্যয় যোগ হয়, পরে বিভক্তি আসে। শব্দে শব্দবিভক্তি বা ধাতুতে ধাতুবিভক্তি যোগ করার পর আর কোনো প্রত্যয় যোগ করা চলে না।
  • প্রত্যয়যুক্ত হলেও ধাতু বা শব্দ ধাতু বা শব্দই থাকে, বাক্যে প্রযুক্ত হবার উপযুক্ততা লাভ করে না। কিন্তু ধাতু বা শব্দ বিভক্তিযুক্ত হয়ে বাক্যে স্থানলাভের যোগ্যতা পায়।

কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়ের অপর নাম কী?

কৃ প্রত্যয় ও শব্দ প্রত্যয়ের অপর নাম হল যথাক্রমে ধাতু প্রত্যয় এবং শব্দ প্রত্যয়।

কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়ের পার্থক্য লেখো।

কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়ের পার্থক্য –

  • কৃৎ প্রত্যয় ধাতুতে, তদ্ধিত প্রত্যয় শব্দে যুক্ত হয়।
  • কৃৎ প্রত্যয়ে বাচ্য সম্পর্ক থাকে, তদ্ধিত প্রত্যয়ে থাকে না।
  • ধাতুর পর একটিমাত্র কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয় (ধাত্ববয়ব) কিন্তু একাধিক তদ্ধিত প্রত্যয় শব্দের পরে যুক্ত হতে পারে।

কৃৎ প্রত্যয় ও ধাত্ববয়ব প্রত্যয়ের একটি পার্থক্য লেখো।

কৃৎ প্রত্যয় ও ধাত্ববয়ব প্রত্যয়ের মূল পার্থক্য হল – কৃৎ প্রত্যয় ধাতুর পরে যোগ হয়। কিন্তু ধাত্ববয়ব প্রত্যয় ধাতু ও নাম শব্দের পরে যোগ হয়।

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো

প্রত্যয় যোগ হয় –

  1. ধাতুর সঙ্গে
  2. উপসর্গের সঙ্গে
  3. বাক্যের সঙ্গে
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 1. ধাতুর সঙ্গে

স্ত্রী প্রত্যয় মূলত –

  1. কৃৎ প্রত্যয়
  2. স্বার্থিক প্রত্যয়
  3. তদ্ধিত প্রত্যয়
  4. ধাত্ববয়ব প্রত্যয়

উত্তর – 3. তদ্ধিত প্রত্যয়

‘গায়ক’ শব্দটির প্রকৃতি প্রত্যয় –

  1. গে + অক
  2. গৈ + যক
  3. গৈ + য়াক
  4. গৈ + ণক

উত্তর – 4. গৈ + ণক

‘কর্তব্য’ শব্দটির প্রকৃতি প্রত্যয় –

  1. কঃ + তব্য
  2. কৃ + তব্য
  3. কি + তব্য
  4. কৃর + তব্য

উত্তর – 2. কৃ + তব্য

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তদ্ধিত প্রত্যয় মোট –

  1. এক প্রকার
  2. তিন প্রকার
  3. পাঁচ প্রকার
  4. সাত প্রকার

উত্তর – 2. তিন প্রকার

‘ভৌগোলিক’ শব্দটির প্রকৃতি-প্রত্যয় –

  1. ভূগোল + ষ্ণ
  2. ভূ + গৌলিক
  3. ভূগোল + লিক
  4. ভূগোল + ষ্ণিক

উত্তর – 4. ভূগোল + ষ্ণিক

‘জ্যোতির্ময়’ শব্দটির প্রকৃতি-প্রত্যয় –

  1. জ্যোতিঃ + ময়
  2. জ্যোতিঃ + ময়ট
  3. জ্যোতির + ময়ট
  4. জ্যোতি + ময়

উত্তর – 2. জ্যোতিঃ + ময়ট

‘আনা’ হল –

  1. কৃৎ প্রত্যয়
  2. বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়
  3. বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়
  4. পূর্বোক্ত কোনোটাই নয়

উত্তর – 3. বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়

নিম্নলিখিত শব্দগুলির ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করো –

  • গন্তব্য = গম্ + তব্য।
  • দর্শন = দৃশ + অন্।
  • কর্তব্য = কৃ + তব্য।
  • গাঙ্গেয় = গঙ্গা + ষ্ণেয় (এয়)।
  • চলন্ত = চল্ + অন্ত।
  • মামলাবাজ = মামলা + বাজ।
  • বর্তমান = বৃৎ + শানচ্।
  • সহিষ্ণু = সহ + ইষ্ণু।
  • শৈব = শিব + অ।
  • সৌমিত্র = সুমিত্রা + অ(ষ্ণু)।
  • তন্ময় = তৎ + ময়ট।
  • রক্ত = রনজ্ + ত।
  • জগৎ = গম্ + ষ্ণিপ্ (শূন্য)।
  • নাগরিক = নগর + ষ্ণিক।
  • ভৌগোলিক = ভূগোল + ষ্ণিক।
  • ফন্দিবাজ = ফন্দি বাজ।
  • রামায়ণ = রাম + ষ্ণায়ন।
  • আণবিক = অণু + ইক (ষ্ণিক)।
  • দয়ালু = দয়্+ আলু।
  • পিপাসা = পা + সন্ + অ + আ।
  • রাবণি = রাবণ + ষ্ণি।
  • গাড়োয়ান = গাড়ি + ওয়ান।
  • শারীরিক = শরীর + ষ্ণিক।
  • দাশরথি = দশরথ + ষ্ণি।
  • চিন্ময় = চিৎ + ময় (ময়)।
  • ধারালো = ধার + আলো।
  • পাহারাওয়ালা = পাহারা ওয়ালা।
  • মানবিক = মনু + ইক (ষ্ণিক)।
  • জীবন্ত = জীব + অন্ত।
  • দাতব্য = দা + তব্য।
  • জিজ্ঞাসা = জ্ঞা + সন্ + অ + আ।
  • দর্শনীয় = দৃশ্ + অনীয়।
  • লাবণ্য = লবণ + য (ষ্ণ্য)।
  • ধীমান = ধী + মান্ (মতুপ্)।
  • সৌমিত্রি = সুমিত্রা + ষ্ণি (ই)।
  • পুণ্যবান = পুণ্য + বান (বতুপ্)।
  • নীলিমা = নীল + ‘ইমন’ প্রথমার একবচন।
  • ফেরিওয়ালা = ফেরি + ওয়ালা।
  • রাঘব = রঘু + অ (ষ্ণ)।
  • মহত্ত্ব = মহৎ + ত্ব।
  • ধনবান = ধন + বান (বতুপ্)।
  • বর্ধমান = বৃধ + শানচ্।
  • পূজারি = পূজা + আরি।
  • মোগলাই = মোগল + আই।
  • পঙ্কজ = পঙ্ক + জন্‌ + ড।
  • ডুবুরি = ডুব্‌ + উরি।
  • ফাঁকিবাজ = ফাঁকি + বাজ।
  • লাজুক = লাজ্ + উক।
  • বিদ্যমান = বিদ্‌ + মান (< সং. শানচ্)।
  • ভাড়াটিয়া = ভাড়া + টিয়া।
  • পৌরাণিক = পুরাণ + ইক (< সং. ষ্ণিক)।
  • ঢাকাই = ঢাকা + আই।
  • মৃন্ময় = মৃৎ + ময় (ময়ট্)।
  • বন্দনীয় = বন্দ্‌ + অনীয়।
  • কান্না = কাঁদ্‌ + না।
  • চলমান = চল্ + মান।
  • বৃষ্টি = বৃষ + তি (ক্তি)।
  • জ্বলুনি = জ্বল্ + অনি।
  • জনক = জন্ + অক।
  • পাঠক = পঠ + অক।
  • পাচক = পচ্ + অক।
  • খেলনা = খেল্ + অনা।
  • জলীয় = জল + ষ্ণীয়।
  • দেশীয় = দেশ + ষ্ণীয়।
  • বঙ্গীয় = বঙ্গ+ ষ্ণীয়।
  • রাধেয় = রাধা + ষ্ণেয়।
  • প্রাক্তন = প্রাক্ + তন।
  • বেহায়াপনা = বেহায়া + পনা।
  • ফলবন্ত = ফল + বন্ত।
  • গুণপনা = গুণ + পনা।
  • পেটুক = পেট + উক।
  • জাদুগর = জাদু + গর।
  • ডুবো = ডুব্‌ + অ।
  • ঝোঁক = ঝুঁক্ + অ।
  • দুহিতা = দুহ্ + তৃচ্।
  • লভ্য = লভ্ + য।
  • ফলাও = ফল + আও।
  • ছাত্র = ছত্র + ষ্ণ।
  • বৈশাখ = বিশাখা + ষ্ণ।
  • সাম্য = সম + ষ্ণ্য।
  • শান্ত = শম্ + ক্ত।
  • পানীয় = পা + অনীয়।
  • বাঁশি = বাঁশ + ই।
  • বুদ্ধিমান = বুদ্ধি + মতুপ্।
  • দৈত্য = দিতি + য।
  • ভূমিকা = ভূমি + ক + আ।
  • বান্ধব = বন্ধু + ষ্ণ্য।

প্রয়োগ ও নির্ণয়মূলক প্রশ্নোত্তর

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি

1. ঘন ঘন শুনি চারি মেঘের গর্জন।

শুনি = শুন্ +ই।

2. গর্ত ছাড়ি ভুজঙ্গ ভাসিয়া বুলে জলে।

ভাসিয়া = ভাস্ + ইয়া।

3. আছুক শস্যের কার্য হেজ্যা গেল ঘর।

আছুক = আছ্ + উক্।

4. উঠে পড়ে ঘরগুলা করে দলমল।

উঠে = উঠ্ + এ।

5. বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়।

ভবন = ভূ + অন্।

6. ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর।

উড়িল = উড়্ + ইল।

7. কলিঙ্গে উড়িয়া মেঘ ডাকে উচ্চনাদ।

উড়িয়া = উড়্ + ইয়া।

8. উলটিয়া পড়ে শস্য প্রজা চমকিত

চমকিত = চমক্ + ইত।

নোঙর

1. যতই মাস্তুলে বাঁধি পাল।

বাঁধি = বাঁধ + ই।

2. স্রোতের প্রবল প্রাণ করে আহরণ

আহরণ = আ-হ্ + অনট্।

3. নিস্তব্ধ মুহূর্তগুলি সাগরগর্জনে ওঠে কেঁপে।

গর্জন = গর্জ + অন (অনট্)।

4. তারপর ভাঁটার শোষণ

শোষণ = শুষ + ণিচ্ + অনট্।

খেয়া

1. সভ্যতার নব নব কত তৃষ্ণা ক্ষুধা।

সভ্যতা = সভ্য + তা।

2. রক্তপ্রবাহের মাঝে ফেনাইয়া উঠে।

ফেনাইয়া = ফেনা + ইয়া।

আকাশে সাতটি তারা

1. জানি নাই এত স্নিগ্ধ গন্ধ ঝরে রূপসীর চুলের বিন্যাসে।

স্নিগ্ধ = স্নিহ্ + ত (ক্ত)।

2. কিশোরের পায়ে দলা মুথাঘাস-লাল লাল বটের ফলের।

ঘাস = অদ্‌ + অ (ঘঞ্)।

3. আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে আমি এই ঘাসে।

আকাশ = আ-কাশ্ + ত (ঘঞ্)।

4. বাংলার নীল সন্ধ্যা-কেশবতী কন্যা যেন এসেছে আকাশে।

সন্ধ্যা = সম্ + ধ্যৈ + অ (ঘঞ্) + আ।

5. পৃথিবীর কোনো পথ এ কন্যারে দেখে নি কো-দেখি নাই অত।

পৃথিবী = পৃথু + ঈ।

আবহমান

1. ফুরয় না সেই একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা

পিপাসা = পা-সন্ + অ + আ।
দুরন্ত = দু-রন্ + ক্ত।

2. যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া

দাঁড়া = দাঁড়্ + আ।

3. সারাটা দিন আপন মনে ঘাসের গন্ধ মাখে।

ঘাস = অদ্‌ + অ(ঘঞ)।

4. নেভে না তার যন্ত্রণা যে, দুঃখ হয় না বাসী

যন্ত্রণা = যন্ত্র-অন + আ।
বাসী = বাস্ + ঈ।

ভাঙার গান

1. রক্ত জমাট শিকল-পূজার পাষাণ বেদী

রক্ত = রনজ্ + ক্ত।
বেদী = বিদ্‌ + ঈ।

2. ওরে ও তরুণ ঈশান

তরুণ = √ত্ + উন।
ঈশান = √ঈশ্ + আন।

3. বাজা তোর প্রলয় বিষান

বিষান = √বিষ্ + আন।
প্রলয় = প্র + √লী + অ।

4. ধ্বংস নিশান উড়ুক।

ধ্বংস = √ধ্বনস্ + অ।

5. কে দেয় সাজা মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে?

মুক্ত = √মুচ্ +ক্ত।

6. সর্বনাশী শিখায় এ হীন তথ্য কে রে?

সর্বনাশী = সর্বনাশ + ঈ।

7. হা হা হা পায় যে হাসি

হাসি = হাস্ +ই।

8. মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে।

ডাক = ডাক্ + অ।

9. দেরে দেখি ভীম কারার ওই ভিত্তি নাড়ি।

দেখি = দেখ্ +ই।
ভিত্তি = ভিদ্‌ + তি।

10. আগুন জ্বালা

জ্বালা = জ্বাল্ + আ।

আমরা

1. বিপাল আর ধীমান, যাদের নাম অবিনশ্বর।

ধীমান = ধী + মান (মতুপ)।

2. বাংলার রবি জয়দেব কবি কান্ত কোমল পদে।

কান্ত = কাম্ + ত।

3. আমাদেরি এই কুটীরে দেখেছি মানুষের ঠাকুরালি

ঠাকুরালি = ঠাকুর + আলি।

4. বীর সন্ন্যাসী বিবেকের বাণী ছুটেছে জগৎময়

জগৎময় = জগৎ + ময়ট।

5. মোদের নব্য রসায়ন শুধু গরমিলে মিলাইয়া।

রসায়ন = রস + আয়ন।

6. মুক্তবেণীর গঙ্গা যেথায় মুক্তি বিতরে রঙ্গে।

মুক্তি = মুচ্ + তি।

7. ভালে কাঞ্চন-শৃঙ্গ-মুকুট, কিরণে ভুবন মালা।

কাঞ্চন = কাঞ্চন+অ।
কিরণ = কৃ + অন।

8. চরণে পদ্ম, অতসী অপরাজিতায় ভূষিত দেহ।

অতসী = অত + অস + ঈ (স্ত্রী) প্রত্যয়।

9. সিংহল নামে রেখে গেছে নিজ শৌর্যের পরিচয়।

শৌর্য = শূর + য।

10. বাঙালি অতীশ লঙ্ঘিল গিরি তুষারে ভয়ংকর।

লঙ্ঘিল = লনঘ্ + অন = লঙ্ঘন + ইল।

11. করেছে সুরভি সংস্কৃতের কাঞ্চন-কোকনদে।

সুরভি = সু-রভ্ + ই।

12. শ্যাম-কম্বোজে ‘ওঙ্কার ধাম’ – মোদেরি প্রাচীন কীর্তি

কীর্তি = কৃত + তি।

13. ধেয়ানের ধনে মূর্তি দিয়েছে আমাদের ভাস্কর

মূর্তি = মূর্ছ + তি।
ভাস্কর = ভাস্ + ক্ + অ।

ইলিয়াস

1. এইভাবে পঁয়ত্রিশ বছর পরিশ্রম করে সে প্রচুর সম্পত্তি করে ফেলল।

সম্পত্তি = সম্ + পদ্‌ + তি।

2. ভাড়াটে মজুরানিরা দুধ দেয়।

ভাড়াটে = ভাড়া + টিয়া > ভাড়াটিয়া > ভাড়াটে।

3. ‘আচ্ছা বাবাই, আমাদের দেখে তোমার অতীত জীবনের সুখ-সমৃদ্ধির কথা স্মরণ করে এবং এখনকার দুরবস্থার কথা ভেবে কি খুব কষ্ট হচ্ছে?’

সমৃদ্ধি = সম্ + ঋধ্ + ত (র্তৃ) + ই।

4. কিন্তু বড়োলোক হওয়ার পরে তারা আয়েশি হয়ে উঠল।

আয়েশি = আয়েশ + ই।

5. অন্তরের কথা ভাববার সময় নেই, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবার সময় নেই।

প্রার্থনা = প্র + অর্থ + অন্ (ভা) + আ।

দাম

1. ওঁরা নিজেরা ছাড়া ওঁদের কাগজের বিশেষ পাঠক নেই।

পাঠক = পঠ্ + অক।

2. বলতে বলতে জামার পকেট থেকে বের করলেন শতচ্ছিন্ন এক জীর্ণ পত্রিকা।

ছিন্ন = ছিদ্‌ + ত।

3. অতএব আতিথ্য নিতে যেতে হবে ওখানে।

আতিথ্য = অতিথি + ষ্ণ্য।

4. গাধাটাই পঞ্চত্ব পায়।

পঞ্চত্ব = পঞ্চ + ত্ব। 

5. রোমাঞ্চিত কলেবরে আমি।

রোমাঞ্চিত = রোমাঞ্চ + ইত।

6. অল্পের জন্য ফুলদানিটা রক্ষা পেল।

ফুলদানি = ফুল + দানি।

7. সুতরাং দাক্ষিণ্য পুলকিত চিত্তে আমি বললুম।

দাক্ষিণ্য = দক্ষিণ + য।

পুলকিত = পুলক + ইত।

8. স্মৃতির অন্ধকার থেকে একটা ভয়ের মৃদু শিহরণ।

অন্ধকার = অন্ধ-কৃ + অ।

9. বেঁচে থাকো বাবা, যশস্বী হও।

যশস্বী = যশস্ + ঈ।

10. আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে।

ছাত্র = ছত্র + ষ্ণ।

11. এমন কোনো স্মরণীয় ঘটনা ঘটেনি।

স্মরণীয় = স্মৃ + অনীয়।

নিরুদ্দেশ

1. কীরকম অভিমানী জানো তো।

অভিমানী = অভিমান + ঈ।

2. খানিক এদিক-ওদিক বিমূঢ়ভাবে ঘুরে একদিকের একটা অফিসঘরে ঢুকে পড়ে নিরীহ চেহারার এক ভদ্রলোককে বেছে নিয়ে সাহস করে জিজ্ঞাসা করেন।

জিজ্ঞাসা = জ্ঞা + সন্ + অ + আ।

3. এমন বিনি পয়সার হোটেলখানা পাবে কোথায়?

হোটেলখানা = হোটেল + খানা।

4. সে বিস্মিত কণ্ঠে বলল – ‘আপনারা কি আমাকে চিনতে পারছেন না?’

বিস্মিত = বিস্ময় + ইত।

5. মৃত্যুপথযাত্রীকে এই শেষ সান্ত্বনাটুকু দেবার জন্য জমিদার নিজে তাঁকে কাতর জানিয়েছেন।

জমিদার = জমি + দার।

6. দু-বছরে সেখানে কিছু কিছু পরিবর্তন হয়েছে।

পরিবর্তন = পরি-বৃৎ + অন (অনট্)।

7. চারিধারের সব কটা দৃষ্টি তার ওপর ভাবে নিবদ্ধ।

দৃষ্টি = দৃশ্ + তি।

রাধারাণী

1. কোনো প্রকারে শারীরিক পরিশ্রম করিয়া দিনপাত করিতে লাগিল।

শারীরিক = শরীর + ইক (ষ্ণিক)।

2. রাধারানীর বিবাহ দিতে পারিল না।

বিবাহ = বি-বহ্ + অ।

3. বনফুল তুলিয়া তাহার মালা গাঁথিল

গাঁথিল = গাঁথা + ইল।

4. মোকদ্দমাটি বিধবা হাইকোর্টে হারিল।

বিধবা = বি + ধব + আ।

5. সন্ধ্যা হইল-রাত্রি হইল-বড়ো অন্ধকার হইল।

সন্ধ্যা = সম্ + ধ্যৈ + অ + আ।

6. অলঙ্কারাদি বিক্রয় করিয়া……।

অলঙ্কার = অলম্ + কৃ + অ।

7. চক্ষুঃ বারি বর্ষণ করিতেছিল।

বর্ষণ = বৃষ্ + অন।

8. তাহার উপবাস

উপবাস = উপ-বস্ + অ।

9. অন্ধকার পথ কদমময়, পিচ্ছিল-কিছুই দেখা যায় না।

অন্ধকার = অন্ধ-কৃ + অ।

10. কিন্তু বড়ো দয়ালু লোকের কথা।

দয়ালু = দয়্ + আলু।

11. স্থান পরিষ্কার করে মাকে অন্ন দিবে।

পরিষ্কার = পরি-কৃ + অ (স্ আগম)।

12. কিন্তু কণ্ঠস্বর শুনিয়া রাধারানীর রোদন বন্ধ হইল।

রোদন = রুদ্ + অন।

13. তুমি দাঁড়াও, আমি আলো জ্বালি

জ্বালি = জ্বাল্ + ই।

চন্দ্রনাথ

1. দীর্ঘ এত দিনের জীবনইতিহাসের মধ্যে কয়টি পাতা।

জীবন = জীব্‌ + অনট্।
ইতিহাস = ইতিহ্-অস্ + ঘঞ্।

2. নক্ষত্রের মতো দীপ্তিতে পরিধিতে, প্রদীপ্তপ্রধান হইয়া আছে।

নক্ষত্র = ন-ক্ষি + ত্র।
দীপ্তি = দীপ্ + তি।
পরিধি = পরি-ধা + ই।
প্রদীপ্ত = প্র-দীপ্ + ক্ত (ত)।
প্রধান = প্র-ধা + অন।

3. খড়াধারী ভীমকায় আকৃতির সঙ্গে চন্দ্রনাথের আকৃতির একটা সাদৃশ্য আছে।

আকৃতি = আকৃতি + ক্রিয়া।
সাদৃশ্য = সদৃশ + য।

4. প্রলয়ংকর দাহ্য বস্তু সমাবিষ্ট হয়।

দাহ্য = দহ্ + য।

4. আলোকিত কক্ষের মধ্যে একা বসিয়া চন্দ্রনাথ।

আলোকিত = আলোক + ইত।

5. অলীক কায়াময় ছায়া।

অলীক = অল + ঈক।
কায়াময় = কায়া + ময়ট্।

6. আমার স্মৃতি-স্মরণে বাধা দিয়া তাহারই দিকে আমাকে আকর্ষণ করিতেছে।

স্মরণ = স্মৃ + অনট্।
আকর্ষণ = আ-কৃ + অনট্।

7. ঘরখানা প্রগাঢ় অন্ধকারে ভরিয়া উঠিল।

ঘরখানা = ঘর + খানা।
প্রগাঢ় = প্র-গাহ্ + ক্ত।
অন্ধকার = অন্ধ + কৃ + অণ্।

8. অতীতের রূপ এই অন্ধকার।

অতীত = অতি-ই + ক্ত।

9. দিবসটি অবসান হইয়া তমসা-পারাপারের মধ্যে ডুব দিল।

অবসান = অব-সো + অনট্।
তমসা = তম + অসচ্ + আ।

10. চন্দ্রনাথের ললাটে শিরার চিহ্ন দেখা যায়।

ললাট = লল + অল্ + অট্ + অন্।

11. চিন্তাকুল বিমর্ষ নেত্র।

বিমর্ষ = বি-মৃষ্ + অল্ + অনট্।

12. চন্দ্রনাথের আঘাতে সমস্ত স্কুলটা চঞ্চল।

আঘাত = আ-হন্ + ঘঞ্।

13. দারিদ্র্য-জীর্ণ স্বল্পালোকিত চন্দ্রনাথের ঘরখানা।

দারিদ্র্য = দরিদ্র + ষ্ণ্য।

14. তাহার কাছে গিয়া দাঁড়াইলাম

দাঁড়াইলাম = দাঁড়্ + আ + ইলাম।

15. কোনো অভ্যর্থনা করিল না।

অভ্যর্থনা = অভি-অর্থ + অন + আপ্।

16. নিজেই প্রশ্ন করিলাম।

প্রশ্ন = প্রচ্ছ্ + নঙ।

17. কাগজখানা আমার সম্মুখে ফেলিয়া দিল।

কাগজখানা = কাগজ + খানা।

18. দাম্ভিকটা যেন ফেল হয়।

দাম্ভিক = দম্ভ + ষ্ণিক্।
দাম্ভিকটা = দাম্ভিক + টা।

19. এ কামনাও বোধ হয় করিয়াছিলাম।

কামনা = কম্ + ণিচ্ + অন + আ।

20. তোমার অক্ষমতার অপরাধ

অপরাধ = অপ্-রাধ্ + ঘঞ্।

21. তুমি এই পত্র প্রত্যাখ্যান কর।

প্রত্যাখ্যান = প্রতি-আ-খ্যা + অনট্।

22. চোখের দৃষ্টিতে বেদনাক্রোধ

বেদনা = বিদ্‌ + অন + আ।
ক্রোধ = ক্রুধ + অল্।

23. প্রীতিভোজের নিমন্ত্রণ পাইলাম।

নিমন্ত্রণ = নি-মন্ত্র + অনট্।

24. লাবণ্যময় দেহ।

লাবণ্যময় = লবন + ষ্ণ্য + ময়ট্।

25. মোহময় দৃষ্টি।

মোহময় = মুহ্ + অল্ + ময়ট্।

26. সে দীপ্তি কোমল স্নিগ্ধ

স্নিগ্ধ = স্নিহ্ + ক্ত।

27. মানুষটি এন্ডির চাদরখানি গায়ে দিয়া আসিতেছেন।

চাদরখানি = চাদর + খানি।

28. সাহিত্যচর্চাটা পড়ার সময় একটু কম করো বাবা।

সাহিত্য = সহিত + ষ্ণ্য।

নব নব সৃষ্টি

1. বাঙালির চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান

বিদ্যমান = বিদ্‌ + মান।

2. কোনো নূতন চিন্তা, অনুভূতি কিংবা বস্তুর জন্য নবীন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ধার করার কথা না ভেবে আপন ভাণ্ডারে অনুসন্ধান করে।

সংস্কৃত = সম্ + কৃ + ত।

3. বিশেষ করে দর্শন, নন্দনশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা ইত্যাদি জ্ঞান এবং ততোধিক প্রয়োজনীয় বিজ্ঞানের শব্দ আমরা চাই।

দর্শন = দৃশ্ + অন।

4. ভারতবর্ষে সেই সংঘর্ষের ফলে সিন্ধি, উর্দু ও কাশ্মীরি সাহিত্যের সৃষ্টি হয়।

কাশ্মীরি = কাশ্মীর + ই।

5. হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন – বহু সাহিত্যিক উঠে পড়ে লেগেছেন হিন্দি থেকে আরবি, ফার্সি এবং ইংরেজি শব্দ তাড়িয়ে দেবার জন্য।

সাহিত্যিক = সাহিত্য + ইক।

6. নিয়েছি এবং এখনও সজ্ঞানে আপন খুশিতে নিচ্ছি।

সজ্ঞানে = স-জ্ঞা + অ (ঘঞ) + এ।

7. ‘বসুমতী’র সম্পাদকীয় রচনার ভাষা এক-তাতে আছে গাম্ভীর্য, ‘বাঁকা চোখে’র ভাষা ভিন্ন তাতে থাকে চটুলতা।

গাম্ভীর্য = গম্ভীর + য।

8. উর্দুতে কবি ইকবালই এ তত্ত্ব সম্যক হৃদয়ঙ্গম করেছিলেন ও নতুন সৃষ্টির চেষ্টা করে উর্দুকে ফার্সির অনুকরণ থেকে কিঞ্চিৎ নিষ্কৃতি দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।

নিষ্কৃতি = নিঃ-কৃ + তি।

হিমালয় দর্শন

1. সুখের বিষয় বাঘ নাই, তাই নির্ভয়ে বেড়াইতে পারি, আমরা নির্জন বন্য পথেই বেড়াইতে ভালোবাসি।

নির্জন = নি-জন্ + অ।

2. নিম্ন উপত্যকায় নির্মল শ্বেত কুজঝটিকা দেখিয়া সহসা নদী বলিয়া ভ্রম জন্মে।

নির্মল = নি-মল্ + অ।

2. ভুটিয়ানিরা সাত গজ লম্বা কাপড় ঘাঘরার মতো করিয়া পড়ে।

ভুটানিয়া = ভুটান + ইয়া।

3. যত দেখি, ততই দর্শন পিপাসা শতগুণ বাড়ে।

দর্শন = দৃশ্ + অন।

4. বলি, প্রাণটাও কেন ঐ নির্ঝরের ন্যায় বহিয়া গিয়া পরমেশ্বরের চরণপ্রান্তে লুটাইয়া পড়ে না?

চরণ = চর্ + অন।

চিঠি

1. সবকিছু চাক্ষুষ দেখতে….।

চাক্ষুষ = চক্ষুস্ + অ।

2. তোমাকে লেখা ভালো….।

লেখা = লিখ্ + আ।

3. তোমার ধমনিতে প্রবাহিত

প্রবাহিত = প্রবাহ + ইত।

4. এ দেশের দুঃখ, কুসংস্কার

কুসংস্কার = কু-সম্ + কার (কৃ+অ)।

5. ইউরোপীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্য

স্বাচ্ছন্দ্য = স্ব-ছন্দ + য।

6. এসব সত্ত্বেও যদি তুমি কর্মে প্রবৃত্ত।

সত্ত্বে = সৎ + ত্ব + এ।

7. তিনি আজন্ম নেত্রী

নেত্রী = নী + তৃচ্ + ঈ।

8. বনিয়ে চলা অসম্ভব।

বনিয়ে = বন্ + ইয়ে।

9. তাঁর বর্তমান সংকল্প।

বর্তমান = বৃৎ + শানচ্।

10. তাঁর সহৃদয়তা অমায়িকতার পরিচায়ক।

সহৃদয়তা = স-হৃদ্‌ + অয় + তা।

11. দূর থেকে বন্ধুত্ব করাই ভালো।

বন্ধুত্ব = বন্ধু + ত্ব।

12. এত স্নেহময়ী তিনি।

স্নেহময়ী = স্নেহময় + ঈ।

13. আমাদের উপর মুরুব্বিয়ানা করতে আসেনি।

মুরুব্বিয়ানা = মুরুব্বি + আনা।

14. আমার বিশেষ উপকারী বন্ধু।

উপকারী = উপ-কৃ + ঈ।

15. পথের একঘেয়েমি দূর হতে পারে।

একঘেয়েমি = একঘেয়ে + আমি।

16. চিঠি পেয়ে সুখী হয়েছি।

সুখী = সুখ + ঈ।

ধীবর-বৃত্তান্ত

1. তা প্রভু যা আদেশ করেন।

আদেশ = আ-দশ্ + অ।

2. আপনারা শান্ত হন।

শান্ত = শম্ + ত।

3. সেই বৃত্তি নিন্দনীয় (ঘৃণ্য) হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।

নিন্দনীয় = নিন্দ্‌ + অনীয়।
পরিত্যাগ = পরি-ত্যজ্ + অ (ঘঞ্)।

4. দয়াপরায়ণ হলেও যজ্ঞীয় পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকেন।

যজ্ঞীয় = যজ্ঞ + ঈয়।

5. তা একবার অনুসন্ধান করে দেখতে হবে।

অনুসন্ধান = অনু-সম্-ধা + অন্ (অনট্)।

6. প্রভু, অনুগৃহীত হলাম।

অনুগৃহীত = অনু-গ্রহ্ + ত(ক্ত)।

7. এখন থেকে তুমি আমার একজন বিশিষ্ট প্রিয় বন্ধু হলে।

বিশিষ্ট = বি-শিম্ + ত (ক্ত)।

8. আপনারা অনুগ্রহ করে শুনুন।

অনুগ্রহ = অনু-গ্রহ্ + অ (অচ্)।

9. মহারাজকে নিবেদন করে তাঁর আদেশ নিয়ে ফিরছি।

নিবেদন = নি-বিদ্‌ + অন (অনট্)।

10. দামি রত্ন বসানো বলেই আংটিটা রাজার কাছে মূল্যবান মনে হয়েছে-এমনটা আমার মনে হয় না।

মূল্যবান = মূল্য + বতুপ।

ব্যোমযাত্রীর ডায়রি

1. তিনি বৈজ্ঞানিক ছিলেন।

বৈজ্ঞানিক = বিজ্ঞান + ষ্ণিক (ইক্)।

2. বছর শেষ হয়ে গেছে বলে সর্দারি করে ওটাকে নামিয়ে রেখেছে।

সর্দারি = সর্দার + ই।

3. ওর স্মরণ শক্তি।

স্মরণ = স্মৃ + অন।

4. বাইরের দৃশ্য দেখে তারিফ করে।

দৃশ্য = দৃশ্ + য।

5. ওই মঙ্গলীয় সৈন্যকে আক্রমণ করে।

মঙ্গলীয় = মঙ্গল + ঈয়।

6. বিপদ! ভীষণ বিপদ

ভীষণ = ভী-ণিচ্ + অন = ভীষণ।
বিপদ = বি-পদ + ক্বিপ্।

7. আমায় সুদ্ধ হিঁচড়ে টেনে নিয়ে জন্তুগুলোর দিকে এগিয়ে চলল।

সুদ্ধ = সুধু + ক্ত।

8. ভৌতিক তিন্তিড়ি চিৎকারে কান ভোঁ ভোঁ করছে।

ভৌতিক = ভূত + ইক।

9. দেখি প্রহ্লাদের জ্ঞান হয়েছে।

জ্ঞান = জ্ঞা + অন।

কর্ভাস

1. বৈজ্ঞানিক গবেষণার মধ্যে ওটা নিয়ে আর চর্চা করা হয়নি?

গবেষণা = গবেষ্ + অন্ + আ।

2. আমি একশোর উপর বাংলা শব্দ পরিষ্কারভাবে উচ্চারণ করতে শিখিয়েছিলাম।

পরিষ্কার = পরি-কৃ + ঘঞ্।

3. তার সহজাত বুদ্ধির বাইরে।

সহজাত = সহ-জন্ + ক্ত/ত।

4. মানুষের বুদ্ধি তার মধ্যে সঞ্চার করা যায় কি?

বুদ্ধি = বুধ্ + ক্তি (তি)।

5. বিশেষভাবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

আকর্ষণ = আ-কৃ + অন্।

স্বর্ণপর্ণী

1. বেশ প্রসন্ন বোধ করিতেছি।

প্রসন্ন = প্র-সদ্‌ + ত।

2. ভারতীয় বিজ্ঞানী দেশে বিদেশে সম্মান পেয়েছে।

ভারতীয় = ভারত + ঈয়।
বিজ্ঞানী = বিজ্ঞান + ইন্।

3. আবিষ্কারের কৃতিত্ব আমি একা দাবি করতে পারি না।

আবিষ্কার = আবিস্-কৃ + ঘঞ।

4. শত্রুকে নিহত না করে নিশ্চিহ্ন করে।

নিহত = নি-হন্ + ক্ত।

5. সম্পূর্ণ লিখিত বিবরণ নেই।

বিবরণ = বি-বৃ + অনট্।

6. আয়ুর্বেদিক মতে চিকিৎসা করতেন।

আয়ুর্বেদিক = আয়ুর্বেদ + ষ্ণিক্।

7. আমি কোনো মন্তব্য করলাম না।

মন্তব্য = মন + তব্য।

8. তার সর্বাঙ্গে কাঁপুনি ধরল।

কাঁপুনি = কাঁপ + উনি।

9. আন্টনকে বলা হয়েছে স্টাইনারদের পলায়নের পথে বাধার সৃষ্টি না করতে।

সৃষ্টি = সৃজ্ + ক্তি।

10. খুব সহজ

সহজ = সহ্-জন্ (জন্মা) + ড।

11. বাবা রোজগার করেছিলেন অনেক।

রোজগার = রোজ + গার।

12. পেশাদারি প্র্যাকটিস ছাড়াও বহু দরিদ্র রোগীর চিকিৎসা করেছেন।

পেশাদারি = পেশা + দারি।

13. তারা দৈবদুর্বিপাকে উপার্জনে অক্ষম।

উপার্জন = উপ-অর্জ্ + অনট্।

14. হার্টের স্পন্দন স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে।

স্পন্দন = স্পন্দ্ + অল্ + অনট্।

15. গাছতলায় বসে ধ্যান করেন।

ধ্যান = ধৈ + অনট্।

16. তাঁর কয়েকজন শিষ্য আমার কাছে এসে হাজির।

শিষ্য = শাস্ + ক্যপ্।

17. অল্প সময়ে আমার অভিযান সফল হবে।

অভিযান = অভি-যা + অনট্।

18. সকালে বৈঠকখানায় এসে বসেছি।

বৈঠকখানা = বৈঠক + খানা।

19. আমার পরিকল্পনা বাস্তবে পরিণত হল।

বাস্তব = বস্তু + ষ্ণ।

20. কাগজে বিজ্ঞাপন দেব।

বিজ্ঞাপন = বি-জ্ঞাপি (জানানো) + অনট্।

21. বুদ্ধিমান, এটুকু বুঝতে পারছ না।

বুদ্ধিমান = বুদ্ধি + মতুপ্।

22. জার্মানি তার পূর্ব গৌরব ফিরে পাবে না।

গৌরব = গুরু + ষ্ণ।

23. মাথা নেড়ে প্রতিজ্ঞা করলেন যে তিনি কাউকে বলবেন না।

প্রতিজ্ঞা = প্রতি-জ্ঞা + ঙ।

24. বাজখাঁই গলায় বললাম, ‘হাইল হিটলার’।

বাজখাঁই = বাজ + খাঁই।

25. আরও অনেক খাইয়েকে জানি।

খাইয়ে = খা + ইয়ে।

26. পত্রিকা ‘নেচার’-এর গ্রাহক হয়েছিলাম।

গ্রাহক = গ্রহ্ + ণক।

27. লেখক পরিচিতিতে বলা হয়েছিল সন্ডার্স কেবব্রিজ থেকে বায়োলজি পাশ করে বেরিয়েছে।

লেখক = লখ্ (লেখা) + ণক।

28. বন্ধু বলেই কর্তব্যটা আমার কাছে কঠিন।

কর্তব্য = কৃ + তব্য।

29. ভণিতার পরেই বজ্রঘাত।

ভণিতা = ভণিত + আপ্।

30. কী করণীয় আমি স্থির করে ফেলেছি।

করণীয় = কৃ + অনীয়।

31. বৈভবের প্রতি আমার কোনও আকর্ষণ নেই।

বৈভব = বিভু + ষ্ণ।

32. সে তো প্রকৃতির অবদান

অবদান = অব-দা + অনট্।

33. আমার প্রস্তাব হচ্ছে এই-তুমি চলো।

প্রস্তাব = প্র-স্তু + ঘঞ্।

34. ডাক্তারি মহলে তুমুল আলোড়ল চলছে।

ডাক্তারি = ডাক্তার + ই।


আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণের “ব্যাকরণ ও নির্মিতি” থেকে “শব্দগঠন ও বাংলা শব্দভাণ্ডার” -এর উপবিভাগ “শব্দগঠন” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই অংশটি নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-ক্রিয়া-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ক্রিয়া

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-অব্যয়-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – অব্যয়

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-বিশেষণ-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষণ

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ক্রিয়া

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – অব্যয়

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষণ

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – সর্বনাম

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষ্য