নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষণ

Souvick

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণের “ব্যাকরণ ও নির্মিতি” থেকে “শব্দ ও পদ : বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া” -এর উপবিভাগ “বিশেষণ” নিয়ে আলোচনা করবো। এই অংশ নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-বিশেষণ-নবম শ্রেণী-বাংলা
Contents Show

বিশেষণ

বিশেষণ কাকে বলে?

যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম, ক্রিয়া প্রভৃতি পদের গুণ, ধর্ম, অবস্থা পরিমাণ, ক্রম, সংখ্যা ইত্যাদি প্রকাশ করে তাকে বিশেষণ পদ বলে। সমজাতীয় পদার্থ থেকে কোনো এক বা ততোধিক পদকে বিশেষ করে দেয় বলে, এর নাম বিশেষণ। যেমন – সৌরভ গাঙ্গুলি শ্রেষ্ঠ অধিনায়ক। এখানে ‘শ্রেষ্ঠ’ হল বিশেষণ।

পদের সঙ্গে সংযোগ অনুযায়ী বিশেষণকে কত ভাগে ভাগ করা যায়? কী কী?

পদের সঙ্গে সংযোগ অনুযায়ী বিশেষণকে দু-ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. নাম বিশেষণ ও
  2. ক্রিয়া বিশেষণ।

নাম বিশেষণ কাকে বলে?

যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনামের অর্থাৎ নামপদের দোষ, গুণ, অবস্থা, পরিমাণ, উপাদান ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে নাম বিশেষণ বলা হয়।

নাম বিশেষণকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায়? কী কী?

নাম বিশেষণকে ৭টি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন –

  1. বিশেষ্যের বিশেষণ,
  2. সর্বনামের বিশেষণ,
  3. বিশেষণের বিশেষণ,
  4. অব্যয়ের বিশেষণ,
  5. সংখ্যাবাচক বিশেষণ,
  6. পূরণবাচক বিশেষণ ও
  7. সম্বন্ধ বিশেষ।

বিশেষ্যের বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য পদের দোষ, গুণ, অবস্থা বোঝায়, তাকে বিশেষ্যের বিশেষণ বলে। যেমন – নীল ছাতা, মন্দ মেয়ে ইত্যাদি।

সর্বনামের বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষণ সর্বনাম পদের দোষ, গুণ অবস্থা ইত্যাদি বুঝিয়ে থাকে, তাকে বলা হয় সর্বনামের বিশেষণ। যেমন – বরণীয় আপনি।

বিশেষণের বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষণ অন্য কোনো বিশেষণের দোষ, গুণ, অবস্থা, প্রকৃতি, সংখ্যা ইত্যাদি বোঝায় তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমন – প্রচণ্ড দ্রুত বেগে লোকটি দৌড়োচ্ছে।

অব্যয়ের বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষণ অব্যয়পদ থেকে জাত হয়, তাকে অব্যয়জাত বিশেষণ বলে। যেমন – আচমকা চিৎকার শুনলাম।

সংখ্যাবাচক বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষণ দ্বারা সংখ্যা বোঝানো হয়, তাকে বলে সংখ্যাবাচক বিশেষণ। যেমন – মাত্র আধ ঘণ্টার রাস্তা পেরোলেই পাহাড়।

পূরণবাচক বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

সংখ্যার ক্রমকে নির্দেশ করে যে বিশেষণ, তাকে পূরণবাচক বিশেষণ বলে। যেমন – রীতা নবম শ্রেণিতে পড়ে।

সংখ্যাবাচক বিশেষণ এবং পূরণবাচক বিশেষণের মধ্যে পার্থক্য কী?

সংখ্যাবাচক বিশেষণ কেবল নামপদের সংখ্যা নির্দেশ করে। যেমন – দুটি বই। পূরণবাচক বিশেষণ সংখ্যা নির্দিষ্ট স্থান বা ক্রম নির্দেশ করে। যেমন – দ্বিতীয় বই।

সম্বন্ধ বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

বিশেষণ রূপে যদি কোনো সম্বন্ধপদকে প্রযুক্ত করা হয় তাকে সম্বন্ধ বিশেষণ বলে। যেমন – টিফিনের ঘণ্টা পড়লে খেলতে যাব।

ক্রিয়া বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষণ পদ ক্রিয়ার প্রকৃতিকে বিশেষিত করে, তাকে ক্রিয়া-বিশেষণ বলে। যেমন – জোরে পড়ো, ধীরে বলো, এদিকে এসো ইত্যাদি।

প্রয়োগগত ও অর্থগত দিক থেকে ক্রিয়া বিশেষণের কটি বিভাগ এবং কী কী?

প্রয়োগগত ও অর্থগত দিক থেকে ক্রিয়া বিশেষণের দুটি ভাগগুলি হল –

  1. প্রয়োগগত শ্রেণিবিভাগ –
    • বিভক্তিযুক্ত,
    • বিভক্তি হীন,
    • প্রত্যয়যুক্ত,
    • পদের দ্বিরুক্তি।
  2. অর্থগত শ্রেণিবিভাগ –
    • স্থানবাচক,
    • কালবাচক,
    • প্রকারগত।

ক্রিয়া বিশেষণের প্রয়োগগত ভাগগুলির প্রত্যেকটির একটি করে উদাহরণ দাও।

  • বিভক্তিযুক্ত ক্রিয়া বিশেষণ – সে নিঃশব্দে কাঁদছে।
  • বিভক্তিহীন ক্রিয়া বিশেষণ – তুমি এমন অধীর হোয়ো না।
  • প্রত্যয়যুক্ত ক্রিয়া বিশেষণ – দূরের দৃশ্য ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।
  • পদের দ্বিরুক্তি – বুড়ো লোকটি ধীরে ধীরে হাঁটছে। ঘ

ক্রিয়া বিশেষণের অর্থগত ভাগগুলির প্রত্যেকটির একটি করে উদাহরণ দাও।

  • স্থানবাচক বিশেষণ – রাত্রিবেলা চারিদিক শুনশান হয়ে যায় এখানে।
  • লবাচক বিশেষণ – রমাপদ দিল্লি থেকে কবে আসবেন জানা যায়নি এখনও।
  • প্রকারবাচক – শনশনে হাওয়া বইছে।

অর্থ ও গঠন অনুযায়ী বিশেষণের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করে সারণির সাহায্যে দেখাও।

অর্থ অনুযায়ী বিশেষণের ভাগগুলি হল –

  1. অবস্থাবাচক বিশেষণ,
  2. পরিমাণ ও আয়তনবাচক বিশেষণ,
  3. বর্ণবাচক বিশেষণ,
  4. উপাদানবাচক বিশেষণ, 
  5. মাত্রাবাচক বিশেষণ,
  6. সর্বনামীয় বিশেষণ।

গঠন অনুযায়ী বিশেষণের ভাগগুলি হল –

  1. একপদী,
  2. বহুপদী,
  3. ধন্যাত্মক,
  4. শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী,
  5. বাক্যাশ্রয়ী,
  6. পদান্তরিত,
  7. প্রশ্নবাচক।

অবস্থাবাচক বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

নামপদের অবস্থার পরিচায়ক বিশেষণকে অবস্থাবাচক বিশেষণ বলে। যেমন – নরম বালিশ, ঠান্ডা জল, ফোটা ফুল, মোটা বই, দুঃখী মানুষ ইত্যাদি।

পরিমাণবাচক ও আয়তনবাচক বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

বস্তুবোধক নামপদের পরিমাণ ও আয়তন বোঝালে, তাকে পরিমাণবাচক বিশেষণ বলে। যেমন – বিরাট জঙ্গল, কত লোক, বিশাল গাছ, প্রকাণ্ড বাড়ি ইত্যাদি।

বর্ণবাচক বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

নামপদের বর্ণ চিহ্নিত করলে তাকে বর্ণবাচক বিশেষণ বলে। যেমন – কালো রাত। লাল নিশান। সবুজ সিগন্যাল ইত্যাদি।

উপাদানবাচক বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

নামপদের উপাদান চিহ্নিত করলে তাকে উপাদানবাচক বিশেষণ বলে। যেমন – মেটে রাস্তা। পান্তা ভাত। কাগুজে ঠোঙা। পাতার মুকুট ইত্যাদি।

মাত্রাবাচক বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

নামপদের মাত্রা নির্দেশ করলে তাকে মাত্রাবাচক বিশেষণ বলে। যেমন – লম্বা ছুটি। চওড়া পাড়। সরু গলি। সংকীর্ণ মন ইত্যাদি।

সর্বনামীয় বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

সর্বনাম পদ যখন বিশেষণরূপে ব্যবহৃত তখন তাকে সর্বনামীয় বিশেষণ বলে। যেমন – এই শহর আমার প্রিয় ইত্যাদি।

গঠন অনুযায়ী বিশেষণকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী?

গঠন অনুযায়ী বিশেষণকে সাত ভাগে ভাগ করা যায় –

  1. একপদী বিশেষণ,
  2. বহুপদী বিশেষণ,
  3. ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ,
  4. শব্দ দ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণ,
  5. বাক্যাশ্রয়ী বিশেষণ,
  6. পদান্তরিত বিশেষণ এবং
  7. প্রশ্নবাচক বিশেষণ।

একপদী বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

একটি মাত্র পদের সাহায্যে যে বিশেষণ পদ গঠিত হয়, তাকে বলে একপদী বিশেষণ। যেমন – নির্মল জল, হিংস্র পশু, দীপ্ত সূর্য ইত্যাদি।

বহুপদী বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

বহুপদ নিয়ে তৈরি বিশেষণকে বহুপদী বিশেষণ বলে। সাধারণত এই পদগুলি সমাসবদ্ধ পদ হয়। যেমন – একেবারে ধবধবে সাদা সাদা ফুলে গাছটি ভরে গেছে।

ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

ধ্বন্যাত্মক শব্দকে বিশেষণ পদরূপে ব্যবহার করা হলে তাকে ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ বলে। যেমন – ঝমঝমে বৃষ্টি, কনকনে শীত ইত্যাদি।

শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

শব্দদ্বৈত যখন বিশেষণরূপে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণ বলা হয়। যেমন – হাসিহাসি মুখ, ঢুলুঢুলু চোখ ইত্যাদি।

বাক্যাশ্রয়ী বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

বাক্যের কোনো অংশকে বিশেষণরূপে ব্যবহার করা হলে, তাকে বাক্যাশ্রয়ী বিশেষণ বলে। যেমন – অনেক দেখে শুনে কাজ শিখেছে, এমন কর্মচারীর জন্য নবীনবাবু হন্যে হয়ে বেড়াচ্ছেন।

পদান্তরিত বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

অন্য কোনো পদকে বিশেষণ পদরূপে ব্যবহার করলে, তাকে পদান্তরিত বিশেষণ পদ বলে। বিশেষ্য, সর্বনাম, ক্রিয়ার সঙ্গে প্রত্যয় যোগেও এরা গঠিত হয় বলে এদের আর-এক নাম সাধিত বিশেষণ।

  • বিশেষ্য পদ – সোনা রোদ, লক্ষ্মী মেয়ে, বুনো ওল, বাঘা তেঁতুল।
  • অব্যয় পদ – হঠাৎ ভেঙে গেল, মাঝে মাঝে দেখা হয়।
  • কৃদন্ত পদ – চলন্ত বাস, কাঁদুনে মেয়ে, অচেনা লোক, ঘুমন্ত শিশু।
  • তদ্ধিতান্ত পদ – সামাজিক অনুষ্ঠান, ভারতীয় ক্রিকেটার, ঢাকাই জামদানি।

প্রশ্নবাচক বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষণ পদ অন্য নামপদের অবস্থা, পরিমাণ, সংখ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশ্ন করে তাকে প্রশ্নবাচক বিশেষণ বলে। যেমন – কেউ কি নরেনকে চেনো? কেমন করে এ কথা বলছ তুমি?

বাক্যে অবস্থান অনুযায়ী বিশেষণকে কী কী ভাগে ভাগ করা যেতে পারে? আলোচনা করো।

বাক্যে অবস্থান অনুযায়ী বিশেষণকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন –

  1. উদ্দেশ্য বিশেষণ – যে বিশেষণ বিশেষ্য ইত্যাদি পদের আগে বসে তাকে সাক্ষাৎ বা উদ্দেশ্য বিশেষণ বলে। যথা – ভালো বই, কালো জল, নীল আকাশ, প্রিয় বন্ধু ইত্যাদি।
  2. বিধেয় বিশেষণ – যে বিশেষণ বাক্যের বিধেয়রূপে পূর্ববর্তী বিশেষ্য পদকে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে, তাকে বিধেয় বিশেষণ বলে। যথা – বইটি ভালো, লোকটি লম্বা, মেজাজ গরম ইত্যাদি।

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো

সমজাতীয় পদার্থ থেকে এক বা ততোধিক পদকে বিশেষ করে দেয় –

  1. বিশেষ্য
  2. বিশেষণ
  3. সর্বনাম
  4. অব্যয়

উত্তর – 2. বিশেষণ

বাংলায় নিজস্ব মৌলিক রূপ নেই যে বিশেষণের –

  1. সংখ্যাবাচক বিশেষণ
  2. পূরণবাচক বিশেষণ
  3. সম্বন্ধ বিশেষ
  4. ক্রিয়া-বিশেষণ

উত্তর – 2. পূরণবাচক বিশেষণ

পূরণবাচক বিশেষণ –

  1. শূন্যস্থান পূর্ণ করে
  2. সংখ্যা বোঝায়
  3. সংখ্যাক্রম বোঝায়
  4. সংখ্যানাম বোঝায়

উত্তর – 3. সংখ্যাক্রম বোঝায়

সম্বন্ধ বিশেষণ প্রকৃতপক্ষে –

  1. বিভক্তি-নিষ্পন্ন বিশেষণ পদ
  2. সম্বন্ধ পদ
  3. ক্রিয়া-বিশেষণ
  4. সর্বনামীয় বিশেষণ

উত্তর – 1. বিভক্তি-নিষ্পন্ন বিশেষণ পদ

ক্রিয়া বিশেষণের প্রয়োগগত বিভাগ –

  1. একটি
  2. দুটি
  3. তিনটি
  4. চারটি

উত্তর – 4. চারটি

নামপদের মাত্রা নির্দেশ করলে তাকে বলে –

  1. মাত্রাবাচক বিশেষণ
  2. বস্তুবাচক বিশেষণ
  3. সীমাবাচক বিশেষণ
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 1. মাত্রাবাচক বিশেষণ

উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিশেষণ ভাগ দুটি হয় বিশেষণের –

  1. সংখ্যা অনুযায়ী
  2. আয়তন অনুযায়ী
  3. বাক্যে অবস্থানানুযায়ী
  4. সবকটি ভুল

উত্তর – 3. বাক্যে অবস্থানানুযায়ী

হাসি হাসি মুখ। – ‘হাসি হাসি’ একটি –

  1. ভাববোধক বিশেষণ
  2. শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণ
  3. ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ
  4. পদান্তরিত বিশেষণ

উত্তর – 2. শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণ

তোমার নাম কী? – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় বিশেষণের উদাহরণ? –

  1. সম্বন্ধ বিশেষ
  2. বিশেষ্যের বিশেষণ
  3. সর্বনামের বিশেষণ
  4. সংখ্যাবাচক বিশেষণ

উত্তর – 1. সম্বন্ধ বিশেষ

পৌষ ফাগুনের পালা। – রেখাঙ্কিত পদযুগল কোন্ জাতীয় বিশেষণের উদাহরণ? –

  1. একপদী বিশেষণ
  2. বহুপদী বিশেষণ
  3. ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ
  4. শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী

উত্তর – 2. বহুপদী বিশেষণ

ঝমঝমে বৃষ্টি। – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় বিশেষণের উদাহরণ? –

  1. একপদী বিশেষণ
  2. শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণ
  3. বহুপদী বিশেষণ
  4. ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ

উত্তর – 4. ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ

তুমি কেমন করে গান করো হে গুণি? – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় বিশেষণের উদাহরণ? –

  1. শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণ
  2. প্রশ্নবাচক বিশেষণ
  3. পদান্তরিত বিশেষণ
  4. বাক্যাশ্রয়ী বিশেষণ

উত্তর – 2. প্রশ্নবাচক বিশেষণ

লাল নিশান। – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় বিশেষণ? –

  1. অবস্থাবাচক বিশেষণ
  2. বর্ণবাচক বিশেষণ
  3. সর্বনামীয় বিশেষণ
  4. উপাদানবাচক বিশেষণ

উত্তর – 2. বর্ণবাচক বিশেষণ

নরম বালিশ। – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় বিশেষণ? –

  1. অবস্থাবাচক বিশেষণ
  2. বর্ণবাচক বিশেষণ
  3. উপাদানবাচক বিশেষণ
  4. বহুপদী বিশেষণ

উত্তর – 1. অবস্থাবাচক বিশেষণ

পাতার মুকুট। – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় বিশেষণ? –

  1. অবস্থাবাচক বিশেষণ
  2. মাত্রাবাচক বিশেষণ
  3. উপাদানবাচক বিশেষণ
  4. সর্বনামীয় বিশেষণ

উত্তর – 3. উপাদানবাচক বিশেষণ

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

নীচের চিহ্নিত পদগুলি কী কী ধরনের বিশেষণ, তা নির্ণয় করো –

1. সভা জুড়ে তখন টানটান উত্তেজনা।

শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণ।

2. কেমন বাড়ি চাই তোমার?

প্রশ্নবাচক বিশেষণ।

3. মেয়েটি পরীক্ষায় প্রথম স্থান পেয়েছে।

পূরণবাচক বিশেষণ।

4. সে কথা বলতে আমার বুক ফেটে যাচ্ছে।

বিশেষ্যের বিশেষণ।

5. অপরাধীকে ধরার জন্য আচ্ছা ফন্দি আঁটা হয়েছে।

অব্যয়জাত বিশেষণ।

6. তাঁর পুরস্কারের অর্থমূল্য হাজার টাকা।

সংখ্যা বিশেষণ।

7. তিনটে শালিক ঝগড়া করে।

সংখ্যা বিশেষণ।

8. ও মূর্খ কী প্রকারে বলিবে?

সর্বনামের বিশেষণ।

9. কুচকুচে কালো চুলে মাথা ভরা।

বিশেষণের বিশেষণ।

10. থইথই শ্রাবণ এল ওই।ই

ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ।

11. কত টাকা চাই?

প্রশ্নবাচক বিশেষণ।

12. তোমার কোন বইটা চাই?

প্রশ্নবাচক বিশেষণ।

13. গরিবের ছেলেও আজকাল সুযোগ পায়।

সম্বন্ধ বিশেষ।

14. আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি।

পূরণবাচক বিশেষণ।

15. হঠাৎ আলোর ঝলকানি লেগে ঝলমল করে চিত্ত।

পদান্তরিত বিশেষণ।

16. তাড়াতাড়ি এসো।

ক্রিয়া বিশেষণ।

17. সবার-পরশে-পবিত্র-করা তীর্থ নীরে।

বহুপদী বিশেষণ।

18. পঁচিশে ডিসেম্বর বড়োদিন।

পূরণবাচক বিশেষণ।

19. হতভাগ্য আমি, কী যে করি এখন।

সর্বনামের বিশেষণ।

20. বৃষ্টি পড়ে টাপুর-টুপুর

ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ।

21. অনুষ্ঠানে অনেক লোক এসেছিলেন।

বিশেষ্যের বিশেষণ।

22. তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করো।

সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

23. হাসি হাসি মুখে সে তাকাল।

শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণ।

24. বসন্ত এল কুহু কুহু তানে।

ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ।

25. ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুরে অনেক হেঁটেছি।

ধন্যাত্মক বিশেষণ।

26. বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা দরকার।

বিশেষ্যের বিশেষণ।

27. ঢাকাই শাড়ি বাঙালি মহিলাদের খুব প্রিয়।

বিশেষ্যের বিশেষণ।

28. রক্তমাংসের দেহ আর কত সইবে।

সম্বন্ধ বিশেষণ।

29. চারিদিকে বিপন্ন বিস্ময়।

বিশেষণের বিশেষণ।

30. কুয়াশায় ঝরে পড়ে রূপশালী ধান।

বিশেষ্যের বিশেষণ।

31. সে অতিশয় শান্ত প্রকৃতির।

বিশেষণের বিশেষণ।

32. দু-খানি কাপড় তার সম্বল।

সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

33. ধার্মিক ব্যক্তি চিরদিনই সমাদৃত।

বিশেষ্যের বিশেষণ।

34. সে ভালো ছেলে।

সর্বনামীয় বিশেষণ।

35. এখন পড়ন্ত বেলা।

পদান্তরিত বিশেষণ।

36. লাল-সাদা-নীল রঙের রুমাল।

বর্ণবাচক বিশেষণ।

37. ফুরফুরে বাতাস।

ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ।

38. মেঠো পথ।

উপাদানবাচক বিশেষণ।

39. কবেকার কথা, মনে নেই?

প্রশ্নবাচক বিশেষণ।

40. ঘুমন্ত ছেলেটাকে জ্বালাতন করছ কেন?

বিশেষ্যের বিশেষণ।

41. বিমল দারুণ প্রাণবন্ত ছেলে।

বিশেষণের বিশেষণ।

42. দশে মিলি করি কাজ।

সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

43. ছেলেটি প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

পূরণবাচক বিশেষণ।

44. তুমি খুব সুন্দর

সর্বনামের বিশেষণ।

45. পাঁচজন লোক জমিতে চাষ করছে।

সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

46. আমাদের বিদ্যালয়ে বঙ্কিমচন্দ্রের দেড়শোতম জন্মজয়ন্তী উৎসব পালিত হবে।

পূরণবাচক বিশেষণ।

47. আজ আমি সুখী নই, আজ আমি জয়ী

সর্বনামের বিশেষণ।

48. আমাদের বাড়িতে সকালে ও সন্ধ্যায় কুড়িখানা পাত পড়ে।

সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

49. মরুভূমিতে আধ মাইল লম্বা উটের সারি চলেছে।

বহুপদী বিশেষণ।

50. ছেলেটির ভাসা-ভাসা চোখ দেখলে মায়া লাগে।

শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণ।

51. তুমি কোন্ দিকে যাবে?

প্রশ্নবাচক বিশেষণ।

52. চটপট তৈরি হয়ে নাও।

ক্রিয়া বিশেষণ।

53. উড়ছে মাছি ভনভনিয়ে

ক্রিয়া বিশেষণ।

54. ঝড়-ঝঞ্ঝা-রৌদ্র-বাদলে বিধস্ত মানুষটি আজ সংসারে একা।

বহুপদী বিশেষণ।

55. যাচ্ছে কারা হনহনিয়ে

ক্রিয়া বিশেষণ।

56. তিনি গ্রামের সম্পন্ন গৃহস্থ।

বিশেষ্যের বিশেষণ।

পৃথক বাক্যে প্রয়োগ করে উদাহরণ দাও

বিশেষণবাক্যগত প্রয়োগ
1. বহুপদী বিশেষণআকাশভরা তারার সৌন্দর্য অপরূপ।
2. ধ্বন্যাত্মক বিশেষণবাতাসের সোঁসোঁ শব্দ শোনা যাচ্ছে।
3. অব্যয়জাত বিশেষণঅপরাধীকে ধরার জন্য পুলিশ আচ্ছা ফন্দি এঁটেছে।
4. পদান্তরিত বিশেষণলেখাপড়ার জন্য মানসিক দৃঢ়তা ও একাগ্রতা খুব জরুরি।
5. ক্রিয়া বিশেষণতাড়াতাড়ি হাঁটো, নতুবা পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাবে।
6. বিশেষণের বিশেষণখুব গরম দুধ খেয়ো না।
7. সর্বনামের বিশেষণঅন্ধ আমি, পথ দেখাও।
8. পূরণবাচক বিশেষণআমি নবম শ্রেণিতে পড়ি।
9. ধ্বন্যাত্মক বিশেষণআজ সকাল থেকে ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছে।
10. বাক্যাশ্রয়ী বিশেষণঘড়ি ধরে কাজ করার অভ্যাস খুব ভালো।
11. সংখ্যা বিশেষণভিখারি ছেলেটি এক প্যাকেট বিস্কুট চাইছে।
12. সম্বন্ধ বিশেষআমার প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ।
13. প্রশ্নবাচক বিশেষণকোন্ দেশেতে তরুলতা সকল দেশের চাইতে শ্যামল?
14. অবস্থাবাচক বিশেষণরাস্তার ধারে বসে থাকা দুঃখী মানুষটিকে দেখলে কষ্ট হয়।
15. বিশেষ্যের বিশেষণসবুজ পৃথিবীর স্বপ্ন আমরা প্রত্যেকে দেখি।
16. বর্ণবাচক বিশেষণলাল নিশান উড়িয়ে বিদ্রোহীরা চলেছে।
17. বিশেষ্যের বিশেষণপান্তা ভাত খেয়ে চাষিরা কাজে বেরোয়।
18. শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণরোদে রোদে ঘুরছ কেন?
19. পদান্তরিত বিশেষণযেমন বুনো ওল, তেমন বাঘা তেঁতুল।
20. মাত্রাবাচক বিশেষণবিদ্যালয়ে এখন লম্বা ছুটি।

প্রয়োগ ও নির্ণয়মূলক প্রশ্নোত্তর

কলিঙ্গ দেশে ঝড়-বৃষ্টি

1. সঘনে চিকুর।

সঘনে – বিশেষ্যের বিশেষণ।

2. চারি মেঘে বরিষে।

চারি – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

3. ঘরগুলা করে দলমল

দলমল – ক্রিয়া বিশেষণ।

নোঙর

1. পাড়ি দিতে দূর সিন্ধু পারে।

দূর – বিশেষ্যের বিশেষণ।

2. জোয়ারের ঢেউগুলি ফুলে ফুলে ওঠে।

জোয়ারের – সম্বন্ধবাচক বিশেষণ।
ফুলে ফুলে – ক্রিয়া বিশেষণ।

3. নিস্তব্ধ মুহূর্তগুলি সাগর গর্জনে ওঠে কেঁপে।

নিস্তব্ধ – অবস্থাবাচক বিশেষণ।

4. স্রোতের বিদ্রূপ শুনি প্রতিবার দাঁড়ের নিক্ষেপে।

স্রোতের – সম্বন্ধবাচক বিশেষণ।

5. ততই বিরামহীন এই দাঁড় টানা।

ততই – পরিমাণবাচক বিশেষণ।

খেয়া

1. দুই তীরে দুই গ্রাম আছে জানাশোনা।

দুই – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

2. সোনার মুকুট কত ফুটে আর টুটে।

সোনার – সম্বন্ধবাচক বিশেষণ।

3. সভ্যতার নব নব কত তৃষ্ণা ক্ষুধা।

সভ্যতার – সম্বন্ধবাচক বিশেষণ।

আকাশে সাতটি তারা

1. বাংলার নীল সন্ধ্যা।

নীল – বিশেষ্যের বিশেষণ।

2. আসিয়াছে শান্ত অনুগত।

শান্ত – বিশেষণের বিশেষণ।

3. আকাশে সাতটি তারা।

সাতটি – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

4. মৃত মনিয়ার মতো।

মৃত – বিশেষ্যের বিশেষণ।

5. কামরাঙ্গা লাল মেঘ।

কামরাঙ্গা – বিশেষণের বিশেষণ।

6. ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা

ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা – বহুপদী বিশেষণ।

7. নরম ধানের গন্ধ।

নরম – বিশেষ্যের বিশেষণ।

আবহমান

1. ছোট্ট একটা ফুল দুলছে।

একটা – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

2. অনেক বছর আগে।

অনেক – মাত্রাবাচক বিশেষণ।

ভাঙার গান

1. রক্ত জমাট শিকল-পূজার পাষাণ বেদী।

শিকল-পূজার – সম্বন্ধ বিশেষণ।

2. ওরে ও তরুণ ঈশান।

তরুণ – বিশেষ্যের বিশেষণ।

3. ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচী-র প্রাচীর ভেদি।

ধ্বংস – বিশেষ্যের বিশেষণ।

4. গাজনের বাজনা বাজা।

গাজনের – সম্বন্ধ বিশেষণ।

5. এ হীন তথ্য কে রে।

হীন – বিশেষ্যের বিশেষণ।

6. ওরে ও পাগলা ভোলা।

পাগলা – বিশেষ্যের বিশেষণ।

7. জোরসে ধরে হেঁচকা টানে।

জোরসে – ক্রিয়াবাচক বিশেষণ।

আমরা

1. মুক্তবেণীর গঙ্গা যেথায় মুক্তি বিতরে রঙ্গে।

মুক্তবেণীর – সম্বন্ধবাচক বিশেষণ।

2. আমাদের সেনা যুদ্ধ করেছে সজ্জিত চতুরঙ্গে।

সজ্জিত – বিশেষ্যের বিশেষণ।

3. নিজ শৌর্য্যের পরিচয়।

শৌর্যের – সম্বন্ধবাচক বিশেষণ।

4. জ্ঞানের নিধান আদিবিদ্বান্ কপিল-সাঙ্খ্যকার।

জ্ঞানের – সম্বন্ধবাচক বিশেষণ।

5. মোদেরি প্রাচীন কীর্তি।

প্রাচীন – বিশেষ্যের বিশেষণ।

6. ধেয়ানের ধনে মূর্তি দিয়েছে।

ধেয়ান – সম্বন্ধবাচক বিশেষণ।

7. আমাদেরি কোনো সুপটু পটুয়া লীলায়িত তুলিকায়।

সুপটু – বিশেষ্যের বিশেষণ।

8. মনের গোপনে নিভৃত ভুবনে।

নিভৃত – বিশেষ্যের বিশেষণ।

9. আমাদের এই নবীন সাধনা।

নবীন – বিশেষ্যের বিশেষণ।

10. গাহিছে জগতে মহামিলনের গান।

মহামিলনের – সম্বন্ধবাচক বিশেষণ।

11. মণি অতুলন ছিল যে গোপন সৃজনের শতদলে।

অতুলন – পরিমাণবাচক বিশেষণ।
সৃজনের – সম্বন্ধবাচক বিশেষণ।

ইলিয়াস

1. সে প্রচুর সম্পত্তি করে ফেলল।

প্রচুর – বিশেষ্যের বিশেষণ।

2. ইলিয়াসের তখন খুব বোলবোলাও।।

খুব – বিশেষ্যের বিশেষণ।

3. ইলিয়াস তো ভাগ্যবান পুরুষ।

ভাগ্যবান – বিশেষ্যের বিশেষণ।

4. ক্রমে ভালো ভালো লেখার সঙ্গে তার পরিচয় হতে লাগল।

ভালো ভালো – বিশেষ্যের বিশেষণ।

5. কিরবিজরা সবচাইতে ভালো ঘোড়াগুলো চুরি করে নিয়ে গেল।

সব চাইতে – বিশেষণের বিশেষণ।
ভালো – বিশেষ্যের বিশেষণ।

6. সত্তর বছর বয়সে ইলিয়াস পশমের কোট, গৃহপালিত পশুগুলোকে বিক্রি করে দিয়ে দুরদশার একেবারে চরমে নেমে গেল।

পশমের – উপাদানবাচক বিশেষণ।
গৃহপালিত – বিশেষ্যের বিশেষণ।

7. প্রথমে বেশ কষ্ট হতো।

বেশ – বিশেষ্যের বিশেষণ।

8. তিনিই পুরো সত্য বলতে পারেন।

পুরো – মাত্রাবাচক বিশেষণ।

দাম

1. জটিল অঙ্ক নিয়ে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পন্ডশ্রম করেছি।

জটিল – বিশেষ্যের বিশেষণ।

2. প্রকাণ্ড হাতের প্রচণ্ড চড় খেয়ে মাথা ঘুরে যেত।

প্রকাণ্ড – বিশেষ্যের বিশেষণ।
প্রচণ্ড – বিশেষ্যের বিশেষণ।

3. মৃদু নীল আলোয় দেখেছি।

মৃদু – বিশেষণের বিশেষণ।
নীল – বর্ণবাচক বিশেষণ।

4. তা হলে নির্ভয়ে লিখতে পারি।

নির্ভয়ে – ক্রিয়া বিশেষণ।

5. সভায় জাঁকিয়ে বক্তৃতা করা গেল।

জাঁকিয়ে – বিশেষ্যের বিশেষণ।

6. এক বুড়ো ভদ্রলোক আমার সঙ্গে দেখা করতে চান।

এক বুড়ো – বিশেষজ্ঞের বিশেষণ।

7. তরল অন্ধকারে ঢাকা।

তরল – বিশেষণের বিশেষণ।

8. আমি তাঁকে দশ টাকায় বিক্রি করেছিলুম।

দশ – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

নিরুদ্দেশ

1. দিনটা ভারী বিশ্রী।

ভারী – বিশেষণের বিশেষণ।

2. মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও ম্লান পৃথিবী কেমন মৃতের মতো অসাড় হইয়া আছে।

মেঘাচ্ছন্ন, ম্লান – বিশেষ্যের বিশেষণ।
অসাড় – ক্রিয়া বিশেষণ।

3. আর সমস্তই নিশ্চল স্তব্ধ।

নিশ্চল – বিশেষণের বিশেষণ।

4. এই একটু বিজ্ঞাপন।

একটু – পরিমাণবাচক বিশেষণ।

5. তার গোটাকতক বই নিয়ে যেতে এসেছে।

গোটাকতক – পরিমাণবাচক বিশেষণ।

6. এমন কুলাঙ্গার তো তুই হয়েছিল।

কুলাঙ্গার – সর্বনামের বিশেষণ।

7. দিনের পর দিন ধারাবাহিকভাবে পড়ে গেলে সম্পূর্ণ একটি কাহিনি জানা যায়।

সম্পূর্ণ – বিশেষণের বিশেষণ।
একটি – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

8. বাবা কেমন আছেন?

কেমন – প্রশ্নবাচক বিশেষণ।

9. অনেকগুলো টাকার নোট।

অনেকগুলো – পরিমাণবাচক বিশেষণ।

10. মুমূর্ষুর নিষ্প্রভ দৃষ্টিতে কোনোকিছু ধরা পড়বে না।

নিষ্প্রভ – বিশেষ্যের বিশেষণ।

রাধারাণী

1. বালিকার বয়স একাদশ পরিপূর্ণ হয় নাই।

একাদশ – পূরণবাচক বিশেষণ।

2. প্রায় দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি।

দশ – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

3. মাতা রুগ্না, এজন্য কাজে কাজেই তাহার উপবাস।

রুগ্না – বিশেষ্যের বিশেষণ।

4. দুই গন্ডবিলম্বী ঘন কৃষ্ণ অলকাবলী বহিয়া।

কৃষ্ণ – বিশেষ্যের বিশেষণ।

5. কিন্তু বড় দয়ালু লোকের কথা।

বড় – বিশেষণের বিশেষণ।

6. দশ-এগার বছর।

দশ-এগার – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

7. আমি একছড়া মালা খুঁজিতেছিলাম।

একছড়া – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

8. ইহার দাম চারি পয়সা।

চারি – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

9. তাই চক্চক্ করছে।

চক্চক্ – ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ।

10. একখানি ছিল, তাহা কাচিতে দিয়াছি।

একখানি – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

চন্দ্রনাথ

1. অকম্পিত প্রদীপ্ত জ্যোতিতে জ্বলিতেছে।

অকম্পিত – বিশেষণের বিশেষণ।

2. দীর্ঘাকৃতি সবল সুস্থ দেহ।

দীর্ঘাকৃতি সবল সুস্থ – বহুপদী বিশেষণ।

3. আমার যদি সাড়ে-পাঁচশো কী তার বেশি ওঠে।

সাড়ে-পাঁচশো – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

4. তবে দশটা ফেল।

দশটা – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

5. স্কুলের সেক্রেটারির ভাইপো ফার্স্ট হয়েছে।

ফার্স্ট – পূরণবাচক বিশেষণ।

6. আমরা বড়ো কষ্ট হইল

বড়ো – বিশেষ্যের বিশেষণ।

7. ধীরে ধীরে চলিয়া আসিলাম।

ধীরে ধীরে – ক্রিয়া বিশেষণ।

8. নির্জন বাড়িখানা খাঁ খাঁ করিতেছিল।

নির্জন – বিশেষ্যের বিশেষণ।

9. আয়ত কোমল চোখে মোহময় দৃষ্টি।

আয়ত কোমল – বহুপদী বিশেষণ।

10. মাথার উপরে গভীর নীল আকাশে ছায়াপথ।

গভীর – মাত্রাবাচক বিশেষণ।
নীল – বর্ণবাচক বিশেষণ।

নব নব সৃষ্টি

1. নবীন শব্দের প্রয়োজন।

নবীন – বিশেষ্যের বিশেষণ।

2. প্রচুর ইউরোপীয় শব্দ আমাদের ভাষায় ঢুকবে।

প্রচুর – বিশেষণের বিশেষণ।

3. অতিশয় কঠিন ছিল।

অতিশয় – বিশেষণের বিশেষণ।

4. প্রাণ এবং দেহ উভয়েই খাঁটি বাঙালি।

খাঁটি – বিশেষ্যের বিশেষণ।

হিমালয় দর্শন

1. নিম্ন উপত্যকায় নির্মল শ্বেত কুজঝটিকা দেখিয়া সহসা নদী বলিয়া ভ্রম জন্মে।

নিম্ন – বিশেষ্যের বিশেষণ।

2. তিন হাজার ফিট উচ্চে উঠিয়াছি।

তিন হাজার – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

3. হরিদ্বর্ণ চায়ের ক্ষেত্রগুলি প্রাকৃতিক শোভা আরও শতগুণ বৃদ্ধি করিয়াছে।

হরিদ্বর্ণ – বর্ণবাচক বিশেষণ।
শতগুণ – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

4. এ সময়কে পার্বত্য বসন্তকাল বলিলে কেমন হয়?

কেমন – প্রশ্নাত্মক বিশেষণ।

5. ঝরনার সুবিমল, শীতল জলদর্শনে চক্ষু জুড়ায়।

সুবিমল, শীতল – বিশেষ্যের বিশেষণ।

6. বায়ু এবং মেঘের লুকোচুরি খেলা দেখিতে বেশ চমৎকার।

বেশ – বিশেষণের বিশেষণ।

7. ভারী আনন্দ হইল।

ভারী – বিশেষ্যের বিশেষণ।

চিঠি

1. স্টার্ডির একখানি চিঠি কাল পেয়েছি।

একখানি – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

2. জলবায়ু অত্যন্ত গ্রীষ্মপ্রধান।

অত্যন্ত – বিশেষণের বিশেষণ।

3. তাঁর অদ্ভুত অস্থির চিত্ততা।

অদ্ভুত – বিশেষণের বিশেষণ।

4. এত স্নেহময়ী তিনি।

এত – মাত্রাবাচক বিশেষণ।
স্নেহময়ী – সর্বনামের বিশেষণ।

ধীবর-বৃত্তান্ত

1. পিছনে হাতবাঁধা অবস্থায় এক পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে দুই রক্ষীর প্রবেশ।

দুই – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

2. মণিমুক্তায় ঝলমলে এই আংটিটা দেখতে পেলাম।

মণিমুক্তায় – উপাদানবাচক বিশেষণ।

3. প্রভুর দেখি খুব বিলম্ব হচ্ছে।

খুব – বিশেষণের বিশেষণ।

4. আমার হাতদুটো এখনই নিশপিশ করছে।

নিশপিশ – ক্রিয়া বিশেষণ।

5. তুমি আমার একজন বিশিষ্ট প্রিয় বন্ধু হলে।

একজন – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।
বিশিষ্ট প্রিয় – বহুপদী বিশেষণ।

ব্যোমযাত্রীর ডায়রি

1. একটা লাল খাতা।

একটা – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।
লাল – বর্ণবাচক বিশেষণ।

2. বছর পনেরো নিরুদ্দেশ।

পনেরো – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

3. ভীষণ এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে প্রাণ হারান।

ভীষণ – মাত্রাবাচক বিশেষণ।

4. আবার বাঘের গল্প।

বাঘের – সম্বন্ধবাচক বিশেষণ।

5. যেটা আছে তার প্রায় দ্বিগুণ

দ্বিগুণ – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

6. একটা কালো মড়ার খুলি।

কালো – বর্ণবাচক বিশেষণ।

7. অতো জন্তু-জানোয়ার মোলো।

অতো – মাত্রাবাচক বিশেষণ।

8. কালির রং ছিল সবুজ

সবুজ – বিধেয় বিশেষণ।

9. মনে জোর পাচ্ছি।

জোর – ক্রিয়া বিশেষণ।

10. হাত-পা অবশ হয়ে আসছে।

অবশ – অবস্থাবাচক বিশেষণ।

11. গভীর ঘুম হবে।

গভীর – মাত্রাবাচক বিশেষণ।

12. অসম্ভব ভয়ঙ্কর রকমের স্বপ্ন।

অসম্ভব – বিশেষণের বিশেষণ।

13. মহা খুশি।

মহা – মাত্রাবাচক বিশেষণ।

14. কলকব্জার মানুষ।

কলকব্জার – সম্বন্ধবাচক বিশেষণ।

15. এতো ভারী বিপদ।

ভারী – মাত্রাবাচক বিশেষণ।

16. ক-দিন একটু ছটফট করছিল।

ছটফট – ক্রিয়া বিশেষণ।

17. অগণিত জ্বলন্ত গ্রহণক্ষত্র।

অগণিত – পরিমাণবাচক বিশেষণ।
জ্বলন্ত – অবস্থাবাচক বিশেষণ।

18. বেশ লম্বা একটা কথা বারবার বলছে।

বেশ – বিশেষণের বিশেষণ।
একটা – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

19. একটা হলদে রঙের নরম পাথর।

হলদে – বর্ণবাচক বিশেষণ।

20. ওর অতিরিক্ত ফুর্তি দেখে বুঝেছি।

অতিরিক্ত – মাত্রাবাচক বিশেষণ।

কর্ভাস

1. একটা পোষা ময়না ছিল।

পোষা – বিশেষ্যের বিশেষণ।

2. জানালার বাইরে জটলা করে।

জটলা – ক্রিয়া বিশেষণ।

3. এক আশ্চর্য অজ্ঞাত কৌশল।

আশ্চর্য – বিশেষণের বিশেষণ।

4. যাযাবর পাখির দিক নির্ণয় ক্ষমতা।

যাযাবর – বিশেষ্যের বিশেষণ।

5. কত দূর পর্যন্ত নতুন জিনিস শেখানো যায়?

কত – প্রশ্নবাচক বিশেষণ।

6. দু-সপ্তাহে অভাবনীয় প্রোগ্রেস।

অভাবনীয় – মাত্রাবাচক বিশেষণ।

8. খানিকটা পেয়ারার জেলি ওর সামনে।

খানিকটা – পরিমাণবাচক বিশেষণ।

9. প্রথম পাতায় প্রধান খবর হিসেবে বেরিয়েছে।

প্রথম – পূরণবাচক বিশেষণ।
প্রধান – বিশেষ্যের বিশেষণ।

10. সুটের রংও কালো

কালো – বিধেয় বিশেষণ।

11. ঘরের তাকে রাখা প্লাস্টিকের খাঁচাটার দিকে।

প্লাস্টিকের – উপাদানবাচক বিশেষণ।

12. সোনার চশমার পুরু কাচের ভিতর

সোনার – উপাদানবাচক বিশেষণ।
পুরু – বিশেষ্যের বিশেষণ।

13. রুপোলি পালিশ।

রুপোলি – বর্ণবাচক বিশেষণ।

14. এক পাগলা জাদুকর।

পাগলা – বিশেষ্যের বিশেষণ।

15. টাকার গরমটা বড্ড বেশি।

বড্ড – বিশেষণের বিশেষণ।

16. জাপানি পক্ষি বিজ্ঞানী তোমাসাকা মোরিমোতের ঘোর ক্লান্তিকর ভাষণ।

ঘোরক্লান্তিকর – বহুপদী বিশেষণ।

17. তখন আড়াইটে

আড়াইটে – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

18. রুপোলি রঙের ক্যাডিলাক।

রুপোলি – বর্ণবাচক বিশেষণ।

19. আমাদের সঙ্গে দুজন সশস্ত্র পুলিশ।

দুজন – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।
সশস্ত্র – বিশেষ্যের বিশেষণ।

20. ছোকরা বয়স।

ছোকরা – অবস্থাবাচক বিশেষণ।

21. আমাদের তাসো মারসেডিস তিরবেগে রওনা দিল।

তিরবেগে – ক্রিয়া বিশেষণ।

22. সিকি মাইল তো হবেই।

সিকি – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

23. রোদে ঝলমল করছে।

ঝলমল – ক্রিয়া বিশেষণ।

স্বর্ণপর্ণী

1. বেশ গভীর জঙ্গল।

বেশ – বিশেষণের বিশেষণ।

2. দেড় বছর পরে আমি পুজোর ছুটিতে।

দেড় – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

3. ডরথি অতি বুদ্ধিমতী মেয়ে।

অতি – বিশেষণের বিশেষণ।
বুদ্ধিমতী – বিশেষ্যের বিশেষণ।

4. ছেচল্লিশ কিলোমিটার দূরে সাড়ে ছ-হাজার ফুট উঁচুতে ছোট্ট শহর কসৌলি।

ছেচল্লিশ – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।


আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণের “ব্যাকরণ ও নির্মিতি” থেকে “শব্দ ও পদ : বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া” -এর উপবিভাগ “বিশেষণ” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই অংশটি নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-ক্রিয়া-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ক্রিয়া

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-অব্যয়-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – অব্যয়

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-সর্বনাম-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – সর্বনাম

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ক্রিয়া

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – অব্যয়

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষণ

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – সর্বনাম

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষ্য