কোনিকে দারুণ বকবে ভেবেছিল ক্ষিতীশ। কিন্তু সে কিছুই বলেনি। — ক্ষিতীশ কেন কোনিকে বকবে ভেবেছিলেন? তারপর কেন তিনি তাকে আর বকলেন না?

“কোনিকে দারুণ বকবে ভেবেছিল ক্ষিতীশ। কিন্তু সে কিছুই বলেনি।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “কোনিকে দারুণ বকবে ভেবেছিল ক্ষিতীশ। কিন্তু সে কিছুই বলেনি।” — ক্ষিতীশ কেন কোনিকে বকবে ভেবেছিলেন? তারপর কেন তিনি তাকে আর বকলেন না? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসে কোনি হিয়ার শিক্ষিকার কাছ থেকে জল চেয়ে পায়নি। এই ঘটনায় সে অপমানিত বোধ করে। এরপর হিয়া তার সামনে জলভরা একটা গ্লাস এনে দেয়। কোনি সাথে সাথে ধাক্কা মেরে সেই গ্লাস ফেলে দেয়। হিয়ার প্রতি কোনির এমন অভদ্র আচরণের জন্য ক্ষিতীশ কোনিকে বকবেন ভেবেছিলেন।

ক্ষিতীশ জানেন, হিয়া কোনির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। কোনিকে হিয়ার বন্ধুরা ও শিক্ষিকা, গরিব বলে তুচ্ছ জ্ঞান করে। তাদের আচরণ কোনিকে ক্ষুদ্ধ করে তোলে। তার সেই ক্রোধ গিয়ে পড়ে হিয়ার উপরে। ক্ষিতীশ বিচক্ষণ এবং দুরদর্শী। তাঁর মনস্তাত্ত্বিক জ্ঞানও প্রবল। তিনি চান, হিয়ার ওপর তৈরি হওয়া রাগটা কোনি নিজের বুকের মধ্যে পুষে রাখুক। তাঁর উচিত হবে না কোনির হিংস্র আক্রোশটা ভোঁতা করে দেওয়া। ওই আক্রোশই কোনিকে উত্তেজিত করবে এবং আসল সময়ে অর্থাৎ জলে তার বিস্ফোরণ ঘটবে।

কোনির ভিতরে ক্ষিতীশ প্রতিদ্বন্দ্বিতার এই আগুন জ্বালিয়ে রাখতে চান। এই ক্রোধ যে কোনিকে চাগিয়ে তুলবে হিয়া মিত্রের সঙ্গে সাঁতার-যুদ্ধে তা অভিজ্ঞ ক্ষিতীশ সিংহ বুঝতে পেরেছিলেন।

কোনিকে দারুণ বকবে ভেবেছিল ক্ষিতীশ। কিন্তু সে কিছুই বলেনি। — ক্ষিতীশ কেন কোনিকে বকবে ভেবেছিলেন? তারপর কেন তিনি তাকে আর বকলেন না?

“কোনিকে দারুণ বকবে ভেবেছিল ক্ষিতীশ। কিন্তু সে কিছুই বলেনি।” — ক্ষিতীশ কেন কোনিকে বকবে ভেবেছিলেন? তারপর কেন তিনি তাকে আর বকলেন না?

কোনিকে বকার সিদ্ধান্তের কারণ – মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়ে কোনি হিয়ার শিক্ষিকার কাছ থেকে জল চেয়ে পায়নি। এই ঘটনায় সে অপমানিত বোধ করে। এরপর হিয়া তার সামনে জলভরা একটা গ্লাস এনে দেয়। কোনি সাথে সাথে ধাক্কা মেরে সেই গ্লাস ফেলে দেয়। হিয়ার প্রতি কোনির এমন অভদ্র আচরণের জন্য ক্ষিতীশ কোনিকে বকবেন ভেবেছিলেন।

কোনিকে না-বকার কারণ – ক্ষিতীশ জানেন, হিয়া কোনির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। কোনিকে হিয়ার বন্ধুরা ও শিক্ষিকা, গরিব বলে তুচ্ছ জ্ঞান করে। তাদের আচরণ কোনিকে ক্ষুদ্ধ করে তোলে। তার সেই ক্রোধ গিয়ে পড়ে হিয়ার উপরে। ক্ষিতীশ বিচক্ষণ এবং দুরদর্শী। তাঁর মনস্তাত্ত্বিক জ্ঞানও প্রবল। তিনি চান, হিয়ার ওপর তৈরি হওয়া রাগটা কোনি নিজের বুকের মধ্যে পুষে রাখুক। তাঁর উচিত হবে না কোনির হিংস্র আক্রোশটা ভোঁতা করে দেওয়া। ওই আক্রোশই কোনিকে উত্তেজিত করবে এবং আসল সময়ে অর্থাৎ জলে তার বিস্ফোরণ ঘটবে।

কোনির ভিতরে ক্ষিতীশ প্রতিদ্বন্দ্বিতার এই আগুন জ্বালিয়ে রাখতে চান। এই ক্রোধ যে কোনিকে চাগিয়ে তুলবে হিয়া মিত্রের সঙ্গে সাঁতার-যুদ্ধে তা অভিজ্ঞ ক্ষিতীশ সিংহ বুঝতে পেরেছিলেন। এসব ভেবেই ক্ষিতীশ কোনিকে আর বকলেন না।

আরও পড়ুন, দাদা আমায় বলেছিল টাকা থাকলেই সবাই খাতির করে। — এখানে ‘দাদা’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? কোন্ প্রসঙ্গে কথাটি উদ্ধৃত করা হয়েছে?

উপসংহারে বলা যায়, মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসে ক্ষিতীশ কোনির প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ক্রোধকে জ্বালিয়ে রাখতে চান। তিনি জানেন যে এই আগুনই কোনিকে হিয়ার সাথে সাঁতার-যুদ্ধে উত্তেজিত করবে এবং তাকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

ক্ষিতীশ একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক এবং তিনি জানেন যে একজন খেলোয়াড়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জয়ের আকাঙ্ক্ষা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কোনির মধ্যে এই আগুন জ্বলছে দেখে তিনি খুশি এবং তিনি চান যে কোনি এই আগুনকে ঠান্ডা হতে না দিয়ে নিজের লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাক।

উপন্যাসের এই অংশে আমরা দেখতে পাই যে ক্ষিতীশ কোনির একজন বন্ধু ও মেন্টরের চেয়েও বেশি। তিনি কোনির প্রতিভা ও সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করেন এবং তাকে তার সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে সাহায্য করতে চান।

Share via:

মন্তব্য করুন