এটাই ওকে উত্তেজিত করে বোমার মতো ফাটিয়ে দেবে আসল সময়ে। – এই ভাবনাটি কার ছিল? কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ভাবনা তা আলোচনা করো।

“এটাই ওকে উত্তেজিত করে বোমার মতো ফাটিয়ে দেবে আসল সময়ে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “”এটাই ওকে উত্তেজিত করে বোমার মতো ফাটিয়ে দেবে আসল সময়ে।” – এই ভাবনাটি কার ছিল? কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ভাবনা তা আলোচনা করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

কোনি এবং ক্ষিতীশ চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়েছিল। ঘণ্টা তিনেক ঘুরে কোনির জল তেষ্টা পেল। কিছু দূরে থাকা স্কুলছাত্রীদের কাছে জল চাইতে গেলে তাদের শিক্ষিকা তা প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু এরপর সেই স্কুলছাত্রীদের মধ্য থেকে একটি মেয়ে প্লাস্টিকের দুটি গ্লাসে জল ভরে কোনির কাছে আসে এবং শিক্ষিকার আচরণের জন্য ক্ষমা চায়। মেয়েটি ছিল বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের হিয়া মিত্র। এই সময় কোনি হিয়ার হাতে ধরে থাকা গ্লাসে ধাক্কা মারে আর তার ফলে সেটি ছিটকে ঘাসের ওপরে পড়ে যায়। অপমানিত ও ক্রুদ্ধ কোনি সেখান থেকে চলে যায়। এই ঘটনায় হিয়া এবং ক্ষিতীশ দুজনেই হতভম্ব হয়ে যান। তারপর ক্ষিতীশ কোনির হয়ে হিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। এই ঘটনার জন্য ক্ষিতীশ ভেবেছিলেন কোনিকে খুব বকবেন। কিন্তু শেষ অবধি তিনি কিছুই বললেন না। কারণ ক্ষিতীশ বুঝতে পেরেছিলেন যে এই হিয়া মিত্রই কোনির ভবিষ্যৎ প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই তিনি মনে মনে ঠিক করে নেন যে, কোনির হিয়ার প্রতি এই হিংস্র আক্রোশটা ভোঁতা করে দেওয়া কখনোই ঠিক কাজ হবে না। এই আক্রোশ কোনি বুকের মধ্যে পুষে রাখুক যা কিনা তাকে একদিন সাফল্যের পথে নিয়ে যাবে।

এটাই ওকে উত্তেজিত করে বোমার মতো ফাটিয়ে দেবে আসল সময়ে। - এই ভাবনাটি কার ছিল? কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ভাবনা তা আলোচনা করো।

“এটাই ওকে উত্তেজিত করে বোমার মতো ফাটিয়ে দেবে আসল সময়ে।” – এই ভাবনাটি কার ছিল? কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ভাবনা তা আলোচনা করো।

অথবা, এটা বুকের মধ্যে পুষে রাখুক। এটাই ওকে উত্তেজিত করে বোমার মতো ফাটিয়ে দেবে আসল সময়ে। – প্রসঙ্গটি আলোচনা করো।

উদ্দিষ্ট ব্যক্তি – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসে উল্লিখিত ভাবনাটি ক্ষিতীশের মধ্যে দেখা গিয়েছিল।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত – চিড়িয়াখানায় ক্ষিতীশের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিল কোনি। ঘণ্টা তিনেক ঘুরে তার জল তেষ্টা পায়। কিছু দূরে থাকা স্কুলছাত্রীদের কাছে জল চাইতে গিয়ে তাদের শিক্ষিকার দ্বারা কোনি প্রত্যাখ্যাত হয়। কিন্তু এরপর সেই স্কুলছাত্রীদের মধ্য থেকে একটি মেয়ে প্লাস্টিকের দুটি গ্লাসে জল ভরে নিয়ে তাদের কাছে আসে এবং শিক্ষিকার আচরণের জন্য তাদের কাছে ক্ষমা চায়। মেয়েটি ছিল বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের হিয়া মিত্র। এই সময় কোনি হিয়ার হাতে ধরে থাকা গ্লাসে ধাক্কা মারে আর তার ফলে সেটি ছিটকে ঘাসের ওপরে পড়ে যায়। অপমানিত ও ক্রুদ্ধ কোনি সেখান থেকে চলে যায়। এই ঘটনায় হিয়া এবং ক্ষিতীশ দুজনেই হতভম্ব হয়ে যান। তারপর ক্ষিতীশ কোনির হয়ে হিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। এই ঘটনার জন্য ক্ষিতীশ ভেবেছিলেন কোনিকে খুব বকবেন। কিন্তু শেষ অবধি তিনি কিছুই বললেন না। কারণ ক্ষিতীশ বুঝতে পেরেছিলেন যে এই হিয়া মিত্রই কোনির ভবিষ্যৎ প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই তিনি মনে মনে ঠিক করে নেন যে, কোনির হিয়ার প্রতি এই হিংস্র আক্রোশটা ভোঁতা করে দেওয়া কখনোই ঠিক কাজ হবে না। এই আক্রোশ কোনি বুকের মধ্যে পুষে রাখুক যা কিনা তাকে একদিন সাফল্যের পথে নিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন, এটা বুকের মধ্যে পুষে রাখুক। — কী পুষে রাখার কথা বলা হয়েছে? কী কারণে এই পুষে রাখা?

চিড়িয়াখানায় হিয়ার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা কোনির মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। হিয়ার প্রতি তার তীব্র ঈর্ষা ও রাগ তাকে প্রতিশোধের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। কোনি জানত যে, হিয়াই তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী এবং তাকে হারাতে হলে তাকে হিংস্র আক্রোশকে বুকের মধ্যে পুষে রাখতে হবে। এই আক্রোশই তাকে একদিন সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেবে।

কোনির এই আক্রোশ কেবল হিয়ার প্রতি নয়, বরং সমাজের প্রতিও ছিল। সমাজের সেই অংশের প্রতি যারা তাকে অপমান করেছিল, যারা তাকে হেয় করেছিল। কোনি জানত যে, এই সমাজকে জয় করতে হলে তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।

কোনির এই আক্রোশ তাকে একজন সফল সাঁতারু হতে সাহায্য করেছিল। সে দিনের পর থেকে কোনি আরও বেশি অনুশীলন করতে শুরু করে। সে জানত যে, হিয়াকে হারাতে হলে তাকে নিজেকে আরও উন্নত করতে হবে।

কোনির এই আক্রোশ তাকে একজন সফল মানুষ হতেও সাহায্য করেছিল। সে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে লড়াই করতে শিখেছিল। সে জানত যে, জীবনে সফল হতে হলে তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।

কোনির এই আক্রোশ ছিল তার অনুপ্রেরণা। এই আক্রোশ তাকে জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। এই আক্রোশ তাকে একজন সফল মানুষ হতে সাহায্য করেছিল।

Share via:

মন্তব্য করুন