স্টেট চ্যামপিয়নশিপে কি হলো, সেটা তো তুমি নিজেই দেখেছ। – কে, কখন কথাটি বলেছিল? প্রকৃত ঘটনাটি কী ছিল?

“স্টেট চ্যামপিয়নশিপে কি হলো, সেটা তো তুমি নিজেই দেখেছ।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “স্টেট চ্যামপিয়নশিপে কি হলো, সেটা তো তুমি নিজেই দেখেছ।” – কে, কখন কথাটি বলেছিল? প্রকৃত ঘটনাটি কী ছিল? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মতি নন্দীর বিখ্যাত উপন্যাস “কোনি”তে, কোনির বাংলা দলে নির্বাচন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। জুপিটারের প্রতিনিধিরা কোনিকে দলে না নেওয়ার প্রস্তাব করে, যা প্রায় গৃহীত হতে চলেছিল। এই সময়, বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের প্রশিক্ষক প্রণবেন্দু বিশ্বাস, কোনির প্রতিদ্বন্দ্বী হিয়ার প্রশিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও, প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেন। ধীরেন ঘোষ, কোনির প্রশিক্ষক, প্রণবেন্দুর এই পদক্ষেপে অবাক হন এবং রেগে গিয়ে উক্ত উদ্ধৃতিটি করেন।

উদ্ধৃতিটির পূর্বে, উপন্যাসে কোনির বিরুদ্ধে অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের বর্ণনা পাওয়া যায়। ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকের প্রতিযোগিতায়, কোনি ও হিয়ার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। জুপিটার গোষ্ঠীর লোকজন, যারা প্রতিযোগিতার কর্মকর্তা ছিলেন, মিথ্যা অজুহাতে কোনিকে ডিসকোয়ালিফাই করে। একইভাবে, ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল ও ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলিতেও কোনির সাথে অন্যায় করা হয়। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনে, ইলা কোনির লেনে ঢুকে পড়ে, যার ফলে কোনির সময় নষ্ট হয় এবং তাকে তৃতীয় স্থানে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

এই ঘটনাগুলি থেকে স্পষ্ট হয় যে, কোনিকে তার প্রতিভা ও যোগ্যতার পরিবর্তে ব্যক্তিগত হিংসা ও দলাদলির কারণে বারবার বঞ্চিত করা হয়েছিল।

উদ্ধৃতিটি এই অন্যায় ও অবিচারের প্রতিবাদ জানায়। এটি প্রতিভা ও যোগ্যতার পরিবর্তে দলবদ্ধি ও ব্যক্তিগত লাভের জন্য খেলাধুলার ক্ষেত্রে যে অনৈতিকতা বিরাজমান, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার।

উপন্যাসের এই অংশটি আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। প্রতিভা ও যোগ্যতার চেয়ে দলবদ্ধি ও ব্যক্তিগত স্বার্থের প্রাধান্য আমাদের সমাজের এক বেদনাদায়ক দিক। এই অংশটি আমাদের এই অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা যোগায়।

স্টেট চ্যামপিয়নশিপে কি হলো, সেটা তো তুমি নিজেই দেখেছ। - কে, কখন কথাটি বলেছিল? প্রকৃত ঘটনাটি কী ছিল?

“স্টেট চ্যামপিয়নশিপে কি হলো, সেটা তো তুমি নিজেই দেখেছ।” – কে, কখন কথাটি বলেছিল? প্রকৃত ঘটনাটি কী ছিল?

বক্তা এবং প্রসঙ্গ – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসে বাংলা দল নির্বাচনী সভায় জুপিটারের প্রতিনিধিদের চক্রান্ডে কোনিকে বাংলা দলে না নেওয়ার প্রস্তাব প্রায় গৃহীত হতে চলেছিল, এইসময় বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের সাঁতার প্রশিক্ষক প্রণবেন্দু বিশ্বাস সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। হিয়া মিত্রের প্রশিক্ষক প্রণবেন্দু হিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীর হয়ে কথা বলবেন-এটা ভাবতেই পারেননি ধীরেন ঘোষ। তাই তিনি রেগে গিয়ে প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি করেন।

প্রকৃত ঘটনা  ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকের প্রতিযোগিতা হয়েছিল মূলত কোনি ও হিয়ার মধ্যে। এই প্রতিযোগিতার অন্যতম রেফারি, স্ট্রোক জাজ, ইনস্পেকটর অফ টার্নস, টাইম কিপার সবাই ছিলেন জুপিটার গোষ্ঠীর লোকজন। কোনি এবং হিয়া ৫০ মিটার একসঙ্গে শেষ করে ঘোরামাত্রই কোনিকে মিথ্যা অজুহাতে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করা হয়। ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে কোনি প্রথমে ‘ফিনিশিং বোর্ড’ ছোঁয়ার পরও ঘোষণা হয় যে, অমিয়া প্রথম হয়েছে। ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলিতেও ‘ফলটি টার্ন’ নেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে কোনিকে বাতিল করা হয়। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনে ১০০ মিটারে ইলা কোনির লেনে ঢুকে পড়ে এবং মুখোমুখি সংঘর্ষ ও জড়াজড়িতে কোনির সময় নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কোনি তৃতীয় স্থান পায়। ব্যক্তিগত হিংসা ও দলাদলির জন্য কোনিকে প্রতিবার যে অন্যায়ভাবে দমিয়ে রাখা হয়েছিল, তারই কথা এখানে উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন, প্রণবেন্দু ব্ল‍্যাকমেল করে অ্যাপোলোর সুইমার টিমে ঢোকাতে চায়। – কে, কখন এই কথা বলেছিল? সত্যিই কী প্রণবেন্দু ব্ল‍্যাকমেল করে অ্যাপোলোর সুইমার টিমে ঢোকাতে চেয়েছিল?

মতি নন্দীর “কোনি” উপন্যাসের এই অংশে, আমরা দেখতে পাই যে, প্রতিভা ও যোগ্যতার উপরে ব্যক্তিগত হিংসা ও দলাদলির প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পারে। কোনি, একজন অসাধারণ সাঁতারু, বারবার অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয় জুপিটার গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের কারণে।

এই ঘটনা আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। প্রতিভা ও যোগ্যতার চেয়ে দলবদ্ধি ও ব্যক্তিগত স্বার্থের প্রাধান্য আমাদের সমাজের এক বেদনাদায়ক দিক।

কোনির চরিত্র আমাদের আশা ও অনুপ্রেরণা যোগায়। প্রতিকূল পরিস্থিতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে সে নিজেকে প্রমাণ করে।

উপন্যাসের এই অংশটি আমাদের শেখানোর চেষ্টা করে যে, প্রতিভা ও যোগ্যতার কদর করা উচিত, এবং ব্যক্তিগত হিংসা ও দলাদলির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত।

Share via:

মন্তব্য করুন