দেখা যাক সত্যিই ফুরিয়ে গেছে কিনা, অমিয়া ভাবল, কাল আমাকে দেখাতেই হবে। – এই উক্তির মধ্য দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়ে যাওয়ার হাহাকার কীভাবে ফুটে উঠেছে?

“দেখা যাক সত্যিই ফুরিয়ে গেছে কিনা, অমিয়া ভাবল, কাল আমাকে দেখাতেই হবে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “দেখা যাক সত্যিই ফুরিয়ে গেছে কিনা, অমিয়া ভাবল, কাল আমাকে দেখাতেই হবে।” – এই উক্তির মধ্য দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়ে যাওয়ার হাহাকার কীভাবে ফুটে উঠেছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মতি নন্দীর “কোনি” উপন্যাসে অমিয়া চরিত্রের মাধ্যমে খ্যাতি, প্রতিযোগিতা এবং মানসিক দ্বন্দ্বের চিত্র ফুটে উঠেছে। অমিয়া, একজন প্রতিভাবান সাঁতারু, দীর্ঘদিন ধরে বাংলা দলের মেয়েদের মধ্যে সেরা ছিল। বেঙ্গল চ্যাম্পিয়নের রেকর্ডও তার দখলে ছিল। কিন্তু মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় অমিয়ার ভাগ্য ঘুরে যায়। ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল এবং ১০০ মিটার বাটারফ্লাইতে সে হেরে যায়, প্রথমটিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। ৪০০ মিটার প্রতিযোগিতাতেও রমা যোশির কাছে পরাজয় স্বীকার করে অমিয়া।

ঠিক এই সময়ে, হিয়া মিত্র নামক এক উদীয়মান তারকা অমিয়ার স্থান দখল করে নেয়। ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে হিয়া প্রথম স্বর্ণপদক জিতে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করে। ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকেও সে সোনা জেতে। এর ফলে বাংলার ভাগ্য নির্ভরশীল হয়ে পড়ে হিয়ার ওপর। অমিয়া বুঝতে পারে যে তার সময় শেষ, হিয়া এখন সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।

শ্রেষ্ঠত্ব হারানোর যন্ত্রণা অমিয়াকে ভাবিয়ে তোলে। একদিকে হার মানতে চায় না সে, অন্যদিকে হিয়ার সাফল্য তাকে হতাশ করে। এই দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়েই অমিয়া নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল এবং ৪×১০০ রিলেতে অংশগ্রহণ করে অমিয়া আবারো তার প্রতিভা প্রমাণ করতে চায়।

এই অংশে অমিয়ার মানসিক দ্বন্দ্ব, হারানোর যন্ত্রণা এবং নতুন করে লড়াই করার সাহসের চিত্র অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।

দেখা যাক সত্যিই ফুরিয়ে গেছে কিনা, অমিয়া ভাবল, কাল আমাকে দেখাতেই হবে। - এই উক্তির মধ্য দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়ে যাওয়ার হাহাকার কীভাবে ফুটে উঠেছে?

“দেখা যাক সত্যিই ফুরিয়ে গেছে কিনা, অমিয়া ভাবল, কাল আমাকে দেখাতেই হবে।” – এই উক্তির মধ্য দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়ে যাওয়ার হাহাকার কীভাবে ফুটে উঠেছে?

  • অমিয়ার পিছিয়ে পড়া – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসে অমিয়া ছিল বাংলা দলের মেয়েদের মধ্যে সেরা সাঁতারু। বেঙ্গল চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড তার দখলেই ছিল। কিন্তু মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতার ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল এবং ১০০ মিটার বাটারফ্লাইতে অমিয়া পিছিয়ে পড়ে। প্রথমটিতে অমিয়া তৃতীয় স্থান অধিকার করে। ৪০০ মিটার প্রতিযোগিতাতেও অমিয়া রমা যোশির কাছে হেরে যায়।
  • হিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা – অমিয়া যখন বাংলাকে হতাশ করতে শুরু করে ঠিক সেইসময় হিয়া মিত্র সেই জায়গায় উঠে আসে। ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে হিয়া প্রথম বাংলাকে সোনা এনে দেয়। ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকেও হিয়া সোনা জেতে। এর ফলে বাংলার ভাগ্য নির্ভরশীল হয়ে পড়ে হিয়ার ওপর। অমিয়া উপলব্ধি করে যে তার মাথা থেকে মুকুট তুলে নিয়েছে হিয়া। এবার সব প্রশংসা, সব মনোযোগ হিয়ার প্রাপ্য। হিয়াই এবার সকলের মধ্যমণি হবে, তার দিন ফুরিয়ে গেছে।
  • শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষার তাগিদ – শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার তাগিদ থেকেই অমিয়া ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল এবং ৪×১০০ রিলেতে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে ওঠে। শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়ে যাওয়ার যে যন্ত্রণা তা অমিয়ার ভাবনায় এখানে ধরা পড়েছে।

আরও পড়ুন, এটাই ওকে উত্তেজিত করে বোমার মতো ফাটিয়ে দেবে আসল সময়ে। – এই ভাবনাটি কার ছিল? কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ভাবনা তা আলোচনা করো।

মতি নন্দী রচিত “কোনি” উপন্যাসে অমিয়া চরিত্রের মাধ্যমে লেখক খ্যাতি, প্রতিযোগিতা এবং মানসিক দ্বন্দ্বের চিত্র তুলে ধরেছেন। একজন খ্যাতিমান সাঁতারু হিসেবে অমিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাংলা দলের মেয়েদের মধ্যে সেরা ছিল। কিন্তু মাদ্রাজে জাতীয় প্রতিযোগিতায় তার পরাজয়ের ফলে হতাশার কালো মেঘ ঘিরে ধরে।

হিয়া মিত্রের উত্থান অমিয়ার জন্য আরও বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে। হিয়া সোনা জিতে বাংলার ভাগ্যকে উজ্জ্বল করে, যার ফলে অমিয়ার খ্যাতি ও মনোযোগ হ্রাস পায়।

শ্রেষ্ঠত্ব হারানোর যন্ত্রণা অমিয়াকে ভাবিয়ে তোলে। একদিকে হার মানতে চায় না, অন্যদিকে হিয়ার সাফল্য তাকে হতাশ করে। এই দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়েই অমিয়া নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

অমিয়ার চরিত্র আমাদের শেখানোর চেষ্টা করে যে, জীবনে হার-জিত স্বাভাবিক। হারিয়ে গেলে হতাশ না হয়ে বারবার চেষ্টা করে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।

Share via:

মন্তব্য করুন