এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্য পদার্থ সম্পর্কে কী জান?

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্য পদার্থ সম্পর্কে কী জান? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার প্রশ্ন। চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্য পদার্থ সম্পর্কে কী জান? – প্রশ্নটি আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

হাসপাতাল, নার্সিং হোম বা প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি থেকে বিপুল পরিমাণে যে বর্জ্য উৎপাদিত হয়, তাকে চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্য বলে। এইসব বর্জ্যগুলি ঠিকমতো বা নিয়মানুযায়ী অপসারিত না হলে এর থেকে নানা ধরনের রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্যকে দুভাগে ভাগ করা যায়— 1. সংক্রামক বর্জ্য 2. অসংক্রামক বর্জ্য।

সংক্রামক বর্জ্য – 

মোট চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্যের প্রায় 10-12 শতাংশ বর্জ্য হল সংক্রামক বর্জ্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল —

  • ব্যবহৃত সূচ, সিরিঞ্জ, ছুরি, কাঁচি, ব্লেড, ক্যাথিটার, প্রভৃতি
  • প্যাথোলজিক্যাল বা অপারেশন-সংক্রান্ত আবর্জনা
  • রং, তুলো, গজ, বিভিন্ন ধরনের কাপড়, ব্যান্ডেজ, মানব অঙ্গের ব্যবচ্ছিন্ন অংশ
  • চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ প্রভৃতি।

অসংক্রামক বর্জ্য – 

চিকিৎসা-সংক্রান্ত আবর্জনার প্রায় 90 শতাংশই এই জাতীয় বর্জ্য। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য —

  • প্লাস্টিক, খাবারের প্লাস্টিক থালা, ওষুধের মোড়ক
  • রোগীদের না খাওয়া খাবার
  • অফিসের আবর্জনা, কাগজ, শুকনো ফুল ইত্যাদি।

আরও পড়ুন – বর্জ্যের উৎস সম্পর্কে লেখো

এই আর্টিকেলে, আমরা চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্য পদার্থ সম্পর্কে আলোচনা করেছি, যা দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত এবং এর উত্তর জানা পরীক্ষার জন্য আপনার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্য পদার্থের সঠিক ব্যবস্থাপনা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বর্জ্য পদার্থগুলো সঠিকভাবে সংগ্রহ, শ্রেণিবিন্যাস, এবং নিষ্কাশন করা না হলে তা বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে এবং পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে।

Share via:

মন্তব্য করুন