নবম শ্রেণি – বাংলা – আবহমান – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

আবহমান কবিতাটি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা অন্ধকার বারান্দা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এটি ওই কাব্যগ্রন্থের তিরিশ সংখ্যক কবিতা।

আবহমান’ কবিতায় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী গ্রামবাংলার গরিবের উঠোনে লাউমাচার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন।

কবি লাউমাচার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন কারণ পল্লিবাংলার প্রকৃতিলালিত সহজসরল জীবনকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়।

পল্লিবাংলায় উঠোনের লাউমাচায় ছোট্ট লাউফুল দুলছে।

আবহমান কবিতায় গ্রামবাংলায় গরিবের উঠোনের লাউমাচায় ছোট্ট লাউফুল দোলার কথা বলা হয়েছে।

সন্ধ্যার মৃদুমন্দ বাতাসে লাউফুল দোলে।

আবহমান কবিতায় অনেক বছর আগে বাংলায় আশ্রয়ের খোঁজে মানুষের আসার কথা বলা হয়েছে, যারা এদেশেরই বাসিন্দা হয়ে গেছে।

বাংলার ভূখণ্ডে এসে মানুষ এই দেশকে নিবিড়ভাবে ভালোবেসে এখানেই ঘর বেঁধে বাস করতে শুরু করেছে।

গ্রামবাংলার মাটিকে, তার জলহাওয়াকে ভালোবাসে বলেই মানুষ হারিয়ে গিয়েও আবার বাংলার বুকে ফিরে আসে।

প্রকৃতির বুকে মানুষ একদিন বন কেটে বসতি গড়েছিল। নাগরিক ক্লান্তিতে মানুষ পরে সেই প্রকৃতির কাছেই ফিরে যেতে চেয়েছে। ‘আবার’ শব্দটিতে তারই ব্যঞ্জনা রয়েছে।

কবির মতে নটেগাছ বুড়িয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত মুড়োয় না।

মুড়য় না বলতে বোঝানো হয়েছে যে, কখনোই শেষ হয়ে যায় না।

আবহমান কবিতায় বলা হয়েছে গ্রামবাংলার নতুন প্রজন্মের মানুষরা নাগরিক যন্ত্রসভ্যতায় হারিয়ে গিয়েও আবার বাঁচার জন্য গ্রামবাংলার বুকেই ফিরে আসে।

যে মানুষ তার নাগরিক জীবনকে পিছনে ফেলে গ্রাম এবং মাটির কাছাকাছি বার বার ফিরে আসে, তাকেই একগুঁয়ে বলা হয়েছে।

সারাটা দিন আপনমনে ঘাসের গন্ধ মাখার কথা বলা হয়েছে।

আবহমান কবিতায় গ্রাম এবং প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষের যন্ত্রণা নেভে না।

কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতা থেকে গৃহীত প্রশ্নোদৃত অংশে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্নতার যন্ত্রণার কথা বলা হয়েছে।

প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের বিচ্ছিন্নতার যন্ত্রণা কখনও মানুষ ভুলতে পারে না বলেই দুঃখ বাসি হয় না ।

আবহমান কবিতায় বাগান থেকে কুন্দফুলের হাসি হারায় না।

আবহমান কবিতায় যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া,/লাউমাচাটার পাশে — এই পঙ্ক্তিটি চারবার ব্যবহার করা হয়েছে।