সত্যজিৎ রায়ের লেখা ব্যোমযাত্রীর ডায়রি একটি সাহিত্যিক উপন্যাস। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬১ সালে। উপন্যাসটিতে এক ভয়ঙ্কর রাতে এক বিমানযাত্রী তার ডায়েরিতে তার অভিজ্ঞতা লিখে রাখেন।
উপন্যাসের শুরুতে, বিমানযাত্রী তার নাম ও পরিচয় সম্পর্কে কিছু বলেন। তিনি একজন বিজ্ঞানী, যিনি তার গবেষণার কাজে ব্যস্ত। একদিন, তিনি তার সহকর্মীদের সাথে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে একটি বিমানে উঠেন। বিমানটি একটি ভয়ঙ্কর ঝড়ের কবলে পড়ে। বিমানযাত্রী বিপদের সম্মুখীন হন এবং তার জীবনের কথা চিন্তা করতে থাকেন।
উপন্যাসের মধ্যে, বিমানযাত্রী তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে লিখেন। তিনি তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং গবেষণার কাজ সম্পর্কে লিখেন। তিনি তার ভবিষ্যতের স্বপ্ন ও আশা সম্পর্কেও লিখেন।
উপন্যাসের শেষে, বিমানটি অবশেষে একটি নিরাপদ জায়গায় অবতরণ করে। বিমানযাত্রী তার অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেন। তিনি বুঝতে পারেন যে জীবন কতই না ক্ষণস্থায়ী এবং এটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো উচিত।
প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর ডায়রিটি লেখক কার কাছ থেকে পেয়েছিলেন?
প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর ডায়রিটি লেখক তারক চাটুজ্যে নামের এক গরিব ভদ্রলোকের কাছ থেকে পেয়েছিলেন।
প্রোফেসর শঙ্কুর নিরুদ্দেশ সম্পর্কে কী কী কথা প্রচলিত ছিল?
প্রোফেসর শঙ্কুর নিরুদ্দেশ সম্পর্কে বলা হত যে, এক্সপেরিমেন্টের কারণে তিনি হয় মৃত, না হয় কোথাও লুকিয়ে কাজ করেছেন।
তারকবাবু কোন্ জিনিস প্রসঙ্গে গোল্ড মাইন বলেছিলেন?
তারকবাবু প্রোফেসর শঙ্কুর লাল ডায়রিটি প্রসঙ্গে গোল্ড মাইন বলেছিলেন।
তারকবাবুকে দেখে লেখকের কেন গরিব মনে হত?
তারকবাবুর ছেঁড়া পোশাক-আশাক দেখে লেখকের মনে হত ভদ্রলোক বেশ গরিব।
ব্যোমযাত্রীর ডায়রি গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুকে কত বছর নিরুদ্দেশ বলা হয়েছে?
প্রোফেসর শঙ্কু বছর পনেরো নিরুদ্দেশ ছিলেন, এমনটাই বলা হয়েছে ব্যোমযাত্রীর ডায়রি গল্পে।
তারকবাবুর কাছে প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়রিটা পৌঁছেছিল কী করে?
সুন্দরবনে উল্কাপাতের ঘটনার পর সেখানে বাঘছালের খোঁজে গিয়ে তারকবাবু উল্কাপাতের গর্তে প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়রিটা পেয়েছিলেন।
তারকবাবু তাঁর প্রতি কথায় কী প্রসঙ্গ টেনে আনতেন?
সত্যজিৎ রায় রচিত ব্যোমযাত্রীর ডায়রি গল্পের চরিত্র তারকবাবু তাঁর প্রতি কথায় বাঘের প্রসঙ্গ টেনে আনতেন।
এটা সত্যি ঘটনা। কাগজে বেরিয়েছিল। — এখানে কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
ব্যোমযাত্রীর ডায়রি কাহিনি থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে সুন্দরবনের মাথারিয়া অঞ্চলের উল্কাপাতের কথা বলা হয়েছে।
উল্কাপাতের ঘটনা সম্পর্কে ব্যোমযাত্রীর ডায়রি-তে কী বলা হয়েছে?
সুন্দরবনের মাথারিয়া অঞ্চলে উল্কাপাতের পাথরটি ছিল বিশাল, কলকাতার জাদুঘরে রাখা পাথরের প্রায় দ্বিগুণ।
কিন্তু সে গুড়ে বালি। — উক্তিটির প্রসঙ্গ বুঝিয়ে দাও।
তারকবাবু সুন্দরবনে উল্কাপাতের পর বাঘছাল পাওয়ার আশায় সেখানে গিয়েছিলেন কিন্তু তা না পাওয়ায় এই আক্ষেপ করেছিলেন।
উল্কাপাতের সঙ্গে খাতার কী সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে?
উল্কাপাতের পর বাঘছাল পাওয়ার আশায় তারকবাবু সুন্দরবনে গেলেও বাঘছালের বদলে উল্কাপাতের গর্তে প্রোফেসর শঙ্কুর খাতাটি পেয়েছিলেন।
তারপর এক আশ্চর্য অদ্ভুত ব্যাপার। — লেখকের কেন এরকম মনে হয়েছে?
প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়রির কালির রং সবুজ থেকে লাল এবং পরে নীলে পরিণত হয়, তারপর নীল হয়ে যায় হলুদ। তাই লেখকের ব্যাপারটি আশ্চর্য মনে হয়েছে।
প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়রির পৃষ্ঠাগুলির বিশেষত্ব সম্পর্কে ব্যোমযাত্রীর ডায়রি-তে লেখক কী জানিয়েছেন?
প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়রির পাতাগুলি টানলে রবারের মতো বেড়ে যেত, তা ছেঁড়া ও পোড়ানো ছিল অসম্ভব। আবার কালির রংও বদলে যেত।
প্রহ্লাদ কত দিন ধরে প্রোফেসর শঙ্কুর ভৃত্য হিসেবে নিযুক্ত ছিল?
প্রহ্লাদ সাতাশ বছর ধরে প্রোফেসর শঙ্কুর ভৃত্য হিসেবে নিযুক্ত ছিল।
প্রহ্লাদকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রোফেসর শঙ্কু কী প্রয়োগ করেছিলেন?
প্রহ্লাদকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রোফেসর শঙ্কু নিজের আবিষ্কৃত নস্যাস্ত্র তার ওপর প্রয়োগ করেছিলেন।
প্রহ্লাদের ওপর নস্যাস্ত্র প্রয়োগের ফল কী হবে জানিয়েছেন শঙ্কু?
প্রহ্লাদের ওপর নস্যাস্ত্র প্রয়োগের ফলে প্রোফেসর শঙ্কুর হিসাব অনুযায়ী তেত্রিশ ঘণ্টার আগে তার হাঁচি থামবে না।
প্রোফেসর শঙ্কুর প্রথমবার রকেটযাত্রায় কেলেঙ্কারির জন্য কে দায়ী?
প্রোফেসর শঙ্কুর প্রথমবার রকেটযাত্রায় কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী ছিল ভৃত্য প্রহ্লাদ।
প্রোফেসর শঙ্কুর বিড়ালের নাম কী?
প্রোফেসর শঙ্কুর বিড়ালের নাম ছিল নিউটন।
প্রোফেসর শঙ্কুর প্রথমবার রকেটযাত্রায় কী কেলেঙ্কারি হয়েছিল?
ভৃত্য প্রহ্লাদের ভুলে প্রোফেসর শঙ্কুর রকেট সাড়ে তিন ঘণ্টা দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে কিছুটা উঠে অবিনাশবাবুর মুলোর খেতে পড়ে গিয়েছিল।
অবিনাশবাবু পাঁচশো টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন কেন?
প্রোফেসর শঙ্কুর রকেট পড়ে অবিনাশবাবুর মুলোর খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিনি পাঁচশো টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন।
একেই বলে দিনে ডাকাতি। — কোন্ ঘটনাকে দিনে ডাকাতি বলা হয়েছে?
প্রোফেসর শঙ্কুর রকেট অবিনাশবাবুর মুলোর খেতে ভেঙে পড়ে। এজন্য অবিনাশবাবুর ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিকে দিনে ডাকাতি বলা হয়েছে।
দ্বিতীয়বার রকেটযাত্রায় প্রোফেসর শঙ্কু প্রহ্লাদকে কেন নিতে চেয়েছিলেন?
প্রহ্লাদ বোকা হলেও সাহসী ছিল বলেই প্রোফেসর শঙ্কু দ্বিতীয়বার রকেটযাত্রায় প্রহ্লাদকে সঙ্গে নিতে চেয়েছিলেন।
প্রোফেসর শঙ্কুর দলের সদস্যদের কার কত ওজন ছিল?
প্রোফেসর শঙ্কুর দলের সদস্য প্রহ্লাদের দুই মন সাত সের, শঙ্কর এক মন এগারো সের, বিধুশেখরের সাড়ে পাঁচ মন ওজন ছিল।
শঙ্কুর রকেটের পোশাকের আস্তিনে কী ঢুকেছিল?
শঙ্কুর রকেটের পোশাকের আস্তিনে কতকগুলো উচ্চিংড়ে ঢুকেছিল।
এই হল অবিনাশবাবুর রসিকতার নমুনা। — রসিকতা কী ছিল?
প্রোফেসর শঙ্কুর মঙ্গলযাত্রা প্রসঙ্গে অবিনাশবাবু চাঁদপুর না মঙ্গলপুর কোথায় চললেন বলে রসিকতা করেছিলেন।
অবিনাশবাবু চা-এ চিনির বদলে কী খেতেন?
অবিনাশবাবু চা-এ চিনির বদলে স্যাকারিন খেতেন।
নিউটনকে মঙ্গলযাত্রায় সঙ্গী করার জন্য প্রোফেসর শঙ্কু কী করেছিলেন?
নিউটনকে মঙ্গলযাত্রায় সঙ্গী করার জন্য প্রোফেসর শঙ্কু ফিসপিল বানিয়েছিলেন। এর একটা খেলেই নিউটনের সাত দিনের খাওয়া হয়ে যেত।
ব্যোমযাত্রীর ডায়রি-তে একটি বেড়াল ও একটি কুকুরের নাম পাওয়া যায়। সেগুলি কী কী?
ব্যোমযাত্রীর ডায়রি-তে প্রোফেসর শঙ্কুর বেড়ালটির নাম ছিল নিউটন এবং লেখকের কুকুরটির নাম ছিল ভুলো।
প্রোফেসর শঙ্কু আশ্বিন-কার্তিক মাসে প্রতিদিন রাতে খাবার পরে বাগানের আরামকেদারায় তিন ঘণ্টা শুয়ে কাটাতেন কেন?
আশ্বিন-কার্তিক মাসে উল্কাপাত দেখার জন্য প্রতিদিন রাতে খাবার পরে প্রোফেসর শঙ্কু বাগানেরআরামকেদারায় শুয়ে দু-তিন ঘণ্টা কাটাতেন।
কত তারিখ, ক-টায় প্রোফেসর শঙ্কু মঙ্গলযাত্রা করেছিলেন?
১৩ জানুয়ারি ভোর পাঁচটায় শঙ্কু মঙ্গলযাত্রা করেছিলেন।
প্রোফেসর শঙ্কুর রকেটের সর্বোচ্চ কত ওজন নেওয়ার ক্ষমতা ছিল?
প্রোফেসর শঙ্কুর রকেটের সর্বোচ্চ কুড়ি মন পর্যন্ত ওজন নেওয়ার ক্ষমতা ছিল।
মহাকাশযাত্রার সময় প্রোফেসর শঙ্কুর রকেটে যাত্রী ও মালপত্রসমেত কত ওজন নেওয়া হয়েছিল?
মহাকাশযাত্রার সময় প্রোফেসর শঙ্কুর রকেটে যাত্রী ও মালপত্রসমেত পনেরো মন বত্রিশ সের তিন ছটাক ওজন নেওয়া হয়েছিল।
প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর যাত্রীদলের খাওয়াদাওয়ার কীরকম ব্যবস্থা করেছিলেন?
শঙ্কু নিউটনের জন্য fish pill, প্রহ্লাদ এবং নিজের জন্য বটিকা-ইন্ডিকা নামক হোমিওপ্যাথিক বড়ি নিয়েছিলেন।
নিউটনের Fish Pill খেলে কী হয়?
Fish Pill খেলে নিউটনের সাতদিনের খিদে মিটে যায়।
বটিকা-ইন্ডিকা কী?
বটিকা-ইন্ডিকা হল বটফলের রস থেকে তৈরি বড়ি, যা খেলে চব্বিশ ঘণ্টার জন্য খিদে তেষ্টা মিটে যায়।
আমাদের যে সমস্ত জিনিস সঙ্গে নিয়ে নামতে হবে সেগুলো গুছিয়ে রেখেছি। — জিনিসগুলি কী কী?
মঙ্গলে নামার জন্য প্রোফেসর শঙ্কুর সঙ্গের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি হল ক্যামেরা, দূরবিন, অস্ত্রশস্ত্র এবং ফার্স্ট-এড বক্স।
আমরা তো ঝাঁকুনির চোটে সব কেবিনের মেঝেয় গড়াগড়ি।-কেন এরকম হয়েছিল?
রোবট বিধুশেখর যন্ত্রপাতির বোর্ডের কাছে গিয়ে রকেট উলটোদিকে যাওয়ার হ্যান্ডেলটিতে প্রচণ্ড টান দিলে সবাই কেবিনের মেঝেতে গড়াগড়ি দিয়েছিল।
মঙ্গলগ্রহে জল কীরকম ছিল?
মঙ্গলগ্রহে নদীর জল ছিল লালচে স্বচ্ছ পেয়ারার জেলির মতো এবং স্বাদ ছিল অমৃতের মতো। তা ছিল শরীর ও মনের ক্লান্তিনাশক।
কিন্তু এর কাছে সে জল কিছুই না। — প্রসঙ্গটি কী?
মঙ্গলগ্রহে জল পান করার প্রসঙ্গে গারো পাহাড়ের ঝরনার জল পানের তুলনা টেনে প্রশ্নোদ্ধৃত কথাটি লিখেছিলেন প্রোফেসর শঙ্কু।
অগত্যা বিধুশেখরকে রকেটে রেখেই আমরা তিনটি প্রাণী মঙ্গলগ্রহের মাটিতে পদার্পণ করলাম। — এই তিনটি প্রাণী কে কে?
আলোচ্য উদ্ধৃতিতে তিনটি প্রাণী বলতে স্বয়ং প্রোফেসর শঙ্কু, ভৃত্য প্রহ্লাদ এবং বেড়াল নিউটনকে বোঝানো হয়েছে।
মঙ্গলগ্রহে কোথায় বসে শঙ্কু ডায়রি লিখেছিলেন?
মঙ্গলগ্রহে একটা হলদে রঙের নরম পাথরের ঢিপির উপরে বসে শঙ্কু তাঁর ডায়রি লিখেছিলেন।
মঙ্গলীয় সৈন্যরা দেখতে কেমন?
মঙ্গলীয় সৈন্যরা মানুষও না, জন্তুও নয়, মাছও নয়। কিন্তু এই তিনের সঙ্গেই তাদের কিছু কিছু সাদৃশ্য ছিল।
সেটাও অসম্ভব বলে মনে হয়। ― কোন্ বিষয়কে অসম্ভব বলে মনে হয়?
মঙ্গলগ্রহের প্রাণীরা যে মানুষের মতো কিছু হবে সেটাকে অসম্ভব বলে মনে হয়েছে।
সে দিব্যি নিশ্চিন্ত আছে। — কে কেন নিশ্চিন্ত আছে?
গ্রহের নাম যেহেতু মঙ্গল তাই সেখানে কোনো অনিষ্ট হতে পারে না ভেবে প্রহ্লাদ নিশ্চিন্ত হয়ে ছিল।
তাই বোধহয় ওর মাথাটা বিগড়ে গিয়েছিল। — কার মাথা কেন বিগড়ে গিয়েছিল?
বিধুশেখরের মনের ওপরে চাপ পড়াতেই সম্ভবত তার মাথা বিগড়ে গিয়েছিল বলে শঙ্কু মনে করেছেন।
সেটাকে প্রথমে নদী বলে বুঝিনি — এই না বোঝার কারণ কী ছিল?
নদীর জল লালচে স্বচ্ছ পেয়ারার জেলির মতো লাগছিল বলে সেটাকে নদী বলে বোঝা যাচ্ছিল না।
মঙ্গলে নামার পরে প্রোফেসর শঙ্কুরা কেমন আবহাওয়া পেয়েছিলেন?
মঙ্গলে কোনো ঠাণ্ডা ছিল না, বরং আবহাওয়া গরমের দিকে। মাঝে মাঝে আসা ঠাণ্ডা হাওয়া শুধু হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছিল।
বিধুশেখরকে নিয়ে আজ এক ফ্যাসাদ– এই ফ্যাসাদের কারণ কী?
রকেট মঙ্গলে ল্যাণ্ড করার পরে বোতাম টিপে চালু করা সত্ত্বেও বিধুশেখর কোনো নড়াচড়া করছিল না, এটাই ছিল ফ্যাসাদ।
তারপর দেখলাম প্রহ্লাদকে – প্রহ্লাদকে কীভাবে দেখা গিয়েছিল?
প্রহ্লাদ ডান হাতের মুঠোয় নিউটনকে ধরে ঊর্ধ্বশ্বাসে লাফাতে লাফাতে রকেটের দিকে চলেছিল।
যে জন্তুটা প্রহ্লাদকে তাড়া করেছিল তাকে দেখতে কেন?
যে জন্তুটা প্রহ্লাদকে তাকে তাড়া করেছিল সে মানুষও নয়, জন্তুও নয়, মাছও নয়, কিন্তু এই তিনের সঙ্গেই তার কিছু কিছু মিল ছিল।
তাই হয়তো প্রহ্লাদের নাগাল পাবে না।-কে কেন প্রহ্লাদের নাগাল পাবে না?
প্রহ্লাদকে তাড়া করেছিল যে মঙ্গলীয় জন্তুটা সে ভালো ছুটতে পারে না বলেই প্রহ্লাদের নাগাল পাবে না।
আমার মাথা ঘুরছে। — কীসে বক্তার মাথা ঘুরছিল?
মঙ্গলীয় সৈন্যদের গায়ের আঁশটে গন্ধে প্রোফেসর শঙ্কুর মাথা ঘুরছিল।
এখনও রয়ে গেছে। — কী থাকার কথা বলা হয়েছে?
মঙ্গলগ্রহ থেকে পালিয়ে রকেটে উড়ে চলার সময়ে প্রোফেসর শঙ্কু উপলব্ধি করেন যে ডান পায়ে একটা চিনচিনে যন্ত্রণা ও কেবিনের মধ্যে একটা মেছো গন্ধ তখনও রয়ে গেছে।
নিউটনের অরুচিটাও কমেছে। — নিউটনের অরুচির কী কারণ ভাবা হয়েছিল?
প্রোফেসর শঙ্কু অনুমান করেন যে, মঙ্গলীয় সৈন্যের গায়ে দাঁত বসানোর ফলেই নিউটনের অরুচি হয়েছিল।
ও স্পষ্ট উচ্চারণে বলল, থ্যাঙ্ক ইউ। — কে কখন এ কথা বলেছিল?
মঙ্গলগ্রহ থেকে রকেটে উড়ে চলার সময় প্রহ্লাদকে সঙ্গে নিয়ে শঙ্কু বিধুশেখরকে নাড়া দিয়ে কাঁধের বোতাম টিপে দিতেই সে স্পষ্ট উচ্চারণে ধন্যবাদ জানায়।
বিধুশেখর চলিত ভাষা ছেড়ে শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করছিল কেন?
সম্ভবত প্রহ্লাদের মুখে রামায়ণ-মহাভারত শোনার ফলে বিধুশেখর চলিত ভাষা ছেড়ে শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করছিল।
এর আগে বিধুশেখরের কথা না শুনে ঠকেছি। — নতুন করে না ঠকার জন্য শঙ্কু কী করেছিলেন?
নতুন করে না ঠকার জন্য প্রোফেসর শঙ্কু বিধুশেখরের নির্দেশমতো রকেটের জানলা খুলে দিয়েছিলেন।
এই একটা নতুন কথা কদিনই ওর মুখে শুনছি। — নতুন কথাটি কী ছিল?
বিধুশেখরের মুখে কথাটি ছিল আসলে একটা নতুন শব্দ টাফা।
বিধুশেখর টাফায় কাদের বাস বলেছিল?
বিধুশেখর বলেছিল যে টাফায় সৌরজগতের সব থেকে সভ্য লোকেরা বাস করে।
টাফায় প্রোফেসর শঙ্কুদের অভ্যর্থনাকারীরা কেমন দেখতে ছিল?
টাফায় প্রোফেসর শঙ্কুদের যারা অভ্যর্থনা করতে এসেছিল তারা একে-বারেই মানুষের মতো নয়, বরং পিঁপড়ে জাতীয় প্রাণীর সঙ্গে তাদের মিল ছিল।
টাফার অধিবাসীরা কোথায় থাকে?
টাফার অধিবাসীরা গর্ত দিয়ে মাটির ভিতরে ঢুকে যায় এবং সেখানেই বাস করে।
কিন্তু তাতে তার কিছু হলো না। — কার কী হল না?
টাফার লোকটিকে শঙ্কু নস্যাস্ত্র প্রয়োগ করলেও তাতে তার কিছু হল না, কারণ তারা হাঁচতেই শেখেনি।
রকেট থেকে নেমেই সেটা টের পেলাম। — রকেট থেকে নেমে কী টের পেলেন?
রকেট থেকে নেমেই প্রোফেসর শঙ্কু মঙ্গলগ্রহে একটা বিশেষ গন্ধ টের পেলেন যা গাছপালা বা জলমাটির গন্ধের থেকে আলাদ।
ব্যোমযাত্রীর ডায়রির প্রথম তারিখ ও শেষ তারিখ উল্লেখ করো।
ব্যোমযাত্রীর ডায়রির প্রথম তারিখ ছিল ১ জানুয়ারি, শেষ তারিখ ছিল ২৫ জানুয়ারি।
সত্যজিৎ রায়ের ব্যোমযাত্রীর ডায়রি একটি অনন্য সাহিত্যকর্ম। এটি একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী হলেও, এর মধ্যে রয়েছে গভীর মানবিকতা ও শিক্ষা। এই উপন্যাসে, সত্যজিৎ রায় বিভিন্ন মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেছেন।