মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – পরিবেশ তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ – জীববৈচিত্র্য এবং সংরক্ষণ – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর(বিভাগ-খ)

পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই অধ্যায়ে পরিবেশের সংজ্ঞা, পরিবেশের উপাদান, পরিবেশের সম্পদ, পরিবেশের সম্পদের সংরক্ষণ ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

Table of Contents

এই অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তরগুলি আগামী মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তরগুলি ভালোভাবে পড়ে নিলে পরীক্ষায় ভালো ফল করা সম্ভব।

পরিবেশ তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ – জীববৈচিত্র্য এবং সংরক্ষণ

JFM ও PBR কী? জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে JFM এবং PBR-এর ভূমিকাগুলি উল্লেখ করো।

জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট হলো বৃহত্তর বন পরিচালনা পদ্ধতি, যা উন্নয়ন এবং সংরক্ষণের লক্ষ্যে বন সম্পদ এবং পরিবেশের সাথে সমন্বয় করে।

জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট বা JFM

ভারত সরকার স্বীকৃত সরকার ও স্থানীয় মানুষের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় বনজ সম্পদের সুপরিচালন ব্যবস্থার নাম জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট বা JFM।

জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট বা JFM
  • জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে JFM-এর ভূমিকা 1. বিভিন্ন রাজ্যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে রাজ্য বনদপ্তরকে সক্রিয় সহযোগিতা করে এই কমিটি। 2. দাবানল, বেআইনি পশুচারণ, বনভূমি বিনাশের প্রচেষ্টা, বেআইনি খননকার্য প্রভৃতি রোধে বনদপ্তরকে এই কমিটি অবহিত করে। 3. বনে কোনোরকম চোরাশিকারের ঘটনা তাৎক্ষণিক বনদপ্তরকে জানানোর কাজ করে JFM কমিটি।

পিপলস্ বায়োডাইভারসিটি রেজিস্টার বা PBR

এটি ভারত সরকার প্রণীত জীববৈচিত্র্য আইন, 2002 অনুযায়ী গড়ে তোলা একটি প্রামাণ্য নথি, যেখানে স্থানীয় জীবসম্পদের সম্বন্ধে জ্ঞান এবং তাদের প্রাপ্তিসাধ্যতা, ব্যবহার এবং তাদের সম্বন্ধে ঐতিহ্যবাহী পরম্পরাগত বিশ্বাস-সংক্রান্ত তথ্য মজুত থাকে।

  • জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে PBR-এর ভূমিকা 1. PBR স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়, যার ওপর ভিত্তি করে বিপন্ন জীবগুলির সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 2. স্থানীয় মানুষকে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণের ব্যাপারে সজাগ করে সংরক্ষণে অংশীদার করতে সাহায্য করে। 3. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সুস্থায়ী ব্যবহার দ্বারা স্থানীয় লোকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রচেষ্টাতে এর গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য।

বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণগুলি লেখো। বাঘ সংরক্ষণের প্রচেষ্টা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

বাঘের সংখ্যা হ্রাসের প্রধান কারণ হলো জঙ্গল উপস্থিতির হ্রাস, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ পরিবর্তন, আদিবাসী সংক্রান্ত সমস্যাগুলি এবং অব্যবস্থিত বাঘ সংরক্ষণ পদ্ধতি।

বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণ

1. বাসযোগ্য স্থানের বিনাশ মানব জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং আগ্রাসনের কারণে বনাঞ্চল ক্রমাগত ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে। এর ফলে বাঘের স্বাভাবিক বাসস্থান হ্রাস পাচ্ছে। 2. চোরাশিকার – বাঘের চামড়া শৌখিন বস্তুরূপে ব্যবহৃত হয়। এর আন্তর্জাতিক মূল্যমান প্রায় 12,500 ডলার। বাঘের হাড়, চোখ, দাঁত প্রভৃতির ব্যাপক চাহিদা নির্বাচারে বাঘ হত্যা করা হয়। 3. প্রজননে বাধা প্রজনন সঙ্গীর অভাবে বাঘের প্রজনন হার হ্রাস পেয়েছে এবং বাঘের সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।

বাঘ সংরক্ষণ

বাঘ সংরক্ষণ প্রচেষ্টা

1969 সালে দিল্লীতে IUCN-এর সাধারণ বৈঠকের পরে 1970 সালে ভারতবর্ষে বাঘ হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়। 1972 সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন চালু হয়। 1973 সালে 1 এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশমন্ত্রক, IUCN এবং WWF-এর সহযোগিতায় ভারত সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ন্যাশনাল টাইগার কনজারেভশন অথোরিটি বা NTCA-এর প্রজেক্ট টাইগার চালু করার মাধ্যমে ভারতবর্ষে বাঘ সংরক্ষণের প্রচেষ্টার সূত্রপাত হয়। 1973 সালে প্রাথমিকভাবে 9টি অভয়ারণ্যের মাধ্যমে বাঘ সংরক্ষণের প্রচেষ্টার সূচনা হয়। বর্তমানে এই সংস্থার অধীনে ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংখ্যা 42টি। জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক (উত্তরাখণ্ড) হল একটি বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্র।

গন্ডারের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণগুলি লেখো। গন্ডার সংরক্ষণ প্রচেষ্টা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

গন্ডারের সংখ্যা হ্রাসের প্রধান কারণ হলো ক্ষেত্রসম্প্রসারণের কারণে তাদের প্রাকৃতিক আবাস হারানো, খাদ্যের অভাব, আদিবাসীদের সংক্রান্ত সমস্যা এবং অব্যবস্থিত গন্ডার সংরক্ষণ পদ্ধতি হল হ্রাসের কারণ।

গন্ডারের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণ

1. বন ধ্বংস – জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে তাদের বসতি গড়ে তুলতে ক্রমাগত বনাঞ্চলের গাছ কেটে ফেলায় গন্ডারের বাসস্থান বহুলাংশে নষ্ট হয়েছে। 2. চোরাশিকার – গন্ডারের শিং গৃহসজ্জার উপকরণ, ভেষজ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এগুলি চোরাবাজারে মহামূল্যবান। অবাধ চোরাশিকারের ফলে গন্ডারের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেরেছে। 3. বংশবৃদ্ধি হার গন্ডারের গর্ভধারণকাল দীর্ঘ (479 দিন) এবং একবছরে একটি বাচ্চা প্রসব করার কারণে এদের বংশবৃদ্ধির হার অনেক কম হয়।

গন্ডার সংরক্ষণ

গন্ডার সংরক্ষণ প্রচেষ্টা

ভারতে 85% গন্ডার অসমে পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক সংস্থা WWF (World Wide Fund for Nature)-এর সহযোগিতায় অসমের বনদপ্তর একটি প্রকল্প গ্রহণ করে, যার নাম ইন্ডিয়ান রাইনো ভিশন 2020 বা IRV 2020। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল, 2020 সালের মধ্যে অসমে গন্ডারের সংখ্যা 3000-এ নিয়ে যাওয়া। এই প্রকল্পের সাফল্যের কারণে 2013 সালে এই সংখ্যা অসমে 2544-এ এসে দাঁড়িয়েছে। 2013-এর সুমারি অনুযায়ী শুধু কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কেই গন্ডারের সংখ্যা 1855 থেকে 2329 দাঁড়িয়েছে।

সিংহের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণগুলি লেখো। সিংহ সংরক্ষণের প্রচেষ্টা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

সিংহের সংখ্যা হ্রাসের প্রধান কারণ হলো জঙ্গল উপস্থিতির ক্ষেত্রে তাদের আবাস হারানো, খাদ্যের অভাব, বিপর্যয়শীল পরিবেশ, অব্যবস্থিত সিংহ সংরক্ষণ পদ্ধতিতে এবং ব্যাপারিক আদালতে তাদের সংরক্ষণের কমতি।

সিংহের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণ

1. বাসস্থানের বিনাশ মানব জনসংখ্যার চাপে বনভূমির গাছ কেটে বাসভূমি গড়ে তোলায় সিংহের স্বাভাবিক বাসস্থান নষ্ট হয়েছে। গির অরণ্যের মধ্যে দিয়ে প্রধান সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে দুর্ঘটনায় বহুসংখ্যক সিংহ মারা যায়। 2. চোরাশিকার – সিংহের হাড় ভেষজ ওষুধরূপে ব্যবহৃত হওয়ায় এবং নখ ও চামড়ার লোভে অসাধু ব্যবসায়ী, চোরাশিকারিরা সিংহ হত্যা করে অর্থ উপার্জন করে।

সিংহ সংরক্ষণ

সিংহ সংরক্ষণ প্রচেষ্টা

জুনাগড়ের রাজা 1910 খ্রিস্টাব্দে প্রথম সিংহ সংরক্ষণের প্রচেষ্টা করেন। তিনি সিংহ হত্যা নিষিদ্ধ করেন। এই নিষেধ স্বাধীনতার পরেও বজায় থাকে। 1960 এবং 1970 সালে গির অরণ্যকে যথাক্রমে অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যানরূপে ঘোষিত করা হয়। এখানে গুজরাট সরকারের তত্ত্বাবধানে গির লায়ন প্রচেক্ট চালু হয়। 1974 সাল থেকে এই পপুলেশন ক্রমশ বাড়তে থাকে। বর্তমানে গির অরণ্যে এশিয়ান সিংহের সংখ্যা 523 (2015, সিংহ গণনা অনুযায়ী)। 2015 সালে ভারত সরকারের পরিবেশমন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে প্রজেক্ট লায়ন (project lion) গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া এশিয়াটিক লায়ন রি- ইনট্রোডাকশান প্রজেক্ট-এর মাধ্যমে এশিয়ার সিংহকে বাঁচানোর জন্য ভারত সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

কুমিরের সংখ্যা হ্রাসের কারণগুলি লেখো। কুমির সংরক্ষণ প্রচেষ্টা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

কুমিরের সংখ্যা হ্রাসের প্রধান কারণ হলো তাদের আবাস হারানো, জঙ্গল উপস্থিতির ক্ষেত্রে অপ্রাকৃতিক পরিবেশের পরিণতি, বিপর্যয়শীল শিকার এবং অব্যবস্থিত কুমির সংরক্ষণ পদ্ধতিতে কমতি।

কুমিরের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণ

1. চোরাশিকার কুমিরের চামড়া সংগ্রহের জন্য কুমির নিধন করা হয়। 2. খাদ্য কুমিরের ডিম খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করায় তাদের সংখ্যা হ্রাস পায়। 3. জেলেদের দ্বারা ক্ষতি জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে জালে কুমির উঠলে অনেকসময়ে তাকে মেরে ফেলে।

কুমির সংরক্ষণ

কুমির সংরক্ষণ প্রচেষ্টা

কুমির সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে 1974 সালে কুমির সংরক্ষণ গবেষণা প্রকল্প চালু হয়েছে। 1975 সালে ভারত সরকার কুমির প্রজনন ও পরিচালন প্রকল্প বা প্রজেক্ট ক্রোকোডাইল নামক কুমির সংরক্ষণ প্রকল্প গ্রহণ করে। 16টি কুমির পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং 11টি কুমির স্যাংচুয়ারিতে ভারতবর্ষব্যাপী প্রকল্পটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রকল্পটিতে সহায়তা করবার জন্য কুশলী পরিচালকের প্রয়োজন অনুভব করে 1980 সালে হায়দ্রাবাদে কুমির প্রজনন ও পরিচালন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। ওড়িশার ভিতরকণিকা অভয়ারণ্য হল উল্লেখযোগ্য কুমির সংরক্ষণ প্রকল্প কেন্দ্র।

রেড পান্ডার সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণগুলি লেখো। রেড পান্ডা সংরক্ষণ প্রচেষ্টা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

রেড পান্ডার সংখ্যা হ্রাসের প্রধান কারণ হলো তাদের আবাস হারানো, জঙ্গল উপস্থিতির ক্ষেত্রে অপ্রাকৃতিক পরিবেশের পরিণতি, বিপর্যয়শীল শিকার এবং অব্যবস্থিত পান্ডার সংরক্ষণ পদ্ধতিতে কমতি।

রেড পান্ডার সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণ

1. বাসস্থানের বিনাশ বনজ কাঠ সংগ্রহ ও কৃষিকাজের জমির সম্প্রসারণে রেড পান্ডার বাসযোগ্য বনভূমি হ্রাস পেয়েছে। এদের খাদ্য মূলত বাঁশ গাছের পাতা। এই গাছের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় প্রাণীটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। 2. কুকুরের আক্রমণ- এ ছাড়া রাস্তার মুক্ত কুকুর প্রায়শই এই প্রাণীটিকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে। 3. চোরাশিকার রেড পান্ডার লোমশ চামড়া ও ঝালরের মতো সুন্দর ল্যাজ, থেকে টুপি ও পরিধান তৈরি হওয়ায় চোরাশিকারিরা প্রাণীটিকে শিকার করে।

রেড পান্ডা সংরক্ষণ

রেড পান্ডা সংরক্ষণ প্রচেষ্টা

বর্তমানে রেড পান্ডা একটি বিপন্ন প্রাণী। একে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। 2005 সালে WWF সংস্থা এবং সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রেড পান্ডা সংরক্ষণ প্রকল্প চালু করা হয়। সিকিমের বার্সি রোডোডেনড্রন অভয়ারণ্য ও কাঞ্চনজঙ্ঘা বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ-এ রেড পান্ডা সংরক্ষণ প্রকল্পকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এই সংরক্ষণ প্রকল্প অনুযায়ী এই দুই অঞ্চলে বাঁশ ও অন্যান্য উদ্ভিদকে জ্বালানির কাজে ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় 200 জন মানুষকে কৃষিজ বর্জ্য ও কাদা থেকে তৈরি বিশেষ জৈব গুল (জ্বালানি) তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অরুণাচল প্রদেশে কমিউনিটি কনজার্ভড এরিয়া বা CCA নামক রেড পান্ডার কতকগুলি বসতি অঞ্চলে স্থানীয় মানুষকেও সংরক্ষণে অংশীদার করা হয়। CCA অঞ্চলে রেড পান্ডার দর্শনের থেকে তাদের অতিরিক্ত রোজগারের ব্যবস্থাও করা হয়।

ভারতে বাঘ, একশৃঙ্গ গন্ডার, সিংহ, কুমির, রেড পান্ডার বিপন্ন প্রজাতির নাম, সংরক্ষণ প্রকল্প ও স্থান উল্লেখ করো।

ভারতবর্ষে বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতি

বিপন্ন প্রজাতিসংরক্ষণ প্রকল্পস্থান
ভারতীয় বাঘ (প্যানথেরা টাইগ্রিস)প্রজেক্ট টাইগারসুন্দরবন ন্যাশনাল পার্ক (পশ্চিমবঙ্গ)
একশৃঙ্গ গন্ডার (রাইনোসেরস ইউনিকর্নিস)ইন্ডিয়ান রাইনোভিশন, 2020মানস ন্যাশনাল পার্ক (অসম)
এশিয়ান সিংহ (পানথেরা লিও পারসিকা)গির সিংহ প্রজেক্টগির ন্যাশনাল পার্ক, ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি (গুজরাত)
ঘড়িয়াল (গ্যাভিয়ালিস গ্যানজেটিকাস) ও কুমির (কোকোডাইলাস পোরোসাস)কুমির প্রজনন ও পরিচালন প্রকল্পভিতরকণিকা স্যাংচুয়ারি (ওড়িশা)
রেড পান্ডা (অ্যায়লিউরাস ফালজেনস)রেড পান্ডা প্রকল্পবার্সি রোডোডেনড্রন স্যাংকচুয়ারি (সিকিম)

পরিশেষে বলা যায়, পরিবেশের সম্পদ এবং জীববৈচিত্র্য আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য। তাই আমাদের উচিত এগুলি সংরক্ষণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা।

Share via:

মন্তব্য করুন