জলবিভাজিকা উন্নয়ন কী? এর গুরুত্ব এবং এর উন্নয়ন পদ্ধতি

Rahul

নমস্কার বন্ধুরা! আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো জলবিভাজিকা উন্নয়ন সম্পর্কে। দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য এই বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায়ের ভারতের জলসম্পদ বিভাগে জলবিভাজিকা উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে।

এই আর্টিকেলে আমরা জলবিভাজিকা উন্নয়ন কী, এর গুরুত্ব কী এবং কীভাবে এটি সম্পন্ন করা হয় তা জানবো।

জলবিভাজিকা উন্নয়ন কী? এর গুরুত্ব এবং এর উন্নয়ন পদ্ধতি

জলবিভাজিকা উন্নয়ন

কোনো নদী অববাহিকা অঞ্চলের জলবিভাজিকার সামগ্রিক ও বিভাজনসম্পন্ন উন্নয়নই হল জলবিভাজিকা উন্নয়ন। এর মাধ্যমে নদী অববাহিকা অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র, পরিবেশের উপদান ও সম্পদের স্থায়ী উন্নয়ন করা যায়।

জলবিভাজিকা উন্নয়নের গুরুত্ব

  • জলবিভাজিকার মাধ্যমে নদী অববাহিকা অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করা যায়। এটি প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থা-পনার একক।
  • একটি দেশের জলসম্পদ তার নদী অববাহিকার বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে।
  • ভূপৃষ্ঠে এবং ভূগর্ভে কত পরিমাণ জল সঞ্চিত আছে তা নিয়ন্ত্রণ করে নদী অববাহিকার ক্ষেত্রফল, ওই অঞ্চলের বৃষ্টিপাত, শিলার প্রকৃতি প্রভৃতি।

জলবিভাজিকা উন্নয়ন পদ্ধতি

  • ঢাল উন্নয়ন – নদী অববাহিকার উঁচু খাড়া অংশে ভূমিক্ষয় এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বৃক্ষরোপণ, তৃণভূমির আচ্ছাদন তৈরি, ধস নিয়ন্ত্রক দেয়াল নির্মাণ, প্রয়োজনে পাহাড়ি নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা যেতে পারে। এর সাথে ঝুম চাষের মতো কুপ্রথা বন্ধ করা দরকার।
  • সমোন্নতি রেখা বরাবর বনভূমি তৈরি – ধাপচাষযুক্ত অঞ্চলে সমোন্নতিরেখা বরাবর বনভূমি তৈরি করলে মাটি ক্ষয় কম হয় এবং ভৌমজলের পরিমাণ বাড়ে।
  • নদীখাতের ছোটো বাঁধ তৈরি – অববাহিকার ছোটো নদীগুলির প্রবাহপথে বাঁধ, বেঁধে দিলে স্থানীয়ভাবে জলসংরক্ষণ ও মাটিক্ষয় রোধ করা যায়।
  • বন্যা নিয়ন্ত্রণ – বন্যাপ্রবণ নদী অববাহিকায় প্রচুর জলাভূমি, পুকুর, খাল কাটতে হবে এবং নদীখাতের পলি কেটে তুলে ফেলতে হবে। এতে জলধারণক্ষমতা বাড়ে।
  • বহুমুখী নদী উন্নয়ন পরিকল্পনা – নদী অববাহিকার সঠিক উন্নতির জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, সুনিয়ন্ত্রিত জলসেচ, নৌপরিবহণ, মাছচাষ ইত্যাদি করা প্রয়োজন। ভূমিক্ষয় রোধেও নানা ব্যবস্থা নিতে হবে।

আজকের আর্টিকেলে আমরা খালের মাধ্যমে জলবিভাজিকা উন্নয়ন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা জলবিভাজিকা উন্নয়নের ধারণা, এর গুরুত্ব এবং এর বিভিন্ন উন্নয়ন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছি।

এই বিষয়টি দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায়ের “ভারতের জলসম্পদ” বিভাগে এই প্রশ্নটি বারবার দেখা যায়।

আপনি যদি পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে চান, তাহলে জলবিভাজিকা উন্নয়ন সম্পর্কে আপনার জ্ঞানকে দৃঢ় করার জন্য এই আর্টিকেলটি পড়া এবং মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

Please Share This Article

Related Posts

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো -

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান ও প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী তা আলোচনা করো।