এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর ইংরেজি বিষয়ের প্রথম অধ্যায় “Tales of Bhola Grandpa” নিয়ে আলোচনা করবো। এখানে লেখকের পরিচিতি, গল্পের সারসংক্ষেপ এবং এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানানো হবে। এই আর্টিকেলটি আপনাদের “Tales of Bhola Grandpa” সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেবে এবং গল্পটি ভালোভাবে বোঝার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এছাড়া, নবম শ্রেণীর পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে লেখক ও গল্পের সারসংক্ষেপ সম্পর্কিত প্রশ্ন আসতে পারে, তাই এই তথ্যগুলো জানা গুরুত্বপূর্ণ।
Tales of Bhola Grandpa – Introduction
‘Tales of Bhola Grandpa’ is a series of narrative descriptions of the facts and experiences of Bhola Grandpa’s different phases of life. The collection of facts begins with the protagonist’s residence, its location, and condition. One of the incidents described at the very outset narrates Bhola Grandpa’s forgetful nature. This forgetful nature makes him do unbelievable things, like losing his grandson during the return journey from a festival. He had gripped his grandson’s fingers tightly lest they slip out. However, due to his forgetfulness, he gets involved in other thoughts and inadvertently loses his grandson. In his trance, he walks ahead, gripping tightly what he believes are his grandson’s fingers. Only when reminded does he realize that his grandson is lost. He bursts into lamentation. Ultimately, his grandson is found in the comfortable shelter under a cow’s belly. It is heard that Bhola Grandpa once noticed a group of pirates hiding a large box of treasures under one of the sand dunes on the seashore. Hearing this from him, the narrator’s father and his friends venture to find the hidden treasures throughout the night. But at the climax, Bhola Grandpa declares that there is no treasure. He candidly confesses that what he had seen about the pirates was his reverie during his midday nap.
The most miraculous incident happens when Bhola Grandpa comes across a tiger chasing him on his way home from the weekly market. He instantly climbs up a nearby banyan tree to save himself. He stays on the tree in fear and spends the night there.
In the next morning, in his forgetfulness, he climbs down dreamily. In a calm and quiet manner, he passes the staring tiger that had waited all night for its prey. It is incredible that nothing happens to him and he returns home safely.
At the end, it is mentioned that Bhola Grandpa passes away at the age of ninety-five. With her preoccupied notion, his eighty-year-old bereaved wife announces that he died because he must have forgotten to breathe in his sleep.
So, in these narrations of incidents, the reader may explore the simplicity and forgetfulness of Bhola Grandpa. They provide elements of humor, which is the essence of the story.
Tales of Bhola Grandpa – ভূমিকা
টেলস অব ভোলা গ্র্যান্ডপা হল ভোলাদাদুর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের ঘটনা ও অভিজ্ঞতার বিবরণের সংগ্রহ। এই বিবরণের শুরু ভোলাদাদুর বসবাসস্থান ও তার পরিস্থিতি দিয়ে। ঘটনাসমূহের অন্যতম একটি তাঁর ভুলোমনা স্বভাবের বিবরণ দেয়। তাঁর এই স্বভাব অবিশ্বাস্য বহু কিছু ঘটাতে সাহায্য করে। যেমন, উৎসব থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর নাতিকে হারিয়ে ফেলার ঘটনা। তিনি উৎসব থেকে ফেরার পথে নাতির হাতের আঙুল শক্ত করে ধরে রাখেন যাতে না-ফসকে যায়। ভুলোমনের স্বভাববশত অন্য চিন্তায় মগ্ন হয়ে অসতর্কভাবে তিনি নাতির হাত ফসকে ফেলেন ও নাতি হারিয়ে যায়। কিন্তু তিনি হাত শক্ত করে মুঠো করে সামনের দিকে এগিয়ে যান ঘোরের মধ্যে। তাঁকে দেখে মনে হয় যেন শক্ত করে কিছু ধরে আছেন। মনে করানোর পর তাঁর সব কিছু খেয়াল হয় এবং অনুধাবন করে নাতি হারানোর শোকে বিলাপ করেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর নাতিকে এক গোরুর পেটের নীচে নিরাপদ আরামদায়ক আশ্রয় থেকে উদ্ধার করা হয়। এটি শোনা যায়, ভোলাদাদু একবার নাকি কিছু জলদস্যুকে গুপ্তধনের বাক্স সমুদ্রতীরের বালিয়াড়ির তলায় পুঁতে রাখতে দেখেন। এই কথা শোনামাত্রই কাহিনিকারের বাবা দলবলসহ সারা রাত ধরে গুপ্তধন খোঁজা শুরু করেন। কিন্তু চূড়ান্ত মুহূর্তে ভোলাদাদু বলেন ওসব গুপ্তধন বলে কিছু নেই। তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে, তিনি জলদস্যুদের বিষয়ে যা-কিছু দেখেছেন সেটি তাঁর দিবাস্বপ্ন।
সবচেয়ে অলৌকিক ঘটনাটি হল যখন সাপ্তাহিক হাট থেকে ফেরার পথে ভোলাদাদুর সঙ্গে বাঘের মুলাকাত হয়। বাঘটি তাঁকে দেখামাত্রই ধেয়ে আসে। ভোলাদাদু সঙ্গে সঙ্গে প্রাণপণে দৌড়ে কাছাকাছি একটি বটগাছে চড়ে বসেন। ভয়ে কাঠ হয়ে সেই গাছে বসে থাকেন এবং সারারাত ওখানেই কাটিয়ে দেন।
পরদিন সকাল হতেই ভুলো মনে নিদ্রালু চোখে গাছ থেকে নেমে পড়েন। ধীরে সুস্থে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকা বাঘটির পাশ দিয়ে নির্বিবাদে হেঁটে আসেন যে-বাঘটি সারারাত তার শিকারের জন্যে অপেক্ষা করছিল। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য যে, ভোলাদাদুর কিছুই হয়নি। তিনি খুব দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন।
গল্পের শেষে উল্লেখ করা হয়েছে ভোলাদাদু পঁচানব্বই বছর বয়সে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর অশীতিপর শোকাতুরা স্ত্রী তাঁর পূর্ব ধারণা অনুযায়ী মত প্রকাশ করেন যে, ভোলাদাদু নাকি ঘুমের মধ্যে শ্বাস নিতে ভুলে গিয়েছিলেন। সুতরাং এইসব ঘটনাসমূহের বিবরণের মধ্যে পাঠক ভোলাদাদুর সরলতা ও ভুলোমনা স্বভাবকে খুঁজে পায়। এই ঘটনাসমূহ হাস্যরসের উদ্রেক ঘটায় যা প্রকৃতপক্ষে গল্পের মূল উপাদান।
Tales of Bhola Grandpa – Life and Works of the Writer
Manoj Das is an internationally recognized writer. He is perhaps the foremost bilingual Oriya writer and a master of dramatic expression in both his English and Oriya short stories and novels. He has also written many poems, travelogues, and articles on history and culture.
Manoj Das was born in a small coastal village, Shankari, in the Balasore district of Odisha in 1934. He has written columns in India’s national dailies like The Times of India, The Hindustan Times, The Hindu, and The Statesman. Among his other important positions are the honourable Member of the General Council of Sahitya Akademi (New Delhi 1998-2002) and the Author-Consultant, Ministry of Education, Govt. of Singapore (1983-85). He received recognition in the form of the Sahitya Akademi Award in 1972, the Odisha Sahitya Akademi Award in 1965 and 1982, the Sarala Award in 1981, the Vishuba Award in 1986, the Sahitya Bharati Award in 1995, the Saraswati Samman in 2000, and the Padmashri in 2001. He has been settled as an ashramite of the Shri Aurobindo Ashram, Pondicherry since 1963. He is also an English professor at the Shri Aurobindo International Centre of Education, Pondicherry.
Manoj Das is a philosopher, a thinker-writer whose works can be defined as a quest for finding the eternal truth in everyday circumstances. His works include great fantasy, humor, and represent different aspects of life.
Tales of Bhola Grandpa – লেখকের জীবন ও কর্ম
মনোজ দাস একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক। তিনি সম্ভবত প্রথম দ্বিভাষিক ওড়িয়া লেখক। তিনি ইংরেজি ও ওড়িয়া ভাষায় লেখা তাঁর ছোটোগল্প ও উপন্যাস – এ নাটকীয় মূর্ছনা তৈরিতে ওস্তাদ। এ ছাড়াও তিনি অনেক কবিতা, ভ্রমণকাহিনি এবং ইতিহাস ও সংস্কৃতির ওপরও প্রবন্ধ রচনা করেন।
মনোজ দাসের জন্ম 1934 খ্রিস্টাব্দে ওড়িশার বালাসোর জেলার অন্তর্গত শাঁকারি নামে সমুদ্র উপকূলবর্তী একটি ছোট্ট গ্রামে। তিনি ভারতের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা যেমন, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দুস্থান টাইমস, দ্য হিন্দু এবং দ্য স্টেটসম্যান – এ নিয়মিত লেখার কাজ করেছেন। তাঁর আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদমর্যাদার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাহিত্য আকাদেমি-এর সাধারণ পরিষদের মাননীয় সদস্যপদ (নতুন দিল্লি 1998-2002) এবং সিঙ্গাপুর সরকারের শিক্ষামন্ত্রকের অধীন অথার কনসালট্যান্ট – এর পদ অলংকৃত করা (1983- 1985)। তিনি যে – সকল স্বীকৃতি ও সম্মাননা অর্জন করেন সেগুলি হল – সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার (1972), ওড়িশা সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার (1965 এবং 1982), সরলা পুরস্কার (1981), বিষুব পুরস্কার (1986),
সাহিত্য ভারতী পুরস্কার (1995), সরস্বতী সম্মান (2000) এবং পদ্মশ্রী (2001)। তিনি 1963 খ্রিস্টাব্দ থেকে পন্ডিচেরির শ্রীঅরবিন্দ আশ্রমের একজন আশ্রমিক হিসেবে বসবাস শুরু করেন। পন্ডিচেরির শ্রীঅরবিন্দ আন্তর্জাতিক শিক্ষাকেন্দ্র – র ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে তিনি নিযুক্ত আছেন।
মনোজ দাস একজন দার্শনিক এবং চিন্তাশীল লেখক যাঁর রচনা প্রাত্যহিক জীবনের শাশ্বত সত্যানুসন্ধান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাঁর রচনার মধ্যে রয়েছে কল্পনা, হাস্যরস এবং সেগুলি আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিককে উন্মোচিত করে।
Tales of Bhola Grandpa – Summary
The story begins with a description of the location and condition of Bhola Grandpa’s residence, where he lived with his wife. They lived together peacefully with a small troop of monkeys living on the bakul tree by their cottage.
Bhola Grandpa’s forgetful nature is evident in the incident of losing his grandson at the time of returning from a festival. On that occasion, he had gripped his grandson’s fingers tightly. But he could not feel when the fingers slipped out of his tight grip. He was so involved in other thoughts that he continued his journey with a grip that seemed to hold something. When reminded of the fact, he burst into lamentation with the realization that his grandson might be lost. Ultimately, his grandson was found.
It was heard that once Bhola Grandpa noticed a group of pirates hiding a large box of treasures under one of the sand dunes on the seashore. He reported this to the narrator’s father with eagerness, and they started their searching operation for the hidden treasure throughout the night. In the end, Bhola Grandpa remembered and candidly confessed that what he had seen about the pirates was nothing but his imagination during his midday nap.
Again, he easily forgot about the tiger that had chased him on his way back from the weekly market. Promptly, he climbed up a banyan tree and spent the night there. The next morning, when other people reminded him of the tiger, he could only then remember the events of the previous night. At the sight of the tiger, he fainted in fear and ultimately returned home safely.
So, when Bhola Grandpa passed away, his bereaved wife, according to her concept of her husband’s forgetful nature, observed that he must have forgotten to breathe at the last moment.
Tales of Bhola Grandpa – সারসংক্ষেপ
গল্পটির শুরু ভোলাদাদু ও তাঁর স্ত্রী যেখানে থাকতেন সেখানকার অবস্থান ও পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে। তাঁদের সঙ্গে বানরদের ছোটো একটি দলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ছিল যেগুলি ভোলাদাদুর ছোটো কুটিরের পাশে অবস্থিত বকুল গাছটিতে থাকত।
ভোলাদাদুর ভুলোমনা স্বভাবের পরিচয় পাওয়া যায় যখন একবার কোনো উৎসব থেকে ফেরার পথে তাঁর নাতিকে হারিয়ে ফেললেন। সেবার তিনি তাঁর নাতির হাতের আঙুলগুলি শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু কখন যে তাঁর হাত ফসকে নাতি চলে গিয়েছে তা তিনি টেরই পাননি। তিনি এতটাই অন্য কোনো চিন্তায় মগ্ন ছিলেন যে, তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন এমনভাবে যেন তিনি হাতে কিছু ধরে আছেন। যখন তাঁকে বিষয়টি মনে করানো হল, তিনি সবকিছু অনুভব করে প্রচণ্ড বিলাপ করতে লাগলেন। তাঁর নাতিটি হারিয়ে গিয়েছে ভেবে। শেষ পর্যন্ত তাঁর নাতিকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
এমন শোনা যায় কোনো একবার নাকি ভোলাদাদু কিছু জলদস্যুকে সমুদ্রের তীরবর্তী বালিয়াড়ির তলায় গুপ্তধনের বড়ো একটি বাক্স পুঁতে রাখতে দেখেছিলেন। প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে কাহিনিকারের বাবাকে এসে বলায় তার বাবা ও বন্ধুরা মিলে সারারাত ধরে গুপ্তধন খোঁজার অভিযান চালালেন। শেষকালে ভোলাদাদু সবকিছু মনে পড়তেই অকপটে স্বীকার করলেন যে, যা – কিছু তিনি দেখেছিলেন সবই তাঁর ভ্রম, দুপুরের ঘুমে দেখা স্বপ্ন।
আবার তিনি সহজেই ভুলে যেতে পারতেন সেই ঘটনা যখন তাঁকে একটি বাঘ কয়েক গজ দূর থেকে ধাওয়া করেছিল সাপ্তাহিক হাট থেকে ফেরার পথে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দৌড়ে কাছাকাছি একটি বট গাছে উঠে পড়েছিলেন এবং সারারাত তাঁকে ওখানেই কাটাতে হয়েছিল। পরদিন সকালে অন্য লোকজন বাঘটি সম্বন্ধে বলায় তাঁর গত রাতের ঘটনা মনে পড়ে যায়। বাঘের দৃশ্য মনে করতেই তিনি ভয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত তিনি দ্রুত বাড়ি ফিরে যান।
তাই, ভোলাদাদু যখন মারা যান তখন তাঁর শোকাতুরা স্ত্রী, তাঁর স্বামী সম্বন্ধে যথার্থই বলেছিলেন যে, ভোলাদাদু শেষ মুহূর্তে শ্বাস নিতেই ভুলে গিয়েছিলেন।
Tales of Bhola Grandpa – Title
The original title of the text, ‘Tales of Bhola Grandpa,’ is different. It is the edited version of the original short story, ‘Bhola Grandpa and the Tiger’. The text ‘Tales of Bhola Grandpa’ is a collection of stories about the central character’s residence, his forgetfulness, and adventurous journeys. The central character is Bhola Grandpa, whom the narrator knows closely. It is a collection of three different and unrelated incidents from Bhola Grandpa’s life. The incidents are not at all interrelated. The narrator is a direct witness to the first incident described in the text, while the other two incidents are heard by the narrator. So the entire text centers around the protagonist, Bhola Grandpa, and relates to his experiences in different phases of his life. The series of facts and small experiences from Bhola Grandpa’s life create a spell of wonder around the charming character of the protagonist. As the text is an amalgamation of various events of Bhola Grandpa’s life, the title ‘Tales of Bhola Grandpa’ is quite appropriate.
শিরোনাম
টেলস অব ভোলা গ্র্যান্ডপা পাঠ্যাংশটির শিরোনামের মূলসূত্রটি ভিন্ন। এটি মূল ছোটোগল্প ভোলা গ্র্যান্ডপা অ্যান্ড দ্য টাইগার – এর সম্পাদিত সংস্করণ। ‘টেলস অব ভোলা গ্র্যান্ডপা’ হল কেন্দ্রীয় চরিত্র ভোলাদাদুর বাসস্থানের অবস্থান, তাঁর ভুলোমনা স্বভাব ও রোমাঞ্চকর অভিযানের বিবরণ সংগ্রহ। কেন্দ্রীয় চরিত্রটি হল ভোলাদাদু যাঁকে লেখক খুব কাছ থেকে জানতেন। এটি হল ভোলাদাদুর জীবনের তিনটি ভিন্ন ও বিচ্ছিন্ন ঘটনার সংগ্রহ। ঘটনাগুলি মোটেই পরস্পর সম্পর্কিত বা সংযুক্ত নয়। লেখক এখানে বর্ণিত প্রথম ঘটনার একজন অন্যতম প্রত্যক্ষ সাক্ষী। অপর দুটি ঘটনা তাঁর শোনা। সুতরাং, সমগ্র পাঠ্যাংশটি ভোেলাদাদুকেন্দ্রিক এবং তাঁর জীবনের বিভিন্ন সময়ের ঘটনার অভিজ্ঞতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ভোলাদাদুর জীবনের ঘটনাপ্রবাহ ও টুকরো টুকরো কাহিনি কেন্দ্রীয় চরিত্রটির মোহময় আচরণ সম্বন্ধে মুগ্ধতার বিস্ময় সৃষ্টি করে। যেহেতু সমগ্র পাঠ্যাংশটি ভোলাদাদুর জীবনের নানাবিধ কাহিনির সংমিশ্রণ, সেহেতু ‘টেলস অব ভোলা গ্র্যান্ডপা’ শিরোনামটি সেভাবে ভাবা হয়েছে। তাই সেদিক থেকে বিচার করলে শিরোনামটি সম্পূর্ণভাবে যথার্থ।
Critical Analysis
‘Tales of Bhola Grandpa’ is an edited version of Manoj Das’ original short story, ‘Bhola Grandpa and the Tiger’. This text narrates Bhola Grandpa’s hilarious adventures seen through the eyes of a young man who had known him closely. On one hand, it describes the location and conditions of Bhola Grandpa’s residence. On the other hand, it narrates various humorous experiences and thrilling incidents from the protagonist’s life. After going through the vivid, lucid, and simple language and plot of the text, one can easily sketch the interesting character of Bhola Grandpa, who is forgetful and unmindful by nature. Due to such a simple, commonplace, and self-engrossing nature, Bhola Grandpa has to face many hazards in his daily life.
He invites perils into his life and makes his neighbors worried, tense, and busy. The simplicity and forgetfulness of Bhola Grandpa provide elements of humor on which the story hinges. The writer employs a naturalistic technique. What strikes us most is the unexpected turns of events in different incidents. The theme of the story ranges from the most matter-of-fact happenings of everyday life to events suggestive of the supernatural. His narrative technique is conventional. The writer does not offer any comment.
The story is funny as well as sad, satirical, and melancholic. Beneath the bubbling gaiety of laughter, there is an undercurrent of pathos. Here, reality and unreality confront each other in an amusing manner.
Tales of Bhola Grandpa – রসগ্রাহী আলোচনা
টেলস অব ভোলা গ্র্যান্ডপা মনোজ দাসের মূল ছোটোগল্প ভোলা গ্র্যান্ডপা অ্যান্ড দ্য টাইগার – এর সম্পাদিত সংস্করণ। এই পাঠ্যাংশটি হল এক তরুণের চোখে দেখা ভোলাদাদুর জীবনের মজার ঘটনা ও অভিযানের কাহিনি বর্ণনা, যে ভোলাদাদুকে খুব কাছ থেকে দেখেছে। একদিকে এটি যেমন ভোলাদাদুর বাড়ি ও থাকার জায়গার অবস্থান ও ধরন সম্বন্ধে বর্ণনা দেয়, অন্যদিকে তেমনই এটি কেন্দ্রীয় চরিত্রটির জীবনের মজাদার অভিজ্ঞতা ও রোমাঞ্চকর ঘটনার বিবরণও তুলে ধরে। পাঠ্যাংশটির স্পষ্ট, প্রাঞ্জল ও সহজ-সরল ভাষা ও কাহিনিবিন্যাস পাঠ করার পর কেন্দ্রীয় চরিত্র ভোলাদাদু সম্বন্ধে যে – কোনো পাঠকই অন্যমনস্ক ও ভুলোমনা কোনো আকর্ষণীয় চরিত্রের ছবি পেতে পারে। তাঁর এরকম সহজ, সাধারণ, আত্মভোলা – স্বভাবের জন্যে ভোলাদাদুকে তাঁর দৈনন্দিন জীবনে বহু সমস্যা ও বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
তিনি নিজেই তাঁর বিপদকে ডেকে এনেছেন এবং তাঁর প্রতিবেশীদের চিন্তিত, উদ্বিগ্ন ও ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছেন। ভোলাদাদুর চরিত্রের সরলতা ও অন্যমনস্কতা মজা ও হাস্যরসের উদ্রেক ঘটায়-সেখানেই গল্পের মূল ভাবটি নিবদ্ধ। লেখক এখানে স্বাভাবিক বর্ণনা কৌশল অবলম্বন করেছেন। যেটি সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে সেটি হল বিভিন্ন ঘটনার আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত পটপরিবর্তন। গল্পের মূল বিষয়বস্তু প্রাত্যহিক জীবনের অতি সাধারণ ঘটনার বর্ণনা থেকে শুরু করে অতিপ্রাকৃত ভাব তৈরি করা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থেকেছে। তাঁর বিবরণের ধরন চিরাচরিত। লেখক কোনোরকম মন্তব্যের অবতারণা করেননি।
গল্পটি যেমন মজার তেমনি দুঃখের, বিদুপাত্মক ও করুণ। হাসি-ঠাট্টার প্রাণোচ্ছলতার মধ্যেই রয়েছে করুণ রসের চোরাস্রোত। এখানে বাস্তবতা ও অবাস্তবতার সংঘাত ঘটেছে অত্যন্ত উপভোগ্য ভঙ্গিমায়।
এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর ইংরেজি বিষয়ের প্রথম অধ্যায় “Tales of Bhola Grandpa” এর লেখক পরিচিতি এবং গল্পের সারসংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের “Tales of Bhola Grandpa” সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে আপনারা গল্পটি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। এছাড়া নবম শ্রেণীর পরীক্ষায় লেখকের নাম ও সারসংক্ষেপ থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা থাকে। আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে তা নিচে কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না। কোনো অসুবিধা হলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগাযোগ করতে পারেন।