এই ব্লগ পোস্টে, আমরা আলোচনা করবো “আদর্শ নদী” বলতে কী বোঝায় এবং কেন গঙ্গাকে আদর্শ নদী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের জলসম্পদ” বিভাগের একটি প্রশ্ন। আপনি যদি এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাহলে এই পোস্টটি আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবে।
আদর্শ নদী কাকে বলে? গঙ্গাকে আদর্শ নদী বলে কেন?
আদর্শ নদী – যে নদীর গতিপথে ক্ষয়কার্য-প্রধান পার্বত্যপ্রবাহ বা উচ্চগতি, বহনকার্য-প্রধান সমভূমিপ্রবাহ বা মধ্যগতি এবং সঞ্চয়কার্য-প্রধান বদ্বীপপ্রবাহ বা নিম্নগতি সুস্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়, তাকে আদর্শ নদী বলে।
গঙ্গাকে আদর্শ নদী বলার কারণ – গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষারগুহা থেকে গঙ্গানদীর উৎপত্তি। এই উৎসস্থল থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত গঙ্গানদীর পার্বত্যপ্রবাহ বা উচ্চগতি, হরিদ্বার থেকে রাজমহল পর্যন্ত সমভূমিপ্রবাহ বা মধ্যগতি এবং রাজমহল থেকে বঙ্গোপসাগরের উপকূল অর্থাৎ মোহানা পর্যন্ত বদ্বীপপ্রবাহ বা নিম্নগতি লক্ষ করা যায়। যেহেতু গঙ্গানদীর গতিপথে তিনটি গতিই সুস্পষ্ট, তাই গঙ্গাকে আদর্শ নদী বলে।
আরও পড়ুন – ব্রহ্মপুত্র নদ বন্যাপ্রবণ কেন? অসমে প্রতি বছর বন্যা হয় কেন?
উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য গঙ্গা নদী ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং আদর্শ নদী হিসেবে বিবেচিত হয়। কেবল ভৌগোলিক দিক থেকেই নয়, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও গঙ্গা নদীর অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে।