আপনার মন হুকুম করতে জানে না তাই শরীর পারল না। – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই উক্তির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।

“আপনার মন হুকুম করতে জানে না তাই শরীর পারল না।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “আপনার মন হুকুম করতে জানে না তাই শরীর পারল না। – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই উক্তির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।” এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

দশম বাংলা সহায়ক পাঠের “বড়োলোক ব্যবসায়ী” প্রসঙ্গে ক্ষিতীশ সিংহ “মনই বল” এই উক্তিটি করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে, ক্ষিতীশ সিংহ বিষ্টুচরণ ধরের সাড়ে তিন মন ওজনের শরীর নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করেছিলেন। বিষ্টুচরণ অনেক টাকা খরচ করেও যে তাঁর শরীরটাকে মনের চাকর বানাতে পারবেন না তা বোঝাতেই, ক্ষিতীশ নিজের ডান হাতের কনুই শরীরে লাগিয়ে পিস্তলের মতো হাতটি সামনে বাড়িয়ে দেন। শত চেষ্টা করেও বিষ্টুচরণ ধর তাঁর হাতটা নামাতে ব্যর্থ হন।

এই প্রসঙ্গের তাৎপর্য হলো, জোর বলতে শুধু শারীরিক বলকেই বোঝায় না। মনের জোর এবং ইচ্ছাশক্তিই আমাদের আসল বল, তা শরীরের অনেক দুর্বলতাকে ঢেকে দেয়। ইচ্ছাশক্তি শরীরকে দিয়ে নিজের মতো করে অনেক বেশি পরিশ্রম করিয়ে নিতে পারে। তাই শুধু শরীর গড়া নয়, মনকেও তৈরি করতে হয়। শরীর যদি মনের নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে মন শরীরকে হুকুম দিয়ে কাজ করাবে।

কিন্তু খাদ্যরসিক, ভোগবিলাসী বিষ্টুচরণ শরীর, মন কোনোটির সম্পর্কেই সচেতন নন। তাই তিনি বিপুল শরীরের অধিকারী হয়েও তাঁর তুলনায় অনেক রোগা ক্ষিতীশ সিংহের হাতটা নামাতে না পেরে হাল ছেড়ে দিয়ে নিশ্বাস ফেলতে থাকেন। তখন ক্ষিতীশ তাঁকে বোঝান যে শরীরকে মন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করাতে পারলে বিষ্টু অতি সহজেই এই কাজটি পারতেন।

এই প্রসঙ্গ থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে, শুধু শারীরিকভাবে সবল হলেই হবে না, মনের জোরও থাকতে হবে। মনের জোর থাকলে আমরা যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে পারবো।

আপনার মন হুকুম করতে জানে না তাই শরীর পারল না। - প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই উক্তির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।

আপনার মন হুকুম করতে জানে না তাই শরীর পারল না। – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই উক্তির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।

উৎস – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য উক্তিটি পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গ – বড়োলোক ব্যবসায়ী বিষ্টুচরণ ধরের সাড়ে তিন মন ওজনের শরীর নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করেছিলেন ক্ষিতীশ সিংহ। বিষ্টুচরণ অনেক টাকা খরচ করেও যে তাঁর শরীরটাকে মনের চাকর বানাতে পারবেন না তা বোঝাতেই, ক্ষিতীশ নিজের ডান হাতের কনুই শরীরে লাগিয়ে পিস্তলের মতো হাতটি সামনে বাড়িয়ে দেন। শত চেষ্টা করেও বিষ্টুচরণ ধর তাঁর হাতটা নামাতে ব্যর্থ হন। এই প্রসঙ্গেই ক্ষিতীশ সিংহ আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

তাৎপর্য – জোর বলতে শুধু শারীরিক বলকেই বোঝায় না। মনের জোর এবং ইচ্ছাশক্তিই আমাদের আসল বল, তা শরীরের অনেক দুর্বলতাকে ঢেকে দেয়। ইচ্ছাশক্তি শরীরকে দিয়ে নিজের মতো করে অনেক বেশি পরিশ্রম করিয়ে নিতে পারে। তাই শুধু শরীর গড়া নয়, মনকেও তৈরি করতে হয়। শরীর যদি মনের নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে মন শরীরকে হুকুম দিয়ে কাজ করাবে। কিন্তু খাদ্যরসিক, ভোগবিলাসী বিষ্টুচরণ শরীর, মন কোনোটির সম্পর্কেই সচেতন নন। তাই তিনি বিপুল শরীরের অধিকারী হয়েও তাঁর তুলনায় অনেক রোগা ক্ষিতীশ সিংহের হাতটা নামাতে না পেরে হাল ছেড়ে দিয়ে নিশ্বাস ফেলতে থাকেন। তখন ক্ষিতীশ তাঁকে বোঝান যে শরীরকে মন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করাতে পারলে বিষ্টু অতি সহজেই এই কাজটি পারতেন।

আরও পড়ুন, ওর চোখে এখন রাগের বদলে কৌতূহল। – কার কথা বলা হয়েছে? তাঁর রাগ এবং কৌতূহলের কারণ লেখো।

এই প্রসঙ্গ থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে শুধুমাত্র শরীর গড়ে তোলাই যথেষ্ট নয়, বরং আমাদের মনকেও শক্তিশালী করতে হবে। যদি আমাদের মন শক্তিশালী হয়, তাহলে আমরা আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব এবং যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে পারব।

বিষ্টুচরণ ধরের চরিত্র আমাদের সাবধান করে দেয় যে অতিরিক্ত ভোগবিলাস এবং খাদ্যরসিকতা আমাদের শরীর এবং মনকে দুর্বল করে ফেলে। এর ফলে আমরা আমাদের জীবনে অনেক সুযোগ হারিয়ে ফেলি।

অতএব, আমাদের সকলের উচিত মনোবল এবং ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করা। আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

Share via:

মন্তব্য করুন