বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব কোথায় সর্বাপেক্ষা বেশি?

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব কোথায় সর্বাপেক্ষা বেশি? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব কোথায় সর্বাপেক্ষা বেশি? প্রশ্নটি আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব কোথায় সর্বাপেক্ষা বেশি?

পৃথিবীর যেসব এলাকায় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 25 সেন্টিমিটারের কম সেইসব উষ্ণ মরু অঞ্চল বা মরুপ্রায় অঞ্চলে স্বাভাবিক উদ্ভিদ খুবই কম জন্মায়। ফলে ভূমি প্রায় অনাবৃত এবং চারপাশ উন্মুক্ত থাকে বলে বায়ু তীব্র গতিতে প্রবাহিত হয় ও ক্ষয়কার্য করে। তা ছাড়া, এইসব অঞ্চলে যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রাধান্যের জন্য স্বাভাবিকভাবে প্রচুর শিলাচূর্ণ, বালিকণা প্রভৃতির সৃষ্টি হয়। এজন্য উষ্ণ-মরু অঞ্চল তথা শুষ্ক অঞ্চলেই বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব সর্বাপেক্ষা বেশি হয়।

আরও পড়ুন – বায়ুর অপসারণের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলি কী কী?

এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি যে বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব কোথায় সর্বাপেক্ষা বেশি। আমরা দেখেছি যে, বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব শুষ্ক এবং অর্ধ-শুষ্ক অঞ্চলে সর্বাপেক্ষা বেশি। এই অঞ্চলগুলিতে, বৃষ্টিপাত কম এবং বাতাসের গতি বেশি, যার ফলে বায়ু দ্বারা মাটির ক্ষয়ের হার বৃদ্ধি পায়।

এছাড়াও, পাহাড়ি অঞ্চলে বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব বেশি দেখা যায়। পাহাড়ে, বন উজাড় এবং অপরিকল্পিত চাষবাসের ফলে মাটির স্থিতিশীলতা হ্রাস পায় এবং বায়ু দ্বারা মাটির ক্ষয়ের হার বৃদ্ধি পায়।

বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব কমাতে আমাদের বৃক্ষরোপণ, ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা, এবং মাটির সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এই আর্টিকেলটি দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি পড়ে শিক্ষার্থীরা বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন এবং পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারবেন।

Share via:

মন্তব্য করুন