আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে ভরাটকরণ কী? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার প্রশ্ন। ভরাটকরণ কী? – আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।
ভরাটকরণ কী?
সংগ্রহ করা বর্জ্য পদার্থকে নষ্ট করতে ভরাটকরণ বা স্যানিটারি ল্যান্ডফিল (sanitary landfill) খুব গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। একটি নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনার জৈব অংশকে আলাদা করে একটি স্তরে বিছিয়ে দেওয়া হয় ওই জৈব স্তরের উচ্চতা 2 মিটারের মতো হয়। এর ওপর 20-25 সেমি মাটির স্তর ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এভাবেই ক্রমে বর্জ্য এবং মাটির স্তর নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত বিছিয়ে দেওয়া হয়। একেবারে ওপরের স্তরে 1 মিটার মাটি ছড়িয়ে চাপা দেওয়া হয়। যাতে ইঁদুর জাতীয় প্রাণীরা এর ভিতরে ঢুকতে না পারে। মাটির মধ্যস্থিত জীবাণু বর্জ্যের ভৌত এবং রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায়। তাই মাটির নীচে মিথেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, অ্যামোনিয়া প্রভৃতি গ্যাস উৎপন্ন হয়। 4-6 মাসের মধ্যে বস্তুর পচন সম্পূর্ণ হয় এবং জৈব পদার্থ অক্ষতিকারক পদার্থে পরিণত হয়।বিপজ্জনক বর্জ্য পদার্থ পোড়ানোর আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে কী জান?
বর্জ্যকে উন্মুক্ত পরিবেশে পোড়ানো খুব ক্ষতিকর। তাই আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে, বিপজ্জনক বর্জ্যকে ভস্মভূত করা যায়। যদিও এই পদ্ধতি খুব ব্যয়বহুল তবুও এটি পরিবেশ হিতকর প্রযুক্তি। আবর্জনা পোড়ানোর সময় যে উচ্চতাপ উৎপন্ন হয় তা কাজে লাগিয়ে অনেকসময় ব্যয়ভার কিছুটা কমানো হয়।
এই পদ্ধতিতে উচ্চতাপেও বর্জ্য পদার্থকে সম্পূর্ণ পোড়ানো যায় না। কিছুটা অবশিষ্ট থেকেই যায়। ওইসব বর্জ্য পরে সংগ্রহ করে ভরাটকরণ করা হয় বা সমুদ্রে ফেলা হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা ভরাটকরণের ধারণা, এর প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানলাম।
ভরাটকরণ হলো নিম্নভূমি বা জলাভূমি পূরণ করে সেখানে কঠিন বর্জ্য পদার্থ ফেলে জমি উঁচু করার প্রক্রিয়া।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা সমাধান করতে পারি এবং অবনমিত ভূমিকে কাজে লাগাতে পারি।