বিষাক্ত বর্জ্য ও বিষহীন বর্জ্য এর মধ্যে পার্থক্য গুলি আলোচনা কর।

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে বিষাক্ত বর্জ্য ও বিষহীন বর্জ্য এর মধ্যে পার্থক্য গুলি আলোচনা কর। এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, বিষাক্ত বর্জ্য ও বিষহীন বর্জ্য এর মধ্যে পার্থক্য গুলি আলোচনা কর। – এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার প্রশ্ন। আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

বিষাক্ত বর্জ্য

পরিবেশের বিষাক্ত বর্জ্য মানুষের ও পরিবেশের পক্ষে খুব হানিকর। এগুলি মানুষ এবং প্রাণীর মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। এরা তিন ধরনের হয়–

  • রাসায়নিক বিষাক্ত বর্জ্য – ঘর, মেঝে পরিষ্কার করার তরল পদার্থ, ইঁদুর, পিঁপড়ে মারার বিষ এবং কীটনাশক এই ধরনের বিষাক্ত বর্জ্যের উদাহরণ।
  • রেডিয়ো অ্যাকটিভ বর্জ্য – এইসব বর্জ্য থেকে বিকিরণ ঘটে। চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত এক্স রে থেকে পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রে, পরমাণু বিস্ফোরিত অঞ্চল থেকে রেডিয়ো অ্যাকটিভ বর্জ্য পাওয়া যায়। এরা অত্যন্ত সক্রিয়। এরা মানুষ ও প্রাণীর এবং উদ্ভিদের শরীরে কোশের জিনগত পরিবর্তনও ঘটাতে পারে।
  • চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্য – ক্যাথিটার, ব্যবহৃত সূচ, সিরিঞ্জ, কাঁচি, মানব অঙ্গের ব্যবচ্ছিন্ন অংশ, গজ, তুলো এবং চিকিৎসার তেজস্ক্রিয় বর্জ্য এধরনের বর্জ্যের উদাহরণ।

বিষহীন বর্জ্য

প্রকৃতিতে যেসব কঠিন, তরল, বা গ্যাসীয় বর্জ্য পদার্থ জীবমণ্ডলের জন্য সরাসরি ক্ষতিকর নয়, অথবা তাদের ক্ষতিকর প্রভাব খুবই কম, সেগুলোকে বিষহীন বর্জ্য বলে। যেমন – খাদ্যের অবশিষ্টাংশ, কাঠের পাতা, শাকসবজির খোসা, ফলের খোসা, পোষা প্রাণীর মল।

বিষাক্ত বর্জ্য ও বিষহীন বর্জ্য এর মধ্যে পার্থক্য

বিষাক্ত বর্জ্য ও বিষহীন বর্জ্যের পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়বিষাক্ত বর্জ্যবিষহীন বর্জ্য
ধারণাযেসব বর্জ্য থেকে জীবের মৃত্যু ঘটে তাকে বিষাক্ত বর্জ্য বলে।যেসব বর্জ্য মানুষের তেমন ক্ষতি করে না, বরং পরিবেশমিত্র বর্জ্য হিসেবে কাজ করে, তাদের বিষহীন বর্জ্য বলে।
প্রকৃতিএগুলি জীব দ্বারা বিশ্লেষিত হয় না বলে এগুলি জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্য।এগুলি জীব দ্বারা বিশ্লেষিত হয় বলে এগুলি জীব বিশ্লেষ্য পদার্থ।
উদাহরণকৃত্রিম পলিমার, পলিথিন প্রভৃতি।তরকারি, সবজির খোসা, চামড়া, কাঠ ইত্যাদি।

আরও পড়ুন – তরল বর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য – এর মধ্যে পার্থক্য গুলি আলোচনা কর

এই আর্টিকেলে আমরা বিষাক্ত বর্জ্য ও বিষহীন বর্জ্য এর মধ্যে পার্থক্যগুলি আলোচনা করেছি। আমরা দেখেছি যে বিষাক্ত বর্জ্য পরিবেশ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, যেখানে বিষহীন বর্জ্য তেমন ক্ষতিকর নয়।

আমরা বিষাক্ত বর্জ্যের বিভিন্ন উৎস এবং শ্রেণীবিভাগ, এবং বিষহীন বর্জ্যের বিভিন্ন ধরনও দেখেছি।

এছাড়াও, আমরা বিষাক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতি এবং বিষহীন বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহারের উপায়গুলিও আলোচনা করেছি।

এই আর্টিকেলটি আপনাকে বিষাক্ত বর্জ্য ও বিষহীন বর্জ্য এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করবে এবং পরিবেশের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে আপনার ধারণা উন্নত করবে।

Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক ইতিহাস - প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ - বিশ্লেষণমূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস - প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ - ব্যাখ্যামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্য অঞ্চলের প্রকৃতি উল্লেখ করো -

নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্য অঞ্চলের প্রকৃতি উল্লেখ করো।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

মাধ্যমিক ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্য অঞ্চলের প্রকৃতি উল্লেখ করো।

শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত কীভাবে সংঘটিত হয় উপযুক্ত উদাহরণ ও চিত্রসহ বর্ণনা করো।

অধঃক্ষেপণ বলতে কী বোঝো? বিভিন্ন প্রকার অধঃক্ষেপণের পরিচয় দাও।