এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “বিষ্টু হতভম্ভ হয়ে লোকটির জগ করা দেখতে লাগল।” – বিষ্টুর এই হতভম্ব হয়ে যাওয়ার কারণ কী ছিল? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“বিষ্টু হতভম্ভ হয়ে লোকটির জগ করা দেখতে লাগল।” – বিষ্টুর এই হতভম্ব হয়ে যাওয়ার কারণ কী ছিল লেখো।
বিষ্টু ধরের হতভম্ব হয়ে যাওয়ার কারণ –
- বিষ্টুচরণের শরীরচর্চা নিয়ে ব্যঙ্গ – সাড়ে তিন মন ওজনের বিষ্টুচরণ ধর যখন গঙ্গার ধারে তাঁর শরীর দলাই মলাই করাচ্ছিলেন, তখন বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি তাঁর শরীর এবং মালিশের বিচিত্র ভঙ্গি নিয়ে কৌতুক করেন। তিনি অত্যধিক ওজনের ফলে বিষ্টু ধরের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনার কথা বলেন। তাঁর ক্রোধকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে লোকটি বলেন যে, হাতি কিংবা হিপোর কখনও করোনারি অ্যাটাক হয়েছে বলে তিনি শোনেননি। এই ধরনের কৌতুক করতে করতেই তিনি বিষ্টু ধরকে জিজ্ঞাসা করেন যে, যদি তিনি বিষ্টু ধরের মাথায় চাঁটি মারেন তাহলে বিষ্টু ধর তাঁকে দৌড়ে ধরতে পারবে কি না। এ কথা বলেই আবার তিনি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে জগিং করতে শুরু করেন।
- বিষ্টুচরণের প্রতিক্রিয়া – গোটা ঘটনায় বিষ্টু ধর হতভম্ব হয়ে যান। তার কারণ, একটি অপরিচিত লোক যে এত দুঃসাহস দেখাতে পারে, তা তাঁর ধারণার অতীত। প্রথমত, বিষ্টু ধরের কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিপত্তি আছে। দ্বিতীয়ত, বিষ্টু ধর হয়তো ভাবছিলেন যে সত্যিই যদি লোকটি তাঁকে চাঁটি মারে, তাহলে তিনি কী করবেন। এরকম অদ্ভুত ও আচমকা ঘটনায় তিনি হতভম্ব হয়ে যান।
আরও পড়ুন, বারুণী কী? বারুণীর দিনে গঙ্গার ঘাটে যে দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে তা লেখো।
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, “বিষ্টু হতভম্ভ হয়ে লোকটির জগ করা দেখতে লাগল।” – বিষ্টুর এই হতভম্ব হয়ে যাওয়ার কারণ কী ছিল, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। আপনার যদি আরও প্রশ্ন থাকে বা কোনো বিষয়ে সহায়তা প্রয়োজন হয়, তবে টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!