এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের সহায়ক পাঠ ‘কোনি‘ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব — “চিৎকারটা হতাশায় ভেঙে পড়ল।” – কার চিৎকার? সেই চিৎকার হতাশায় ভেঙে পড়ার কারণ কী? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“চিৎকারটা হতাশায় ভেঙে পড়ল।” – কার চিৎকার? সেই চিৎকার হতাশায় ভেঙে পড়ার কারণ কী?
উদ্দিষ্ট ব্যক্তি – আলোচ্য অংশটি মতি নন্দীর কোনি উপন্যাস থেকে গৃহীত। এখানে কোনির দাদা কমলের চিৎকারের কথা বলা হয়েছে।
চিৎকার হতাশায় পরিণত হওয়ার কারণ –
- সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনির অংশগ্রহণ – রবীন্দ্র সরোবরে এক মাইল সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে পঁচিশ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিল-বাইশটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে। এই প্রতিযোগিতায় কোনিও অংশগ্রহণ করেছিল।
- কোনির সফলতার স্বপ্ন – কোনির দাদা কমল কোনিকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখত। সংসারের নিদারুণ অভাবে কমলের নিজের সাঁতারু হওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। রাজাবাজারের মোটর গ্যারেজে কাজ করেও অভাবের সংসারে কমলের ইচ্ছা, কোনি যেভাবেই হোক নামকরা সাঁতারু হয়ে উঠুক। অথচ, সে সামর্থ্য তার নেই। রবীন্দ্র সরোবরে দর্শকের ভূমিকায় ছিল কমল। কোনির সাঁতারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সে জলের পাড় বরাবর দৌড়াচ্ছিল, আর কোনির নাম ধরে চিৎকার করছিল। সে চাইছিল কোনি যেন প্রথম হয়। তাহলে তার ব্যর্থতার দুঃখ মুছে যাবে, আবার কোনির জন্য তার দেখা স্বপ্নও সফল হবে। তাই তার চিৎকারটা এত করুণ ছিল।
- কোনির ব্যর্থতা – কিন্তু কোনি পিছিয়ে পড়তেই কমলের চিৎকারটা যেন হতাশায় পালটে যায়। সম্ভবত সে বোঝে, প্রশিক্ষিত প্রতিযোগীদের ভিড়ে কোনির জেতা সম্ভব নয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, “চিৎকারটা হতাশায় ভেঙে পড়ল” – কার চিৎকার? সেই চিৎকার হতাশায় ভেঙে পড়ার কারণ কী?, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই আলোচনা আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি মন্তব্যে জানাতে পারেন বা টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!