এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ – ভারতের অবস্থান, প্রশাসনিক বিভাগ – সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” এর ভারতের অবস্থান এবং প্রশাসনিক বিভাগ সম্পর্কিত কিছু ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ – ভারতের অবস্থান, প্রশাসনিক বিভাগ – ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি কম্পিটিটিভ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

Table of Contents

ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ - ভারতের অবস্থান, প্রশাসনিক বিভাগ - ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

ভারতকে পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপ বলা হয় কেন?

ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। এই দেশের তিনদিকে সমুদ্র ও উত্তরাংশে হিমালয় পর্বতমালা অবস্থিত। পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত ভারতের মাঝখান দিয়ে কর্কটক্রান্তিরেখা প্রসারিত হয়েছে। ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র্য অর্থাৎ পর্বত, মালভূমি, সমভূমি সবই ভারতে দেখা যায়, মরুভূমি, বিভিন্ন ধরনের মৃত্তিকা, বৈচিত্র্যময় জলবায়ু, এবং বিভিন্ন ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদ যেমন এই দেশে দেখা যায় তেমনি প্রচুর খনিজ সম্পদও ভারতে পাওয়া যায়। এছাড়া ভারতে বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষ দেখা যায়। জীববৈচিত্র্যে ভারত পৃথিবীতে অগ্রগণ্য। তাই ভারতকে পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপ বলা হয়।

অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা অনুসারে ভারতের অবস্থান নির্ণয় করো

অক্ষাংশ অনুসারে ভারতের অবস্থান

ভারত উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। ভারতের মূল ভূখণ্ড দক্ষিণে 4°4′ উত্তর অক্ষাংশ (কন্যাকুমারী অন্তরীপ) থেকে উত্তরে 37°6′ উত্তর অক্ষাংশ (কাশ্মীরের উত্তরসীমা) পর্যন্ত বিস্তৃত। গ্রেট নিকোবর দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে পারসন্স পিগম্যালিয়ন পয়েন্ট বা ইন্দিরা পয়েন্ট ভারতের দক্ষিণতম স্থলবিন্দু (6°43′ উত্তর অক্ষাংশ)।

দ্রাঘিমা অনুসারে ভারতের অবস্থান

ভারত পূর্ব গোলার্ধে 97°25′ পূর্ব দ্রাঘিমা (অরুণাচল প্রদেশের পূর্বসীমা) থেকে 68°7′ পূর্ব দ্রাঘিমা (গুজরাটের পশ্চিমসীমা) পর্যন্ত বিস্তৃত।

ভারতের সীমানা উল্লেখ করো।

উত্তরে ভারতের উত্তর সীমানা বরাবর রয়েছে সুবিশাল হিমালয় পর্বতমালা এবং চিন, নেপাল ও ভুটান রাষ্ট্র। উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে আফগানিস্তান। পশ্চিমে রয়েছে পাকিস্তান ও আরব সাগর। পূর্ব সীমানায় রয়েছে মায়ানমার, বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগর। দক্ষিণের উপদ্বীপ অংশের তিনদিক বেষ্টন করে রয়েছে ভারত মহাসাগর, আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরের সুনীল জলরাশি। ভারতের সর্ব দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই দেশটি পক প্রণালী ও মান্নার উপসাগর দ্বারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

সমুদ্র থেকে দূরত্ব অনুসারে ভারতের অবস্থান নির্ণয় করো।

এশিয়ার দক্ষিণে এবং ভারত মহাসাগরের উত্তরে ভারত অবস্থিত। ভারতের পূর্বে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর এবং দক্ষিণে ভারত মহাসাগর থাকায় ভারতকে উপদ্বীপ বলা হয়। ভারতের তিনদিকে সমুদ্র থাকায় দেশের কোনো অংশই সমুদ্র থেকে 1700 কিমি-র বেশি দূরে অবস্থিত নয়। ভারতের স্থলসীমার মোট দৈর্ঘ্য 15,200 কিমি। আর উপকূলের দৈর্ঘ্য প্রায় 7,517 কিমি।

ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির নাম লেখো।

ভারতের উত্তরে চিন, নেপাল ও ভুটান, পশ্চিমে পাকিস্তান, উত্তর-পশ্চিমের সংকীর্ণ সীমায় আফগানিস্তান এবং পূর্বদিকে মায়ানমার ও বাংলাদেশ অবস্থিত। দক্ষিণে পক প্রণালী ও মান্নার উপসাগর শ্রীলঙ্কাকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। মালাবার উপকূলের কাছে লাক্ষাদ্বীপের একটু দক্ষিণে মালদ্বীপ অবস্থিত।

ভারতের ভৌগলিক অবস্থানের গুরুত্ব আলোচনা করো।

ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যবর্তী একটি দেশ। ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান ভারতের অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করে। যেমন—

  • এই দেশের উপদ্বীপীয় অবস্থান ভারতকে জলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবিধা দেয় এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।
  • উত্তরের হিমালয় ও পশ্চিমের মরু অঞ্চল বহিঃশত্রুর আক্রমণকে প্রতিহত করতে সাহায্য করার সঙ্গে সঙ্গে গিরিপথগুলির সাহায্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুযোগও বৃদ্ধি করে।
  • তিনদিকে সমুদ্র থাকায় নৌবিদ্যা ও মৎস্যশিকারে ভারত একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়েছে।
  • হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল পর্যটন শিল্পসহ বিভিন্ন ফলজাত শিল্প ও কাঠ শিল্পের বিকাশকে প্রভাবিত করেছে।

ভারতের বিস্তার, ক্ষেত্রফল ও জনসংখ্যা সম্পর্কে কী জানো?

বিস্তার: উত্তর-দক্ষিণে ভারতের সর্বাধিক বিস্তার প্রায় 3,214 কিমি এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় 2,933 কিমি।

আয়তন: ভারতের মোট ক্ষেত্রফল প্রায় 3,287,263 বর্গকিমি (এর মধ্যে প্রায় 43,000 বর্গকিলোমিটার এলাকা চিন ও পাকিস্তান কর্তৃক অধিকৃত)। ক্ষেত্রফল অনুসারে ভারতের স্থান পৃথিবীতে সপ্তম — রাশিয়া, কানাডা, চিন, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও অস্ট্রেলিয়ার পরে

জনসংখ্যা: জনসংখ্যা অনুযায়ী ভারতের স্থান পৃথিবীতে দ্বিতীয় — চিনের পরে। 2011 সালের জনগণনা অনুসারে ভারতের জনসংখ্যা 121 কোটি 1 লক্ষ 93 হাজার 422।

ভারতীয় জনজীবনে উপদ্বীপীয় অবস্থানের তিনটি গুরুত্ব লেখো।

  • ভারতের তিনদিকে সমুদ্র থাকায় জলপথে ব্যবসাবাণিজ্যের সুবিধা পাওয়া যায়।
  • সমুদ্রের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় নৌবিদ্যায় ও মৎস্যশিকারে ভারত যথেষ্ট উন্নত।
  • সমুদ্রবেষ্টিত এই তিনদিক থেকে বহিঃশত্রুর আক্রমণের আশঙ্কাও কম।
  • ভারতের উত্তরাংশ এশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। ফলে ভারত এশিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। স্থলপথেও প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সহজে যোগাযোগ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষা করতে পারে।

ভারতের রাজ্যগুলির পুনর্গঠনকালে কোন কোন বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল?

অথবা, ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের ভিত্তি কী কী ছিল? 

বিভিন্ন সময়ে ভারতের রাজ্যগুলির পুনর্গঠনকালে প্রধানত তিনটি বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে:

  • ভাষা
  • সংস্কৃতি
  • প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি

1956 সালে প্রধানত ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যগুলির পুনর্গঠন করা হলেও পরবর্তী সময়ে রাজ্য পুনর্গঠনকালে ভাষা, সংস্কৃতি এবং প্রশাসনিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বর্তমানে ভারতকে কী কী প্রধান প্রশাসনিক বিভাগে ভাগ করা যায়? এগুলির নাম কী?

বর্তমানে ভারতকে প্রধানত দুই ধরনের প্রশাসনিক বিভাগে ভাগ করা যায়:

  • রাজ্য
  • কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

ভারতে 28টি রাজ্য এবং 8টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আছে।

রাজ্যগুলি হলো:

  • অন্ধ্রপ্রদেশ
  • অরুণাচল প্রদেশ
  • অসম
  • উত্তরপ্রদেশ
  • ওডিশা
  • কর্ণাটক
  • কেরল
  • গুজরাত
  • গোয়া
  • জম্মু ও কাশ্মীর
  • তামিলনাড়ু
  • ত্রিপুরা
  • নাগাল্যান্ড
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • পাঞ্জাব
  • বিহার
  • মহারাষ্ট্র
  • মণিপুর
  • মধ্যপ্রদেশ
  • মিজোরাম
  • মেঘালয়
  • রাজস্থান
  • সিকিম
  • হরিয়ানা
  • হিমাচল প্রদেশ
  • ছত্তিশগড়
  • উত্তরাখণ্ড
  • ঝাড়খণ্ড
  • তেলেঙ্গানা

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হলো:

  • আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
  • চণ্ডীগড়
  • দাদরা ও নগর হাভেলি ও দমন ও দিউ
  • লাক্ষাদ্বীপ
  • দিল্লি
  • পুদুচেরি
  • লাদাখ
বর্তমানে ভারতের প্রধান প্রশাসনিক বিভাগসমূহ

ভারতের প্রমাণ সময় ও দ্রাঘিমার সম্পর্ক আলোচনা করুন।

অথবা, দ্রাঘিমার বিস্তার ভারতের স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময়ের ওপর কীরূপ প্রভাব বিস্তার করে?

ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম সীমার মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য প্রায় 97°25′ পূর্ব – 68°7′ পূর্ব = 29°18′ বা প্রায় 117 মিনিট। সময় গণনার সুবিধার্থে এই দুপ্রান্তের দ্রাঘিমাকে যোগ করে সেই যোগফলকে 2 দিয়ে ভাগ করে মধ্যবর্তী স্থানের যে দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয়েছে, তাকেই ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা হিসেবে গণ্য করা হয়। অর্থাৎ 97°25′ + 68°07′ = 165°32′ ÷ 2 = 82°46′। এর সরলীকরণ করে 82°30′ দ্রাঘিমাকেই ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা (এলাহাবাদের স্থানীয় সময়) হিসেবে গণ্য করা হয়, যা এলাহাবাদের ওপর দিয়ে প্রসারিত হয়েছে। হিসাব করে দেখা যায় যে, অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সীমায় স্থানীয় সময় যখন দুপুর 12টা, তখন ভারতের পশ্চিমে অবস্থিত গুজরাটের পশ্চিম সীমায় স্থানীয় সময় সকাল প্রায় 10টা। এজন্য দেশের প্রায় মাঝখানে 82°30′ পূর্ব দ্রাঘিমা অনুসারে ভারতীয় প্রমাণ সময় ঠিক করা হয়েছে এবং সেই সময় অনুসারেই সারা দেশের কাজকর্ম সংঘটিত হয়।

অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয় রাজ্য দুটির এরূপ নামকরণের কারণ কী?

অরুণাচল প্রদেশ – ভারতের একেবারে পূর্বপ্রান্তে নেফা (NEFA) বা North-Eastern Frontier Agency নামে আগে যে এলাকাটি ছিল, এখন তারই নাম অরুণাচল প্রদেশ। দেশের একেবারে পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত বলে পর্বতময় এই রাজ্যটি থেকেই দেশের মধ্যে প্রথম অরুণ বা সূর্যের দেখা মেলে। এজন্যই রাজ্যটির নাম হয়েছে অরুণাচল।

মেঘালয় – আসামের খাসি-জয়ন্তিয়া পার্বত্য জেলা এবং গারো পার্বত্য জেলা নিয়ে 1970 সালের 2 এপ্রিল যে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি গঠন করা হয়, প্রখ্যাত ভূগোলবিদ ড. এস পি চ্যাটার্জি তার নামকরণ করেন মেঘালয় (1972 সালের 21 জানুয়ারি মেঘালয় পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে)। বছরের অধিকাংশ সময় এখানকার আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে বলে, এলাকাটির নাম মেঘালয় (মেঘের দেশ) রাখা হয়।

ভারতীয় উপমহাদেশ বলতে কী বোঝায়?

ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা—এই 6টি দেশের মধ্যে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্র এত বেশি যে, এই 6টি দেশকে একসঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশ বলা হয়। দেশগুলির মধ্যে ভারতের ক্ষেত্রফল ও জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং অবস্থান অনুযায়ী এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় ভারতের অবস্থান প্রায় কেন্দ্রীয় বা দেশগুলির মধ্যবর্তী। স্বভাবতই গোটা অঞ্চলটির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি হয়েছে ভারত। এই কারণে অঞ্চলটির ভারতীয় উপমহাদেশ নামকরণ আরও অর্থবহ হয়ে উঠেছে।

ভারতের চারটি নবগঠিত রাজ্যের নাম ও তাদের রাজধানীর নাম কী? রাজ্যগুলি কত সালে গঠিত হয়?

ভারতের চারটি নবগঠিত রাজ্য, তাদের রাজধানী এবং গঠনকাল:

রাজ্যরাজধানীগঠনকাল
ছত্তিশগড়রায়পুর1 নভেম্বর, 2000
উত্তরাখণ্ডদেরাদুন9 নভেম্বর, 2000
ঝাড়খণ্ডরাঁচি15 নভেম্বর, 2000
তেলেঙ্গানাহায়দরাবাদ2 জুন, 2014

রাজ্য পুনর্গঠনে ভাষার ভূমিকা কী?

ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনে ভাষার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভারতে নানা ভাষাভাষীর মানুষ বাস করে। সংবিধানে 22টি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও দেশের নানা প্রান্তে আরও অন্তত 160টি ভাষা প্রচলিত রয়েছে। কোনো বিস্তৃত অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ যে ভাষায় কথা বলে তার ওপর ভিত্তি করে সাধারণত সেই অঞ্চলটিকে অঙ্গরাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। 1956 সালে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যের বিভাজন করা হয় যেমন—উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ ইত্যাদি 14টি অঙ্গরাজ্য এবং দিল্লি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি 6টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।

SAARC কী?

  • SAARC (South Asian Association for Regional Cooperation) গঠিত হয় 1985 সালের 8 ডিসেম্বর ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-দক্ষিণ এশিয়ার এই সাতটি দেশ নিয়ে। পরবর্তীকালে (2007 সালে) আফগানিস্তান সার্কের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর বর্তমানে এর সদস্য দেশের সংখ্যা 8।
  • SAARC-এর উদ্দেশ্য – দেশগুলির মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, খেলাধুলা ইত্যাদি বিষয়-সংক্রান্ত সহযোগিতার আদানপ্রদানের কারণে সংস্থাটি গঠিত হয়।
  • SAARC-এর সদর দফতর – সার্কের সদর দফতর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” এর ভারতের অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ সম্পর্কিত কিছু ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে আপনি আমাকে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন