অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – আষাঢ়ের কোন ভেজা পথে – বিজয় সরকার

Gopi

অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের আষাঢ়ের কোন ভেজা পথে অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর গুলি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইভাবে আষাঢ়ের কোন ভেজা পথে অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর গুলি যদি তোমরা প্রস্তুত করে না যাও তাহলে পরীক্ষায় আষাঢ়ের কোন ভেজা পথে অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর গুলোর উত্তর দিতে পারবে না। তাই আষাঢ়ের কোন ভেজা পথে অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর গুলি ভালো করে মুখস্ত করে গেলে তোমরা পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল পাবে।

আষাঢ়ের ভেজা মাটিতে পা রেখে শ্রাবণ এসেছে, কিন্তু এই শ্রাবণ কবির হৃদয়কে ভেঙে দিয়েছে। চূর্ণি নদীর তীরে, যেখানে একসময় কবি তার স্বপ্নের ঘরবাড়ি গড়ে তুলেছিলেন, সেখানে এখন শুধু ধ্বংসস্তূপ। দুরন্ত শ্রাবণের বন্যা তাঁর সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। কবির ভিটেতে জলপরিকন্যা উদাস নয়নে বন্যার দিকে তাকিয়ে আছে, আর ভিটের চিহ্ন বহন করে দাঁড়িয়ে আছে একা হিজল গাছ।

কবি অশ্রুজলে ভেসে গেলেও জলপরির চোখে কোনো জল নেই। জলের ছিটাতে মাঠের আগুন নিভে গেলেও, কবির বুকে জ্বলছে এক অদম্য আগুন। শ্রাবণ যদিও সাধারণত প্রকৃতিকে শীতল করে, কিন্তু এই শ্রাবণ কবির বুকে জ্বালিয়ে দিয়েছে অনন্ত বেদনার আগুন। এক বছর পরে ফিরে এসেছে শ্রাবণ, কিন্তু কবির মনে নেই কোনো ফেরার আশা, কারণ শ্রাবণের বন্যা তাঁর সব স্বপ্নকেই ভেঙে দিয়েছে। নির্মম বিধাতা তাকে করেছেন গৃহহীন।

এই কবিতাটিতে কবি প্রকৃতির দুরবস্থার সাথে মানুষের মনের দুঃখের তুলনা করেছেন। শ্রাবণ মাসের অবিরাম বৃষ্টি যেমন প্রকৃতিতে ধ্বংসলীলা চালায়, তেমনিভাবে মানুষের জীবনেও বিভিন্ন দুঃখ-কষ্ট আসে। কবির মনে হচ্ছে, বিধাতার বিধানেই মানুষের জীবনে এই দুঃখ-কষ্ট আসে।

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – আষাঢ়ের কোন ভেজা পথে

আষাঢ়ের কোন ভেজা পথে অধ্যায়ের লেখক পরিচিতি

বিজয় সরকার একজন কবিয়ালরূপে বাংলা সংগীতজগতে বিখ্যাত। তিনি ছিলেন একজন বাউল গায়ক, সুরকার এবং গীতিকার। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারি নারাইল জেলার দুমতিতে। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল বিজয় অধিকারী। তাঁর পিতার নাম ছিল নবকুমার বৈরাগী এবং মাতার নাম হিমালয়কুমারী বৈরাগী। তিনি পাঠগ্রহণ করেন তাবড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবং পরবর্তীকালে তিনি যোগদান করেন খাজনা সংগ্রাহকের কাজে। একইসঙ্গে তিনি অংশগ্রহণ করতে থাকেন মঞ্চে লোকগায়করূপে। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি যুক্ত হন কবিয়াল মনোহর সরকার এবং রাজেন্দ্রনাথ সরকারের সঙ্গে। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন একজন ভাটিয়ালি কবি ও গায়ক। তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর কিছু বিখ্যাত সংগীত হল – ‘তুমি জানো না রে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা’, ‘এই পৃথিবী যেমন আছে তেমন ঠিক রবে’। কবিয়াল বিজয় সরকার মৃত্যুবরণ করেন ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে।

আষাঢ়ের কোন ভেজা পথে অধ্যায়ের পাঠপ্রসঙ্গ

বাংলাদেশের প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হল শ্রাবণ। আষাঢ়ের ভেজা পথেই শ্রাবণের আগমন, জলভরা মেঘের বিস্তার আকাশে। প্রায়শই শ্রাবণের বারিধারা ভাসিয়ে দেয় পল্লিকে। তখন সাধারণের জীবন হয়ে ওঠে দুঃসহ। অতি কষ্টে যত্ন করে গড়ে তোলা বাসগৃহ ভাসিয়ে দেয় শ্রাবণের বন্যা। ফলে বেদনা সৃষ্টি হয় মানবমনে। পাঠ্যের ‘আষাঢ়ের কোন ভেজা পথে’ গানটিতে গীতিকার বিজয় সরকার সেই প্রসঙ্গই তুলে ধরেছেন।

আষাঢ়ের কোন ভেজা পথে অধ্যায়ের বিষয়সংক্ষেপ

আষাঢ়ের ভেজা পথ ধরেই শ্রাবণের আগমন ঘটেছে। তবে এই শ্রাবণ কবির হৃদয়কে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে। কবির সাধের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়েছে। চূর্ণি নদীর ঘূর্ণিপাকে যেখানে চর জেগে উঠেছিল, সেই চরেই কবি তাঁর বসতবাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু সেই ঘর দীর্ঘস্থায়ী হল না, দুরন্ত শ্রাবণ ডেকে আনে প্লাবন, আর তাতেই ভেসে গেল কবির সাধের খেলাঘর। কবির ভিটেতে জলপরিকন্যা উদাস নয়নে শ্রাবণের বন্যার দিকে তাকিয়ে থাকে। ভিটের চিহ্ন বহন করতে দাঁড়িয়ে আছে একখানি হিজল গাছ। কবি অশ্রুজলে ভাসেন কিন্তু জলপরির চোখে যেন কোনো জলবিন্দু নেই। জলের ছিটাতে নিভে যায় মাঠের আগুন, কিন্তু রাবণের চিতাকে কিছুতেই নেভানো যায় না। ওই শ্রাবণ কবির বুকের ভিতরে এক দুঃসহ দহন জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছে। শ্রাবণ তো শীতল করে, কিন্তু এই শ্রাবণ বুকে আগুন ধরিয়েছে। একটি বছর পরে শ্রাবণ এসেছে ফিরে, কবির যেন আর ফেরার আশা নেই, কারণ শ্রাবণের বন্যা তাঁর সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এমনভাবেই বিধাতা কবিকে গৃহহারা করেছেন।

আষাঢ়ের কোন ভেজা পথে অধ্যায়ের শব্দার্থ ও টীকা

দুরন্ত – দুর্দান্ত; প্রাণপূর্ণ। কূল – তীর; পার। চর – নদীর মাঝে জেগে ওঠা বালিময় ডাঙা। বসতি – বাসভূমি। প্লাবন – বন্যা; বান। ভিটে – বাসভূমি; যেখানে ব্যক্তির আদি বাসস্থান। কাঁদন – কান্না। মেঠো – মাঠ সম্পর্কিত। দ্বিগুণ – দুই গুণ। দুঃসহ যা সহ্য করা যায় না। বান – বন্যা। বিধাতা – বিধি রচনা করেন যিনি (ভগবান)।

এই কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের একটি অনন্য রচনা। কবি শ্রাবণ মাসের বর্ণনার মাধ্যমে মানুষের জীবনের দুঃখ-কষ্টের একটি সুন্দর চিত্র তুলে ধরেছেন। এই কবিতাটি পাঠকদের মনে বিষণ্ণতার ভাব সৃষ্টি করে।

আষাঢ়ের ভেজা পথ ধরেই শ্রাবণের আগমন ঘটেছে, কিন্তু এই শ্রাবণ কবির জীবনে এনেছে শুধুই বিষাদ। কবির সাধের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়েছে দুরন্ত শ্রাবণের বন্যা। চূর্ণি নদীর ঘূর্ণিপাকে যেখানে চর জেগে উঠেছিল, সেই চরেই কবি তাঁর বসতবাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু সেই ঘর দীর্ঘস্থায়ী হল না। কবির ভিটেতে জলপরিকন্যা উদাস নয়নে শ্রাবণের বন্যার দিকে তাকিয়ে থাকে। ভিটের চিহ্ন বহন করতে দাঁড়িয়ে আছে একখানি হিজল গাছ। কবি অশ্রুজলে ভাসেন কিন্তু জলপরির চোখে যেন কোনো জলবিন্দু নেই। জলের ছিটাতে নিভে যায় মাঠের আগুন, কিন্তু রাবণের চিতাকে কিছুতেই নেভানো যায় না। ওই শ্রাবণ কবির বুকের ভিতরে এক দুঃসহ দহন জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছে। শ্রাবণ তো শীতল করে, কিন্তু এই শ্রাবণ বুকে আগুন ধরিয়েছে। একটি বছর পরে শ্রাবণ এসেছে ফিরে, কবির যেন আর ফেরার আশা নেই, কারণ শ্রাবণের বন্যা তাঁর সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এমনভাবেই বিধাতা কবিকে গৃহহারা করেছেন।

JOIN US ON WHATSAPP

JOIN US ON TELEGRAM

Please Share This Article

About The Author

Related Posts

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না –  ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

Trending Now

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

Class 9 – English – His First Flight – Question and Answer

Class 9 – English – A Shipwrecked Sailor – Question and Answer