আজকের আর্টিকেলে আমরা অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের সপ্তদশ অধ্যায় ‘গাছের কথা’ থেকে অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই পরীক্ষায় আসে।
জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা একটি বই-এর নাম লেখো।
জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা একটি বই-এর নাম হল ‘অব্যক্ত’।
লেখক কবে থেকে গাছদের অনেক কথা বুঝতে পারেন?
লেখক যখন থেকে গাছদের ভালোবাসতে শিখলেন, তখন থেকেই তিনি তাদের অনেক কথা বুঝতে পারেন।
ইহাদের মধ্যেও তাহার কিছু কিছু দেখা যায়। – কী দেখা যায়?
মানুষের মধ্যে যেসব সদ্গুণ আছে, তার কিছু কিছু গাছদের মধ্যেও দেখা যায়।
জীবিতের লক্ষণ কী তা লেখক অনুসরণে উল্লেখ করো।
জীবিতের একটি লক্ষণ হল বৃদ্ধি এবং আর-একটি লক্ষণ হল এই যে তার গতি আছে।
বৃক্ষশিশু নিরাপদে নিদ্রা যায় – বৃক্ষশিশু কোথায় নিদ্রা যায়?
কঠিন ঢাকনাযুক্ত বীজের মধ্যে বৃক্ষশিশু নিদ্রা যায়।
অঙ্কুর বের হওয়ার জন্য কী কী প্রয়োজন?
অঙ্কুর বের হওয়ার জন্য উত্তাপ, মাটি ও জল প্রয়োজন।
আগে এসব কিছুই জানিতাম না। — কোন্ বিষয়টি লেখকের কাছে অজানা ছিল?
গাছেরা কোনো কথা না বললেও তাদের যে একটা জীবন আছে, তারা যে মানুষের মতোই আহার করে, দিনে দিনে বেড়ে ওঠে-এই বিষয়টি লেখকের কাছে অজানা ছিল।
জগদীশচন্দ্র গাছ, পাখি, কীটপতঙ্গকে (কষ্ট দিতেন/ভালোবাসতেন/ঘৃণা করতেন)।
জগদীশচন্দ্র গাছ, পাখি, কীটপতঙ্গকে ভালোবাসতেন।
ডিমে জীবন (থাকে না/জেগে থাকে/ঘুমিয়ে থাকে)।
ডিমে জীবন ঘুমিয়ে থাকে।
আম, লিচুর বীজ (বৈশাখ/শ্রাবণ/পৌষ) মাসে পাকে।
আম, লিচুর বীজ বৈশাখ মাসে পাকে।
অতি প্রকাণ্ড বটগাছ (মটর/সরিষা/ছোলা) অপেক্ষা ছোটো বীজ হইতে জন্মে।
অতি প্রকাণ্ড বটগাছ সরিষা অপেক্ষা ছোটো বীজ হইতে জন্মে।
ক্রমে এসব কথা ___ বলিব।
ক্রমে এসব কথা তোমাদিগকে বলিব।
ডিমে জীবন ___ থাকে।
ডিমে জীবন ঘুমাইয়া থাকে।
এই প্রকারে ___ দ্বীপে গাছ জন্মিয়া থাকে।
এই প্রকারে জনমানবশূন্য দ্বীপে গাছ জন্মিয়া থাকে।
অঙ্কুর বাহির হইবার জন্য ___ জল ও মাটি চাই।
অঙ্কুর বাহির হইবার জন্য উত্তাপ জল ও মাটি চাই।
মানুষের কোন্ গুণটি গাছের মধ্যেও দেখা যায়?
মানুষের সর্বোচ্চ গুণ ‘স্বার্থত্যাগ’ গাছের মধ্যেও দেখা যায়।
বীজ থেকে অঙ্কুর বের হওয়ার জন্য কী কী দরকার?
বীজ থেকে অঙ্কুর বের হওয়ার জন্য উত্তাপ, জল ও মাটি দরকার।
শিমুল ফল ফেটে গেলে কী হয়?
শিমুল ফল রৌদ্রে ফেটে গেলে তার বীজ তুলোর সঙ্গে বাতাসে উড়তে থাকে।
ধান, যব ইত্যাদি কোন্ সময় পাকে?
ধান, যব ইত্যাদি আশ্বিন-কার্তিক মাসে পাকে।
জনমানবশূন্য দ্বীপে গাছ কেমন করে জন্মায়?
জনমানবশূন্য দ্বীপে গাছের বীজ প্রধানত পাখিদের মাধ্যমে পৌঁছোয়। পাখিরা ফল খেয়ে তার বীজ অনেক দূর দূর দেশেও নিয়ে যায়। এইভাবেই যখন কোনো নির্জন দ্বীপে সেই বীজ পড়ে, তখন তার থেকে সেখানে গাছ জন্মায়।
গাছ ও মরা ডালের কী প্রভেদ লেখক দেখিয়েছেন?
লেখক জগদীশচন্দ্র বসু বলেছেন যে গাছে জীবন আছে, কিন্তু মরা ডালে জীবন নেই। জীবের জীবনধর্ম হল বৃদ্ধি, তাই গাছটি ক্রমশ বাড়ে। কিন্তু মৃত্যু কেবল লয়, ক্ষয় এবং বিলীন হওয়া তাই মরা ডালটির ক্রমশ ক্ষয় হয়ে যায়।
আজকের এই আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের সপ্তদশ অধ্যায় ‘গাছের কথা’ – এর গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে, কারণ এগুলো প্রায়ই পরীক্ষায় আসে। আশা করি, নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি নির্দ্বিধায় টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!