এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – ঘুরে দাঁড়াও – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

আজকের আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের দ্বাত্রিংশ অধ্যায় ‘ঘুরে দাঁড়াও’-এর ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য। কারণ, এই ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা এবং চাকরির পরীক্ষায় আসে।

Table of Contents

ঘুরে দাঁড়াও – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা  – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

কবিতায় কবি কোন্ আহ্বান জানিয়েছেন?

কবিতায় কবি সামাজিক মানুষকে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ক্রমাগত সরে যেতে থাকলে পরিস্থিতি বা সমস্যা থেকে ক্ষণিক স্বস্তি পেলেও মুক্ত হওয়া যায় না। তাই নিজেকে বদলাতে হয়। যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই সব কিছুকে টেনে নিতে হয়। কবি প্রকৃতার্থে মানুষের ‘মেনে নেওয়া’ বা আপসকারী মনোভাবকে বদল ও আত্মজাগৃতির আহ্বান জানিয়েছেন।

ছোট্ট একটা তুক করে বাইরেটা পালটে দাও – ‘বাইরেটা’য় কী ধরনের বদল ঘটবে বলে কবি আশা করেন? সেই কাঙ্ক্ষিত বদল ঘটলে জীবন কীভাবে অন্যরকম হবে বলে কবি মনে করেন?

সাইকেল-রিকশোগুলো শিস দিয়ে চলে যাবে বনে-বনান্তরে, কাদা-ভরতি রাস্তা উঠে পড়বে ছায়াপথের কাছাকাছি, গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসবে আর সা-রা-রা-রা করে জেগে উঠবে উপান্তের শহরতলি।

এই কাঙ্ক্ষিত বদল ঘটলে জীবন সুন্দর হবে তা না হলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে।

সরতে সরতে সরতে, তুমি বিন্দুর মতো মিলিয়ে যাবে। — কবি কোথা থেকে এই ‘সরণ’ লক্ষ করেছেন? এক্ষেত্রে তাঁর দেওয়া পরামর্শটি কী?

কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত তাঁর ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতায় আত্মজীবনের স্থিতি ও অবস্থান থেকে মানুষের সরণ লক্ষ করেছেন।

মানুষ জীবনে বহু সংগ্রাম, পরিশ্রম, ত্যাগ ও তিতিক্ষায় নিজের দাঁড়ানোর জায়গা তৈরি করে। পরিস্থিতি বা সমস্যাজনিত কারণে বারবার স্থানচ্যুত হলে জীবনের লক্ষ হারিয়ে যায়, বিপন্ন হয় মানুষের অস্তিত্ব। সংকটকল্পনায় বিহ্বল না হয়ে তাই কবি পরামর্শ দিয়েছেন ঘুরে দাঁড়ানোর, নিজের প্রয়োজনীয় সব কিছুকে হাত বাড়িয়ে নিজের ভূমিতে টেনে আনার।

এবার ঘুরে দাঁড়াও। আর ‘এখন ঘুরে দাঁড়াও।’ – পঙ্ক্তি দুটিতে ‘এবার’ আর ‘এখন’ শব্দদুটির প্রয়োগ-সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।

এবার অর্থাৎ এই সময় বা এ অবস্থায় এবং ‘এখন’ অর্থাৎ এই ক্ষণে বা মুহূর্তে বা বর্তমানকালে। কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত পাঠ্য ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতায় সামাজিক মানুষকে পরিস্থিতির ক্রীড়নক না হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন চিরকাল সরে যেতে থাকা সাময়িক স্বস্তি দিলেও সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় না। তাই সংকটের থেকে সরে না গিয়ে মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়, নিজের প্রয়োজনীয় যা কিছু তাকেই হাতের সামনে টেনে নিতে হয়। না হলে ধ্বংস হয়, মুছে যায় মানবিক অস্তিত্ব। এই চিন্তা কেবল কর্তব্য ভেবে থেমে গেলে হবে না, মানবজীবনের সার্থকতার জন্য তা এখনই করা দরকার। এতদিনকার অভ্যাস মুছে এই মুহূর্ত থেকে এই আচরণ শুরু করার জন্য ‘এবার’ ও ‘এখন’ সময়বাচক শব্দ দুটো কবি ব্যবহার করেছেন।

এবার ঘুরে দাঁড়াও। — কবি এ কথা বলেছেন কেন?

প্রশ্নে প্রদত্ত অংশটি কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্তের লেখা ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বা সমস্যা থেকে ক্রমাগত সরে যেতে থাকলে ক্ষণিক স্বস্তি পাওয়া গেলেও চিরন্তন মুক্তি পাওয়া যায় না। তাই কবি মানুষের ‘মেনে নেওয়া’ বা আপসকারী মনোভাবকে বদলে আত্মজাগৃতির আহ্বান জানিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে বলেছেন।

তুমি যদি বদলে দিতে না পারো – তাহলে কী হবে বলে কবি মনে করেছেন?

প্রশ্নে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্তের লেখা ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতাটি থেকে। সংকটের থেকে সরে না গিয়ে মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়, নাহলে সব কিছু ধ্বংস হয়ে যায়; মুছে যায় মানবিক অস্তিত্ব। তাই পরিস্থিতি বা সংকটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো বা প্রতিবাদ করা নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য অত্যন্ত আবশ্যক।

নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করো –

তুমি আর কোথায় সরবে? (প্রশ্ন পরিহার করো)

তোমার আর কোথাও সরবার জায়গা নেই।

এবার ঘুরে দাঁড়াও। (না-সূচক বাক্যে)

এবার না ঘুরে দাঁড়িও না।

তুমি যদি বদলে দিতে না পারো/তাহলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে। (সরল বাক্যে)

বদলে দিতে না পারলে তোমায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে।

নইলে সরতে সরতে সরতে/তুমি বিন্দুর মতো মিলিয়ে যাবে। (প্রশ্নবোধক বাক্যে)

নইলে সরতে সরতে সরতে তুমি বিন্দুর মতো মিলিয়ে যাবে না কি?

গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসুক। (নির্দেশক বাক্যে)

গাছেরা নদীর জলে স্নান করে এসো।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো –

বনান্তর, ছায়াপথ, উপান্ত, সাইকেল-রিকশো

সমাসব্যাসবাক্যসমাসের শ্রেণি
বনান্তরঅন্য বননিত্য
ছায়াপথছায়াঘেরা পথমধ্যপদলোপী কর্মধারয়
উপান্তঅন্তরের সমীপে।উপসর্গ তৎপুরুষ
সাইকেল-রিকশোসাইকেল ও রিকশোদ্বন্দ্ব

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অষ্টম শ্রেণীর বাংলার দ্বাত্রিংশ অধ্যায়ঘুরে দাঁড়াও’-এর ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নোত্তরগুলো অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সহায়ক হবে, কারণ এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই পরীক্ষায় আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার উপকারে এসেছে। যদি কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তাহলে টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত থাকব। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে, এটি আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ!

Share via:

মন্তব্য করুন