অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – কী করে বুঝব – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

Sourav Das

অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের কী করে বুঝব অধ্যায়ের রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর গুলি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইভাবে কী করে বুঝব অধ্যায়ের রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর গুলি যদি তোমরা প্রস্তুত করে না যাও তাহলে পরীক্ষায় কী করে বুঝব অধ্যায়ের রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর গুলোর উত্তর দিতে পারবে না। তাই কী করে বুঝব অধ্যায়ের রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর গুলি ভালো করে মুখস্ত করে গেলে তোমরা পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল পাবে।

Table of Contents

ছয় বছর বয়সী বুকু তার বাড়ির বাইরে খেলার সময় তার মোটা মাসিমাদের সাথে পরিচয় হয়। তারা বুকুর মায়ের বন্ধু এবং বুকুর সাথে খেলতে আসে। কিন্তু বুকু মনে মনে বিরক্ত কারণ তারা অসময়ে এসেছে এবং তার সিনেমা দেখার পরিকল্পনা নষ্ট করেছে।

বুকুর মা মাসিমাদের সাদর অভ্যর্থনা জানান এবং তাদের সাথে আড্ডা দিতে থাকেন। কিন্তু বুকু মাসিমাদের ছেলে ডাম্বলের অলসতা ও অশিক্ষিতার কথা ফাঁস করে দেয়। এতে মাসিরা বিরক্ত হন এবং বুকুর উপর রাগান্বিত হন।

এদিকে, ডাম্বল টেবিল ল্যাম্প ভেঙে ফেলে। বুকুর বাবা এসে এই সব দেখে রেগে মেগে উঠে বুকুকে মারতে শুরু করেন। কারণ বুকু মাসিমাদের কাছে তাদের সমালোচনা করেছে। বুকু বুঝতে পারে না কেন তাকে মারা হচ্ছে কারণ সে তো সত্যি কথা বলেছে।

এই ছোট্ট গল্পটিতে আশাপূর্ণা দেবী পরিবার, সামাজিক রীতিনীতি এবং শিশুদের মনোভাব এই তিনটি বিষয়কে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। বুকুর চরিত্রের মাধ্যমে তিনি শিশুদের সরলতা, নির্দোষতা এবং প্রশ্ন করার প্রবণতা তুলে ধরেছেন। একই সাথে, তিনি তৎকালীন সমাজের কিছু অন্ধবিশ্বাস ও রীতিনীতির সমালোচনাও করেছেন।

কী করে বুঝব – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

গল্পে বুকুর আচরণ তার মাকে অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। বুকুর এই আচরণ কি তুমি সমর্থন করো? বুকু কেন অমন আচরণ অতিথিদের সামনে করেছিল?

আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘কী করে বুঝব’ গল্পটিতে ছ-বছরের ছেলে বুকুর কিছু অদ্ভুত আচরণ তার মাকে অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। সে তার সমবয়সি অতিথি বালকটিকে মুখের উপর ‘হাতির মতো চেহারা ও বুদ্ধি’ বলেছিল এবং বইয়ের আলমারি ভাঙার জন্য শাসিয়েছিল। তার মা অতিথিদের সামনে আনন্দ প্রকাশ করলেও তাদের আগমন সংবাদ শুনে যে বিরক্ত হয়েছিলেন, তা সে ফাঁস করে দেয়। সে আরও বলে দিয়েছিল যে তাদের সিনেমার টিকিট কেনা আছে এবং অতিথিরা আসার ফলে সেই টিকিট নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। টিকিট নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনায় তার বাবা যে রেগে গেছেন তাও সে বলে দিয়েছিল। তা ছাড়াও সে বলেছিল যে অতিথিরা বিদায় নেওয়ার পর তাদের নিন্দা করা হবে। সাধারণ দৃষ্টিতে দেখে বিচার করলে বুকুর এই আচরণ অভব্য, অশালীন ও অবশ্যই সমর্থন করা যায় না।

বুকুর আচরণে মনে হতে পারে যে সে একটি অকালপক্ব, বেয়াড়া ছেলে। কিন্তু গল্পের শেষে বোঝা যায় যে, আসলে সে তার মায়ের আদেশই পালন করেছিল। তার মা তাকে বলেছিলেন সর্বদা সত্যি কথা বলতে এবং কারো কাছে কোনো কথা না লুকোতে। বুকু তার শিশুসুলভ বুদ্ধিতে তাই কোনো কথা না লুকিয়ে অতিথিদের সামনে সব সত্যি কথা ফাঁস করে দিয়েছিল। বালকোচিত অনভিজ্ঞ মানসিকতাই এই বিভ্রান্তিকর আচরণের মূল।

বাড়িতে অতিথি এলে তাঁদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা উচিত সে সম্পর্কে বন্ধুকে একটি চিঠি লেখো।

১৪৭ডি, আহিরীটোলা স্ট্রিট
কলকাতা – ৭০০০৫
২৫/১০/২০১৬

প্রিয় রঞ্জিনী,

কিছুক্ষণ আগে তোর চিঠি পেলাম। তুই লিখেছিস যে বড়োদিনের ছুটিতে আমাদের সঙ্গে যে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল, তা তোর পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ ওই সময় তোদের দেশের বাড়ির কিছু আত্মীয় আসবেন। তাই তোকে বাড়িতেই থাকতে হবে।

তুই চিঠিতে এও জানিয়েছিস যে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়ানোর পরিকল্পনাটা বাতিল করতে হল বলে তোর মন খুব খারাপ। রাগও হচ্ছে, যে ওরা কী আর আসার সময় পেলেন না? দেখ, তুই আমাদের সঙ্গে যেতে পারবি না বলে আমারও খুব খারাপ লাগছে, কিন্তু এটাও তো ঠিক যে ছুটির সময় বলেই ওরা আসছেন। কারণ ছুটি ছাড়া তো আত্মীয়স্বজনের বাড়ি যাওয়া আজকাল হয়েই ওঠে না। তুইও তো মাঝে মাঝে বলিস দেশের বাড়ির জন্য তোর মন কেমন করে। আমার মনে হয় কী জানিস, বাড়িতে অতিথি এলে আমাদের বিরক্ত হওয়া উচিত নয়। হয়তো অনেক সময় আমাদের ছোটোখাটো অসুবিধা হয়। কিন্তু সেগুলি একটু মানিয়ে নিয়ে যদি খোলামনে অতিথিদের স্বাগত জানাই এবং আমাদের সাধ্যমতো অতিথি আপ্যায়ন করি, তাহলে শেষপর্যন্ত মনটা বেশ খুশিই হয়ে ওঠে। তাই বলি মন খারাপ না করে তোর অতিথিদের দেখাশোনা করে, ওদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে দৃষ্টি রেখে, গল্প করে সময়টা কাটা। আমার মনে হয় এতেই সকলের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্কগুলো ভালোভাবে বজায় থাকে।

তুই আমার ভালোবাসা নিস। কাকু-কাকিমাকে আমার প্রণাম জানাস। সবাই ভালো থাকিস। আশা করি আমরা বন্ধুরা পরে আবার একসঙ্গে বেড়াতে যাব। আজ শেষ করছি।

ইতি তোর বন্ধু
মানবী

ডাকটিকিট

কুমারী রঞ্জিনী সেন
প্রযত্নে – শ্রী অনন্ত সেন
৫০বি, রামপুর লেন
হাওড়া-৭১১১০২

কী করে বুঝব, আসলে কী করতে হবে – গল্পে বুকু এই কথা বলেছিল। — আসলে কী করা উচিত বলে তোমার মনে হয়?

আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘কী করে বুঝব’ গল্পটিতে ছ-বছরের ছেলে বুকু অতিথিদের সামনে নানা কথা ফাঁস করে দিয়ে তার মা-বাবাকে অপদস্থ করেছিল। তার মা-বাবার মনে হয়েছে যে ছেলে বাইরের লোকের সামনে মা-বাবার সম্মান নষ্ট করে, তাকে মেরে তক্তা করাই উচিত। মার খেতে খেতে শেষপর্যন্ত বুকু তার আচরণের কারণ জানিয়েছে। তখন বোঝা গেল যে সে আসলে মায়ের উপদেশই মান্য করেছিল। মা তাকে বলেছিলেন সর্বদা সত্যি কথা বলতে এবং কারো কাছে কিছু না লুকোতে। অথচ সেটা করেছে বলেই তারা রেগে গেছেন। তাই বুকুর অসহায় প্রশ্ন কী করে বুঝব, আসলে কী করতে হবে?

আমার মনে হয় ‘আসলে কী করা উচিত’ সেটা বড়োদের বোঝা দরকার। এ প্রসঙ্গে একটি মন্তব্য লেখিকা স্বয়ং গল্পের মধ্যেই করেছেন – ‘ছোটো ছেলেদের সামনে যথেচ্ছ কথা বলার ফল টের পান।’ আসলে ছোটোদের সামনে যে-কোনো বিষয়ে আলোচনা করার সময় বড়োদের সতর্ক থাকা উচিত। শিশুমন কাদামাটির মতো নরম। তাকে যে ছাঁচে ফেলা হবে তার চরিত্র তেমনভাবেই গড়ে উঠবে। তাই ছোটোদের কোনো উপদেশ বা শিক্ষা দেওয়ার সময় বড়োদেরও খেয়াল রাখা উচিত যে সেই শিক্ষা বা উপদেশ কতটা বাস্তবসম্মত। কারণ ছোটোদের বুদ্ধি অপরিণত। তারা যদি বড়োদের কথা মেনে চলতে গিয়ে বুকুর মতো অঘটন ঘটায়, তখন কিন্তু বড়োরা নিজেদের কথা ও কাজের অসংগতির কথা মনে রাখেন না এবং ছোটোদের শাসন করেন। তাই আসলে বড়োদেরই সতর্ক হয়ে ছোটোদের মানুষ করা উচিত।

গল্পে দুটি ছোটো ছেলের কথা পড়লে – বুকু ও ডাম্বল। দুজনের প্রকৃতিগত মিল বা অমিল নিজের ভাষায় লেখো।

আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘কী করে বুঝব’ গল্পে দুটি ছোটো ছেলের কথা আছে – বুকু ও ডাম্বল। আপাত দৃষ্টিতে তাদের মধ্যে প্রকৃতিগত অমিলই বেশি দেখা যায়। বুকু ছেলেটি অনর্গল কথা বলে, কিন্তু বিশেষ কোনো দুরন্তপনার পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপরপক্ষে ডাম্বল ছেলেটি অত্যন্ত দুরন্ত এবং ধ্বংসাত্মক। অন্যের বাড়িতে গিয়ে সভ্য ও ভদ্র হয়ে থাকার শিক্ষাও তার নেই। আবার এদের মধ্যে মিলও আছে। বুকু যেমন বেফাঁস কথাবার্তা বলে তার মাকে অতিথিদের সামনে অপদস্থ করেছে, ইস্কুলে ভরতি হওয়ার প্রসঙ্গে ডাম্বলও তাই করেছে। একটি কথা দুজনের সম্বন্ধেই বলা যায় যে, শিশুসুলভ অপরিণত বুদ্ধির জন্যই উচিত-অনুচিত বা ভালোমন্দের সঠিক বোধ তাদের জন্মায়নি। ফলে তাদের দুজনের আচরণই তাদের অভিভাবকদের অপদস্থ করেছে।

গল্পটি পড়ে বুকুর প্রতি তোমার সমানুভূতির কথা ব্যক্ত করে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।

আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘কী করে বুঝব’ গল্পটিতে বুকু নামে একটি ছ-বছরের ছেলের কথা আছে। ছেলেটি ক্রমাগত নানারকম বেফাঁস কথা বলে তার মা-বাবাকে অতিথিদের সামনে অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে ফেলেছে। মা ছেলের এই অদ্ভুত আচরণের কোনো কারণ খুঁজে পাননি। ক্ষুব্ধ, অপমানিত অতিথিরা বিদায় নিলে মা-বাবা বুকুকে প্রচণ্ড মারতে থাকেন। কারণ তাদের মতে বুকুর মতো বেয়াড়া ছেলের এটাই যোগ্য শাস্তি। কিন্তু শেষপর্যন্ত বুকুর উক্তিতেই জানা যায় যে, মায়ের উপদেশ মান্য করেই সে সব সত্যি কথা বলেছে এবং কারো কাছে কিছু গোপন করেনি। এখানেই আমি যেন নিজের ওই বয়সের কিছু মিল খুঁজে পাই। স্বাভাবিকভাবেই সব মা-বাবাই সন্তানকে সত্য কথা বলার শিক্ষা দেন। কিন্তু শিশুরা তো বোঝে না যে সব সত্য সবার সামনে প্রকাশ করা চলে না। যেমন বুকুও বোঝে না। আমিও ছোটোবেলায় অনেক সময় হয়তো না বুঝেই ভুল জায়গায় এমন কোনো সত্য কথা প্রকাশ করে ফেলতাম, যা আমার মা-বাবাকে বেশ অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিত। কিন্তু বুকুর মতোই আমিও বুঝে উঠতে পারতাম না যে কোনটা বলা উচিত, কোনটা নয়। এখানেই বুকুর প্রতি আমি সমানুভূতি অনুভব করি। কারণ ওই বয়সে আমার সমস্যাও ছিল কী করে বুঝব, আসলে কী করতে হবে?

কী করে বুঝব গল্পটি পাঠ করে লেখিকার রসবোধ ও গভীর অন্তর্দৃষ্টির কী পরিচয় পাওয়া যায়?

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর ‘কী করে বুঝব’ গল্পটিতে আগাগোড়াই লেখিকার অপূর্ব রসবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। চরিত্রগুলির বর্ণনা, তাদের সংলাপ ও কার্যকলাপ এবং সর্বোপরি সম্পূর্ণ ঘরোয়া ও আটপৌরে ভাষায় গল্প বলার অসামান্য ভঙ্গিটি গল্পটিকে একটি সরস ও কৌতুকপূর্ণ গঠন দিয়েছে।

হাস্যরসের এই আবরণের মধ্য থেকেও কিন্তু লেখিকার গভীর অন্তর্দৃষ্টির পরিচয়টি পাওয়া যায়। একান্নবর্তী, মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের মানসিকতা, অসময়ে অতিথি এলে বিরক্তিবোধ করেও হাসিমুখে অতিথি আপ্যায়ন করার সামাজিক রীতি ইত্যাদির বাস্তব ছবি লেখিকা গল্পের মধ্যে অতি সুন্দরভাবে এঁকেছেন। কিন্তু তাঁর অন্তর্দৃষ্টির সবচেয়ে বড়ো পরিচয় পাই যখন তিনি শিশুদের কথাবার্তা ও কার্যকলাপের উপর বড়োদের অসচেতনভাবে বলা কথাবার্তার প্রভাবটি কৌতুকপূর্ণ ভঙ্গিতেই তুলে ধরেন। গল্পের মাঝে তাঁর একটি মন্তব্য রয়েছে যেটি হল- ‘ছোটো ছেলেদের সামনে যথেচ্ছ কথা বলার ফল টের পান।’ তাঁর গভীর মনস্তাত্ত্বিক জ্ঞানের পরিচয় দেয়।

একই অর্থযুক্ত শব্দ গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো –

সংবাদ, পুস্তক, সন্তুষ্ট, কোমল, আপ্যায়ন।

প্রদত্ত শব্দএকই অর্থযুক্ত শব্দ
সংবাদখবর
পুস্তকবই
সন্তুষ্টপ্রসন্ন
কোমলমোলায়েম
আপ্যায়নঅভ্যর্থনা

নীচের শব্দগুলির সন্ধি বিচ্ছেদ করো –

ইত্যবসরে, বজ্রাঘাত, ব্যাকুল, নিশ্চয়, রান্না, দুরস্ত, সন্দেশ।

প্রদত্ত শব্দসন্ধি বিচ্ছেদ
ইত্যবসরেইতি + অবসরে
বজ্রাঘাতবজ্র + আঘাত
ব্যাকুলবি + আকুল
নিশ্চয়নিঃ + চয়
রান্নারাঁধ্ + না
দুরন্তদুঃ + অন্ত
সন্দেশসম্ + দেশ

নীচের শব্দগুলির কোনটি বিশেষ্য এবং কোনটি বিশেষণ খুঁজে নিয়ে লেখো। এরপর বিশেষ্যগুলির বিশেষণের রূপ এবং বিশেষণগুলির বিশেষ্যের রূপ লেখো –

মন, শিক্ষা, অবস্থা, গম্ভীর, শাসন, শয়তান, লাল, সর্বনেশে, ঘর, সুন্দর, দুরন্ত, মুখ, কথা, হ্যাংলা।

বিশেষ্যবিশেষণ
মনমানসিক
অবস্থাঅবস্থাপন্ন
শাসনশাসক/শাসিত
ঘরঘরোয়া
মুখমৌখিক
কথাকথিত/কথ্য
শিক্ষাশিক্ষিত
বিশেষণবিশেষ্য
গম্ভীরগাম্ভীর্য
শয়তানশয়তানি
লাললালিমা
সর্বনেশেসর্বনাশ
দুরন্তদুরন্তপনা
হ্যাংলাহ্যাংলামি
সুন্দরসৌন্দর্য

নীচের প্রতিটি উপসর্গ দিয়ে পাঁচটি করে নতুন শব্দ তৈরি করে লেখো –

অ, বি, বে, আ, প্র. অব।

উপসর্গউপসর্গ যোগে নতুন শব্দ
অসীম, অবাধ, অজ্ঞান, অশিক্ষিত, অশেষ।
বিবিজ্ঞান, বিহীন, বিজন, বিশিষ্ট, বিহার।
বেবেআইনি, বেরসিক, বেগতিক, বেসুর, বেহিসেব।
আমরণ, আসমুদ্র, আকাল, আকণ্ঠ, আমূল।
প্রপ্রবেশ, প্রস্থান, প্রগতি, প্রখ্যাত, প্রবাসী।
অবঅবদান, অবগত, অবনতি, অবক্ষয়, অবরোহণ।

সমোচ্চারিত/প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লিখে আলাদা আলাদ বাক্যরচনা করো –

শব্দঅর্থবাক্যরচনা
আসাআগমনকাল তার আসার কথা আছে।
আশাকামনাতোমার কাছ থেকে এ ব্যবহার আশা করিনি।
মারপ্রহারছেলেটা বাবার কাছে খুব মার খেল।
মাড়ভাতের ফেনমাড় দিলে কাপড় ভালো থাকে।
সোনাস্বর্ণসোনার দাম প্রতিদিনই বাড়ছে।
শোনাশ্রবণ করাজোরে বলো, কিছু শোনা যাচ্ছে না।
মাসবছরের বারো ভাগের এক ভাগআশ্বিন মাস বাঙালির উৎসবের মাস।
মাষডাল বিশেষমাষকলাই ডাল খুবই সুস্বাদু।
হাড়অস্থিখেলতে গিয়ে মন্টুর পায়ের হাড় ভেঙেছে।
হারমালা/পরাজয়হার মানা হার পরাব তোমার গলে।
জ্বালাযন্ত্রণাচোখে ধুলো পড়ে খুব জ্বালা করছে।
জালাবড়ো মাটির জলপাত্র বিশেষগ্রীষ্মকালে জালার জল খুব ঠান্ডা হয়।

এই গল্পে অজস্র শব্দদ্বৈত ব্যবহূত হয়েছে। শব্দগুলি গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো-

(দুটি শব্দ খুঁজে দেওয়া হল) – খুকখুক, তোড়জোড়।

শব্দদ্বৈত
মোটাসোটা, হালকা-হালকা, হাঁপাতে-হাঁপাতে, এলোমেলো, পিটপিট, ড্যাবড্যাব, গমগম, হইহই, গাদাগাদা, রুটি-টুটি, তড়বড়, চাষবাস, হি-হি, ভূতে-টুতে, ভাজা-ভাজা, যা-তা, পাগলা-টাগলা, হুড়মুড়, ঝনঝন, হ্যাঁহ্যাঁ, ছটফটে, গাঁউগাঁউ, বেছেবেছে, লাঠিসোঁটা, ফ্যালফ্যাল, চালতা-চালতা।

নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক/পূরণবাচক শব্দ খুঁজে বার করো –

  • মা তো সেই তিনতলার ছাতে।
  • দুই বোনের দুই দু-গুণে চারটি চোখ কপালে উঠে গেছে।
  • সাত বছরের ছেলের ইস্কুলের মাইনে সাত টাকা।
  • নিজেই তো দুপুরবেলা একশোবার করে বললে – সবসময় সত্যি কথা বলবি।

সংখ্যাবাচক শব্দ

  • তিন তলা।
  • দুই, দু-গুণে, চারটি।
  • সাত বছরের, সাত টাকা।
  • একশো বার।

নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করো –

  • বুকু ছুটে ওপরে চলে যায়। (জটিল বাক্যে)
  • ছেনুমাসি আর অন্যটির নাম বেণুমাসি। (সরল বাক্যে)
  • যত বড়ো হচ্ছে তত যেন যা-তা হয়ে যাচ্ছে। (যৌগিক বাক্যে)
  • ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রাঘাত। (জটিল বাক্যে)

বাক্য পরিবর্তন

  • বুকু যখন ওপরে চলে যায়, তখন ছুটে যায়।
  • ছেনুমাসির সঙ্গের অন্যটির নাম বেণুমাসি।
  • ক্রমশ বড়ো হচ্ছে আর যেন যা-তা হয়ে যাচ্ছে।
  • যখনই ছেলের কথা শুনলেন তখনই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রাঘাত হল।

পাকা, মাথা – এই শব্দগুলির প্রত্যেকটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে বাক্য লেখো –

উত্তরঅর্থবাক্য রচনা
পাকাপরিপক্বগাছপাকা ফলের স্বাদই আলাদা।
পাকাখাঁটিপাকা সোনা দিয়ে গয়না হয় না, খাদ মেশাতে হয়।
মাথামস্তকবাবুন খেলতে গিয়ে মাথা ফাটিয়ে এসেছে।
মাথা চূড়া /শিখর পাহাড়ের মাথায় বরফ জমে থাকে।

এই গল্পটি আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। এটি আমাদেরকে সমাজের বৈষম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

এই ছোট্ট গল্পটিতে, আমরা দেখতে পাই কিভাবে বুকু, একজন নিরপরাধ শিশু, তার সত্যবাদিতার জন্য অসম্ভব পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। তার বাবা-মা তাকে সর্বদা সত্যি কথা বলতে শিখিয়েছিলেন, কিন্তু যখন সে তাদের নির্দেশ মেনে চলে, তখন তারা তাকেই শাস্তি দেয়। এই ঘটনাটি বুকুকে বিভ্রান্ত ও হতাশ করে তোলে, কারণ সে বুঝতে পারে না কী তার অপরাধ।

গল্পটির শেষে, আমরা বুকুকে একা ও ভীত দেখতে পাই, তার বাবা-মায়ের রাগের সম্মুখীন। লেখিকা পাঠকদের উপর এই প্রশ্নটি ছেড়ে দেন: সত্যি বলার জন্য শাস্তি পাওয়া কি ন্যায়সঙ্গত? এই প্রশ্নের কোন সহজ উত্তর নেই, এবং পাঠকদের নিজেদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এই গল্পটি শুধু একটি শিশুর অভিজ্ঞতার চেয়ে বেশি কিছু। এটি সত্য, নীতিশাস্ত্র এবং পারিবারিক সম্পর্কের জটিল বিষয়গুলি অন্বেষণ করে। লেখিকা আমাদেরকে আমাদের নিজস্ব মূল্যবোধ এবং বিশ্বাসগুলি নিয়ে চিন্তা করতে চ্যালেঞ্জ করেন, এবং আমাদেরকে এমন একটি বিশ্ব সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করেন যেখানে সর্বদা সঠিক কাজ করা সহজ নয়।

JOIN US ON WHATSAPP

JOIN US ON TELEGRAM

Please Share This Article

About The Author

Related Posts

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না –  ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

Trending Now

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

Class 9 – English – His First Flight – Question and Answer

Class 9 – English – A Shipwrecked Sailor – Question and Answer