নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষ্য

Souvick

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণের “ব্যাকরণ ও নির্মিতি” থেকে “শব্দ ও পদ : বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া” -এর উপবিভাগ “বিশেষ্য নিয়ে আলোচনা করবো। এই অংশ নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-বিশেষ্য-নবম শ্রেণী-বাংলা
Contents Show

বিশেষ্য

বিশেষ্য পদ কাকে বলে?

যে পদের মাধ্যমে কোনো বস্তু, ব্যক্তি, স্থান, জাতি, গুণ, অবস্থা, কার্য, সংজ্ঞা, সমষ্টি ইত্যাদি বোঝায় তাকে বিশেষ্য পদ বলে।

বিশেষ্য পদ কোন্ কোন্ লিঙ্গরূপে পাওয়া যায়?

বিশেষ্য পদ পুং লিঙ্গ, স্ত্রী লিঙ্গ, উভলিঙ্গ তিনরূপেই পাওয়া যায়।

বিশেষ্য পদের কটি ভাগ ও কী কী?

বিশেষ্য পদের মূলত নয়টি ভাগ। যথা –

  1. সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য,
  2. শ্রেণিবাচক বিশেষ্য,
  3. ভাববাচক বিশেষ্য,
  4. ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য,
  5. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য,
  6. সংখ্যাবাচক বিশেষ্য,
  7. অবস্থাবাচক বিশেষ্য,
  8. গুণবাচক বিশেষ্য,
  9. বস্তুবাচক বিশেষ্য।

সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

সংজ্ঞা মানে নাম। যে বিশেষ্যপদ কোনো স্থান-দেশ-রাজ্য-বই-মানুষ-পশু-পাখি-নদী-পাহাড়-জঙ্গল-সমুদ্র-মরুভূমি-গ্রহ-নক্ষত্র-প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির নাম বোঝায়, তাকে সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্যপদ বলে। যেমন – ভারতবর্ষ, কোরান, ত্রিপিটক, বঙ্গোপসাগর, বাংলা, সূর্য ইত্যাদি।

শ্রেণিবাচক বিশেষ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো ব্যক্তি, বস্তু, জাতি, শ্রেণি ইত্যাদির নাম বোঝায় তাকে শ্রেণিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন – জল, তেল, লতা, পাতা ইত্যাদি। এখানে ‘শ্রেণি’ -এর অর্থ সম্প্রদায় বা সমধর্মী সম্প্রদায়। ‘পশু’ যেমন সমস্ত পশু, ‘পাখি’ সব পাখি। কিন্তু ‘চড়াইপাখি’ বললে তা হয়ে যাবে পাখির নাম বা সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

বস্তুবাচক বিশেষ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে শ্রেণিবাচক বিশেষ্যপদ কোনো বস্তুর নাম বোঝায় তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন – সোনা, রুপো, তামা, হিরে, তেল, নুন, ঘি, ঘটি, মাটি, বাটি ইত্যাদি।

ভাববাচক বিশেষ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষ্য পদের মাধ্যমে বস্তু বা প্রাণীর বিশেষ মনোভাব প্রকাশ পায় তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে।

ভাববাচক বিশেষ্য পদ সবসময় একবচন। এ বিশেষ্যগুলি বিশেষণ থেকে উৎপন্ন হয়। যেমন – লঘু (বিন) > লঘুতা (বি), কোমল > কোমলতা ইত্যাদি।

ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষ্য পদের মাধ্যমে কোনো কাজের নাম বোঝায় তাকে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন – ‘চলা’ ক্রিয়া হলেও ‘চলন্ত’ কাজের নাম। অতএব এটি ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য। ক্রিয়াপদ ধাতু ও বিভক্তি যোগে তৈরি হয় (√চল্ + আ = চলা)। কিন্তু ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য তৈরি হয় ধাতু ও প্রত্যয় নিয়ে (√চিল্ + অনট = চলন)।

ক্রিয়াবাচক ও ভাববাচক বিশেষ্যের পার্থক্য কী?

আপাতদৃষ্টিতে ক্রিয়াবাচক ও ভাববাচক বিশেষ্য কখনো-কখনো একই মনে হয়। কিন্তু চলন, গমন, ভোজন, শয়ন এসবে ক্রিয়ার কাজটিই মুখ্য। আর আনন্দ-দুঃখ-শোক ইত্যাদিতে ক্রিয়ার স্পর্শ ভাবটিই মুখ্য।

সমষ্টিবাচক বিশেষ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষ্য পদের মাধ্যমে ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর সমষ্টিকে বোঝায় তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন – ছাত্রদলের গান, জনতা জনার্দন, বন্যাত্রান সমিতি, ব্রিগেডে আজ জনসভা।

সংখ্যাবাচক বিশেষ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষ্যপদ সংখ্যা বোঝায় তাকে সংখ্যাবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন – বাহান্ন-তিপান্নটি ছাত্রছাত্রী এসেছে আজ।

সংখ্যাত্মক বস্তুবাচক বিশেষ্যের বিশেষত্ব কী?

বস্তুবাচক বিশেষ্যকে গোনা সম্ভব নয়, এদের পরিমাপ বা ওজন সম্ভব। কিন্তু কিছু কিছু বস্তুবাচক বিশেষ্য যেমন – খাতা, বই, কলম, পেনসিল, ঘটি, বাটি এদের গোনাও যায়। এদের বলে সংখ্যাত্মক বস্তুবাচক বিশেষ্য।

অবস্থাবাচক বিশেষ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষ্যপদ কোনো বস্তু বা প্রাণীর অবস্থাকে নির্দেশ করে তাকে অবস্থাবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন – স্বাধীনতা আমাদের জন্মগত অধিকার, শৈশব কালের স্মৃতি সবসময়ই সুখের।

গুণবাচক বিশেষ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষ্য পদের দ্বারা কোনো বস্তু বা প্রাণীর দোষ, গুণ, ধর্ম ইত্যাদি নির্দেশ করা হয়, তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলা হয়। যেমন – দয়া পরম ধর্ম, ব্যবসায় প্রকৃত মূলধন হল সততা।

বিশেষ্যকে রূপের ভিত্তিতে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

রূপের ভিত্তিতে বিশেষ্যকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় –

  1. রূপাত্মক,
  2. অরূপাত্মক,
  3. অর্ধরূপাত্মক।

রূপাত্মক বিশেষ্য কাকে বলব? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষ্যের ইন্দ্রিয়গোচর রূপ আছে, তাকে রূপাত্মক বিশেষ্য বলে। যেমন – নদী, গাছ, গরু ইত্যাদি।

অরূপাত্মক বিশেষ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বিশেষ্যের রূপ নেই বা ইন্দ্রিয়গোচর রূপ নেই, তাকে অরূপাত্মক বিশেষ্য বলে। যেমন – দয়া, মায়া, রুক্ষতা, মমতা ইত্যাদি।

অর্ধরূপাত্মক বিশেষ্য কাকে বলে?

চোখে দেখা না গেলেও অস্তিত্বের লক্ষণ পাওয়া যায় এমন বিশেষ্যকে অর্ধরূপাত্মক বিশেষ্য বলে। যেমন – জীবনমৃত্যু, শ্বাসপ্রশ্বাস, দিনরাত ইত্যাদি।

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো

শব্দ বাক্যের উপযোগী অর্থপ্রকাশক রূপ ধারণ করে –

  1. স্বরূপ বদলে
  2. পদরূপ বদলে
  3. আভিধানিক রূপ বদলে
  4. শব্দরূপ বদলে

উত্তর – 3. আভিধানিক রূপ বদলে

বাক্যের ক্ষুদ্রতম অংশ –

  1. ধ্বনি
  2. বর্ণ
  3. শব্দ
  4. পদ

উত্তর – 4. পদ

শব্দকে নামপদে রূপান্তরিত করে –

  1. শব্দ বিভক্তি
  2. ধাতু বিভক্তি
  3. ক্রিয়া বিভক্তি
  4. অনুসর্গ

উত্তর – 1. শব্দ বিভক্তি

ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বিভক্তিকে বলেছেন –

  1. ধ্বনিগুচ্ছ
  2. পদাংশ
  3. বর্ণগুচ্ছ
  4. শব্দাংশ

উত্তর – 2. পদাংশ

তির্যক বিভক্তি হল –

উত্তর – 3. এ

ভাষায় পৃথক অস্তিত্ব নেই –

  1. বিভক্তির
  2. অনুসর্গের
  3. ক্রিয়াপদের
  4. নামপদের

উত্তর – 1. বিভক্তির

শব্দের উপাদানের মূল অংশকে বলে –

  1. ধাতু
  2. ধ্বনি
  3. বিভক্তি
  4. রূপ

উত্তর – 4. রূপ

রূপের দিক থেকে বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ –

  1. তিনটি
  2. চারটি
  3. একটি
  4. দুইটি

উত্তর – 1. তিনটি

‘বিশেষ’ বা ‘বিশিষ্ট’ কথাটি থেকে এসেছে? –

  1. বিশেষণ
  2. বিশেষ্য
  3. বিশ্ব
  4. বিষয়

উত্তর – 2. বিশেষ্য

বিশেষ্যের আর-এক নাম –

  1. বিশেষণ
  2. সংজ্ঞা
  3. ব্যাখ্যা
  4. বিশ্লেষণ

উত্তর – 2. সংজ্ঞা

বহুবচন হয় না –

  1. জাতিবাচক বিশেষ্যের
  2. শ্রেণিবাচক বিশেষ্যের
  3. ব্যক্তিবাচক বিশেষ্যের
  4. ভাববাচক বিশেষ্যের

উত্তর – 4. ভাববাচক বিশেষ্যের

সংখ্যাত্মক বস্তুবাচক বিশেষ্য –

  1. শ্রেণিভেদ করা যায়
  2. গোনা যায়
  3. গোনা যায় না
  4. হয় না

উত্তর – 2. গোনা যায়

ভাববাচক বিশেষ্য বহুবচন হলে হয়ে যায় –

  1. অভাববাচক বিশেষ্য
  2. শ্রেণিবাচক বিশেষ্য
  3. জাতিবাচক বিশেষ্য
  4. গুণবাচক বিশেষ্য

উত্তর – 3. জাতিবাচক বিশেষ্য

সংখ্যাবাচক বিশেষ্য হল –

  1. সংখ্যা নাম
  2. সংখ্যা ব্যাখ্যা
  3. সংখ্যা ধর্ম
  4. সংখ্যা প্রতীক

উত্তর – 2. সংখ্যা ব্যাখ্যা

ভারতবর্ষ আমাদের জন্মভূমি। – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় বিশেষ্য? –

  1. সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য
  2. শ্রেণিবাচক বিশেষ্য
  3. ভাববাচক বিশেষ্য
  4. ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য

উত্তর – 1. সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য

বিদ্যা বিনয় দান করে। – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় বিশেষ্য? –

  1. সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য
  2. গুণবাচক বিশেষ্য
  3. ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
  4. শ্রেণিবাচক বিশেষ্য

উত্তর – 2. গুণবাচক বিশেষ্য

বিগ্রেডে আজ জনসভা রয়েছে। – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় বিশেষ্যের উদাহরণ তা নির্দেশ করো। –

  1. সংখ্যাবাচক বিশেষ্য
  2. ভাববাচক বিশেষ্য
  3. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য
  4. শ্রেণিবাচক বিশেষ্য

উত্তর – 3. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য

ক্রোধ আমাদের চরম শত্রু। – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় বিশেষ্যের উদাহরণ তা নির্দেশ করো। –

  1. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য
  2. শ্রেণিবাচক বিশেষ্য
  3. সংখ্যাবাচক বিশেষ্য
  4. ভাববাচক বিশেষ্য

উত্তর – 4. ভাববাচক বিশেষ্য

বঙ্কিমচন্দ্র ‘আনন্দমঠ’ রচনা করেছিলেন। – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় বিশেষ্যের উদাহরণ? –

  1. সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য
  2. সংখ্যাবাচক বিশেষ্য
  3. বস্তুবাচক বিশেষ্য
  4. শ্রেণিবাচক বিশেষ্য

উত্তর – 1. সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য

সামনেই তো সমিতির বার্ষিক অধিবেশন। – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় বিশেষ্যের উদাহরণ? –

  1. ভাববাচক বিশেষ্য
  2. সংখ্যাবাচক বিশেষ্য
  3. বস্তুবাচক বিশেষ্য
  4. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য

উত্তর – 4. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

নীচের চিহ্নিত পদগুলি কী কী ধরনের বিশেষ্য তা নির্ণয় করো –

1. গঙ্গা আমার প্রিয় নদী।

সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

2. বিশ্বজুড়ে আজ বাঙালি ছড়িয়ে রয়েছে।

জাতিবাচক বিশেষ্য।

3. তিস্তার সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ।

ভাববাচক বিশেষ্য।

4. লেখাপড়া করে যে গাড়িঘোড়া চড়ে সে।

ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

5. রাস্তার মাঝখান দিয়ে একপাল ভেড়া চলেছে।

সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।

6. বৃষ্টির জন্য দশ-কুড়িটি ছাত্রছাত্রী এসেছে আজ।

সংখ্যাবাচক বিশেষ্য।

7. তাজমহল বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যগুলির মধ্যে অন্যতম।

সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

8. উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রা।

সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।

9. দশে মিলি করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ।

সংখ্যাবাচক বিশেষ্য।

10. দীর্ঘদিন চাকরি না পেয়ে নৈরাশ্যে তার মন ভরে গেছে।

ভাববাচক বিশেষ্য।

11. মনামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।

ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

12. ইংরেজরা ভারতবাসীকে অপরিসীম অত্যাচার করেছিল।

জাতিবাচক বিশেষ্য।

13. আমাকে এক ঘটি জল দাও।

বস্তুবাচক বিশেষ্য।

14. মায়ের মমতার কোনো তুলনা হয় না।

গুণবাচক বিশেষ্য।

15. পুরুলিয়ার বন্যাত্রাণের জন্য আমাদের পাড়ায় একটি সমিতি গঠন করা হয়েছে।

সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।

16. সাতপাঁচ ভেবে কাজ করা উচিত।

সংখ্যাবাচক বিশেষ্য।

17. বঙ্কিমচন্দ্র ‘আনন্দমঠ’ রচনা করেন।

সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

18. সবার উপরে মানুষ সত্য।

জাতিবাচক বিশেষ্য।

19. রুগ্ন শিশুটার জন্য একটু দুধ চাই।

বস্তুবাচক বিশেষ্য।

20. সেনাবাহিনী রাজ্য দখল করল।

সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।

21. উনিশে আর বিশে কী এমন তফাত?

সংখ্যাবাচক বিশেষ্য।

22. প্রতিভার কদর করা উচিত।

গুণবাচক বিশেষ্য।

23. মানবজীবনে সারল্যের ঋতু হল শৈশব

অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

24. এক গ্লাস ঠান্ডা জল খেয়ে আমার পরম তৃপ্তি হল।

ভাববাচক বিশেষ্য।

25. সুস্থ শরীরের জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরি।

ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

26. বিবেকানন্দ শিকাগো ধর্মমহাসভায় হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করেছিলেন।

সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

27. মধুসূদন দত্ত খ্রিস্টান হয়েছিলেন।

জাতিবাচক বিশেষ্য।

28. যিনি খান চিনি তাঁরে যোগান চিন্তামণি।

বস্তুবাচক বিশেষ্য।

29. পরস্পরের প্রতি দ্বেষ ত্যাগ করো।

গুণবাচক বিশেষ্য।

30. স্বাধীনতা আমাদের জন্মগত অধিকার।

অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

31. আজ বিগ্রেডে জনসভা রয়েছে।

সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।

আলাদা আলাদা বাক্যে প্রয়োগ করে উদাহরণ দাও –

বিশেষ্যবাক্যগত প্রয়োগ
1. সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্যরবীন্দ্রনাথ ‘শেষের কবিতা’ রচনা করেছিলেন।
2. শ্রেণিবাচক বিশেষ্য শুরুপশুপাখিকে ভালোবাসা উচিত।
3. বস্তুবাচক বিশেষ্যসোনা এক অতি মূল্যবান ধাতু।
4. জাতিবাচক বিশেষ্যআমি বাঙালি বলে গর্বিত।
5. ভাববাচক বিশেষ্যআনন্দ রয়েছে জাগি ভুবনে তোমার।
6. গুণবাচক বিশেষ্যআমার ভাইয়ের সব কাজে অত্যন্ত সাহস
7. ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যভজন-ভোজন শেষ, এখন শয়নের ব্যবস্থা চাই।
8. সমষ্টিবাচক বিশেষ্যবাসে যা ভিড়, আর পারছি না।
9. সংখ্যাবাচক বিশেষ্যআমি তোমাদের সাতেও নেই পাঁচেও নেই।
10. অবস্থাবাচক বিশেষ্যদারিদ্র্যে আমার কোনো ভয় নেই।

প্রয়োগ ও নির্ণয়মূলক প্রশ্নোত্তর

কলিঙ্গঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি

1. প্রলয় গনিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ।

প্রলয় – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।
প্রজা – জাতিবাচক বিশেষ্য।

2. জলে মহী একাকার।

মহী – জ্ঞানবাচক বিশেষ্য।

3. মেঝ্যাতে পড়য়ে শিল বিদারিয়া চাল।

শিল – বস্তুবাচক বিশেষ্য।।

4. অম্বিকামঙ্গল গান শ্রীকবিকঙ্কণ

অম্বিকামঙ্গল – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।
শ্রীকবিকঙ্কণ – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

নোঙর

1. পাড়ি দিতে দূর সিন্ধু পারে।

পাড়ি – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।
সিন্ধু – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

2. বাঁধা তবু এ নৌকা চিরকাল

বাঁধা – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।
চিরকাল – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

3. তারার দিকে চেয়ে করি দিকের নিশানা।

তারা – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

খেয়ায়

1. সকাল হইতে সন্ধ্যা করে আনাগোনা

সকাল – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।
সন্ধ্যা – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।
আনাগোনা – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

2. পৃথিবীতে কত দ্বন্দ্ব

পৃথিবী – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।
দ্বন্দ্ব – গুণবাচক বিশেষ্য।

3. এই খেয়া চিরদিন চলে।

চিরদিন – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

আকাশে সাতটি তারা

1. আমি এই ঘাসে বসে থাকি।

ঘাস – জাতিবাচক বিশেষ্য।

2. লাল মেঘ যেন মৃত মনিয়ার মতো।

মনিয়া – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য। ম

3. আসিয়াছে শান্ত অনুগত বাংলার নীল সন্ধ্যা

সন্ধ্যা – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

4. অজস্র চুলের চুমা হিজলে কাঁঠালে জামে ঝরে অবিরত।

হিজল – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

5. চাঁদা-সরপুঁটিদের মৃদু ঘ্রাণ।

চাঁদা-সরপুঁটি – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

6. কিশোরীর চালধোয়া ভিজে হাত।

কিশোরী – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

7. বটের ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা

নীরবতা – ভাববাচক বিশেষ্য।

আবহমান

1. ছোট্ট একটা ফুল দুলছে।

ফুল – জাতিবাচক বিশেষ্য।

2. নটে গাছটা বুড়িয়ে ওঠে।

বুড়িয়ে – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

3. ফুল সন্ধ্যার বাতাসে।

সন্ধ্যা – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

4. ফুরায় না তার যাওয়া

যাওয়া – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

5. দুঃখ হয় না বাসী।

দুঃখ – ভাববাচক বিশেষ্য।

ভাঙার গান

1. ওরে ও তরুণ ঈশান, বাজা তোর প্রলয় বিষাণ।

ঈশান – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

2. কে দেয় সাজা মুক্ত স্বাধীন সত্যকে।

স্বাধীন – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

3. ভগবান পরবে ফাঁসি।

ভগবান – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

4. ওরে ও পাগলা ভোলা

ভোলা – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

5. কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক।

দুন্দুভি – সংজ্ঞবাচক বিশেষ্য।

6. নাচে ঐ কালবোশেখী

কালবোশেখী – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

আমরা

1. মুক্তবেণীর গঙ্গা যেথায় মুক্তি বিতরে রঙ্গে।

গঙ্গা – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

2. আমরা বাঙালি বাস করি সেই বাঞ্ছিত ভূমি বঙ্গে।

বাঙালি – জাতিবাচক বিশেষ্য।

3. আমরা হেলায় নাগেরে খেলাই, নাগেরি মাথায় নাচি।

খেলাই – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

4. সিংহল নাম রেখে গেছে নিজ শৌর্য্যের পরিচয়।

শৌর্য্য – গুণবাচক বিশেষ্য।

5. জ্বালিল জ্ঞানের দীপ তিব্বতে বাঙালি দীপঙ্কর

তিব্বত – স্থানবাচক বিশেষ্য।
দীপঙ্কর – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

6. বাঙলার রবি জয়দেব কবি কান্ত কোমল পদে করেছে সুরভি।

কবি – জাতিবাচক বিশেষ্য।

7. মন্বন্তরে মরিনি আমরা মারী নিয়ে ঘর করি।

মন্বন্তর – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

8. তাহারি ছায়ায় আমরা মিলাব জগতের শতকোটি

শতকোটি – সংখ্যাবাচক বিশেষ্য।

ইলিয়াস

1. তখন সে না ধনী, না দরিদ্র

ধনী – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।
দরিদ্র – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

2. সে তাদের ভোজ্য পানীয় দিয়ে সেবা করে।

সেবা – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

3. পরের বছর দেখা দিল দুর্ভিক্ষ

দুর্ভিক্ষ – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

4. সেও তো পাপ

পাপ – গুণবাচক বিশেষ্য।

5. এটা তামাশা নয়।

তামাশা – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

দাম

1. সদুপদেশও একটু বর্ষণ করেছিলুম।

বর্ষণ – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

2. সভায় জাঁকিয়ে বক্তৃতা করা গেল।

সভা – সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।
জাঁকিয়ে – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

3. তরল অন্ধকারে ঢাকা।

অন্ধকার – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

4. স্নেহ-মমতা-ক্ষমার এক মহাসমুদ্রের ধারে এসে দাঁড়িয়েছি।

স্নেহ-মমতা-ক্ষমা – গুণবাচক বিশেষ্য।

5. কুবেরের ভাণ্ডারকে ধরে দিয়েও যা পাওয়া যায় না।

কুবের – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

6. এ অপরাধ আমি বইব কী করে।

অপরাধ – গুণবাচক বিশেষ্য।

7. এ লজ্জা আমি কোথায় রাখব।

লজ্জা – ভাববাচক বিশেষ্য।

নিরুদ্দেশ

1. ও বুঝেছি, নিরুদ্দেশ

নিরুদ্দেশ – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

2. ওর মা কাল থেকে জলগ্রহণ করেনি।

জলগ্রহণ – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

3. নোটের তাড়াটা শোভনের হাতে গুঁজে দিলেন।

তাড়া – সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।

রাধারাণী

1. বালিকার বয়স একাদশ পরিপূর্ণ হয় নাই।

একাদশ – সংখ্যাবাচক বিশেষ্য।

2. রাধারাণীর রোদন বন্ধ হইল।

রোদন – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

3. ঘর ঝাঁটাইতে লাগিল।

ঝাঁটাইতে – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

4. কিন্তু লোভী নহে।

লোভী – গুণবাচক বিশেষ্য। শাকোসন্ট

চন্দ্রনাথ

1. তোমার অক্ষমতার অপরাধ

অপরাধ – গুণবাচক বিশেষ্য।

2. এবং আরও দু-একজন

দু-একজন – সংখ্যাবাচক বিশেষ্য।

3. তুমি এতদূর স্বাধীন হয়েছ?

স্বাধীন – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

4. আখড়ার তমাল গাছটার দিকে চাহিলেন।

তমাল – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।।
গাছ – জাতিবাচক বিশেষ্য।

নব নব সৃষ্টি

1. আপন ভাণ্ডারে অনুসন্ধান করে।

অনুসন্ধান – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

2. সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল।

সংস্কৃত – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

3. তাতে থাকে চটুলতা

চটুলতা – গুণবাচক বিশেষ্য।

4. বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ ঢুকেছে তার ভিতরে আরবি, ফার্সি এবং ইংরেজিই প্রধান।

আরবি, ফার্সি, ইংরেজি – জাতিবাচক বিশেষ্য।

5. সিন্ধি, উর্দু ও কাশ্মীরি সাহিত্যের সৃষ্টি হয়।

সিন্ধি, উর্দু, কাশ্মীরি – জাতিবাচক বিশেষ্য।

6. বাঙালির চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান।

বিদ্রোহ – গুণবাচক বিশেষ্য।

হিমালয় দর্শন

1. শিলিগুড়ি হইতে হিমালয় রেল রোড আরম্ভ হইয়াছে।

হিমালয় – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

2. আমরা সম্পূর্ণ গৃহসুখে আছি।

গৃহসুখ – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

3. ঢেঁকি শাককে ক্ষুদ্র গুল্ম বলিয়াই জানিতাম।

ঢেঁকি শাক – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।
গুল্ম – জাতিবাচক বিশেষ্য।

4. রমণী জাতি দুর্বল বলিয়া তাঁহাদের নাম নাকি অবলা।

রমণী – জাতিবাচক বিশেষ্য।

5. পুরুষেরা বেশি বোঝা বহন করে না।

বহন – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

6. ইহারা শ্রমশীলা

শ্রমশীলা – গুণবাচক বিশেষ্য।

7. দর্শন পিপাসা শতগুণ বাড়ে।

শতগুণ – সংখ্যাবাচক বিশেষ্য।

8. এখানকার বায়ু পরিষ্কার ও হালকা

পরিষ্কার, হালকা – গুণবাচক বিশেষ্য।

9. ভুটিয়ানিয়ারা কার্যপ্রিয়, সাহসী ও সত্যবাদী

ভুটিয়া – জাতিবাচক বিশেষ্য।
কার্যপ্রিয়, সাহসী, সত্যবাদী – গুণবাচক বিশেষ্য।

চিঠি

1. স্টার্ডির একখানি চিঠি কাল পেয়েছি।

স্টার্ডি – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।
চিঠি – বস্তুবাচক বিশেষ্য।

2. তোমাকে খামখেয়ালি মনে হবে।

খামখেয়ালি – ভাববাচক বিশেষ্য।

3. তাঁর রুক্ষ মেজাজ

মেজাজ – গুণবাচক বিশেষ্য।

4. এত ভাল, এত স্নেহময়ী তিনি।

ভাল, স্নেহময়ী – গুণবাচক বিশেষ্য।

5. পারি-ফ্যাশনের পোশাক পরিহিতা মহিলাটি!

মহিলা – জাতিবাচক বিশেষ্য।

6. নরওয়েবাসী বিখ্যাত বেহালাবাদক মিঃ ওলিবুল।

নরওয়েবাসী – জাতিবাচক বিশেষ্য।

7. সম্পূর্ণ নাম মিস মার্গারেট-ই নোবল্

মিস মার্গারেট-ই নোবল্ – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

8. পুরুষের চেয়ে নারীর-একজন প্রকৃত সিংহীর প্রয়োজন।

পুরুষ, নারী, সিংহী, – জাতিবাচক বিশেষ্য।

ধীবর-বৃত্তান্ত

1. মহর্ষি কণ্বের তপোবনে তাঁর অনুপস্থিতিতে শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজা দুষ্মন্ত রাজধানীতে ফিরে গেলেন।

মহর্ষি কণ্বে – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।
শকুন্তলা – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।.
রাজা দুষ্মন্ত – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

2. সেই আংটি পেল এক ধীবর

ধীবর – জাতিবাচক বিশেষ্য।

3. রাজার নাম খোদাই করা এই আংটি তুই কোথায় পেলি?

খোদাই – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

4. আপনারা অনুগ্রহ করে শুনুন।

অনুগ্রহ – ভাববাচক বিশেষ্য।

5. সবাই এগিয়ে চললেন।

সবাই – সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।

6. প্রভু যা আদেশ করেন।

প্রভু – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।
আদেশ – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

7. অনুগৃহীত হলাম।

অনুগৃহীত – ভাববাচক বিশেষ্য।

ব্যোমযাত্রীর ডায়রি

1. কুড়িটা টাকা দিলাম ভদ্রলোককে।

কুড়ি – সংখ্যাবাচক বিশেষ্য।

2. কালির রং সত্যি বদলাচ্ছে।

রং – বস্তুবাচক বিশেষ্য।

3. কাঁটা ঘোরানোর ফলে হয়ে গেল সাড়ে তিন ঘণ্টা লেট।

ঘোরানো – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

4. কেবলমাত্র বুদ্ধিমান লোকেরই প্রয়োজন।

বুদ্ধিমান – গুণবাচক বিশেষ্য।

5. বারো বছর আগে।

বারো – সংখ্যাবাচক বিশেষ্য।

6. কেবলমাত্র রামায়ণ পড়ে।

রামায়ণ – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

7. ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা

বসুন্ধরা – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

8. মঙ্গলীয় সৈন্য একশো গজের মধ্যে।

সৈন্য – সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।

9. অতিকায় পিঁপড়ে জাতীয় একটা কিছু।

পিঁপড়ে – জাতিবাচক বিশেষ্য।

10. যত সব ন্যাকামো

ন্যাকামো – ভাববাচক বিশেষ্য।

কর্ভাস

1. পাখি সম্পর্কে কৌতূহলটা আমার অনেক দিনের।

পাখি – জাতিবাচক বিশেষ্য।

2. সেটা একটা কাক

কাক – জাতিবাচক বিশেষ্য।

3. প্রকাণ্ড লম্বা মেহগনির টেবিল।

মেহগনি – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

4. একজন জাদুকরের পক্ষে নামটা বেশ মানানসই।

জাদুকর – জাতিবাচক বিশেষ্য।

5. মাইনাস কুড়ি

কুড়ি – সংখ্যাবাচক বিশেষ্য।

6. এখন ঘর অন্ধকার

অন্ধকার – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

7. তুমি তো ভারতীয়

ভারতীয় – জাতিবাচক বিশেষ্য।

8. মাঠে মোষের দল

দল – সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।

9. কর্ভাস হল কাক জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম।

কর্ভাস – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।
ল্যাটিন – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

স্বর্ণপর্ণী

1. লোকে বলত ধন্বন্তরি

ধন্বন্তরি – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

2. নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারলে আমি শান্তি পাব না।

শান্তি – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

3. বেশ মজাই লাগছে।

মজা – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

4. আমার অভিযান সফল হবে।

অভিযান – ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

5. এমন একটা ঘটনা অ্যাদ্দিন লুকিয়ে রেখেছ?

একটা – সংখ্যাবাচক বিশেষণ।

6. হিটলার সেই অর্থে উন্মাদ

হিটলার – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।
উন্মাদ – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।

7. তাদের অনেকেই ইহুদি

ইহুদি – জাতিবাচক বিশেষ্য।

8. সঙ্গে রয়েছে নিরুদ্বিগ্ন জনস্রোত

জনস্রোত – সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।

9. এই হল স্বস্তি, আর তার থেকে স্বস্তিক

স্বস্তি – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।
স্বস্তিক – সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য।

10. আমায় ক্ষমা করো, প্রোফেসর।

ক্ষমা – গুণবাচক বিশেষ্য।

11. ছেলেমানুষি করো না।

ছেলেমানুষি – ভাববাচক বিশেষ্য।

12. তুমি অনুকম্পা দেখাচ্ছ?

অনুকম্পা – গুণবাচক বিশেষ্য।

13. আমি অনেক খাইয়েকে জানি।

খাইয়ে – জাতিবাচক বিশেষ্য।

14. নাৎসিদের খপ্পরে পড়তে হয়েছিল।

খপ্পরে – অবস্থাবাচক বিশেষ্য।


আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণের “ব্যাকরণ ও নির্মিতি” থেকে “শব্দ ও পদ : বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া” -এর উপবিভাগ “বিশেষ্য” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই অংশটি নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-ক্রিয়া-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ক্রিয়া

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-অব্যয়-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – অব্যয়

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-বিশেষণ-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষণ

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ক্রিয়া

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – অব্যয়

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষণ

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – সর্বনাম

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষ্য