নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ক্রিয়া

Souvick

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণের “ব্যাকরণ ও নির্মিতি” থেকে “শব্দ ও পদ : বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া” -এর উপবিভাগ “ক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। এই অংশ নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-ক্রিয়া-নবম শ্রেণী-বাংলা
Contents Show

ক্রিয়া

ক্রিয়াপদ কাকে বলে?

বাক্যের যে পদে কাল, ভাব, পুরুষ ইত্যাদির চিহ্ন থাকে এবং কোনো ঘটনা, প্রক্রিয়া, সাধন ইত্যাদি প্রকাশিত হয়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে। যেমন –

ধাতু-প্রকার বিভক্তিকাল বিভক্তিপুরুষ বিভক্তিক্রিয়াপদ
কর্ + (1) ইতেছে(2) ইল(আম)1. করিতেছে
2. করিল
3. করিলাম

ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ একটি সারণির সাহায্যে দেখাও।

ক্রিয়াপদকে সাধারণত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. বাক্যে অবস্থানের দিক থেকে এবং
  2. অন্বয়গত দিক থেকে।

বাক্যে অবস্থানের দিক থেকে ক্রিয়াপদকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় –

  1. সমাপিকা এবং
  2. অসমাপিকা।

অন্বয়গত দিক থেকে ক্রিয়াপদকে আট ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. সকর্মক ক্রিয়া,
  2. অকর্মক ক্রিয়া,
  3. মৌলিক ক্রিয়া,
  4. সাধিত ক্রিয়া,
  5. যৌগিক ক্রিয়া,
  6. সংযোগমূলক ক্রিয়া,
  7. কর্মবাচ্যের ক্রিয়া,
  8. পঙ্গু ক্রিয়া।

আবার সাধিত ক্রিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় –

  1. প্রযোজক ক্রিয়া,
  2. নামধাতুজ ক্রিয়া,
  3. ধ্বন্যাত্মক বা অনুকার ধ্বনিজ ক্রিয়া।

বাক্যে অবস্থানের দিক থেকে ক্রিয়াপদ কত প্রকার ও কী কী?

বাক্যে অবস্থানের দিক থেকে ক্রিয়াপদ দু-প্রকার –

  1. সমাপিকা ক্রিয়া এবং
  2. অসমাপিকা ক্রিয়া।

সমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহারণ দাও।

যে ক্রিয়াপদ বাক্যের ভাব ও অর্থকে সম্পূর্ণ করে এবং বাক্যটিকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশে সাহায্য করে, (অর্থাৎ বক্তার মনোভাব এবং শ্রোতার শ্রবণেচ্ছা দুটিকেই সম্পূর্ণ করে) তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন – বাংলায় ধ্বনি কতপ্রকার বলো।

‘সমাপিকা’ শব্দের অর্থ কী?

‘সমাপিকা’ শব্দের অর্থ ‘সমাপন’ বা ‘সমাপ্ত’।

বাংলায় কোন্ ক্রিয়াপদ প্রায়ই লুপ্ত বা উহ্য থাকে?

বাংলায় ‘হয়’ ক্রিয়াপদটি প্রায়ই লুপ্ত থাকে।

বাংলা ভাষায় সমাপিকা ক্রিয়াপদ কি বাক্যের মাঝে বসে?

সাধু বাংলায় সমাপিকা ক্রিয়াপদ বাক্যের শেষে বসে। এটাই স্বাভাবিক রীতি হলেও চলিত বাংলায় বাক্যের মাঝেও বসে। যেমন – এক ছিল রাজা। তোমরা চাও অনেক, আমরা চাই এক।

অসমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে ক্রিয়াপদ বাক্যের ভাব ও অর্থ সম্পূর্ণ করে না, আরও কিছু বলার ও শোনার ইচ্ছে থেকে যায়, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন – প্রমীলা হাতমুখ ধুয়ে গান গাইতে বসল।

সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার পার্থক্য লেখো।

  1. সমাপিকা ক্রিয়া বাক্যে অপরিহার্য। বাক্যে অসমাপিকা ক্রিয়া থাকতে পারে নাও থাকতে পারে।
  2. সমাপিকা ক্রিয়া বাক্যে একটিই থাকে। অসমাপিকা ক্রিয়া থাকে এক বা একাধিক।
  3. পুরুষ বা কালভেদে সমাপিকা ক্রিয়ার রূপ বদলে যায়। [উত্তম পুরুষ-আমি বলছি, মধ্যম পুরুষ-তুমি বলছো, প্রথম পুরুষ-সে বলছে বা বর্তমান-বলছি, অতীত-বলছিলাম, ভবিষ্যৎ-বলব] অসমাপিকার রূপ কোনোভাবেই বদল হয় না।
  4. সমাপিকা ক্রিয়াপদ উহ্য থাকতে পারে। অসমাপিকা কখনই উহ্য থাকে না।
  5. সমাপিকা ক্রিয়ার ওপর অসমাপিকা ক্রিয়া নির্ভর করে থাকে।

অন্বয়গত দিক থেকে ক্রিয়াপদ কত প্রকার ও কী কী?

অন্বয়গত দিক থেকে ক্রিয়াপদ আট প্রকার। যথা –

  1. সকর্মক ক্রিয়া,
  2. অকর্মক ক্রিয়া,
  3. মৌলিক ক্রিয়া,
  4. সাধিত ক্রিয়া,
  5. যৌগিক ক্রিয়া,
  6. সংযোগমূলক ক্রিয়া,
  7. কর্মবাচ্যের ক্রিয়া,
  8. পঙ্গু ক্রিয়া।

সকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে ক্রিয়ার কর্ম আছে বা কর্মকে অবলম্বন করে যে ক্রিয়া পূর্ণতা পায়, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন – মানু ফুটবল খেলে। বিশু মাছ ধরে। বুলবুল সাইকেল চালায়। রানা বই পড়ে।

দ্বিকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে ক্রিয়ার মুখ্য ও গৌণ-এই দুটি কর্মই উপস্থিত থাকে তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন – মাস্টারমশাই ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন।

মুখ্যকর্ম ও গৌণকর্মের পার্থক্য কী?

ক্রিয়াকে ‘কী’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা মুখ্যকর্ম। মুখ্যকর্ম সবসময় অপ্রাণীবাচক। ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা গৌণকর্ম। গৌণকর্ম সবসময় প্রাণীবাচক।

মুখ্যকর্ম ও গৌণকর্মের উদাহরণ একটি বাক্যে বোঝাও।

মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। এই বাক্যে ‘শিশু’ হল গৌণ কর্ম এবং ‘চাঁদ’ হল মুখ্য কর্ম।

অকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে ক্রিয়ার কর্ম নেই কেবল অবস্থান বা ঘটনা বা সত্তাকে বোঝাতেই যে ক্রিয়া ব্যবহৃত হয়, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন – মানু খেলছে। রানু পড়ছে। পিহু দেখছে।

মৌলিক ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

মৌলিক ধাতু বা সিদ্ধ ধাতুর সঙ্গে ধাতুবিভক্তি যোগ করে যে ক্রিয়াপদ তৈরি হয় তাকে মৌলিক ক্রিয়া বলে। যেমন – পশ্ + ইল = পশিল, গা + ইল = গাইল।

সাধিত ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

সাধিত ধাতু থেকে যে ক্রিয়াপদ গঠিত হয় তাকে সাধিত ক্রিয়া বলে। যেমন – √ধর (মৌলিক ধাতু) + আ = √ধরা (সাধিত ধাতু) + ইতেছে = ধরাইতেছে (সাধিত ক্রিয়া)

সাধিত ক্রিয়া কত প্রকার ও কী কী?

সাধিত ক্রিয়া তিন প্রকার। যথা –

  1. প্রযোজক ক্রিয়া,
  2. নামধাতুজ ক্রিয়া,
  3. ধ্বন্যাত্মক বা অনুকার ধ্বনিজ ক্রিয়া।

প্রযোজক ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে ক্রিয়া অন্যকে দিয়ে করানো বা সংঘটন বোঝায় তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বা প্রেষণাত্মক বা নিজন্ত ক্রিয়া বলে। যেমন – শিক্ষক ছাত্রদের পড়াচ্ছেন।

নামধাতুজ ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

নামধাতুর সঙ্গে কাল বা পুরুষবাচক বিভক্তি যোগে গঠিত ক্রিয়াকে নামধাতুজ ক্রিয়া বলে। যেমন – ঘুমাইতেছে (√ঘুমা + ইতেছে), ধমকাইতেছে (√ধমকা + ইতেছে)।

ধ্বন্যাত্মক বা অনুকার ধ্বনিজ ক্রিয়া কাকে বলে?

ধ্বন্যাত্মক ধাতু থেকে নিষ্পন্ন হওয়া ক্রিয়া হল ধ্বন্যাত্মক ক্রিয়া। যেমন – টনটনাচ্ছে (√টিনটনা + ছে)।

মাইকেলি নামধাতুজ ক্রিয়া কী? উদাহরণ দাও।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা কাব্যে এক নতুন প্রকারের নামধাতুজ ক্রিয়ার বহুল প্রয়োগ করেন। তিনি নামপদের উত্তরে কোনো প্রত্যয় যুক্ত না করে শব্দের শেষ স্বরটিকে লোপ করে দিয়ে ধাতুবিভক্তি যোগ করেন। একেই মাইকেলি নামধাতুজ ক্রিয়া বলে। যেমন – পবিত্র (শেষ স্বর লুপ্ত) + ইল = পবিত্রিল।

যৌগিক ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

একটা অসমাপিকা ও একটা সমাপিকা ক্রিয়া মিলিত হয়ে যে ক্রিয়াপদ গঠন করে তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন – খেয়ে ফেলল। অসমাপিকা ক্রিয়া (খেয়ে) প্রাধান্য পায় বলে তা মুখ্যক্রিয়া এবং সমাপিকা ক্রিয়াটি (ফেলল) হয় গৌণ বা সহকারী ক্রিয়া। মুখ্য ক্রিয়া ইতে, ইয়া, তে, ইয়ে, যে প্রত্যয়যুক্ত এবং গৌণ ক্রিয়া কাল বা পুরুষ বিভক্তি যুক্ত থাকে। যেমন – বলতে চেয়েছিল, করিতে থাকিবে, দেখিয়া নিল ইত্যাদি।

সংযোগমূলক ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

একটি বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ এবং ক্রিয়াপদের সংযোগে তৈরি ক্রিয়াপদকে সংযোগমূলক ক্রিয়াপদ বলে। যেমন – জিজ্ঞাসা করা, বয়ে চলা, হাত ধোওয়া, মাথা নাড়া ইত্যাদি।

কর্মবাচ্যের ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

মূল ধাতুর সঙ্গে ‘আ’ প্রত্যয়যোগে গঠিত হয় কর্মবাচ্যের ধাতু। যেমন – দেখ্ + আ = দেখা। কর্মবাচ্যের ধাতুর সঙ্গে ধাতু বিভক্তি যোগে গঠিত ক্রিয়া কর্মবাচ্যের ক্রিয়া। যেমন – মানাক (√মানা + ক), দেখাচ্ছে (√দেখা + ছে) ইত্যাদি।

পঙ্গুক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যেসব ক্রিয়াকে সব কালে ও ভাবে ব্যবহার করা চলে না তাদের বলা হয় পঙ্গুক্রিয়া বা অসম্পূর্ণ ক্রিয়া বা অপূর্ণরূপ ক্রিয়া। যেসব ধাতু থেকে এই ক্রিয়া সৃষ্টি হয় তাদের পঙ্গু ধাতু বা অসম্পূর্ণ ধাতু বলে। ‘বট্’ ধাতুর বর্তমান ছাড়া অন্য কোনো কাল নেই। যেমন – একা দেখি কুলবধূ কে বট আপনি।

ক্রিয়ার কাল

ক্রিয়ার কাল কাকে বলে?

ক্রিয়া বা কাজ সম্পাদনের সময়কে ক্রিয়ার কাল বলে।

কোন্ ক্রিয়ার কাল হয়?

একমাত্র সমাপিকা ক্রিয়ারই কাল হয়।

সারণির মাধ্যমে ক্রিয়ার কালের প্রকারভেদ দেখাও।

ক্রিয়াপদের কালকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. বর্তমান কাল,
  2. অতীত কাল এবং
  3. ভবিষ্যৎ কাল।

বর্তমান কালকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. সাধারণ বা নিত্য বা সামান্য বর্তমান,
  2. ঘটমান বর্তমান,
  3. পুরাঘটিত বর্তমান এবং
  4. বর্তমান অনুজ্ঞা।

অতীত কালকেও চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. সাধারণ বা নিত্য বা সামান্য অতীত,
  2. ঘটমান অতীত,
  3. পুরাঘটিত অতীত এবং
  4. নিত্যবৃত্ত অতীত।

আবার ভবিষ্যৎ কালও চার ভাগে বিভক্ত –

  1. সাধারণ ভবিষ্যৎ,
  2. ঘটমান ভবিষ্যৎ,
  3. পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ এবং
  4. ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা।

ক্রিয়ার বর্তমান কাল বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।

ক্রিয়াপদে যখন কোন কাজ বর্তমানে হচ্ছে বা এখনও হচ্ছে বা চিরকালই হয়ে চলে বোঝায় তখন তাকে বর্তমান কাল বলে। যেমন – আমি খাচ্ছি, তুমি ঘুমোচ্ছ, সূর্য পূর্বদিকে ওঠে ইত্যাদি।

সাধারণ বা নিত্য বা সামান্য বর্তমান কাল কাকে বলে?

যে ক্রিয়ার কাজ সাধারণত, নিত্য বা বরাবর ঘটে থাকে, তাকে সাধারণ বা নিত্য বর্তমান কাল বলে। যেমন – মায়েরা স্নেহময়ী হন।

ঘটমান বর্তমান কাল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

ঘটমান অর্থাৎ ঘটছে এমন। বর্তমানে যে কাজটা ঘটছে বা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাকে ঘটমান বর্তমান কাল বলে। যেমন – দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ।

পুরাঘটিত বর্তমান কাল কাকে বলে?

যে কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু তার ফল বর্তমান, তাকে পুরাঘটিত বর্তমান কাল বলে। যেমন – সকালে ভাত খেয়েছি।

বর্তমান অনুজ্ঞা কাকে বলে?

যে ক্রিয়াপদ বর্তমান কালের কোনো অনুজ্ঞা অর্থাৎ আদেশ, অনুরোধ, প্রার্থনা, উপদেশ, আশীর্বাদ বোঝায় তাকে বর্তমান অনুজ্ঞা বলে। যেমন – মন দিয়ে শোনো।

ঐতিহাসিক বর্তমান কাল কাকে বলে?

সাধারণ বর্তমানের ক্রিয়াপদকে অতীতকালে ব্যবহার করলে তাকে ঐতিহাসিক বর্তমান কাল বলে। যেমন – 1947 খ্রিস্টাব্দে ভারত স্বাধীন হয়।

ক্রিয়াপদের অতীত কাল বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।

ক্রিয়াপদে যে কাজটি অতীতে শেষ হয়ে গেছে তা বোঝালে অতীত কাল হয়। যেমন – আমি গতকাল মামাবাড়ি গিয়েছিলাম। নদীকে জিজ্ঞাসা করিলাম “নদী তুমি কোথা হইতে আসিয়াছ?”

সাধারণ বা নিত্য বা সামান্য অতীত কাল কাকে বলে?

অতীতে যে কাজ হয়ে গেছে তাকে সাধারণ বা নিত্য বা সামান্য অতীতকাল বলে। যেমন – আনিলাম অপরিচিতের নাম ধরণীতে।

ঘটমান অতীত কাল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

অতীতে যে কাজ ঘটেছিল বা চলছিল তা বোঝালে ঘটমান অতীত কাল হয়। যেমন – তখন গান গাইছিল। সকলে বসে শুনছিল।

পুরাঘটিত অতীত কাল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

অনেক আগে ঘটে গেছে বর্তমানে তার প্রভাব নেই এমন কাজ বোঝালে পুরাঘটিত অতীত কাল হয়। যেমন – একবার দার্জিলিং গিয়েছিলাম।

নিত্যবৃত্ত অতীত কাল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

অতীতে কোনো কাজ নিয়মিত হত বোঝালে নিত্যবৃত্ত অতীত কাল হয়। যেমন – সপ্তাহে তিনদিন সাঁতারে যেতাম।

ক্রিয়ার ভবিষ্যৎ কাল বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।

ক্রিয়াপদে কোনো কাজ ভবিষ্যতে বা পরে হবে বোঝালে ভবিষ্যৎ কাল হয়। যেমন – পুজোর ছুটিতে কালিম্পং যাব।

ক্রিয়ার ভবিষ্যৎ কালের বিভাগগুলি কী কী?

ক্রিয়ার ভবিষ্যৎ কালের চারটি উপবিভাগ। যথা –

  1. সাধারণ ভবিষ্যৎ,
  2. ঘটমান ভবিষ্যৎ,
  3. পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ এবং
  4. ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা।

সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

কোনো কাজ ভবিষ্যতে বা পরে ঘটবে বোঝালে সাধারণ বা সামান্য ভবিষ্যৎ কাল বলে। যেমন – আমি দেখব। তুমি শুনবে।

ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

কোনো কাজ ভবিষ্যতে ঘটতে থাকবে বোঝালে ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল হয়। উদাহরণ – মানুষ সচেতন না হলে পৃথিবী আরও উষ্ণ হতে থাকবে।

পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

অতীতে কোনো কাজ ঘটছে কি না সন্দেহ আছে বোঝালে পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল হয়। রূপে ভবিষ্যৎ (কেননা ফল অনিশ্চিত) অথচ অর্থে অতীত বলে এর অন্য নাম সন্ধিগ্ধ অতীত, যেমন – হয়তো আমিই বলে থাকব।

ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা কাল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

ভবিষ্যতের জন্য কোনো অনুজ্ঞা অর্থাৎ আদেশ, অনুরোধ, উপরোধ বোঝালে তাকে ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা কাল বলে। যেমন-তুমি কাল একবার এসো।

‘গা’ ধাতুযোগে তৈরি ক্রিয়ার ঘটমান অতীত ও ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞার রূপ লেখো।

‘গা’ ধাতুযোগে তৈরি ক্রিয়ার ঘটমান অতীত ও ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞার রূপ হল যথাক্রমে – ‘গাইতেছিলাম’ এবং ‘গাইবে’।

‘চল্’ ধাতু যোগে গঠিত সাধারণ অতীত ও ঘটমান ভবিষ্যৎ কালের রূপগুলি লেখো।

‘চল্’ ধাতুযোগে গঠিত ক্রিয়ার সাধারণ অতীত ও ঘটমান ভবিষ্যৎ কালের রূপ হল যথাক্রমে – ‘চললাম’ এবং ‘চলতে থাকব’।

সারণির সাহায্যে ক্রিয়াপদের কালের তিনটি রূপভেদ উদাহরণসহ দেখাও।

বর্তমান (সাধারণ)অতীত (সাধারণ)ভবিষ্যৎ (সাধারণ)
সাধু চলিতে একরূপচলিত – সাধুচলিত – সাধু
আমি খাইখেলাম – খাইলামখাব – খাইব
তুমি খাওখেলে – খাইলেখাবে – খাইবে
আপনি খানখেলেন – খাইলেনখাবেন – খাইবেন
তুই খাসখেলি – খাইলখাবি – খাইবি
সে খায়খেলা – খাইলিখাবে – খাইবে
তিনি খানখেলেন – খাইলেনখাবেন – খাইবেন

সারণির মাধ্যমে ক্রিয়ার কাল এবং তাদের বৈশিষ্ট্য উদাহরণসহ দেখাও।

কালপ্রকারবৈশিষ্ট্যউদাহরণ
বর্তমানসাধারণ‘এ’ বা ‘শূন্য’ বিভক্তি।‘করি, করে, দেখে, শুনি।
বর্তমানঘটমান‘ছি’, ‘ছে’, ‘ছ’ (ইতেছি, ইতেছ, ইতেছে) যোগেবলছি, শুনছ, করছে, দেখিতেছি।
বর্তমানপুরাঘটিত‘এছি’ ‘এছি’, ‘এছ’, (ইয়াছে, ইয়াছি, ইয়াছ) ইত্যাদি যোগ।করেছ, দেখেছে, শুনেছি, বলিয়াছি, আসিয়াছে।
বর্তমানঅনুজ্ঞাকরো, হও।

ক্রিয়ার ভাব

ক্রিয়ার ভাব কাকে বলে?

যে বিশিষ্ট ভঙ্গির মাধ্যমে সমাপিকা ক্রিয়ার কাজ কীভাবে ঘটছে তা বোঝা যায় তাকে ক্রিয়ার ভাব বলে।

ক্রিয়ার ভাব কত প্রকার ও কী কী?

ক্রিয়ার ভাব তিন প্রকার –

  1. নির্দেশক ভাব,
  2. অনুজ্ঞাভাব,
  3. সংযোজক ভাব।

নির্দেশক ভাব কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

সমাপিকা ক্রিয়াটি যখন কাজ হওয়া, না হওয়া, না করা বোঝায় তখন সেই ভাবকে নির্দেশক ভাব বলে। যেমন – সে কখনও দার্জিলিং যায়নি।

বর্তমানঅতীতভবিষ্যৎ
আমি বই পড়িআমি বই পড়লামআমি বই পড়ব

অনুজ্ঞা ভাব কাকে বলে?

সমাপিকা ক্রিয়াটি অনুজ্ঞা বোঝালে সেই ভাবকে অনুজ্ঞা ভাব বলে। যেমন – আইসক্রিম খাও। কাজের সময় চল্ভাষ নিঃশব্দ করো।

বর্তমানভবিষ্যৎ
এখনই এসোআগামীকাল আসবে

অনুজ্ঞা বলতে কী বোঝায়?

অনুজ্ঞা বলতে বোঝায় আদেশ, অনুরোধ, প্রার্থনা, উপদেশ ও আশীর্বাদ। যেমন – মন দিয়ে শোনো।

ক্রিয়ার বিভক্তি

ক্রিয়ার বিভক্তি কাকে বলে?

ধাতুর সঙ্গে যে বিভক্তিগুলি বা শব্দগুলি যোগ হয়ে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়, তাকে ক্রিয়ার বিভক্তি বলে।

ক্রিয়ার বিভক্তি কত প্রকার ও কী কী?

ক্রিয়ার বিভক্তি তিন প্রকার। যথা –

  1. কাল বিভক্তি,
  2. প্রকার বিভক্তি এবং
  3. পুরুষ বিভক্তি।

কাল বিভক্তি কাকে বলে?

ক্রিয়ার বিভিন্ন কালে যে বিভক্তি যুক্ত হয়, তাদের কাল বিভক্তি বলে।

কাল বিভক্তি কয় প্রকার ও কী কী?

কাল বিভক্তি তিন প্রকার। যথা –

  1. বর্তমান,
  2. অতীত,
  3. ভবিষ্যৎ।

প্রকার বিভক্তি কাকে বলে?

ক্রিয়ার বিভিন্ন প্রকারের সঙ্গে যুক্ত বিভক্তি হল প্রকার বিভক্তি।

প্রকার বিভক্তি কত প্রকার ও কী কী?

প্রকার বিভক্তি দু-প্রকার। যথা –

  1. সাধু বিভক্তি (সাধুভাষার ক্রিয়াপদে যোগ হয়)
  2. চলিত বিভক্তি (চলিত ভাষার ক্রিয়াপদে যোগ হয়)।

ক্রিয়ার প্রকার কয়টি ও কী কী?

ক্রিয়ার প্রকার পাঁচটি। যথা –

  1. সামান্য,
  2. ঘটমান,
  3. পুরাঘটিত,
  4. নিত্যবৃত্ত,
  5. অনুজ্ঞা (বর্তমান ও ভবিষ্যৎ)।

ছকের সাহায্যে উদাহরণের মাধ্যমে প্রকার বিভক্তির প্রভেদটা দেখাও।

প্রকার বিভক্তি –

সাধুচলিত
ইতেছে (বলিতেছে)ছে (বলছে)
ইবে (বলিবে)বে (বলবে)
ইল (বলিল)ল (বলল)
ইলেন (বলিলেন)লেন (বললেন)
ইয়াছি (বলিয়াছি)এছি (বলেছি)

পুরুষ বিভক্তি কাকে বলে? এর প্রকার দেখাও।

উত্তম, মধ্যম ও প্রথম পুরুষে ক্রিয়াপদের সঙ্গে যে বিভক্তি যুক্ত হয় তাদের পুরুষ বিভক্তি বলে। যেমন – 

  • উত্তম পুরুষ বিভক্তি – ই, অ, এন, ইস্, ন্‌, এ ইত্যাদি।
    • বিভক্তিযুক্ত ক্রিয়াপদ – করি, বলি, চল, চলিস, হন, করে, বলে ইত্যাদি।
  • মধ্যম পুরুষ বিভক্তি – আ, আও, ও ইত্যাদি।
    • বিভক্তিযুক্ত ক্রিয়াপদগুলি – চলো, বলো, দেখাও, শেখাও, করা ইত্যাদি।
  • প্রথম পুরুষ বিভক্তি – ইস, শূন্য, উন, এন ইত্যাদি।
    • বিভক্তিযুক্ত ক্রিয়াপদ – করিস, বলিস, কর্, বল্, করবেন, বলবেন, করুন, বলুন ইত্যাদি।

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো

‘বেতাইল’ একটি –

  1. মৌলিক ক্রিয়া
  2. যৌগিক ক্রিয়া
  3. সংযোগমূলক ক্রিয়া
  4. নামধাতুজ ক্রিয়া

উত্তর – 4. নামধাতুজ ক্রিয়া

ক্রিয়াপদের আটটি ভাগ –

  1. অবস্থাগত দিক থেকে
  2. অর্থগত দিক থেকে
  3. অন্বয়গত দিক থেকে
  4. ভাবগত দিক থেকে

উত্তর – 3. অন্বয়গত দিক থেকে

‘সমাপিকা’ শব্দটি এসেছে –

  1. সমান থেকে
  2. সমাধান থেকে
  3. সমাপন থেকে
  4. সমাস থেকে

উত্তর – 3. সমাপন থেকে

বাংলায় প্রায়শই লুপ্ত ক্রিয়াপদটি –

  1. হয়
  2. যায়
  3. খায়
  4. বায়

উত্তর – 1. হয়

ইয়া-ইতে-ইল সাধুভাষার বিভক্তিগুলি যুক্ত থাকে যে ক্রিয়ায় তা –

  1. সমাপিকা
  2. অসমাপিকা
  3. অকর্মক
  4. সকর্মক

উত্তর – 2. অসমাপিকা

‘খেলিছ এ বিশ্বজুড়ে।’ ‘খেলিছ’ একটি –

  1. সকর্মক অসমাপিকা
  2. অকর্মক সমাপিকা
  3. নির্দেশক অসমাপিকা
  4. নামধাতুজ অসমাপিকা

উত্তর – 2. অকর্মক সমাপিকা

বাক্যে উহ্য থাকতে পারে যে ক্রিয়াপদ তা –

  1. সমাপিকা
  2. অসমাপিকা
  3. সকর্মক
  4. অকর্মক

উত্তর – 2. অসমাপিকা

ঐতিহাসিক বর্তমান প্রকৃতপক্ষে –

  1. ঘটমান বর্তমানের ভাগ
  2. পুরাঘটিত বর্তমানের ভাগ
  3. সাধারণ বর্তমানের ভাগ
  4. বর্তমান অনুজ্ঞার ভাগ

উত্তর – 3. সাধারণ বর্তমানের ভাগ

যে কাজ বারবার বা নিয়মিত হয় তাকে বলে –

  1. সামান্য
  2. নিত্যবৃত্ত
  3. পুরাঘটিত
  4. সমাপিকা

উত্তর – 2. নিত্যবৃত্ত

ক্রিয়ার ভাব মোট –

  1. চার প্রকার
  2. দু-প্রকার
  3. পাঁচ প্রকার
  4. তিন প্রকার

উত্তর – 4. তিন প্রকার

বিভক্তি ক্রিয়ায় যুক্ত হয় –

  1. তিনভাবে
  2. চারভাবে
  3. পাঁচভাবে
  4. একভাবেই

উত্তর – 1. তিনভাবে

সাধু ও চলিত বিভক্তি –

  1. প্রকার বিভক্তি
  2. কাল বিভক্তি
  3. ভাষাভক্তি
  4. পুরুষ বিভক্তি

উত্তর – 1. প্রকার বিভক্তি

ই, অ, ন, এন –

  1. প্রথম পুরুষের বিভক্তি
  2. উত্তম পুরুষের বিভক্তি
  3. মধ্যম পুরুষের বিভক্তি
  4. সব পুরুষের বিভক্তি

উত্তর – 2. উত্তম পুরুষের বিভক্তি

প্রমীলা হাতমুখ ধুয়ে গান গাইতে বসল। – রেখাঙ্কিত পদটি কোন্ জাতীয় ক্রিয়া? –

  1. সমাপিকা ক্রিয়া
  2. অসমাপিকা ক্রিয়া
  3. পূর্বোক্ত দুটিই
  4. পূর্বোক্ত কোনোটিই নয়

উত্তর – 2. অসমাপিকা ক্রিয়া

সকালে ভাত খেয়েছি। – বাক্যটিতে ক্রিয়ার কালের কোন্ বিভাগ আমরা দেখতে পাই? –

  1. নিত্যবৃত্ত অতীত
  2. সামান্য বর্তমান
  3. পুরাঘটিত বর্তমান
  4. ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা

উত্তর – 3. পুরাঘটিত বর্তমান

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

নীচের বাক্যগুলির ক্রিয়াপদের প্রকারসহ কাল নির্ণয় করো –

বাক্যপ্রকারকাল
1. মায়েরা স্নেহময়ী হন।নিত্য সাধারণবর্তমান।
2. পশ্চিম আজি খুলিয়াছে দ্বার।পুরাঘটিতবর্তমান।
3. ভ্রমিতাম বনে বনে।নিত্যবৃত্তঅতীত।
4. যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি।নিত্য সাধারণবর্তমান।
5. অনেকদিন পর্যন্ত আমার সঙ্গে একটি কথাও কননি।পুরাঘটিতঅতীত।
6. বাবু ছিপ হাতে পারিষদ সাথে ধরিতেছিলেন মাছ।ঘটমানঅতীত।
7. অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া।ঘটমানবর্তমান।
8. সন্ধ্যা হইলেই একাকী নদীতীরে আসিয়া বসিতাম।নিত্যবৃত্তঅতীত।
9. আবার দাঁড়াব গিয়ে দুঃখের দুয়ারে।সাধারণভবিষ্যৎ।
10. আমার বউদিদির মৃত্যু হয়েছে।পুরাঘটিতবর্তমান।
11. গল্পটা সবাই জানে।সাধারণবর্তমান।
12. আমি মনের আনন্দে হাসিতেছিলাম।ঘটমানঅতীত।
13. সূর্য পূর্বদিকে ওঠে।নিত্য সাধারণবর্তমান।
14. মহেশ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করিল।নিত্য সাধারণঅতীত।
15. ছিন্ন খঞ্জনার মতো যখন সে নেচেছিল ইন্দ্রের সভায়।পুরাঘটিতঅতীত।
16. অপু মায়ের মুখে মহাভারত পড়া শুনত।নিত্যবৃত্তঅতীত।
17. ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার।ঘটমানবর্তমান।
18. শিশুরা খেলছিল মায়ের কোলে।ঘটমানঅতীত।
19. বরং প্রাণ দেব, তবু মান দেব না।নিত্য সাধারণভবিষ্যৎ।
20. আকাশে তখন কালবৈশাখীর মেঘ জমেছে।পুরাঘটিতবর্তমান।
21. অশোক কলিঙ্গ জয় করেন।ঐতিহাসিকবর্তমান।
22. আমি যে গান গেয়েছিলাম।পুরাঘটিতঅতীত।
23. সে আমাদের বাড়িতে প্রায়ই আসত।নিত্যবৃত্তঅতীত।
24. সকাল হইতে দেখিতাম, প্রতিবেশীরা একে একে স্নান করিতে আসিতেছে।নিত্যবৃত্তঅতীত।
25. রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।নিত্য সাধারণবর্তমান।
26. বাংলার নদী মাঠ ভাঁটফুল ঘুঙুরের মতো তার কেঁদেছিল পায়।পুরাঘটিতঅতীত।
27. জ্বলন্ত ভারী পাথর এদিক-ওদিক সশব্দে পড়ল।নিত্য সাধারণঅতীত।
28. সবাই হাততালি দিচ্ছে।ঘটমানবর্তমান।
29. দুইদিন পরে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশিনু নিজ গ্রামে।নিত্য সাধারণঅতীত।
30. সেই বটগাছের তলাটা আমার সমস্ত মনকে অধিকার করিয়া লইত।নিত্যবৃত্তঅতীত।
31. ওরা কেউ এর আগে প্রজ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি দেখেনি।পুরাঘটিতবর্তমান।
32. সুখে কেউ হাসে, কেউ কেঁদে ফেলে।নিত্য সাধারণবর্তমান।
33. সকালে ভাত খেয়েছি।পুরাঘটিতবর্তমান।
34. মন দিয়ে আমার কথাগুলো শোনো।অনুজ্ঞাবর্তমান।
35. আনিলাম অপরিচিতের নাম ধরণীতে।নিত্য সাধারণঅতীত।
36. তিনি রোজ নদীতে স্নান করতেন।নিত্যবৃত্তঅতীত।
37. দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে।সাধারণভবিষ্যৎ।
38. হয়তো আমিই বলে থাকব।পুরাঘটিতভবিষ্যৎ।
39. আমরা ধরি মৃত্যু-রাজার যজ্ঞ-ঘোড়ার রাশ।সাধারণবর্তমান।
40. গাছের ডালে বসে পাখিরা গান গাইছে।ঘটমানবর্তমান।
41. তুমি এ কথা লিখেছ।পুরাঘটিতবর্তমান।
42. আমরা পরীক্ষা দিলাম।নিত্য সাধারণঅতীত।
43. সোমা তখন গান করছিল।ঘটমানঅতীত।
44. আমরা স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই গাড়ি ঢুকে গিয়েছিল।পুরাঘটিতঅতীত।
45. আমরা প্রতিদিন বিকেলবেলা বাগানে এসে বসতাম।নিত্যবৃত্তঅতীত।
46. রীতা ও আমি বেড়াতে যাব।সাধারণভবিষ্যৎ।
47. তারা সারারাত্রি জেগে থাকবে।পুরাঘটিতভবিষ্যৎ।
48. ছাত্র আন্দোলন চলতে থাকবে।ঘটমানভবিষ্যৎ।
49. তিনি আমাদের বাড়িতে রোজই আসতেন।নিত্যবৃত্তঅতীত।
50. পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।ঘটমানবর্তমান।
51. আমরা পড়াশোনা করছি।ঘটমানবর্তমান।
52. বৃষ্টি থেমেছে।পুরাঘটিতবর্তমান।
53. রবীন্দ্রনাথ অল্পবয়সে পিতার সঙ্গে হিমালয়ে গিয়েছিলেন।পুরাঘটিতঅতীত।
54. তুমি যতই বোঝাও সে ওই একই কথা বলে যাবে।ঘটমানভবিষ্যৎ।
55. ওই পথ ধরে তারা যাচ্ছিল।ঘটমানঅতীত।

আলাদা আলাদা বাক্যে প্রয়োগ করে দেখাও –

ক্রিয়া, ক্রিয়ার প্রকার ও কালবাক্যগত প্রয়োগ
1. সকর্মক ক্রিয়াশ্মশানের বুকে আমরা রোপণ করেছি পঞ্চবটি।
2. অকর্মক ক্রিয়াপড়াশোনায় অবহেলা করেছ কি মরেছ
3. দ্বিকর্মক ক্রিয়ারমেনবাবু মিতাকে বাংলা পড়ান
4. সমাপিকা ক্রিয়াআলোর ঢেউয়ে উঠল নেচে মল্লিকা মালতী।
5. অসমাপিকা ক্রিয়ামন দিয়ে পড়াশোনা করলে ভালো ফল পাবে।
6. নিত্য বর্তমানদুঃখ সুখ দিবসরজনী মন্দ্রিত করিয়া তোলে জীবনের মহামন্ত্রধ্বনি।
7. ঘটমান বর্তমানআমার হিয়ায় চলছে রসের খেলা।
8. পুরাঘটিত বর্তমানঅলংকারে কাহিনি রসবন্ত হয়ে উঠেছে
9. বর্তমান অনুজ্ঞাএকটা গল্প বলুন না।
10. নিত্য অতিতঅশ্রুধারা আর্দ্র করে দিল পৃথিবীকে।
11. ঘটমান বর্তমানসে বইটা মন দিয়ে পড়ছিল
12. পুরাঘটিত অতীতআমরা সার্কাস দেখতে গিয়েছিলাম
13. নিত্যবৃত্ত অতীতআমি প্রতিদিন বিকেলবেলা দাদুর সঙ্গে গঙ্গার ধারে বেড়াতে যেতাম
14. সাধারণ ভবিষ্যৎগাছ থেকে পাকা ফল পড়বে
15. ঘটমান ভবিষ্যৎসারাটা বছর তাকে পদ্মার মাছের ওপরই নির্ভর করে থাকতে হবে
16. পুরাঘটিত ভবিষ্যৎহয়তো তুমি শুনেই থাকবে
17. ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞাগুরুজনের কথা শুনবে
18. নিত্য অতিতসে কখনও দার্জিলিং যায়নি

প্রয়োগ ও নির্ণয়মূলক প্রশ্নোত্তর

ক্রিয়ার শ্রেণিবিভাগ

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি

1. মেঘে কৈল অন্ধকার।

কৈল (কাব্যে) < করিল – সমাপিকা ক্রিয়া।

2. দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার।

দেখিতে পায় – যৌগিক ক্রিয়া।

3. ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর।

উড়িল – সমাপিকা ক্রিয়া।

4. ঘন ঘন শুনি চারি মেঘের গর্জন।

শুনি – সমাপিকা ক্রিয়া।

5. উলটিয়া পড়ে শস্য প্রজা চমকিত।

উলটিয়া পড়ে – যৌগিক ক্রিয়া।

নোঙর

1. পাড়ি দিতে দূর সিন্ধুপারে নোঙর গিয়েছে পড়ে তটের কিনারে।

গিয়েছে পড়ে – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

খেয়া

1. খেয়া নৌকা পারাপার করে নদীস্রোতে।

করে – সমাপিকা ক্রিয়া।

2. কেহ যায় ঘরে।

যায় – অকর্মক ক্রিয়া।

3. কেহ আসে ঘর হতে।

আসে – অকর্মক ক্রিয়া।

4. নূতন নূতন কত গড়ে ইতিহাস।

গড়ে – সমাপিকা ক্রিয়া।

5. এই খেয়া চিরদিন চলে নদীস্রোতে।

চলে – সমাপিকা ক্রিয়া।

6. উঠে কত সুধা।

উঠে – সমাপিকা ক্রিয়া।

আকাশে সাতটি তারা

1. আমি এই ঘাসে বসে থাকি

বসে থাকি – যৌগিক ক্রিয়া।

2. আকাশে সাতটি তারা উঠেছে ফুটে

উঠেছে ফুটে – যৌগিক ক্রিয়া।

3. গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে

ডুবে গেছে – যৌগিক ক্রিয়া।

4. কেশবতী কন্যা যেন এসেছে আকাশে।

এসেছে – সমাপিকা ক্রিয়া।

5. আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে আমি পাই টের

পাই টের – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

আবহমান

1. কে এইখানে এসেছিল অনেক বছর আগে।

এসেছিল – সমাপিকা ক্রিয়া।

2. কে এইখানে ঘর বেঁধেছে নিবিড় অনুরাগে।

বেঁধেছে – সকর্মক ক্রিয়া।

3. কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে

ফিরে আসে – যৌগিক ক্রিয়া।

4. সারাটা রাত তারায়-তারায় স্বপ্ন এঁকে রাখে

এঁকে রাখে – যৌগিক ক্রিয়া।

5. তেমনি করেই সূর্য ওঠে

ওঠে – সমাপিকা ক্রিয়া।

ভাঙার গান

1. কারার ওই লৌহকপাট ভেঙে ফেল কর রে লোপাট।

ভেঙে ফেল – যৌগিক ক্রিয়া।

2. গাজনের বাজনা বাজা

বাজা – সমাপিকা ক্রিয়া।

3. দে রে দে প্রলয় দোলা।

দে – সমাপিকা ক্রিয়া।

4. নাচে ঐ কালবোশেখী।

নাচে – সমাপিকা ক্রিয়া।

5. যত সব বন্দিশালায় আগুন জ্বালা

আগুন জ্বালা – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

আমরা

1. সিংহল নাম রেখে গেছে নিজ শৌর্যের পরিচয়।

রেখে গেছে – যৌগিক ক্রিয়া।

2. জ্বালিল জ্ঞানের দীপ তিব্বতে বাঙালি দীপংকর।

জ্বালিল – সকর্মক ক্রিয়া।

3. বাঙালির ছেলে ফিরে এল দেশে যশের মুকুট পরি।

ফিরে এল – যৌগিক ক্রিয়া।

4. ঘরের ছেলের চক্ষে দেখেছি বিশ্বভূপের ছায়া।

দেখেছি – সকর্মক ক্রিয়া।

5. বাঙালির কবি গাহিছে জগতে মহামিলনের গান।

গাহিছে – সকর্মক ক্রিয়া।

6. মুক্ত হইব দেব-ঋণে মোরা মুক্তবেণীর তীরে।

মুক্ত হইব – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

ইলিয়াস

1. প্রচুর সম্পত্তি করে ফেলল

করে ফেলল – যৌগিক ক্রিয়া।

2. অতিথিরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসে।

করতে – অসমাপিকা ক্রিয়া।

3. অতিথিরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসে

আসে – সমাপিকা ক্রিয়া।

4. ইলিয়াসের অবস্থা খারাপ হয়ে গেল

হয়ে গেল – যৌগিক ক্রিয়া।

5. সে একেবারে সর্বহারা হয়ে পড়ল

হয়ে পড়ল – যৌগিক ক্রিয়া।

6. শীতকালে গোরু-ঘোড়াগুলোকে খাওয়াবে

খাওয়াবে – প্রযোজক ক্রিয়া।

7. সে উঠে দাঁড়াল

উঠে দাঁড়াল – যৌগিক ক্রিয়া।

8. স্বামীও হাসছে

হাসছে – অকর্মক ক্রিয়া।

9. আমাদের একমাত্র কাজ প্রভুর সেবা করা

সেবা করা – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

10. আমার সঙ্গে থাকো

থাকো – সমাপিকা ক্রিয়া।

11. গল্প করছিল

করছিল – সমাপিকা ক্রিয়া।

12. দরজার পাশে এক কোণে বসল

বসল – সমাপিকা ক্রিয়া।

দাম

1. আমাদের অঙ্ক কষাতেন

কষাতেন – প্রযোজক ক্রিয়া।

2. আমরা নিরাপদ বোধ করতুম

বোধ করতুম – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

3. আমি কলেজে বাংলা পড়াই

পড়াই – প্রযোজক ক্রিয়া।

4. কাগজ কলম নিয়ে বসে গেলুম

বসে গেলুম – যৌগিক ক্রিয়া।

5. লিখলুম তাঁকে নিয়েই।

লিখলুম – সমাপিকা ক্রিয়া।

6. অল্পের জন্য ফুলদানিটা রক্ষা পেল

রক্ষা পেল – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

7. আমি যাচ্ছি

যাচ্ছি – সমাপিকা ক্রিয়া।

8. আমাকে নিয়ে গল্প লিখেছে

লিখেছে – সকর্মক ক্রিয়া।

9. আবছা আলোটায় এখন অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলুম

হয়ে উঠেছিলুম – যৌগিক ক্রিয়া।

10. মাস্টার মশাইয়ের চোখ দিয়ে জল পড়ছে

পড়ছে – সকর্মক ক্রিয়া।

11. আমি তাঁকে দশ টাকায় বিক্রী করেছিলুম

বিক্রী করেছিলুম – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

12. সকলকে এই লেখা আমি দেখাই

দেখাই – দ্বিকর্মক ক্রিয়া।

নিরুদ্দেশ

1. কোথায় গেলেন বাবু।

গেলেন – সমাপিকা ক্রিয়া।

2. বসুন আপনি।

বসুন – সমাপিকা ক্রিয়া।

3. এই বিজ্ঞাপনের পেছনে অনেক সত্যকার ট্র্যাজিডি থাকে

থাকে – সমাপিকা ক্রিয়া।

4. বিজ্ঞাপন ক্রমশ হতাশ হাহাকার হয়ে উঠল

হয়ে উঠল – যৌগিক ক্রিয়া।

5. বাড়িতে যেতে চাই

যেতে চাই – যৌগিক ক্রিয়া।

6. বৃদ্ধ থমকে দাঁড়ালেন

থমকে দাঁড়ালেন – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

7. শোভন স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল

দাঁড়িয়ে রইল – যৌগিক ক্রিয়া।

রাধারাণী

1. মোকদ্দমাটি বিধবা হাইকোর্টে হারিল

হারিল – সমাপিকা ক্রিয়া।

2. দুই একটি পয়সা পাইব

পাইব – সকর্মক ক্রিয়া।

3. বড় বৃষ্টি আরম্ভ হইল

আরম্ভ হইল – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

4. বাড়ি যাইব

যাইব – সমাপিকা ক্রিয়া।

5. আমি আলো জ্বালি

জ্বালি – সকর্মক ক্রিয়া।

চন্দ্রনাথ

1. প্রদীপ্ত ও প্রধান হইয়া আছে

হইয়া আছে – যৌগিক ক্রিয়া।

2. সে আপনার জীবনের কক্ষপথে চলিয়াছে

চলিয়াছে – সমাপিকা ক্রিয়া।

3. সে দেখা দিল

দেখা দিল – যৌগিক ক্রিয়া।

4. তাহার কাছে গিয়া দাঁড়াইলাম

গিয়া দাঁড়াইলাম – যৌগিক ক্রিয়া।

5. কাগজটায় চোখ বুলাইতে ছিলাম

বুলাইতে ছিলাম – সমাপিকা ক্রিয়া।

6. চন্দ্রনাথের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন

চাহিয়া রহিলেন – যৌগিক ক্রিয়া।

7. কাকের কোলাহল চলিয়াছে সেখানে।

কোলাহল চলিয়াছে – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

8. আজও এই অন্ধকারের মধ্যে আমি চোখ মুদিলাম

মুদিলাম – সকর্মক ক্রিয়া।

9. আমি চুপ করিয়া রহিলাম

রহিলাম – সমাপিকা ক্রিয়া।

10. সে স্কলারশিপ পাইবে

পাইবে – সকর্মক ক্রিয়া।

11. হীরু পরম সমাদর করিয়া আমাকে বসাইল

বসাইল – প্রযোজক ক্রিয়া।

12. সে চলে গেল

চলে গেল – যৌগিক ক্রিয়া।

13. আমাকে লেখাটা দেখাবে তো নরেশ।

দেখাবে – প্রযোজক ক্রিয়া।

নব নব সৃষ্টি

1. আপন ভাণ্ডারে অনুসন্ধান করে

করে – সমাপিকা ক্রিয়া।

2. আমরা ভিন্ন ভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ নিয়েছি

নিয়েছি – সকর্মক ক্রিয়া।

3. ভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ নিচ্ছি

নিচ্ছি – সকর্মক ক্রিয়া।

4. রবীন্দ্রনাথ স্বচ্ছন্দে লিখেছেন

লিখেছেন – সমাপিকা ক্রিয়া।

5. বিস্তর সংস্কৃত শব্দ বাংলায় ঢুকেছে

ঢুকেছে – সকর্মক ক্রিয়া।

হিমালয় দর্শন

1. মেঘের ভেতর দিয়া চলিয়াছি

চলিয়াছি – সমাপিকা ক্রিয়া।

2. অল্প অল্প বাতাস মৃদুগতিতে বহিতেছে

বহিতেছে – সমাপিকা ক্রিয়া।

3. আমার স্রষ্টাকে স্মরণ করো

স্মরণ করো – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

চিঠি

1. স্টার্ডির একখানি চিঠি কাল পেয়েছি

পেয়েছি – সকর্মক ক্রিয়া।

2. পত্রখানিও আবশ্যক হয়ে পড়েছে

হয়ে পড়েছে – যৌগিক ক্রিয়া।

3. তোমার প্রত্যেকটি গতিবিধি সন্দেহের চক্ষে দেখবে

দেখবে – সমাপিকা ক্রিয়া।

4. আমি অবশ্যই তোমায় সাহায্য করব

সাহায্য করব – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

5. তিনি আমেরিকায় আমার বিশেষ উপকারী বন্ধু ছিলেন

ছিলেন – সমাপিকা ক্রিয়া।

6. ভারতের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেন

করেন – সকর্মক ক্রিয়া।

ধীবর-বৃত্তান্ত

1. এলেন ঋষি দুর্বাসা।

এলেন – সমাপিকা ক্রিয়া।

2. সেই ব্যক্তি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন

ভুলে যাবেন – যৌগিক ক্রিয়া।

3. শকুন্তলাকে পতিগৃহে পাঠানোর আয়োজন করলেন।

পাঠানোর – প্রযোজক ক্রিয়া।

4. এটা রাজা দান করেছেন

দান করেছেন – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

5. শত্রুাবতারে আমি থাকি

থাকি – অকর্মক ক্রিয়া।

6. এই আংটিটা দেখতে পেলাম

দেখতে পেলাম – যৌগিক ক্রিয়া।

7. কুকুর দিয়ে খাওয়ানো হবে

খাওয়ানো হবে – প্রযোজক ক্রিয়া।

8. এই চোরকে নিয়ে অপেক্ষা কর

অপেক্ষা কর – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

9. ভয় পাওয়ার অভিনয় করে

অভিনয় করে – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

10. রাজশ্যালক প্রবেশ করে

প্রবেশ করে – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

ব্যোমযাত্রীর ডায়রি

1. আমি পাই তারক চাটুজ্যের কাছ থেকে।

পাই – সমাপিকা ক্রিয়া।

2. মনে পড়েছে

পড়েছে – সমাপিকা ক্রিয়া।

3. সুন্দরবনের মাথারিয়া অঞ্চলে এসে পড়েছিল

এসে পড়েছিল – যৌগিক ক্রিয়া।

4. মাটির ভেতর থেকে উঁকি মারছে

উঁকি মারছে – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

5. কেমন যেন খটকা লাগল

খটকা লাগল – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

6. ছেলেরা বেশ আমোদ পাবে

পাবে – সকর্মক ক্রিয়া।

7. হঠাৎ বুঝতে পারলাম ও কী বলছে।

বুঝতে – অসমাপিকা ক্রিয়া।

8. অবিশ্বাস্য জগতের মধ্য দিয়ে উড়ে চলেছি

উড়ে চলেছি – যৌগিক ক্রিয়া।

কর্ভাস

1. মাটিতে বাসা করে

বাসা করে – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

2. শাবকদের খাওয়ায়

খাওয়ায় – প্রযোজক ক্রিয়া।

3. গলা অবধি জলে ডুবে ভাসতে থাকে

ভাসতে থাকে – যৌগিক ক্রিয়া।

4. কর্ভাস এখন ইংরাজি শিখছে

শিখছে – সকর্মক ক্রিয়া।

5. প্রহ্লাদকে ব্যাপারটা দেখতে পাঠালাম।

দেখতে – অসমাপিকা ক্রিয়া।

6. টোকা মারতে আরম্ভ করল

আরম্ভ করল – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

7. ভদ্রলোককে ঘরে আসতে বললাম।

আসতে – অসমাপিকা ক্রিয়া।

8. কর্ভাস ঘুমিয়ে পড়েছিল

ঘুমিয়ে পড়েছিল – যৌগিক ক্রিয়া।

9. তোমাকে চাইতে এসেছিল।

চাইতে – অসমাপিকা ক্রিয়া।

10. তার কাজ হাসিল করেছে

হাসিল করেছে – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

স্বর্ণপর্ণী

1. কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে ঘুমোচ্ছে

ঘুমোচ্ছে – অকর্মক ক্রিয়া।

2. শত্রুকে নিহত না করে নিশ্চিহ্ন করে

নিশ্চিহ্ন করে – সংযোগমূলক ক্রিয়া।

3. স্বাভাবিক গাম্ভীর্য এসে গিয়েছিল

এসে গিয়েছিল – যৌগিক ক্রিয়া।

4. শুনেছি খুব স্বাস্থ্যকর স্থান।

শুনেছি – সমাপিকা ক্রিয়া।

5. তার বাড়িতে স্ত্রী ছাড়া থাকেন তার মা ও বাবা।

থাকেন – সমাপিকা ক্রিয়া।

6. কবি কিসের বাড়িটা দেখে এসো

দেখে এসো – যৌগিক ক্রিয়া।

7. মারমেড থিয়েটারে বার্নর্ড শ’র ‘পিগম্যালিয়ান’ নাটক দেখলাম

দেখলাম – সমাপিকা ক্রিয়া।

8. আমাদের দিকে এগিয়ে এলেন

এগিয়ে এলেন – যৌগিক ক্রিয়া।

9. পাকা গৃহিণী হয়ে উঠেছে

হয়ে উঠেছে – যৌগিক ক্রিয়া।

10. আমি চুপ করে রইলাম

রইলাম – সমাপিকা ক্রিয়া।

11. আমি উঠে পড়লাম

উঠে পড়লাম – যৌগিক ক্রিয়া।

12. তিনি ঘুমোচ্ছেন

ঘুমোচ্ছেন – অকর্মক ক্রিয়া।

কিয়ার কাল

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি

1. ঈশানে উড়িল মেঘ।

উড়িল – সাধারণ অতীত কাল।

2. বহে ঘন ঝড়।

বহে – ঘটমান বর্তমান কাল।

3. চারি মেঘে জল দেয়

দেয় – সাধারণ বর্তমান কাল।

4. চণ্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান।

পান – পুরাঘটিত অতীত কাল।

নোঙর

1. নোঙর গিয়েছে পড়ে তটের কিনারে।

গিয়েছে পড়ে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

2. ঢেউগুলি ফুলে ফুলে ওঠে

ওঠে – সামান্য বর্তমান কাল।

3. মাস্তুলে বাঁধি পাল।

বাঁধি – সাধারণ বর্তমান কাল।

4. নোঙর কখন জানি পড়ে গেছে তটের কিনারে।

পড়ে গেছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

খেয়া

1. খেয়া নৌকা পারাপার করে নদীস্রোতে।

করে – নিত্য বর্তমান কাল।

2. কেহ যায় ঘরে।

যায় – সাধারণ বর্তমান কাল।

3. কেহ আসে ঘর হতে।

আসে – সাধারণ বর্তমান কাল।

4. নূতন নূতন কত গড়ে ইতিহাস।

গড়ে – নিত্য বর্তমান কাল।

5. উঠে কত হলহল।

উঠে – সামান্য বর্তমান কাল।

6. এই খেয়া চিরদিন চলে নদীস্রোতে।

চলে – নিত্য বর্তমান কাল।

আকাশে সাতটি তারা

1. গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে

গেছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

2. আসিয়াছে শান্ত অনুগত বাংলার নীল সন্ধ্যা।

আসিয়াছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

3. চুল তার ভাসে

ভাসে – সাধারণ বর্তমান কাল।

4. পৃথিবীর কোনো পথ এ কন্যাকে দেখে নি কো।

নি – সাধারণ অতীত কাল।

6. জানি নাই এত স্নিগ্ধ গন্ধ ঝরে রূপসীর চুলের বিন্যাসে।

নাই – সাধারণ অতীত কাল।

আবহমান

1. যা গিয়ে ওই উঠানে।

যা – বর্তমান অনুজ্ঞা।

2. ছোট্ট একটা ফুল দুলছে

দুলছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

3. কে এইখানে এসেছিল অনেক বছর আগে।

এসেছিল – পুরাঘটিত অতীত কাল।

4. কে এইখানে ঘর বেঁধেছে

বেঁধেছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

5. আবার ফিরে আসে

আসে – সাধারণ বর্তমান কাল।

6. কিন্তু মুড়য় না

না – সাধারণ বর্তমান কাল।

7. তারায় তারায় স্বপ্ন এঁকে রাখে

রাখে – সাধারণ বর্তমান কাল।

8. তেমনি করেই সূর্য ওঠে

ওঠে – নিত্য বর্তমান কাল।

ভাঙার গান

1. কারার ওই লৌহ কপাট ভেঙে ফেল

ভেঙে ফেল – বর্তমান অনুজ্ঞা।

2. কর রে লোপাট।

কর – বর্তমান অনুজ্ঞা।

3. বাজা তোর প্রলয় বিষাণ।

বাজা – বর্তমান অনুজ্ঞা।

4. ধ্বংস নিশান উড়ুক

উড়ুক – বর্তমান অনুজ্ঞা।

5. হা হা হা পায় যে হাসি।

পায় – সাধারণ বর্তমান কাল।

6. নাচে ঐ কালবোশেখী।

নাচে – সাধারণ বর্তমান কাল।

7. আগুন জ্বালা

জ্বালা – বর্তমান অনুজ্ঞা।

আমরা

1. সাগর যাহার বন্দনা রচে শত তরঙ্গ-ভঙ্গ।

রচে – নিত্য বর্তমান কাল।

2. আমরা বাঁচিয়া আছি

আছি – সাধারণ বর্তমান কাল।

3. আমাদের সেনা যুদ্ধ করেছে

করেছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

4. এক হাতে মোরা মগেরে রুখেছি

রুখেছি – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

5. বাঙালি অতীশ লঙ্ঘিল গিরি।

লঙ্ঘিল – সাধারণ অতীত কাল।

6. বাঙ্গার রবি জয়দেব কবি কান্তকোমল পদে করেছে সুরভি।

করেছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

7. মনের গোপনে নিভৃত ভুবনে দ্বার ছিল যতগুলি।

ছিল – সাধারণ অতীত কাল।

8. মন্বন্তরে মরিনি আমরা।

মরিনি – সাধারণ অতীত কাল।

9. বাঙালির ছেলে ব্যাঘ্রে বৃষভে ঘটাবে সমন্বয়।

ঘটাবে – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

10. বাঙালির কবি গাহিছে জগতে মহামিলনের গান।

গাহিছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

11. প্রাণ পাওয়া গেছে জগৎ-প্রাণের হাটে।

গেছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

12. গম্ভীরা নিশি কাটে

কাটে – সাধারণ বর্তমান কাল।

13. আমরা মিলাব জগতের শত কোটি।

মিলাব – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

14. জাগিবে না দ্বেষাদ্বেষি।

জাগিবে – সামান্য ভবিষ্যৎ কাল।

15. মুক্ত হইব দেব-ঋণে মোরা।

হইব – সামান্য ভবিষ্যৎ কাল।

ইলিয়াস

1. একজন বাসকির বাস করত

করত – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

2. তার সম্পত্তি কিছু কিছু করে বাড়তে লাগল

বাড়তে লাগল – ঘটমান অতীত কাল।

3. প্রচুর সম্পত্তি করে ফেলল

করে ফেলল – পুরাঘটিত অতীত কাল।

4. ভাড়াটে মজুরানিরা দুধ দোয়

দোয় – সাধারণ বর্তমান কাল।

5. সকলেরই বিয়ে হয়ে গেছে

হয়ে গেছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

6. সব চাইতে ভালো ঘোড়াগুলো চুরি করে নিয়ে গেল

গেল – সাধারণ অতীত কাল।

7. তাদের কাজ করে যেতে হত

হত – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

8. আমার সঙ্গে থাকো

থাকো – বর্তমান অনুজ্ঞা।

9. তরমুজের খেতে কাজ করবে

করবে – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

10. একজন ছিলেন মোল্লা।

ছিলেন – সাধারণ অতীত কাল।

11. গল্প করছিল

করছিল – ঘটমান অতীত কাল।

12. আমাদের সঙ্গে কুমিস পান করবে

করবে – ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা।

13. তিনিই পুরো সত্য বলতে পারবেন

বলতে পারবেন – ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল।

14. সুখ খুঁজেছি

খুঁজেছি – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

15. স্বামীও হাসছে

হাসছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

16. আমি সত্য কথাই বলছি

বলছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

17. রাতে ঘুমোতে গেলাম

গেলাম – সাধারণ অতীত কাল।

18. এক পাপ থেকে আর এক পাপেই দিন কাটত

কাটত – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

19. দুটো সুখ-শান্তির কথা বলি

বলি – সামান্য বর্তমান কাল।

20. সম্পত্তি হারিয়ে কেঁদেছিলাম

কেঁদেছিলাম – পুরাঘটিত অতীত কাল।

21. ঈশ্বর আমাদের কাছে সত্যকে উন্মুক্ত করেছেন

করেছেন – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

22. অতিথিরা ভাবতে বসল

ভাবতে বসল – ঘটমান অতীত কাল।

দাম

1. স্কুলে কী বিভীষিকাই যে ছিলেন ভদ্রলোক।

ছিলেন – সাধারণ অতীত কাল।

2. আমাদের অঙ্ক কষাতেন

কষাতেন – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

3. একবার মাত্র তাকিয়ে দেখতেন তার দিকে।

দেখতেন – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

4. ছবির মতো অঙ্কটা সাজিয়ে দিয়েছেন

দিয়েছেন – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

5. তার উপরে খড়ি বুলিয়ে চলেছেন

চলেছেন – ঘটমান বর্তমান কাল।

6. কাঁদবার জো ছিল না।

ছিল – সাধারণ অতীত কাল।

7. পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেব

দেব – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

8. দু-চোখ দিয়ে তাঁর আগুন ঝরছে

ঝরছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

9. লিখলুম তাঁকে নিয়েই।

লিখলুম – সাধারণ অতীত কাল।

10. তারপরে আরও অনেকদিন পার হয়ে গেল

গেল – পুরাঘটিত অতীত কাল।

11. বাণী বিতরণ করতে লাগলুম

করতে লাগলুম – ঘটমান অতীত কাল।

12. মাঠে দাঁড়িয়ে রয়েছেন

দাঁড়িয়ে রয়েছেন – ঘটমান বর্তমান কাল।

13. আচ্ছা চলো

চলো – বর্তমান অনুজ্ঞা।

14. স্মৃতির অন্ধকার থেকে একটা ভয়ের মৃদু শিহরণ আমার বুকের ভিতর দিয়ে বয়ে গেল

বয়ে গেল – সাধারণ অতীত কাল।

15. তুমি বক্তৃতা করবে শুনে ছুটে এসেছি

এসেছি – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

16. চোখ দিয়ে জল পড়ছে

পড়ছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

17. আমি তাঁকে দশ টাকায় বিক্রী করেছিলুম

করেছিলুম – পুরাঘটিত অতীত কাল।

18. এ লজ্জা আমি কোথায় রাখব

রাখব – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

নিরুদ্দেশ

1. সোমেশ আজ যেন কেমন হইয়া আসিয়াছে

আসিয়াছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

2. উদাসীন ভাবেই শুধু সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়িতে লাগিল

ছাড়িতে লাগিল – ঘটমান বর্তমান কাল।

3. আরবারে তো ফেল করে মাথা কিনেছেন

কিনেছেন – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

4. নবাব পুত্তর যা খুশি তাই করছেন

করছেন – ঘটমান বর্তমান কাল।

5. এবার দূর করে দেবো

দেবো – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

6. মাথাটি তো তুমিই খেয়েছ আদর দিয়ে।

খেয়েছ – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

7. বাবা বেরিয়ে পড়েন

পড়েন – সাধারণ বর্তমান কাল।

8. আমরা কি এতদিন রামযাত্রা বার করছি

করছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

9. বসুন আপনি।

বসুন – বর্তমান অনুজ্ঞা।

10. কী খবর বলছিলেন?

বলছিলেন – ঘটমান অতীত কাল।

11. ওর মা বড়ো কাঁদাকাটি করছে

করছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

12. আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন

থাকুন – বর্তমান অনুজ্ঞা।

13. তুই একেবারে পির হয়েছিস

হয়েছিস – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

14. বিজ্ঞাপনের পেছনে অনেক সত্যকার ট্র্যাজিডি থাকে

থাকে – সাধারণ বর্তমান কাল।

15. আমরা সমস্ত পৃথিবী হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া গিয়াছি

গিয়াছি – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

16. শোভন ফিরে এসো

এসো – বর্তমান অনুজ্ঞা।

17. পুরস্কারের পরিমাণ ক্রমশই বাড়তে লাগল

বাড়তে লাগল – ঘটমান অতীত কাল।

18. তিনি শুধু তোমারই নাম করছেন এখনো।

করছেন – ঘটমান বর্তমান কাল।

19. সোজাসুজি বাড়ি ঢুকছিল

ঢুকছিল – ঘটমান অতীত কাল।

20. বাড়িতে যেতে চাই

যেতে চাই – সাধারণ বর্তমান কাল।

21. আপনি আমার সঙ্গে আসুন

আসুন – বর্তমান অনুজ্ঞা।

22. একবার শুধু আমি মা-বাবার সঙ্গে দেখা করব

করব – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।।

23. বৃদ্ধ থমকে দাঁড়ালেন

দাঁড়ালেন – সাধারণ অতীত কাল

24. শোভন স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল

রইল – ঘটমান অতীত কাল।

25. শীতের বাদলের এই শীতল প্রায়ান্ধকার অস্বাভাবিক অপরাহ্নে তার হাসিটাই বিশ্বাস করিতে আমার প্রবৃত্তি হইল না

হইল না – সাধারণ অতীত কাল।

রাধারাণী

1. রাধারাণী নামে এক বালিকা মাহেশে রথ দেখিতে গিয়াছিল

গিয়াছিল – পুরাঘটিত অতীত কাল।

2. তাহার পিতা নাই

নাই – সাধারণ অতীত কাল।

3. পথ্যের প্রয়োজন হইল

হইল – সাধারণ অতীত কাল।

4. বিধবা একটি কুটীরে আশ্রয় লইয়া কোন প্রকারে শারীরিক পরিশ্রম করিয়া দিনপাত করিতে লাগিল

লাগিল – ঘটমান বর্তমান কাল।

5. এই মালা রথের হাটে বিক্রয় করিয়া দুই একটি পয়সা পাইব

পাইব – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

6. কিন্তু বৃষ্টি আর থামিল না

থামিল না – সাধারণ অতীত কাল।

7. মুষলধারে শ্রাবণের ধারা বর্ষিতেছিল

বর্ষিতেছিল – ঘটমান অতীত কাল।

8. এক্ষণে উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিল

কাঁদিল – সাধারণ অতীত কাল।

9. কেবল মা আছে

আছে – সাধারণ বর্তমান কাল।

10. বাড়ি যাইব

যাইব – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

11. আমাকে বলিয়া দিও

দিও – বর্তমান অনুজ্ঞা।

12. আমি এক ছড়া মালা খুঁজিতে ছিলাম

খুঁজিতে ছিলাম – ঘটমান অতীত কাল।

13. নূতন কলের পয়সা, তাই চকচক করছে

করছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

14. তাহারা কথাবার্তা কহিতেছিল

কহিতেছিল – ঘটমান অতীত কাল।

15. দুই আনা মুনাফা লইতেন

লইতেন – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

16. তোমাকে দিয়া গিয়াছেন

গিয়াছেন – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

17. রুক্মিণী কুমার রায়ের অনেক সন্ধান করিল

করিল – সাধারণ অতীত কাল।

চন্দ্রনাথ

1. বাড়ি ফিরিলাম

ফিরিলাম – সাধারণ অতীত কাল।

2. কত কথা মনে হইতেছে

হইতেছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

3. তবু সে চলিয়াছে

চলিয়াছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

4. আমারই প্রতিবিম্ব আমার দিকে চিন্তাকুল নেত্রে চাহিয়া বসিয়া আছে

বসিয়া আছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

5. আলোটা নিভাইয়া দিলাম

দিলাম – সাধারণ অতীত কাল।

6. অন্ধকারের মধ্যে তাহাকে খুঁজিতেছি

খুঁজিতেছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

7. দুর্দান্ত চন্দ্রনাথের আঘাতে সমস্ত স্কুলটা চঞ্চল, বিক্ষুব্ধ হইয়া উঠিয়াছে

উঠিয়াছে – পরাঘটিত বর্তমান কাল।

8. চন্দ্রনাথ বসিয়া আপন মনে কী লিখিতেছিল

লিখিতেছিল – ঘটমান অতীত কাল।

9. এই দাম্ভিকটা যেন ফেল হয়-এ কামনাও বোধ হয় করিয়াছিলাম

করিয়াছিলাম – পুরাঘটিত অতীত কাল।

10. তোমায় করতে হবে

করতে হবে – ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা।

11. ভদ্রলোকের কণ্ঠস্বর এবার কাঁপিতেছিল

কাঁপিতেছিল – ঘটমান অতীত কাল।

12. এমন বুকে দাগ কাটা দৃষ্টি আমার জীবনে আমি খুব কমই দেখিয়াছি

দেখিয়াছি – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

13. সেই মুহূর্তে উঠিয়া আসিলাম

আসিলাম – সাধারণ অতীত কাল।

14. সে স্কলারশিপ পাইবে

পাইবে – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

15. নির্জন বাড়িখানা খাঁ খাঁ করিতেছিল

করিতেছিল – ঘটমান অতীত কাল।

16. আমি চুপ করিয়া থাকিলাম

থাকিলাম – সাধারণ অতীত কাল।

17. আমাকে মার্জনা করিও

করিও – বর্তমান অনুজ্ঞা।

নব নব সৃষ্টি

1. ভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ নিয়েছি

নিয়েছি – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

2. প্রচুর ইউরোপীয় শব্দ আমাদের ভাষায় ঢুকবে

ঢুকবে – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

3. বহু সাহিত্যিক উঠে পড়ে লেগেছেন

লেগেছেন – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

4. হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টা করছেন

করছেন – ঘটমান বর্তমান কাল।

5. বিদ্যাসাগর বেনামিতে লেখা ‘অসাধু’ রচনায় চুটিয়ে আরবি-ফার্সি ব্যবহার করতেন

করতেন – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

6. আমরা অন্যতম প্রধান খাদ্য থেকে বঞ্চিত হব

হব – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

7. প্রচলিত অনেক আরবি-ফার্সি শব্দ নতুন মেয়াদ পাবে

পাবে – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

8. ভারতীয় মক্তব-মাদ্রাসায় প্রচুর পরিমাণে আরবি ভাষা পড়ানো হয়েছিল

হয়েছিল – পুরাঘটিত অতীত কাল।

9. একই চরিত্র একই রূপে প্রকাশ পেয়েছেন

পেয়েছেন – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

হিমালয় দর্শন

1. শিলিগুড়ি স্টেশনে আসিয়া পঁহুছিলাম

পঁহুছিলাম – সাধারণ অতীত কাল।

2. ক্ষুদ্র গাড়িগুলি বেশ সুন্দর দেখায়

দেখায় – সাধারণ বর্তমান কাল।

3. গাড়িগুলি আঁকিয়া বাঁকিয়া চলিল

চলিল – ঘটমান বর্তমান কাল।

4. হরিদ্বর্ণ চায়ের ক্ষেত্রগুলি প্রাকৃতিক শোভা আরও শতগুণ বৃদ্ধি করিয়াছে

করিয়াছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

5. সেইখানে জল পরিবর্তন করা হইতেছিল

হইতেছিল – ঘটমান অতীত কাল।

6. অল্প অল্প বাতাস মৃদুগতিতে বহিতেছে

বহিতেছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

7. আমাদের আসিবার পর একদিন মাত্র সামান্য বৃষ্টি হইয়াছিল

হইয়াছিল – পুরাঘটিত অতীত কাল।

8. ঝরনার সুবিমল, শীতল জল দর্শনে চক্ষু জুড়ায়

জুড়ায় – সাধারণ বর্তমান কাল।

9. ঢেঁকি শাককে আমি ক্ষুদ্র গুল্ম বলিয়াই জানিতাম

জানিতাম – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

10. কোমরে একখণ্ড কাপড় জড়ানো থাকে

জড়ানো থাকে – নিত্য বর্তমান কাল।

11. ইহারা ক্রমশ সদ্‌গুণরাজি হারাইতেছে

হারাইতেছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

12. ঈশ্বরের নিকট কৃতজ্ঞ হইয়াছি

হইয়াছি – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

13. এখন সে সাধও পূর্ণ হইল

হইল – সাধারণ অতীত।

চিঠি

1. স্টার্ডির একখানি চিঠি কাল পেয়েছি

পেয়েছি – পুরাঘটিত বর্তমান কা।

2. তোমাকে খোলাখুলি বলছি

বলছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

3. তুমি নিজেকে অর্ধ-উলঙ্গ অসংখ্য নর-নারীতে পরিবেষ্টিত দেখতে পাবে

দেখতে পাবে – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

4. শ্বেতাঙ্গেরা তোমাকে খামখেয়ালি মনে করবে

করবে – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

5. সর্বদাই আগুনের হল্কা চলছে

চলছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

6. তোমাকে শতবার স্বাগত জানাচ্ছি

জানাচ্ছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

7. কর্মে ঝাঁপ দেবার পূর্বে বিশেষভাবে চিন্তা করো

করো – বর্তমান অনুজ্ঞা।

8. তিনি আমেরিকায় আমার বিশেষ উপকারী বন্ধু ছিলেন

ছিলেন – সাধারণ অতীত কাল।

9. অনন্ত ভালবাসা জানবে

জানবে – নিত্য ভবিষ্যৎ কাল।

9. ভারতে স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারের কাজে তিনি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন

নিয়েছিলেন – পুরাঘটিত অতীত কাল।

10. স্বামী-জি তাঁকে ‘জো’ বলে ডাকতেন

ডাকতেন – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

ধীবর-বৃত্তান্ত

1. রাজা দুষ্মন্ত রাজধানীতে ফিরে গেছেন

গেছেন – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

2. অভিশাপ দিলেন

দিলেন – সাধারণ অতীত কাল।

3. সেই ব্যক্তি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন

যাবেন – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

4. শকুন্তলাকে আংটি পরিয়ে দিয়েছিলেন

দিয়েছিলেন – পুরাঘটিত অতীত কাল।

5. সেই আংটি পেল এক ধীবর।

পেল – সাধারণ অতীত কাল।

6. ভয় পাওয়ার অভিনয় করে

করে – সাধারণ বর্তমান কাল।

8. আপনারা শান্ত হন

হন – বর্তমান অনুজ্ঞা।

9. শত্রুাবতারে আমি থাকি

থাকি – সাধারণ বর্তমান কাল।

10. ঝলমলে এই আংটিটা দেখতে পেলাম

পেলাম – সাধারণ অতীত কাল।

11. এর গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছে

আসছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

12. এই চোরকে নিয়ে অপেক্ষা কর

কর – বর্তমান অনুজ্ঞা।

13. মহারাজ খুব খুশি হবেন

হবেন – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

14. খুব বিলম্ব হচ্ছে

হচ্ছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

15. হুকুমনামা হাতে নিয়ে এদিকে আসছেন

আসছেন – ঘটমান বর্তমান কাল।

16. এই জেলেকে ছেড়ে দাও

দাও – বর্তমান অনুজ্ঞা।

17. জেলের হাতের বাঁধন খুলে দিল

দিল – সাধারণ অতীত কাল।

18. মহারাজের কোনো প্রিয়জনের কথা মনে পড়েছে

পড়েছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

19. রাজা বিহ্বলভাবে চেয়ে রইলেন

চেয়ে রইলেন – ঘটমান অতীত কাল।

20. এই জেলের সেবা করলেন

করলেন – সাধারণ অতীত কাল।

21. ফুলের দাম হিসাবে দিচ্ছি

দিচ্ছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

ব্যোমযাত্রীর ডায়রি

1. পড়ে দেখো

দেখো – বর্তমান অনুজ্ঞা।

2. তারকবাবু এর আগেও কয়েকবার গল্পটল্প এনেছিলেন

এনেছিলেন – পুরাঘটিত অতীত কাল।

3. সময় হলে আত্মপ্রকাশ করবেন

করবেন – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

4. তিনি বৈজ্ঞানিক ছিলেন

ছিলেন – সাধারণ অতীত কাল।

5. মনে পড়েছে

পড়েছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

6. কাগজে বেরিয়েছিল

বেরিয়েছিল – পুরাঘটিত অতীত কাল।

7. সব জানতে পারবে

পারবে – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

8. খাতাটা পকেটে নিয়ে নিলাম

নিলাম – সাধারণ অতীত কাল।

9. কালির রং সত্যি বদলাচ্ছে

বদলাচ্ছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

10. খাতাটা পড়া শেষ করলাম

করলাম – সাধারণ অতীত কাল।

11. চিৎকার শুনে প্রহ্লাদ ঘরে এসে পড়েছিল

পড়েছিল – পুরাঘটিত অতীত কাল।

12. মনে জোর পাচ্ছি

পাচ্ছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

13. ভদ্রলোক পাঁচশো টাকা ক্ষতিপূরণ চাইছেন

চাইছেন – সাধারণ বর্তমান কাল।

14. অ্যাসিডটা গড়িয়ে গড়িয়ে প্যারাডক্সাইট পাউডারের স্তূপটার দিকে চলেছে

চলেছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

15. করুণ স্বরে ম্যাও ম্যাও করছে

করছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

16. পরে ট্যানট্রামটা দিয়েও পরীক্ষা করে দেখেছিলাম

দেখেছিলাম – পুরাঘটিত অতীত কাল।

17. উল্কাটা গোলঞ্চ গাছটার পাশে থেমে একটা প্রকাণ্ড জোনাকির মতো জ্বলতে লাগল

জ্বলতে লাগল – ঘটমান অতীত কাল।

18. বিধুশেখরও প্রহ্লাদকে দেখে হাসছিল

হাসছিল – ঘটমান অতীত কাল।

19. বিধুশেখরকে বাংলা শেখাচ্ছি

শেখাচ্ছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

20. আস্তে আস্তে গ্রহের গায়ের রেখাগুলি স্পষ্ট হয়ে আসছে

আসছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

21. দূরে একটা লাল নদী বয়ে যাচ্ছে

যাচ্ছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

22. একবার গারো পাহাড়ে একটা ঝরনার জল খেয়ে আশ্চর্য ভালো লেগেছিল

লেগেছিল – পুরাঘটিত অতীত কাল।

23. এখনও আমরা একইভাবে উড়ে চলেছি

উড়ে চলেছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

24. বিদ্যুৎ বেগে ছুটে চলেছি

ছুটে চলেছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

25. আমার সেই স্বপ্নের জোনাকির কথা মনে পড়ছে

পড়ছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

26. কাল ঢাকায় পৌঁছেছি

পৌঁছেছি – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

27. তার উপর ক্ষিপ্রপদে ঘোরাফেরা করছে প্রায় শ-খানেক বুভুক্ষু ভেঁয়ো পিঁপড়ে।

করছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

কর্ভাস

1. আমাদের বাড়িতে একটা পোষা ময়না ছিল

ছিল – সাধারণ অতীত কাল।

2. সেটাকে আমি একশোর উপর বাংলা শব্দ পরিষ্কারভাবে উচ্চারণ করতে শিখিয়েছিলাম

শিখিয়েছিলাম – পুরাঘটিত অতীত কাল।

3. গ্রিব নামক পাখি নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায়

ছিঁড়ে খায় – সাধারণ বর্তমান কাল।

4. একটা কাঠি বার করে তার মাথাটা বাক্সের পাশটায় ঘষছে

ঘষছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

5. কাকটা এ জানালা ও জানালা লাফিয়ে বেড়াচ্ছিল

বেড়াচ্ছিল – ঘটমান অতীত কাল।

6. কর্ভাস এখন ইংরাজি শিখছে

শিখছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

7. ইনি ম্যাজিকে নানারকম পাখি ব্যবহার করেন

করেন – সাধারণ বর্তমান কাল।

8. প্লাজা থিয়েটারে আর্গাসের ম্যাজিক দেখতে গিয়েছিলাম

গিয়েছিলাম – পুরাঘটিত অতীত কাল।

9. জাদুকরের চেহারা ও হাবভাব দেখেই প্রায় পয়সা উঠে আসে

আসে – সাধারণ বর্তমান কাল।

10. নামটা শুনে বাধ্য হয়েই ভদ্রলোককে উপরে আসতে বলতে হল

হল – সাধারণ অতীত কাল।

11. আমরা খাঁচার দরজা খুলে দিচ্ছি

দিচ্ছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

12. আমাকে দেখো প্রোফেসর।

দেখো – বর্তমান অনুজ্ঞা।

13. সে লোক হিপনোটাইজড হত

হত – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

14. আমি এখন ঘুমোব

ঘুমোব – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

15. কর্ভাস এখনও জেগে আছে

জেগে আছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

16. তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারো

পারো – বর্তমান অনুজ্ঞা।

17. বিভীষিকার ঘোর কাটাতে সারারাত লেগে গেল

লেগে গেল – ঘটমান অতীত কাল।

18. তুমি থাকো

থাকো – বর্তমান অনুজ্ঞা।

19. দুটো রুমবয়ই পাশাপাশি পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে

দাঁড়িয়ে আছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

20. হাইওয়ে ধরে চলে যাবে

যাবে – ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা।

21. হাইওয়ে ক্রমে ঢালু নামছে

নামছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

22. সে আমাদের দেখতে পেয়েছে

পেয়েছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

23. সে পাখি উধাও হয়ে গেল

গেল – সাধারণ অতীত কাল।

24. আমার প্রিয় কর্ভাস গাছটার সবচেয়ে উঁচু ডালে বসে নিশ্চিন্তভাবে আমাদের দিকে ঘাড় নিচু করে দেখছে

দেখছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

স্বর্ণপর্ণী

1. সকাল থেকে টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে

পড়ছে – ঘটমান বর্তমান কাল।

2. নানা কারণে বেশ প্রসন্ন বোধ করছি

করছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

3. পাঁচটি মহাদেশেই স্বীকৃত হয়েছে

হয়েছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

4. আজ সেইসব ঘটনার বিষয় লিখব

লিখব – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

5. আয়ুর্বেদিক মতে চিকিৎসা করতেন

করতেন – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

6. বাবার কথাগুলো আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল

করেছিল – পুরাঘটিত অতীত কাল।

7. ছুটিতে আমি বাড়ি আসতাম

আসতাম – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

8. এর পরিচর্যা শুরু করো

করো – বর্তমান অনুজ্ঞা।

9. আমি চোখে অন্ধকার দেখছি রে তিলু।

দেখছি – ঘটমান বর্তমান কাল।

10. ডাক্তারেরা সবাই জবাব দিয়ে গেছে

গেছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

11. এটা আমি আগেই ঠিক করেছিলাম

করেছিলাম – পুরাঘটিত অতীত কাল।

12. প্রত্যেকটিতেই প্রতিবছর নতুন করে পাতা গজাবে

গজাবে – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

13. আমি লেখক জেরেমি সন্ডার্সকে তার বাসস্থান লন্ডনে একটা চিঠি লিখি

লিখি – সাধারণ বর্তমান কাল।

14. তুমি তোমার স্বামীকে দুটো বড়ি খাইয়ে দেবে

খাইয়ে দেবে – ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা।

15. সেটাও ও জানত

জানত – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

16. একজন সাহেব এক্ষুণি ট্যাক্সি থেকে নামলেন

নামলেন – সাধারণ অতীত কাল।

17. তুমি বেঁচে আছ!

আছ – বর্তমান অনুজ্ঞা।

18. তুমি আমার সঙ্গে লন্ডন চলো

চলো – বর্তমান অনুজ্ঞা।

19. হ্যাম্পস্টেড হিথের কথা আগেই শুনেছিলাম

শুনেছিলাম – পুরাঘটিত অতীত কাল।

20. সন্ধ্যায় মারমেড থিয়েটারে বার্নার্ড শ’র ‘পিগম্যালিয়ন’ নাটক দেখলাম

দেখলাম – সাধারণ অতীত কাল।

21. তাঁর সর্বাঙ্গ রক্তাক্ত, মাথা ফেটে গেছে

গেছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

22. তুই যা রে তিলু।

যা – বর্তমান অনুজ্ঞা।

23. তুমি এটা সঙ্গে নেবে

নেবে – ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা।

24. প্রোফেসর স্টাইনার ভোরের আকাশের দিকে চেয়ে উপনিষদ আবৃত্তি করছেন

করছেন – ঘটমান বর্তমান কাল।

25. আমি জানতাম আমার নাম তিনটেকেই বোঝায়।

জানতাম – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।

26. আমায় ক্ষমা করো, প্রোফেসর!

করো – বর্তমান অনুজ্ঞা।

27. আমি চুপ করে রইলাম

রইলাম – সাধারণ অতীত কাল।

28. লোকটার প্রতি আমার অশ্রদ্ধা ক্রমেই বাড়ছিল

বাড়ছিল – ঘটমান অতীত কাল।

29. আমি স্বপ্নে জেনেছি

জেনেছি – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

30. আচমকা আক্রমণ করে

করে – সাধারণ বর্তমান কাল।

31. সেও ঘুমিয়ে পড়েছে

পড়েছে – পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

32. তিনি ঘুমোচ্ছেন

ঘুমোচ্ছেন – ঘটমান বর্তমান কাল।

33. তোমাকে নাৎসিদের খপ্পরে পড়তে হয়েছিল?

পড়তে হয়েছিল – পুরাঘটিত অতীত কাল।


আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণের “ব্যাকরণ ও নির্মিতি” থেকে “শব্দ ও পদ : বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া” -এর উপবিভাগ “ক্রিয়া” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই অংশটি নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-অব্যয়-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – অব্যয়

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-বিশেষণ-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষণ

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-সর্বনাম-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – সর্বনাম

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ক্রিয়া

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – অব্যয়

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষণ

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – সর্বনাম

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – বিশেষ্য