এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নবম শ্রেণি – বাংলা – চন্দ্ৰনাথ – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যপুস্তকে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা চন্দ্রনাথ গল্পটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি একটি অনালোচিত উপন্যাসের সম্পাদিত রূপ। এই উপন্যাসের মোট উনিশটি অধ্যায় আছে। প্রথম অধ্যায়ের পুরোটা আর দ্বিতীয় অধ্যায়ের সিংহভাগ একত্র করে “চন্দ্রনাথ” এই নামকরণ করে পাঠ্যাংশে সংকলিত হয়েছে।

Table of Contents

বাংলা – চন্দ্ৰনাথ – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

কোথা থেকে কী ভাবতে ভাবতে কথক বাড়ি ফিরেছিলেন?

সারকুলার রোডের সমাধিক্ষেত্র থেকে বের হয়ে চন্দ্রনাথের কথা ভাবতে ভাবতে কথক বাড়ি ফিরেছিলেন।

কথকের জীবনে চন্দ্রনাথের স্মৃতি কীরূপ ছিল?

কথকের জীবনে চন্দ্রনাথ গভীর রাত্রির আকাশে উপস্থিত কালপুরুষ নক্ষত্রের মতো ভাস্বর ও প্রদীপ্ত হয়ে ছিল।

কথক নরু চন্দ্রনাথের সঙ্গে কার তুলনা করেছিলেন?

কথক নরু চন্দ্রনাথের সঙ্গে কালপুরুষ নক্ষত্রের তুলনা করেছিলেন।

চন্দ্রনাথের সঙ্গে কালপুরুষ নক্ষত্রের কী সাদৃশ্য লেখক খুঁজে পেয়েছিলেন?

চন্দ্রনাথের আকৃতির সঙ্গে লেখক কালপুরুষ নক্ষত্রের খড়গধারী বিশালকায় আকৃতির সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছিলেন।

বলিতে পারি না – কার কী বলতে না পারার কথা বলা হয়েছে?

গল্পের কথক এবং তাঁর সহপাঠী চন্দ্রনাথ, হীরু কীভাবে একই সময়ে ছোটো এক গ্রামের মধ্যে এসে পড়েছিলেন তা কথক বলতে পারবেন না

আমার দিকে চিন্তাকুল নেত্রে চাহিয়া বসিয়া আছে। — কে, কার দিকে তাকিয়ে বসে আছে?

গল্পকথক দেখেছিলেন যে সামনের দেয়ালে বড়ো আয়নাটির মধ্যে তাঁরই প্রতিবিম্ব তাঁর দিকে তাকিয়ে বসে আছে।

চন্দ্রনাথের ললাটে কোন্ চিহ্ন আত্মপ্রকাশ করেছিল? 

চন্দ্রনাথের ললাটের মধ্যখানে শিরায় রচিত এক ত্রিশূল চিহ্ন আত্মপ্রকাশ করেছিল।

চন্দ্রনাথের কপালে ত্রিশূল চিহ্ন কখন দেখা যায়?

চন্দ্রনাথ সামান্য উত্তেজিত হলেই রক্তের চাপ বেড়ে গিয়ে প্রবল হয়ে তার কপালের শিরা ফুলে উঠে ত্রিশূল চিহ্ন দেখা যায়।

চন্দ্ৰনাথ গল্পে হেডমাস্টার দেখতে কেমন ছিলেন?

চন্দ্রনাথ গল্পে হেডমাস্টারমশাই ছিলেন শীর্ণ দীর্ঘকায় শান্ত প্রকৃতির মানুষ।

হেডমাস্টার মহাশয় কোথায় বসে থাকতেন?

স্কুলের বোর্ডিংয়ের ফটকের সামনে চেয়ার-বেঞ্চের আসন পেতে হেডমাস্টার মহাশয় বসে থাকতেন।

চিন্তাকুল বিমর্ষ নেত্রে আমাকে বলিলেন – কী বলার কথা বলা হয়েছে?

চন্দ্রনাথ কী বলে নরেশকে তা জেনে নিতে বলেছেন চিন্তান্বিত হেডমাস্টার মহাশয়।

চন্দ্রনাথ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিল কেন?

সারাজীবন সব পরীক্ষায় প্রথম হওয়া চন্দ্রনাথ স্কুলের একটি পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়ে দ্বিতীয় পুরস্কার গ্রহণ করবে না বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।

পত্রখানার উপর দৃষ্টি বুলাইয়া চন্দ্রনাথ অসংকোচে বলিল — কী বলল?

চিঠির উপরে চোখ বুলিয়ে চন্দ্রনাথ অসংকোচে বলেছিল যে, সে দ্বিতীয় পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছে।

চন্দ্রনাথ কোন্ ঘটনা প্রসঙ্গে বিনিথ মাই ডিগ্‌নিটি’ কথাটি বলেছে?

চন্দ্রনাথ স্কুলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেকেন্ড প্রাইজ অর্থাৎ দ্বিতীয় পুরস্কার নেওয়াকে বিনিথ মাই ডিগ্‌নিটি’ বলেছে।

চন্দ্রনাথের দাদা কেমন ধরনের মানুষ ছিলেন?

চন্দ্রনাথের দাদা নিশানাথবাবু ছিলেন নির্বিরোধী শান্ত প্রকৃতির মানুষ।

চন্দ্রনাথ পরীক্ষার সময় হীরুকে কীভাবে সাহায্য করেছিল?

চন্দ্রনাথ পরীক্ষার সময় হীরুকে তিনটে অঙ্ক তার খাতা থেকে টুকতে দিয়ে সাহায্য করেছিল।

চন্দ্রনাথের দাদা চন্দ্রনাথকে কী নির্দেশ দিয়েছিলেন?

চন্দ্রনাথের দাদা তাকে হেডমাস্টারমশাইয়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের চিঠি ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তোমার বউদি বলত – বউদি কী বলতেন? 

চন্দ্রনাথের বউদি তার দাদা নিশানাথবাবুকে বলতেন যে চন্দ্রনাথ অত্যন্ত স্বাধীনচেতা হয়ে উঠেছে।

চন্দ্রনাথের দাদাকে নতশিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কথক কী ভেবেছিলেন?

চন্দ্রনাথের দাদাকে নতশিরে দাঁড়াতে দেখে কথক ভেবেছিলেন যে চন্দ্রনাথের ব্যবহারে ব্যথিত ভদ্রলোক আত্মসংবরণের প্রবল চেষ্টা করছেন।

বোর্ডিং-এ আসিয়া মাস্টারমহাশয়কে সংবাদটা দিতে গিয়া দেখিলাম — কী দেখার কথা বলা হয়েছে?

কথক বোর্ডিং-এ ফিরে এসে মাস্টার মহাশয়কে তখনও চিন্তিতভাবে ফটকের সামনে বসে থাকতে দেখেছিলেন।

কথক মাস্টার মহাশয়কে চন্দ্রনাথের কাছে যেতে নিষেধ করেছিলেন কেন?

চন্দ্রনাথ যদি মাস্টারমশাইয়ের কথা না শোনে, তাই কথক মাস্টারমশাইকে তার কাছে যেতে নিষেধ করেছিলেন।

এ ভালোই হলো। — কীসের কথা বলা হয়েছে?

প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে দাদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় চন্দ্রনাথ সম্পত্তি ভাগ হয়ে যাওয়ার কথা বলেছে।

বোধ হয় সেদিন সে সময়ে ভাবিয়াছিলাম — কী ভেবেছিলেন?

চন্দ্রনাথ তার দাদার সঙ্গে পৃথক হওয়াকে ভালো হয়েছে বলায় কথক ভেবেছিলেন তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না।

হীরু চন্দ্রনাথের কাছে কী প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল?

হীরু চন্দ্রনাথের কাছে তার কাকা অর্থাৎ স্কুল সম্পাদকের চন্দ্রনাথকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল।

একটা স্পেশাল প্রাইজ দেবেন – কে কাকে প্রাইজ দেবেন?

হীরুর কাকা অর্থাৎ স্কুলের সেক্রেটারি চন্দ্রনাথকে প্রাইজ দেবেন বলেছিলেন।

স্কুলের সেক্রেটারির ভাইপোর নাম কী ছিল?

স্কুলের সেক্রেটারির ভাইপোর নাম ছিল হীরু।

স্কুলের সঙ্গে চন্দ্রনাথ কীভাবে সব সম্পর্ক মিটিয়ে দিয়েছিল?

দু-তিন মাসের মাইনে বাড়তি দিয়ে সব দেনাপাওনা মিটিয়ে চন্দ্রনাথ স্কুলের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছিল।

কিন্তু একটি শুধু মেলে নাই – কী না মেলার কথা বলা হয়েছে?

চন্দ্রনাথ হীরুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবে — চন্দ্রনাথের এই ভবিষ্যদ্বাণী না মেলার কথা বলা হয়েছে।

বাড়ির পাশের আমবাগানটার সে শোভা আজও আমার মনে আছে। — এই শোভা কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল?

চিনা লণ্ঠন আর রঙিন কাগজের মালার বিন্যাসে হীরুর বাড়ির পাশের আমবাগানের শোভা তৈরি হয়েছিল।

Shame in crowd but solitary pride — কথাটির অর্থ কী?

কথাটির অর্থ হল যা বহুজনের কাছে লজ্জার তা একান্তে গর্বের।

চন্দ্রনাথ গ্রাম ত্যাগ করার সময় কাকে কী বিষয়ে চিঠি লিখে গিয়েছিল?

হীরু স্কলারশিপ পাওয়ায় তার বাড়িতে যে উৎসব চলছিল তা নিয়ে গ্রাম ত্যাগ করার সময়ে চন্দ্রনাথ হীরুকে চিঠি লিখেছিল।

চন্দ্রনাথ তার চিঠিতে হীরুকে কী সম্বোধন করেছিল?

চন্দ্রনাথ তার চিঠিতে হীরুকে প্রথমে প্রিয়বরেষু’ লিখলেও পরে সেটি কেটে প্রীতিভাজনেষু’ লিখেছিল।

এইটেই আমার কাছে তার স্মৃতিচিহ্ন। — কোন্ স্মৃতিচিহ্ন?

হীরুর উদ্দেশ্যে চন্দ্রনাথের লেখা চিঠিটিই ছিল হীরুর কাছে চন্দ্রনাথের স্মৃতিচিহ্ন।

নরেশ চন্দ্রনাথের চলে যাওয়া সম্পর্কে কী কল্পনা করেছিল?

নরেশ কল্পনা করেছিল যে, কিশোর চন্দ্রনাথ কাঁধে লাঠির প্রান্তে পোঁটলা বেঁধে জনহীন পথে একলা চলেছে। মাথার উপরে নীল আকাশে ছায়াপথ, পাশে কালপুরুষ নক্ষত্র সঙ্গে সঙ্গে চলেছে।

কালপুরুষ নক্ষত্র কোথায় কার সঙ্গে চলেছে?

গল্পকথকের কল্পনায় রাতের জনহীন পথে কিশোর চন্দ্রনাথের সঙ্গে সঙ্গে কালপুরুষ নক্ষত্র চলেছে।

চন্দ্রনাথ গল্পটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন শিক্ষা দেয়। এটি আমাদের শেখায় যে, জীবনে কখনো হাল ছাড়তে নেই। যেকোনো কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এটি আমাদের শেখায় যে, সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।

Share via:

মন্তব্য করুন