এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নবম শ্রেণি – বাংলা – রাধারাণী – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর


রাধারাণী
একটি ছোটগল্প যা বিখ্যাত বাঙালি লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচনা করেছেন। গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৮৩ সালে। গল্পের মূল চরিত্র রাধারাণী একজন দরিদ্র কৃষক পরিবারের মেয়ে। সে তার স্বামী ও সন্তানের জন্য সংগ্রাম করে জীবনযাপন করে। একদিন সে একটি মেলায় গিয়ে তার বিক্রি না হওয়া মালাটি একজন পথিককে বিক্রি করে। পথিক রাধারাণীর দুঃখের কথা শুনে তাকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করে। রাধারাণী পথিককে তার ঘরে নিয়ে যায় এবং তাকে খাওয়ায়। পথিক রাধারাণীর দয়ার জন্য কৃতজ্ঞ হয় এবং তাকে আরও কিছু টাকা দিয়ে যায়।

Table of Contents

নবম শ্রেণি – বাংলা – রাধারাণী

রাধারাণী কোথায় রথ দেখতে গিয়েছিল?

রাধারাণী মাহেশে রথের মেলায় গিয়েছিল।

বিধবা হাইকোর্টে হারিল। — এখানে কোন্ মামলার কথা বলা হয়েছে?

জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে রাধারাণীর মায়ের যে মামলা হয়েছিল এখানে সেই মামলায় কথাই বলা হয়েছে।

হাইকোর্টে মামলায় হেরে যাওয়ার ফলে রাধারাণীদের কী অবস্থা হয়েছিল?

হাইকোর্টে মামলায় হেরে যাওয়ার ফলে ডিক্রি জারি করে রাধারাণীদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।

রাধারাণীদের সম্পত্তির অর্থমূল্য কত ছিল?

রাধারাণীদের সম্পত্তির অর্থমূল্য ছিল প্রায় দশ লক্ষ টাকা।

হাইকোর্টে হেরে যাওয়ার পরে রাধারাণীদের দিন কীভাবে কাটত?

হাইকোর্টে হেরে গিয়ে বাড়ি থেকে উৎখাত হয়ে রাধারাণীর মা কুটিরে থাকেন এবং দৈহিক পরিশ্রমে কোনোরকমে তাদের দিন কাটে।

রাধারাণীর মা কখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন?

রথের আগে রাধারাণীর মা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

সুতরাং আর আহার চলে না। — এই না চলার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?

রাধারাণীর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁর আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে খাবার জোগাড়ের অবস্থা আর থাকে না।

রাধারাণী গল্পে কোন্ মাসের উল্লেখ আছে?

রাধারাণী গল্পে শ্রাবণ মাসের উল্লেখ আছে।

রাধারাণী মায়ের পথ্যের জন্য কী করেছিল?

মায়ের পথ্য সংগ্রহের জন্য রাধারাণী বনফুল তুলে মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল।

রাধারাণী একা রথের মেলায় গিয়েছিল কেন?

রাধারাণী বনফুলের মালা বিক্রি করে মা-র পথ্য সংগ্রহ করবে বলে মাহেশের রথের মেলায় গিয়েছিল।

রথের হাট শীঘ্র ভাঙিয়া গেল। — কেন?

রথের হাট প্রবল বৃষ্টির কারণে শীঘ্রই ভেঙে গিয়েছিল।

মালা কেহ কিনিল না। – মালা না কেনার কারণ কী ছিল?

রথের দড়ির টান অর্ধেক হতে না হতেই প্রবল বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে গেলে মালা কেনার লোক থাকে না।

লোক আর জমিল না। — কোথায় লোক জমেনি?

রথের মেলায় লোক জমেনি।

তদপেক্ষাও রাধারাণীর চক্ষু বারিবর্ষণ করিতেছিল। — কী সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?

শ্রাবণের মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে তুলনা করে রাধারাণীর চোখের জল ঝরার কথা বলা হয়েছে।

এক্ষণে উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিল। — কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে?

অন্ধকারে বাড়ি ফেরার সময় কোনো একজন রাধারাণীর ঘাড়ের উপরে পড়ায় রাধারাণী উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠে।

কিন্তু কণ্ঠস্বর শুনিয়া রাধারাণীর রোদন বন্ধ হইল। — কেন এমন হয়েছিল?

রাধারাণী সেই অপরিচিত কণ্ঠস্বরের মধ্যে একজন দয়ালু মানুষকে আবিষ্কার করেছিল বলে তার কান্না বন্ধ হয়েছিল।

রাধারাণী রোদন বন্ধ করিয়া বলিল রাধারাণী কী বলেছিল?

রাধারাণী কান্না বন্ধ করে বলেছিল সে দুঃখী লোকের মেয়ে এবং তার মা ছাড়া কেউই নেই।

তুমি আমার হাত ধরো — এ কথা বলার কারণ কী?

বক্তা এ কথা বলেছিল কারণ, হাত না ধরলে পিছল পথে রাধারাণীর পড়ে যাবার সম্ভাবনা ছিল।

রাধারাণী বড়ো বালিকা। — কীভাবে এই ধারণা হয়েছিল?

পথিক প্রথমে রাধারাণীর গলার আওয়াজে এবং পরে তার হাতের ছোঁয়ায় বুঝতে পারেন রাধারাণী খুবই ছোটো একটি মেয়ে।

রাধারাণীকে বয়স জিজ্ঞাসা করলে সে কত বলেছিল?

রাধারাণী প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিল যে, তার বয়স দশ-এগারো বছর।

এক্ষণেও বালিকার হৃদয়মধ্যে লুক্কায়িত আছে। — কী লুক্কায়িত আছে?

যে বনফুলের মালা রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল তা-ই রাধারাণীর মনের মধ্যে লুকানো ছিল।

আমি একছড়া মালা খুঁজিতেছিলাম — পথিক চরিত্রটি মালার সন্ধান করছিল কেন?

পথিক চরিত্রটি তার গৃহদেবতাকে পরানোর জন্য মালার সন্ধান করছিল।

পথিক চরিত্রটি তার মালা কিনতে না পারার পক্ষে কী যুক্তি দিয়েছিল?

পথিক চরিত্রটি বলেছিল যে রথের হাট তাড়াতাড়ি ভেঙে যাওয়ায় সে মালা কিনতে পারেনি।

রাধারাণীর আনন্দ হইল। — রাধারাণীর আনন্দের কারণ কী ছিল?

রথের মেলায় পরিচয় হওয়া পথিক যখন রাধারাণীর বনফুলের মালাটি কিনতে চায় তখনই রাধারাণীর আনন্দ হয়েছিল।

সমভিব্যাহারী মালার দাম কত দিয়েছিলেন?

সমভিব্যাহারী মালার দাম দিয়েছিল চার পয়সা। পরে অবশ্য দেখা যায় সে পয়সার বদলে টাকা দিয়েছিল।

এ যে বড়ো বড়ো ঠেকচে। — কীসের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?

রাধারাণীকে মালার দাম হিসেবে পথিক চার পয়সা দিলে তা অন্ধকারে তার কাছে অনেক বড়ো মনে হয়।

তুমি ভুলে টাকা দাও নাই তো? — কেন বক্তা এ কথা বলেছে?

মালার দাম হিসেবে দেওয়া পয়সার আকৃতি এবং অন্ধকারেও তার ঔজ্জ্বল্য দেখে বক্তা রাধারাণী প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করে।

তাই চকচক করচে। — বক্তা এই চকচক করার কী কারণ বলেছিল?

বক্তা পথিক চরিত্রটি বলেছিল যে নতুন কলের পয়সা হওয়ায় মুদ্রা দুটি চকচক করছে।

তখন ফিরাইয়া দিব। — কখন ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?

ঘরের আলোয় ভালোভাবে দেখে পথিকের দেওয়া মুদ্রাটি টাকা হলে তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তারপর প্রদীপ জ্বালিয়ো। — তারপর বলতে বক্তা কীসের পর প্রদীপ জ্বালাতে বলেছেন?

রাধারাণী রচনাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতিটিতে বক্তা তারপর বলতে ঘরে গিয়ে রাধারাণীর ভেজা কাপড় ছাড়ার পর বুঝিয়েছেন।

আমি ভিজা কাপড়ে সর্বদা থাকি। — কেন বক্তা সর্বদা ভিজে কাপড়ে থাকে?

বক্তা রাধারাণীর মাত্র দুটি কাপড় থাকায় সে সবসময় ভিজে কাপড়ে থাকে।

আমার ব্যামো হয় না। — কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে?

মাত্র দুটি কাপড় থাকায় রাধারাণীকে সবসময় ভিজে কাপড়ে থাকতে হয়। এই প্রসঙ্গেই এ কথাটি বলা হয়েছে।

আগুন জ্বালিতে কাজে কাজেই একটু বিলম্ব হইল। — এই বিলম্ব হওয়ার কারণ কী?

ঘরে তেল না থাকায় চালের খড় পেড়ে চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালাতে গিয়ে রাধারাণীর বিলম্ব হয়।

আলো জ্বালিয়া রাধারাণী দেখিল। — কী দেখল?

আলো জ্বেলে রাধারাণী দেখেছিল পথিক যা পয়সা বলে দিয়েছিল, তা আসলে টাকা।

তখন রাধারাণী বাহিরে আসিয়া তল্লাশ করিয়া দেখিল যে – রাধারাণী কী দেখেছিল?

রাধারাণী দেখেছিল যে তাকে যে ব্যক্তি টাকা দিয়েছিলেন তিনি আর দরজার বাইরে নেই, চলে গেছেন।

আমরাও ভিখারি হইয়াছি। — বক্তা কেন এমন উক্তি করেছেন?

মামলা-মোকদ্দমায় রাধারাণীর মা সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন। এই অবস্থায় পথিকের দ্বারা বুনোফুলের মালার দাম হিসেবে দেওয়া টাকা গ্রহণের যৌক্তিকতা বোঝাতে তিনি মন্তব্যটি করেন।

বড়ো শোরগোল উপস্থিত করিল। – এই শোরগোলের কারণ কী?

রাধারাণীদের কুটিরের দরজার ঝাঁপ ঠেলে কাপুড়ে মিনসে পদ্মলোচনের আসার ফলে এই শোরগোল হয়েছিল।

তিনিই বুঝি আবার ফিরিয়া আসিয়াছেন। — কার কথা এখানে বলা হয়েছে?

বনফুলের মালার দাম হিসেবে রাধারাণীকে পয়সার বদলে টাকা দিয়েছিলেন যিনি সেই পথিকের কথা এখানে বলা হয়েছে।

পোড়ারমুখো কাপুড়ে মিনসে ! — কাকে বলা হয়েছে? 

কাপড়ের ব্যবসায়ী পদ্মলোচন সাহাকে পোড়ারমুখো কাপুড়ে মিনসে বলা হয়েছে।

পদ্মলোচন রাধারাণীকে কী কাপড় এনে দিয়েছিল?

পদ্মলোচন রাধারাণীকে একজোড়া নতুন কুঞ্জদার শান্তিপুরী কাপড় এনে দিয়েছিল।

পদ্মলোচনকে পথিক কী বলেছিল?

পদ্মলোচনকে পথিক দুটি কাপড়ের দাম নগদে মিটিয়ে দিয়ে সেগুলি তিনি রাধারাণীকে পৌঁছে দিতে বলেছিলেন।

রাধারাণীর পরিবারের সঙ্গে পদ্মলোচনের পরিচয় কবে থেকে?

রাধারাণীর পরিবারের সঙ্গে পদ্মলোচনের পরিচয় রাধারাণীর বাবার আমল থেকে।

কাপুড়ে মিনসে রাধারাণীর পিতার সময় কীরূপ মুনাফা নিতেন?

কাপুড়ে মিনসে পদ্মলোচন রাধারাণীর পিতার আমলে চার টাকার কাপড়ের দাম শপথ করে আট টাকা সাড়ে বারো আনা নিয়ে তার সঙ্গে আরও দু-আনা মুনাফা নিতেন।

প্রসন্ন মনে দোকানে ফিরিয়া গেলেন। — এই প্রসন্নতার কারণ কী?

পদ্মলোচন রুক্মিণীকুমারের কাছ থেকে চার টাকার কাপড়ের দাম আট টাকা সাড়ে চোদ্দো আনা আদায় করে প্রসন্ন হয়েছিল।

রাধারাণী প্রাপ্ত টাকা ভাঙিয়ে কী করেছিল?

রাধারাণী বাজারে গিয়ে প্রাপ্ত টাকা ভাঙিয়ে মায়ের পথ্য তৈরির জিনিসপত্র ও প্রদীপের তেল কিনেছিল।

রাধারাণী ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে কী খুঁজে পেয়েছিল?

রাধারাণী ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে একটি কাগজ কুড়িয়ে পেয়েছিল, যেটি ছিল আসলে একটি নোট।

রাধারাণীর কুড়িয়ে পাওয়া নোটে কী লেখা ছিল?

রাধারাণীর কুড়িয়ে পাওয়া নোটে রাধারাণীর নাম এবং দাতা রুক্মিণীকুমার রায়ের নাম লেখা ছিল।

রাধারাণী গল্পটি একটি মানবতাবাদী গল্প। গল্পটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমরা প্রত্যেকেই আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অন্যের সাহায্য করতে পারি। অন্যের দুঃখ-কষ্ট দেখে আমরা উদাসীন থাকতে পারি না। আমাদের সকলের উচিত মানবতার জয়গান গেয়ে চলতে।

Share via:

মন্তব্য করুন