নবম শ্রেণি – বাংলা – স্বর্ণপণী (সহায়ক পাঠ) সত্যজিৎ রায়

Gopi

স্বর্ণপর্ণী কাহিনিটিতে প্রোফেসর শঙ্কু নামক এক বাঙালি বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত মিরাকিউরল নামক ওষুধের গল্প বলা হয়েছে। এই ওষুধটি যেকোনো রোগের চিকিৎসা করতে পারে বলে প্রচারিত হয়। কাহিনিতে দেখা যায়, প্রোফেসর শঙ্কু লন্ডনে যান এবং সেখানে তাঁর বন্ধু জেরেমি সন্ডার্সের সঙ্গে দেখা করেন। সন্ডার্সের স্ত্রী ডরথি তাঁকে জানায় যে, জার্মানির নাৎসি বাহিনীর অত্যাচারে হিটলারের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে একজন ভারততাত্ত্বিক প্রফেসর হাইনরিখ স্টাইনারকে আহত করা হয়েছে। প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর বন্ধু নরবার্ট স্টাইনারের অনুরোধে জার্মানি যান এবং হাইনরিখ স্টাইনারের চিকিৎসা করেন। কিন্তু জার্মানি পৌঁছানোর পরই প্রোফেসর শঙ্কুকে নাৎসি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। নাৎসি বাহিনীর প্রধান হের্ গোয়রিং-এর সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রোফেসর শঙ্কু স্টাইনার পরিবারকে মুক্তি দেওয়ার শর্তে গোয়রিংকে মিরাকিউরল ওষুধ দেন। কিন্তু গোয়রিং বিশ্বাস করে না যে ওষুধটি আসল। তাই তিনি প্রোফেসর শঙ্কুকে কারিনহলে আটকে রাখেন এবং ওষুধের রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য একজন বিজ্ঞানীকে পাঠান। কিন্তু ওই বিজ্ঞানীও ওষুধের রহস্য উদ্ঘাটন করতে ব্যর্থ হন। অবশেষে, প্রোফেসর শঙ্কু গোয়রিং এবং তাঁর সহচরদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্টাইনার পরিবারকে মুক্ত করে লন্ডনে ফিরে যান।

বাংলা – স্বর্ণপর্ণী

উৎস

সত্যজিৎ রায় রচিত স্বর্ণপর্ণী কাহিনিটি আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী ১৩৯৭ বঙ্গাব্দে (১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ) প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে শঙ্কুসমগ্র গ্রন্থে কাহিনিটি জায়গা পায়।

বিষয়সংক্ষেপ

১৬ জুন প্রোফেসর শঙ্কুর জন্মদিন। সেদিন বৈঠকখানায় আরাম করে অবসর সময় কাটাতে কাটাতে নিজের তৈরি ওষুধ মার্জারিনের কথা ভাবছিলেন তিনি। তাঁর বেড়াল নিউটন ওই ওষুধের জন্যই চব্বিশ বছর বেঁচে রয়েছে। এমন সময় হঠাৎ বাবার কথা মনে পড়ে শঙ্কুর। নানা কারণেই সেদিন তাঁর মনটা বেশ প্রসন্ন ছিল। বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারক হিসেবে প্রচুর সম্মান তিনি পেয়েছেন। আবিষ্কারের সেই তালিকায় রয়েছে মিরাকিউরল, অ্যানাইহিলিন পিস্তল, এয়ারকন্ডিশনিং পিল, রিমেমব্রেন, সমনোলিন, লুমিনিম্যাক্স, লিঙ্গুয়াগ্রাফ, অরনিথন।

মিরাকিউরল আবিষ্কার নিয়ে বেশ কিছু আশ্চর্য ঘটনা আছে। প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা ছিলেন বিখ্যাত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু। প্রচুর উপার্জন করেও তিনি ছিলেন অতি সাধারণ মানুষ। তিনি প্রোফেসর শঙ্কুকে বলেছিলেন প্রচুর উপার্জন করলেও দরিদ্র মানুষের কথা মনে রাখতে।
প্রোফেসর শঙ্কু গিরিডির স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন বারো বছর বয়সে। তিনি চোদ্দো বছরে আইএসসি, ষোলো বছরে একই সঙ্গে পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে অনার্স পাস করেন। এরপর তিনি চার বছর বাবার আদেশে শিল্প, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি কুড়ি বছর বয়সে স্কটিশচার্চ কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হন।

গ্রীষ্ম ও শীতের ছুটিতে প্রোফেসর শঙ্কু বাড়ি যেতেন। বাবাকে একদিন হঠাৎ অজ্ঞান হতে দেখে তাঁর হার্টব্লক সম্পর্কে জানতে পারেন। তাঁর বাবা পঞ্চাশ বছর বয়সে হার্টব্লকে মারা যান। বাবার মুখেই তিনি টিক্‌ড়ীবাবার নাম শুনেছিলেন। টিক্‌ড়ীবাবাই প্রোফেসর শঙ্কুর বাবাকে স্বর্ণপর্ণীর প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে, এর দ্বারা হার্টব্লকের মতো অসুখও নাকি ভালো হয়ে যায়। শঙ্কু তাঁর বাবার জন্য কসৌলি থেকে তিন ক্রোশ উত্তরে অবস্থিত চামুণ্ডা মন্দিরের পিছনের জঙ্গল থেকে স্বর্ণপর্ণী গাছের পাতা আনবেন স্থির করেছিলেন কিন্তু তার আগেই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। তারপরই প্রোফেসর শঙ্কু কসৌলির উদ্দেশে রওনা হন। ঘোড়ায় চড়ে সেখানে গিয়ে তিনি স্বর্ণপর্ণী গাছ সংগ্রহ করেন। শিকড়সমেত সেই গাছ নিয়ে আসেন গিরিডিতে। ডাক্তার জবাব দিয়ে দিলেও স্বর্ণপর্ণীর পাতায় গিরিডির উকিল জয়গোপাল মিত্রের উদরি রোগ ভালো হয়ে যায়। এরপর এই ওষুধের কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্বর্ণপর্ণী পাতা দিয়ে তিনি যে বড়ি তৈরি করেন, তার নাম দেন মিরাকিউরল।

কলকাতায় অধ্যাপনার সময়ে প্রোফেসর শঙ্কু নেচার পত্রিকা থেকে জেরেমি সন্ডার্সের কথা জানতে পারেন। ক্রমশ পত্রবিনিময়ের মাধ্যমে সমবয়সি সন্ডার্সের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আট মাস বন্ধুত্বের পর সন্ডার্সের যকৃৎ ক্যানসারের কথা শোনেন প্রোফেসর শঙ্কু। তিনি তক্ষুনি তাঁকে মিরাকিউরল বড়ি পাঠান। সেই ওষুধে সন্ডার্স সুস্থ হয়ে প্রোফেসর শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে কলকাতা আসেন। জীবতত্ত্বের গবেষক সন্ডার্স ওই বড়ির ঘটনা শুনে আশ্চর্য হন। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ওষুধের স্বত্বের মালিক প্রোফেসর শঙ্কুকে লন্ডনে নিয়ে যেতে চান সন্ডার্স। লন্ডনে গিয়ে প্রথমে ওই ওষুধের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে তার রোগজীবাণুনাশক শক্তির উৎস সম্বন্ধে জানার পরামর্শ দেন সন্ডার্স। সন্ডার্সের প্রস্তাবে রাজি হয়ে প্রোফেসর শঙ্কু লন্ডনে যান। সন্ডার্সের স্ত্রী ডরথির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। ডরথিই প্রোফেসর শঙ্কুকে সেই সময়কার জার্মানিতে হিটলারের অত্যাচারী শাসনতন্ত্রের কাহিনি শোনান।

সন্ডার্স ক্যাক্সটন হলে প্রোফেসর শঙ্কুর বক্তৃতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। ওষুধের অ্যানালিসিস রিপোর্ট বের করে তিনি প্রোফেসর শঙ্কুকে দেন। রিপোর্টে দেখা যায়, ওই বড়িতে এমন একটি উপাদান রয়েছে রসায়নে যার কোনো পরিচিতি নেই। ফলে কোনোভাবেই ল্যাবরেটরিতে ওই ওষুধ তৈরি করা যাবে না। এই ওষুধের বিষয়ে প্রোফেসর শঙ্কু ক্যাক্সটন হলে বহু লোকের সামনে বক্তৃতা দেন। লন্ডনের সমস্ত কাগজে তাঁর ছবি- সহ খবরটি বেরোয়। উইক-এন্ডের ছুটিতে সন্ডার্সদের সঙ্গে শঙ্কু অক্সফোর্ড ও কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে যান। সন্ডার্সদের বাড়িতেই প্রোফেসর শঙ্কুর সঙ্গে জার্মানি থেকে দেখা করতে আসেন নরবার্ট স্টাইনার। মিরাকিউরল আবিষ্কারক প্রোফেসর শঙ্কুর কাছে তিনি একটি সাহায্য চাইতে আসেন। জার্মানির নাৎসি বাহিনীর অত্যাচারে অন্য ইহুদি পরিবারগুলির মতোই স্টাইনাররাও আক্রান্ত। নরবার্ট স্টাইনারের বাবা হাইনরিখ স্টাইনার বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি নাৎসি পুলিশের আক্রমণে প্রায় আধমরা হয়ে যান। ভারতপ্রেমিক ওই অধ্যাপককে বাঁচানোর জন্য নরবার্ট স্টাইনার তাই শঙ্কুকেই অনুরোধ করেন। ওই ঘটনার কথা শুনে প্রোফেসর শঙ্কুর বন্ধু সন্ডার্স চিন্তিত হয়ে পড়েন। একজন ভারততাত্ত্বিককে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে প্রোফেসর শঙ্কুও উন্মুখ হয়ে ওঠেন।

প্রোফেসর শঙ্কু সন্ডার্সকে জানান যে তিনি ২৪টি মিরাকিউরল বড়ি দেশ থেকে সঙ্গে এনেছেন, যদিও কারও চিকিৎসায় তাঁর চারটি বড়ির বেশি প্রয়োজন হয় না। তিনি বার্লিন যাওয়ার সময় ২৪টি বড়িই নিয়ে যেতে চান বলে জানান। চারটে বড়ি পকেটে রেখে বাকি বড়ি ব্যাগে রাখার কথা বলেন তিনি। সন্ডার্স তাঁকে জানান যে, প্রোফেসর শঙ্কু বার্লিন গিয়ে যদি নাৎসিদের খপ্পরে পড়েন এবং তাঁর ওষুধ নাৎসিদের উপকারে লাগে, তাহলে সেটা সন্ডার্সের ভালো লাগবে না। প্রোফেসর শঙ্কুর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সন্ডার্স তাঁকে একটি পিস্তল দেন। প্লেনে করে নরবার্টের সঙ্গে বার্লিন পৌঁছোন প্রোফেসর শঙ্কু। এয়ারপোর্টে তাঁকে নানাভাবে পরীক্ষা করা হয় এবং বার্লিন যাওয়ার উদ্দেশ্য জানতে চাওয়া হয়। সতেরো নম্বর ফ্রীডরিখস্ট্রাসে এক দোতলা বাড়ি ছিল স্টাইনারদের। সেখানেই প্রোফেসর শঙ্কু হাইনরিখ স্টাইনারকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেন, স্টাইনারের মেয়ে লেনির সঙ্গেও তাঁর পরিচয় হয়।

শঙ্কু স্টাইনারের মুখে দুটো বড়ি গুঁড়ো করে ঢেলে দেন। তারপর নরবার্ট স্টাইনারের সঙ্গে বার্লিন শহরের কুরফ্যুরস্টেনডাম নামের রাস্তা দেখতে যান শঙ্কু। সেখানেও মিসেস ফিৎসনার নামের এক মহিলাকে ওষুধ দেন শঙ্কু। রাত ন-টায় ডিনার করে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। সেদিন রাতে শঙ্কুর বেশ ভালো ঘুম হয়। পরের দিন সকালেই শঙ্কু সুস্থ হয়ে ওঠা প্রোফেসর স্টাইনারের উদাত্ত কণ্ঠে উপনিষদের সংস্কৃত মন্ত্র শুনতে পান। শঙ্কু প্রোফেসর স্টাইনারকে জার্মানি ত্যাগের পরামর্শ দেন। হাইনরিখ স্টাইনারের সঙ্গে কথা চলাকালীনই তাঁদের বাড়িতে পুনরায় হিটলারের ব্ল্যাকশার্টবাহিনীর পুলিশ আসে। তারা প্রোফেসর শঙ্কুকে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইলে নরবার্ট স্টাইনার শঙ্কুর এই বিপদে ভীত ও লজ্জিত হন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চান।

পুলিশবাহিনীর সঙ্গে যাওয়ার আগে প্রোফেসর শঙ্কু স্টাইনার পরিবারকে বার্লিন ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলে যান। বিশাল এক কালো গাড়িতে চড়িয়ে ব্ল্যাকশার্টবাহিনীর লোকেরা প্রোফেসর শঙ্কুকে কারিনহল নিয়ে যায়। অট্টালিকার সমান কারিনহলটি একাধারে ছিল হিটলারের সামরিক বাহিনীর প্রধান হের্ গোয়রিং-এর কান্ট্রি হাউস ও তাঁর স্ত্রীর স্মৃতিসৌধ। বিপুল আকৃতির হের্ গোয়রিং প্রোফেসর শঙ্কুর কাছে জানতে চান যে, তিনি ইহুদি স্টাইনারদের বাড়ি কী করছিলেন। প্রোফেসর শঙ্কু জানান যে, তিনি তাঁর মিরাকিউরল ওষুধ দিয়ে স্টাইনারের চিকিৎসা করতেই লন্ডন থেকে বার্লিন এসেছেন। স্টাইনারের সুস্থ হয়ে ওঠার কথা শুনে গোয়রিং ক্রমশ রেগে ওঠেন। তিনি তীব্র ভাষায় ইহুদিদের আক্রমণ করেন এবং স্টাইনারকে খতম করবেন বলেও জানিয়ে দেন।

প্রোফেসর শঙ্কু এভাবে তাঁকে কারিনহলে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে গোয়ারিং জানান যে একজন ভারতীয়কে তিনি তাঁর কারিনহল দেখাতে চান। তিনি শঙ্কুকে আরও জানান যে তিনি প্রচণ্ড ঘামেন। এর কী চিকিৎসা আছে সেটাও শঙ্কুর কাছে জানতে চান তিনি। শঙ্কু গোয়রিংকে মিরাকিউরল ওষুধ ক-টা খেতে হয়, অসুখ সারতে কতক্ষণ সময় লাগে সেসব জানান। তক্ষুনি গোয়রিং প্রোফেসর শঙ্কুকে তাঁর ওষুধ দিতে বলেন। শঙ্কু গোয়রিংকে শর্ত দেন যে এর বিনিময়ে স্টাইনার ও তাঁর পরিবারকে বার্লিন ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি দিতে হবে। এই কথায় গোয়রিং রিভলভার বার করে ব্যাগ সার্চ করার কথা বলেন। কিন্তু প্রোফেসর শঙ্কু জানান যে, জোর করে স্বপ্নে পাওয়া ওই ওষুধ নিলে তার ফল ভালো হয় না। এ কথা শুনে গোয়রিং তাঁর সহচরদের অনুমতি দেন স্টাইনার পরিবারকে পালানোতে বাধা না দিতে। তারপর শঙ্কুর কাছ থেকে দুটোর বদলে চারটে বড়ি নিয়ে গিলে ফেলেন তিনি।

কিন্তু বড়ির রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে এবং ওষুধের ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই প্রোফেসর শঙ্কুকে মুক্তি দিতে চান গোয়রিং। ওষুধটা কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করে তাঁরা বাজারে ছাড়বেন কি না শঙ্কু জানতে চান। উত্তরে গোয়রিং জানান যে, ওই ওষুধ তিনি শুধু নাৎসি বাহিনীর সদস্যদের জন্যই তৈরি করতে চান। এরপরেই গোয়রিং শার্ট বদল করার জন্য ওপর তলায় চলে যান। প্রোফেসর শঙ্কুকে পাহারা দেওয়ার জন্য নিযুক্ত এরিখও তাঁর মৃগীরোগের জন্য চারটি ওষুধ নিয়ে গিলে নেন।

তারপরেই এরিখের নাক ডাকার শব্দে এবং গোয়রিং-এর ফিরে আসা না দেখে প্রোফেসর শঙ্কু নিশ্চিত হন যে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন। সেই সুযোগে প্রোফেসর শঙ্কু ড্রাইভারকে বন্দুক দেখিয়ে গাড়ি নিয়ে পৌঁছোন স্টাইনারদের বাড়ি। স্টাইনারদের দ্রুত প্যারিস চলে যাওয়ার কথা বলে শঙ্কু নিজে লন্ডনের উদ্দেশ্যে প্লেনে উঠে পড়েন।

লন্ডন ফিরে গিয়ে প্রোফেসর শঙ্কু সন্ডার্সকে বললেন যে তাঁর যাত্রা সফল হয়েছে এবং স্টাইনারও সুস্থ। তিনি কীভাবে নাৎসিদের খপ্পরে পড়েছিলেন এবং কীভাবে সেখান থেকে মুক্তি পান তাও জানান। সব ঘটনা শুনে সন্ডার্স একটু হেসে প্রোফেসর শঙ্কুকে জানান যে শঙ্কুর ব্যাগে থাকা মিরাকিউরল বড়িগুলির বদলে তিনি ঘুমের ওষুধ সেকোন্যালের বড়ি রেখে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি আসল মিরাকিউরল বড়িগুলি শঙ্কুকে ফেরত দেন। পুরো ঘটনাটা বুঝতে পেরে প্রোফেসর শঙ্কুর মনের সব অন্ধকার দূর হয়ে যায়। তিনি সন্ডার্সের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা জানান।

কাহিনিটির মূল বিষয়বস্তু হল বিজ্ঞানের শক্তি এবং মানবতার জয়। প্রোফেসর শঙ্কুর আবিষ্কৃত মিরাকিউরল ওষুধের মাধ্যমে একজন ইহুদি বিজ্ঞানীর জীবন রক্ষা পায়। এছাড়াও, নাৎসিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রোফেসর শঙ্কু সাহসী ভূমিকা পালন করেন।

JOIN US ON WHATSAPP

JOIN US ON TELEGRAM

Please Share This Article

About The Author

Related Posts

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Tom Loses a Tooth

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

The North Ship

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

Trending Now

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

Class 9 – English – His First Flight – Question and Answer

Class 9 – English – A Shipwrecked Sailor – Question and Answer